শার্লক হোমসঃ সৃষ্টি যখন স্রষ্টাকে ছাপিয়ে যায় তখন তাকে কি বলবেন? এমনই ঘটনা ঘটছে গোয়েন্দা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি শার্লক হোমসকে নিয়ে। শার্লক হোমসের নাম শোনে নি এমন মানুষ বোধ হয় পৃথিবীতে বিরল। স্বাভাবিক ভাবে সাহিত্যের গোয়েন্দা ধারাটি কিছুটা অপাংক্তেয় ছিল, কিন্তু শার্লক হোমসের সৃষ্টির পর বোদ্ধাদের সে নাক ছিটকানো বন্ধ হয়ে গেছে। কাল্পনিক এই চরিত্রটি তৈরী করেছিলেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। প্রথমেই ডয়েল সন্মন্ধ্যে দুটো কথা না বললে শার্লক হোমস কে নিয়ে কোন লেখা অসম্পূর্ন থাকে।
দ্বিতীয় বুয়র যুদ্ধ
আর্থার কোনান ডয়েল “নাইট” উপাধি পেয়েছিলেন দ্বিতীয় বোয়র যুদ্ধে (বোয়ার যুদ্ধ) ব্রিটিশ সরকারের নীতিকে সমর্থন করে দুটো বই “দ্যা গ্রেট বুয়র ওয়ার” এবং “দ্যা ওয়ার ইন সাউথ আফ্রিকা” লিখে। তিনি নিজেও এই যুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির মেডিকেল কোরে ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও তিনি ইতিহাস লিখছেন, “ব্রিটিশ ক্যাম্পেইন ইন ফ্লান্ডার্স” নামে যা ছয় খন্ডে বিভক্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার এক ছেলে অংশ নিয়ে মারা গেলে তিনি তিনি পরলোক তত্ত্বের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। এনিয়ে তার বিখ্যাত দুটো বইও আছে “দ্যা ওয়ান্ডারিংস অভ স্পিচ্যুয়ালিষ্ট” এবং “দি হিষ্টোরী অভ স্পিরিচ্যুলিজম” (২ খন্ড)।
Joseph Bell
১৮৫৯ সালে শার্লক হোমসের স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েল এডিনবরাতে এক আইরিশ ফ্যামিলিতে জন্মগ্রহন করেন। ডাঃ যোশেফ বেল নামক তার এক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ হয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়ার সময় ১৮৭৬ সালে। অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষকই হলেন ডয়েলের তৈরী শার্লক হোমসের মুল উদ্দীপক। সার্জন ডাঃ বেল যে কোন রোগীকে সামান্য দেখেই তার সন্মন্ধ্যে তার জীবন জীবিকার ব্যাপারে নিখুত বলে দিতে পারতেন, যা আমরা শার্লক হোমসের মাঝে দেখতে পাই এবং গোয়েন্দা হিসাবে তাকে করেছে অনন্য। শার্লক হোমসের জবানীতে যা আমরা দেখতে পাই “ডিডাকশান” নামে। মুলতঃ শার্লক হোমসের এই ডিডাকশান ক্ষমতাই তাকে নিয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দা হিসাবে সাধারন পাঠকের কাছে জনপ্রিয়তার চুড়ান্তে।
Edgar Allan Poe
এর বাইরেও ডয়েল এডগার এ্যালান পোর সৃষ্ট গোয়েন্দা আগস্তে দ্যুপে দ্ধারাও অনেকটা প্রভাবিত ছিলেন। আজকে ১৯শে জানুয়ারী এডগার এ্যালান পো জন্মদিন। তাকে শুভেচ্ছা।।
Oliver Wendell Holmes, Sr.
হোমস পদবীটি কোনান ডয়েল নিয়েছিলেন বিখ্যাত মার্কিন লেখক অলিভার ওয়েন্ডেল হোমসের নাম থেকে। আর শার্লক নামটি ধার করেন সে সময়ের এক সতীর্থ ক্রিকেটারের নাম থেকে। অনেকেই হয়ত জানেন না স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একজন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটার হিসাবে বিখ্যাত মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে (MCC) খেলছেন ১৮৯৯ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত। শার্লকের পুরো নাম ছিল “উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস।” শার্লক হোমসের জন্ম ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল বেলায়।
Arthur Conan Doyle
