somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইঞ্জিনিয়ার কেন সচিব হতে পারবেন না?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দি ইঞ্জিনিয়ার্স সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেছেন, চাকরী জীবনের প্রথম দিন থেকে আমরা মনের ভেতর দাবি পোষণ করি যার যার ক্যাডার তার তার মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পদে যাবে। তিনি প্রশ্ন করেন, একজন ইঞ্জিনিয়ার যদি দেশের আনাচে কানাচে অবকাঠামো তৈরি করে দেশের উন্নয়ন সাধন করতে পারে তাহলে কেন সে তার মন্ত্রনালয়ের সচিব হতে পারবেন না?

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রকৌশলী কৃষিবিদ ও চিকিৎসক (প্রকৃচি)ও বিসিএস সমন্বয় কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব-সিনিয়র সচিব পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তা পদায়নের মাধ্যমে পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলাসহ ৬ দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন আরও বলেন, প্রশাসন ক্যাডারদের উদ্দেশ্য স্পস্ট, তারা বিভিন্ন অধিদপ্তরের পদ দখল করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বসে ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারনা বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

ঢাকা বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি সমন্বয় কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ বারবার আসেনা তাই নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার দিকনির্দেশনা চাই।

আ ফ ম বাহউদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।

রংপুর বিভাগের পক্ষ থেকে সাফিউর রহমান বলেন, উন্নয়ন বান্ধব সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে একদল কুচক্রী উঠে-পড়ে লেগেছে, এদেরকে প্রতিহত করতে হবে'। তা না হলে একদিন এই পরগাছাদের কারণে আমাদের বটগাছ শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বিএমএর সহ সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম খুলনা বিভাগের পক্ষ থেকে বলেন, অনেক দেরিতে হলেও আমাদের ঘুম ভেঙ্গেছে, ৪৪ বছর ধরে এই আমলারা টিকে আছে আমাদের আপোষকামিতা ও লেজুরবৃত্তি মাসিকতার কারণে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এ আন্দোলন কখনই সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এ আন্দোলন আমলাদের বিরুদ্ধে।

সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ফিরোজ খান বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা আন্দোলন করে গেলেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। তার সুযোগ নিয়ে আমলারা আগ্রাসী মনোভব পোষন করে আমাদের উপর বিভিন্ন অন্যায় চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন পে-স্কেল নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন শুরু করেছিলাম তখন হঠাৎ করে স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতাশীল করার নামে ইউএনওকে শক্তিশালী করে এক কৃত্রিম সমস্যার তৈরী করলো আমলারা। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতদিন না অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি।

প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম সকলের বক্তৃতা শেষে ৬ দফা দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা ঘোষণা করেন।

আগামী ২৮ অক্টোবর সকল উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয়ভাবে দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন, বেতনভাতা উত্তোলনে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের আগের নিয়ম অনুসরণ করা, ৫ নভেম্বর উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, ৫ নভেম্বরের মধ্যে জনপ্রতিনিধি ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএমএর সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব মোবারক আলী ও ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর প্রমুখ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×