ভারতে যৌন অক্ষমতার কারণে বহু বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে বলে দক্ষিণ ভারতের একটি আদালত বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের যৌন সক্ষমতা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন বলেন, এখন এই পরীক্ষা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, কারণ যৌন অক্ষমতা বা শীতলতার কারণে ভারতে প্রচুর বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে।
তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারক এন. কিরুবাকারন এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। তারা এতে পরাধিকার চর্চা হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
পুরুষের তথ্য গোপন করার ফলে নারীর অধিকারও লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করেন এ বিচারক। তিনি বলেন, বিশেষ করে পুরুষরা বহু ক্ষেত্রে তাদের যৌন সমস্যার কথা গোপন করে বিয়ে করছে। এর ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে নারীর সুস্থ জীবন যাপনের অধিকার।
বিচারক বলেন, ডাক্তাররা যদি আগে থেকেই পরীক্ষা করে এই সমস্যা ধরতে পারেন তাহলে যৌন সমস্যা গোপন করে অক্ষম পুরুষদের বিয়ে করা ঠেকানো যাবে।
যেসব পুরুষ তাদের দুর্বলতার কথা গোপন করে বিয়ে করছে ও স্ত্রীদের প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
তবে সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যৌন সক্ষমতা যাচাইয়ের এই পরীক্ষা যথাযথ হবে না, বরং এটা হবে পরাধিকার চর্চা। কারণ যৌন সমস্যা প্রায়ই অল্প সময় স্থায়ী হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