একদা শিখিয়াছিলাম মাঙ্কি অর্থাৎ বান্দর হইতে মানুষের উৎপত্তি হইয়াছে। ব্যাপারটা বিশ্বাস করি নাই এবং ভয়ে কাহাকেও বলি নাই। মাঝখান দিয়া বাবা আদম আসিয়া গুতা দিয়া গিয়াছে। ভীষণ প্রব্লেমেটিক লাগিতেছিল। কিন্তু যখন কম্যুনিস্ট ভাইদের সাথে ঘুরিতাম তখন ডারউইন নামক বানর পকেটে লইয়া থাকিতাম । আবার হুজুরদের সাথে থাকিলে আদম হাওয়ার গন্দম খাওয়ার গল্প শুনিতাম এবং মাথা দুলাইয়া মারহাবা শব্দ করিতাম। চীনদেশে দেখিলাম এসবে তেমন আসক্তি নাই, খোদায় বিশ্বাস নাই শুধু খাওয়া আর মাল টানাতে যত বিশ্বাস। আমাকে তাহারা কহিল কি এতো ভাব লইয়া বসিয়া থাকো, আসো মাল খাও দেখিবে বান্দরের টেনশন লাঘব হইয়াছে। আরে তাইতো ! কি দারুন লাগিতেছে, গুষ্টি কিলাই ওই সব থিওরির, আরও এক কাপ খাইলাম এবং সম্রাট মাওএর মতো লাগিল নিজেকে!
দেশে আবার অন্য ব্যাপার। হয় জামাত , নয় হেফাজত কিংবা লীগ অতঃপর দল । এইখানে মাল খাওয়া হারাম তবে ডাইল খাওয়া নয়। তাই সই, চক্ষু ঝলমল করিতে লাগিল। ভালো করিয়া দেখিলাম সবই তো বান্দরের লাহান লাগে। এই মারামারি, ঘুষাঘুষি, পিটাপিটি চলিতেছে। পুরাতন কম্যুনিস্ট ভাইকে টুপি মাথায় প্লেনে উঠিতে দেখিলাম। আকাশপানে তাকাইয়া বাবা আদমকে কহিলাম তুমিই ক্যাঞ্জাল বাধাইয়াছ , গন্দম খাইলা তুমি আর ভুগিতেছে ৭০০ কোটি লোক । গম্ভীর বাবা কহিল আমার ইচ্ছায় খাই নাই, তোর মা দেওয়ানবাগির তুকতাক লইয়া আমাকে ফাসাইয়া দিয়াছে , নাউজুবিল্লাহ।
শেষকথা তিনি কহিলেন “বাবা ওভার ব্রিজ দিয়া পার হইও, না হইলে জরিমানা / জেল হইবে। বান্দরেরা টেবিলে বসিয়া ট্যাঁকা টুকা আদায় করিতেছে”।।
ফেবুর ছাগুরা বঞ্চিত , আহা !! সখি যাতনা কাহারে কয় !
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১