somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রজাপতির অবসান-২

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুলি তার স্বপ্নের কথা একদমই ভুলে গেছে। সারাদিন প্রজাপতির সাথে মেতে থাকে। প্রজাপতির পাখার রং দেখে, এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অনেকক্ষণ। সেদিন রাতে হঠাৎ করে তুলির শরীর খারাপ হলো। তুলির বাবা হাটে ছিলেন তাই তুলির মা তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু শরীর অনেক খারাপ হবার কারনে তিনি বাধ্য হয়ে তুলির বাবাকে খবর দিলেন। তুলির বাবা খবর পেয়ে হন্য হয়ে ছুটে আসলেন। তুলির শরীর অনেক খারাপ কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এতরাতে কোথায় নিয়ে যাবে তা বুঝতে না পেরে ভোর হবার অপেক্ষায় তুলির বাবা মা তার উপরে চোখ রাখছিলেন। তুলির ঘুম পাচ্ছে। ঘুমের মধ্য তার বন্ধু পরীর সাথে দেখা। তুলি অনেক খুশি হলো। কিন্তু আজ পরীর মন খারাপ। কাশবনের এক কোণায় বসে আছে। তুলিকে দেখে খুব একটা খুশি হলোনা। তুলি প্রশ্ন করলো তার কি হয়েছে? পরী তাকে শুধু একটাই অনুরোধ করলো! প্রজাপতিটা ছেড়ে দাও, অনেক কষ্ট পাচ্ছে! তুলি একটু ভয় পেয়ে পিছু পা হতে থাকলো আর বললো এটা আমার প্রজাপতি আমি ছাড়বো না! পরী কিছু না বলে হাওয়ায় মিশে গেল।

স্বপ্নের ঘোরে হঠাৎ তুলির কথা শুনে তার বাবা তা শুনতে চেষ্টা করলেন। যা বুঝলেন তা হলো, এটা তুলির প্রজাপতি, এটা সে ছাড়বে না! তুলির বাবা কিছু বুঝতে না পেরে কান্না শুরু করলেন। সকাল হতেই তুলির শরীর আরো খারাপ হলো। জলদি করে তাকে হাসপাতাল নেয়া হলো। ডাক্তার দেখানোর পর কিছু ওষুধ নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে এলো। কিছু দিন পর তুলি আবার ঠিক হয়ে গেল। ঠিক হবার পর পরই সে তার প্রজাপতির খোঁজ নিল! বাবাকে প্রশ্ন করে মা'কে প্রশ্ন করে আর তার প্রজাপতি কোথায় খুজে পাচ্ছে না। তার মা তাকে কিছু বললো না, বাবা বললেন প্রজাপতিটা মারা গেছে তাই আমরা প্রজাপতিটা কবর দিয়েছি। একথা শুনে তুলি কান্না জুড়ে দিল। সে কিছুতেই মানবে না। অনেক কান্নাকাটি করলো। তার বাবা তাকে আরেকটা প্রজাপতি ধরে দেবে বলে আশ্বস্ত করলো।

অনেকদিন হয়ে গেল তুলি তার বাবাকে প্রজাপতি ধরে দেবার বায়না করলো। কিন্তু তার বাবা নানা অজুহাতে তাকে সরিয়ে রাখে...

চলবে...
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×