বেশ আগ্রহী হয়ে উন্মুখ ছিলাম এবারের ১০০০ এক হাজার মানুষের হজ কেমন হবে । কাল রাতে হারামাইন টি ভি দেখে চমকে উঠলাম । অসাধারন দৃশ্য, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে হজ পালনকারীরা তাওয়াফ করছেন । কয়েকজন বাদেই নিরাপত্তা রক্ষীরা তাওয়াফের হাজীদের সাথেই হাঁটছেন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে । আমি হজ পর্ব দেখি বেশ আগ্রহ নিয়ে অনেক আগে থেকে । এখন হারামাইন টি ভি তে প্রতি ওয়াক্তের সালাত লাইভ দেখা যায় মক্কা এবং মদিনা উভয় জায়গায় । কাল অনেক রাত পর্যন্ত দেখেছি আর সৌদি রাজাদের অদ্ভুত রকমের স্মার্টনেস দেখে আপ্লুত আমি । আমার পুত্র গেল ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে উমরাহ করেছে তার খালার সঙ্গী হয়ে । এবছর আমি প্লান করছিলাম কন্যা আর জামাইকে নিয়ে উমরাহ করব কিন্তু আটকে গেলাম মহামারীতে । আমার প্রয়াত পিতা ১৯৫৩ আর ১৯৫৯ সালে দুবার হজ করেছেন । তার আনা কিশওয়ার টুকরো তার মৃতদেহের সাথে বেধে কবরে শোয়ানো হয়েছিল । এটি তার ইচ্ছেতেই করা হয়েছে । প্রতি বছর নতুন কিশওয়া বানানো হয় । সেই আমলে তা টুকরো করে হাজীদের মধ্যে দেওয়া হত অর্থের বিনিময়ে । ৫৯ সালে বাবা চিটাগং থেকে জাহাজে চড়ে জেদ্দা যাওয়া , হজ পালন এবং ফেরার পুরো বর্ণনা একটা ছোট ডায়রিতে লিখেছিলেন যা এখন আমার কাছে গচ্ছিত । বাবাকে হাজীদের ক্যাপ্টেন বানিয়ে দিয়েছিল বাকি হাজিরা । সার্বক্ষণিক হাজীদের দেখাশুনা , খাওয়া, ওষুধ আয়োজন ইত্যাদিতে মনোযোগী থাকতে হত তাকে । একটা সামুদ্রিক ঝড়ের বর্ণনা এবং একজন হাজি জাহাজেই মারা গেলে তার মৃতদেহ পানিতে ভাসিয়ে দাফন করার বর্ণনা আছে সেখানে ।
এবারের হজ ভিন্নমাত্রার । কেউ যাতে আক্রান্ত না হয় তার সর্বোচ্চ ব্যাবস্থা নিয়েছে সৌদি রাজা/ বাদশাহ গন ।
বনু আল শাইবা বংশের লোকেরা কাবা শরীফের চাবি সংরক্ষন করেন । শাইবা বনু হাশিম যাকে মুসলমানরা আব্দুল মুত্তালিব নামেই জানে , নবী মুহাম্মদের দাদা ছিলেন । এবার কাবা শরীফের দরজার চাবি প্রথম বারের মত দেখলাম । সাথে ছবি দিয়ে দিলাম ।
সালেহ আল শাইবি । কাবা শরীফের রক্ষনাবেক্ষনকারি ও চাবির রক্ষক ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৮