একবার এক বৃদ্ধ লোক কোন এক মসজিদের দরজায় ভিক্ষা চাইতে গেলো। তা দেখে এক মুসল্লি বেরিয়ে এসে বললো- ''এটা তো ভিক্ষা চাওয়ার স্থান না! নির্লজ্জের মতো এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে অন্য জায়গায় যাও।''
''এটা কেমন বাড়ি যেখানে দরিদ্র মানুষদের অবস্থার প্রতি কোন করুণা দেখানো হয় না!'' বৃদ্ধ লোকটি দুঃখ পেয়ে বললো।
''চুপ করো!'' সেই মুসল্লি আবারো চিৎকার করে উঠলো, ''এটা কি ধরণের কথা বলছো তুমি! এটা আমাদের খোদার বাড়ি।''
ভিক্ষুকটি এবারে কেঁদে ফেলে বললো- ''হায়! আমাকে এমন একটি দরজা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো। আমি তো কোন রাস্তা থেকেই খালি হাতে ফিরে আসিনি। সেখানে আমাকে কি না খোদার দরজা থেকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হলো! অথচ, সেখানেই তো আমার ভিক্ষার হাতটি পেতে দেওয়ার কথা কারণ আমি জানি, ঐ স্থান থেকে আমাকে খালি হাতে ফিরতে হবে না।''
একটি বছর সেই ভিক্ষুকটি মসজিদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখলো। এক রাতে, সে যখন খুব দূর্বল বোধ করছিলো, তার হৃত্স্পন্দন ধীরে ধীরে কমে আসতে লাগলো। তারপরো, সেই ভিক্ষুকটি আশ্চর্যজনক আনন্দের সাথে বললো- ''কোন ব্যক্তিই উদার সেই সত্ত্বার দরজায় কড়া নেড়ে নিরাশ হয়ে ফিরে যায় না।''
খোদাকে যে পেতে চায়, তাঁকে অবশ্যই ধৈর্য সহিষ্ণু হতে হয়। আমি কোন আলকেমিস্টকে কখনো দুঃখিত হতে দেখিনি। সে তো অনেক সোনাই ধুলাতে মিশিয়ে দেয়। কারণ, একদিন না একদিন, সে কপারের সেই ধুলোকে স্বর্ণে পরিণত করবেই।
সোনা কেনা ভালো। কিন্তু, পরম বন্ধু'র উজ্জল মুখমণ্ডলের চেয়েও ভালো অন্য এমন কি এই দুনিয়াতে আছে যা তুমি কিনতে চাইতে পারো?
====
শেখ সাদী
ভাবানুবাদঃ শাইয়্যান মোহাম্মদ ফাছিহ-উল ইসলাম
===============================
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৯