আর্থার কোনান ডয়েল ডাক্তার হিসাবে অনেক দিন ভারতবর্ষে চাকুরী করেন, ভারতবর্ষের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি শার্লক হোমসের প্রথম উপন্যাস লেখেন “আ ষ্টাডি ইন স্কারলেট” (১৮৮৭)।মাত্র তিন সপ্তাহে লিখিত এই উপন্যাস প্রথম দিকে কেউ ছাপাতে চায় নি, বেশ কিছু প্রকাশক এই বই ফিরিয়ে দেয়। পরে “বিটন’স ক্রিসমাস এ্যানাল” পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস বেশ ফ্লপ খায়, এ অবস্থায় ডয়েল কিছুটা নিরুসাহিৎ হয়ে পড়েন। কিন্তু “লিপিনকোট মান্থলি ম্যাগাজিন” এর এডিটর জোসেপ ষ্টুডার্টের সাথে এক ডিনারে ষ্টুডার্ট এবং ওই ডিনারের আর এক অংশ গ্রহনকারী অস্কার ওয়াইল্ডের উৎসাহে ডয়েল দ্বিতীয় উপন্যাস লেখায় হাত দেন, এখানে উল্লেখ্যযোগ্য ঐ ডিনারের অস্কার ওয়াইল্ড তার এক মাত্র উপন্যাস “দ্যা পিকচার অভ ডোরিয়ান গ্রে” লেখার জন্যও রাজী হন ষ্টুডার্টের অনুরোধে। ধারাবাহিক ভাবে “লিপিনকোট ম্যাগাজিন” এর জন্য লিখিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস “দ্যা সাইন অভ ফোর” (১৮৯০)। এর পর ইতিহাস। শার্লক হোমস কে নিয়ে ডয়েল লিখেন চারটি উপন্যাস বাকী দুটোর নাম “দ্যা হাউন্ড অভ বাস্কারভিল” এবং “দ্যা ভ্যালি অভ ফিয়ার”। এছাড়া ছোট গল্প লেখেন ৫৬ টি।
শার্লক হোমস এবং ডাঃ ওয়াটসন
চারটি বাদে সব কটি কাহিনিই হোমসের বন্ধু তথা জীবনীকার ডা. জন ওয়াটসনের জবানিতে লেখা। দুটি গল্প ("দ্য ব্লাঞ্চেড সোলজার্স" ও "দ্য লায়ন’স মেন") হোমসের নিজের জবানিতে এবং অন্য দুটি গল্প ("দ্য ম্যাজারিন স্টোন" ও "হিজ লাস্ট বো") তৃতীয় পুরুষে লেখা। দুটি গল্প আবার ("দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল" ও "দ্য গ্লোরিয়া স্কট) হোমস ওয়াটসনকে নিজের স্মৃতি থেকে শুনিয়েছেন, এবং ওয়াটসন সেখানে কাহিনির কাঠামোটিই বর্ণনা করেছেন। প্রথম উপন্যাস “আ স্টাডি ইন স্কারলেট” -এর মধ্যবর্তী অংশে হোমস ও ওয়াটসনের অজ্ঞাত ঘটনার দীর্ঘ বর্ণনা করা হয়েছে এক সর্বজ্ঞ বর্ণনাকারীর জবানিতে।
The Final Problem and The Reichenbach Fall
ছোট গল্প সংকলন নিয়ে তার প্রথম গ্রন্থ “দ্যা এ্যাডভেঞ্চারস অভ শার্লক হোমস” এ ১২ টি গল্প স্থান পায় এর পর “দ্য মেমোয়ার্স অভ শার্লক হোমস” এর গল্প লিখতে গিয়ে ডয়েল কিছুটা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন, কারন ততদিনে পাঠকরা হোমসকে আপন করে নিয়েছে, স্রষ্টার থেকে সৃষ্টি প্রাধান্য পাওয়া শুরু করছে শার্লক হোমসের নামের অতলে আর্থার কোনান ডয়েল নামটি হারিয়ে যেতে বসেছে বিরক্ত হয়ে শার্লক হোমসকে মেরে ফেলার জন্য লিখলেন “দ্যা ফাইনাল প্রবলেম।” যে গল্পে শার্লক হোমস চিরশত্রু প্রফেসর জেমস মারিয়ার্টির সাথে রাইকেনবাকের সেই ভয়ঙ্কর খাদের কিনারায় মারামারি করতে করতে হারিয়ে গেল জলপ্রপাতের অতলে। হোমসের মৃত্যু হল কিন্তু এখানে ডয়েল সামান্য ফাক রাখলেন, শার্লক হোমসের মৃতদেহ পাওয়া গেল না।
Sherlock Holmes - Empty house
সমস্যা তৈরী হল এর পর, পাঠকদের কাছে তখন হোমস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তাদের প্রচন্ড চাপে বাধ্য হয়ে ডয়েল হোমসকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হলেন “দ্যা রিটার্ন অভ শার্লক হোমস” এর “দ্যা এম্পটি হাউজ” গল্পের মাধ্যমে। ভক্তকুলের চাপে মৃত গোয়েন্দাকে ফিরিয়ে আনতে এমন নজির বিশ্ব সাহিত্য ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই।
Professor Challenger
ওদিকে হোমসের পর্ব লিখতে লিখতে ডয়েল মারাত্মক বীতশ্রদ্ধ। তার অন্যান্য অসাধারন সাহিত্যকর্মগুলো শার্লক হোমসের নামের চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে, মনস্থ করলেন শেষ করে দেবেন হোমসের গোয়েন্দা জীবন। ১৯১৪ সালে লেখা “হিজ লাষ্ট বাউ” তে আমরা দেখতে পাই হোমস মৌমাছি চাষে ব্যাস্ত হয়ে গেছে আর ডয়েল হোমসের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিলেন, “এই আমার শেষ তদন্ত।” হোমসকে মারার চক্রান্ত স্বরূপ ডয়েল সৃষ্টি করলেন আর এক ক্লাসিক ক্যারেক্টার “প্রফেসর চ্যালেঞ্জার” যার দেখা পাই তার রচিত “দ্য লষ্ট ওয়ার্ল্ডে” (১৯১২)। আমার পড়া ডয়েলের শ্রেষ্ট উপন্যাস এটা। কিন্তু হা হুতোস্মি।
The Adventure of the Mazarin Stone
ডয়েল তত দিনে বাধা পরে গেছেন নিজের সৃষ্টি শার্লক হোমসের জালে, নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়ছেন, অবস্থাদৃষ্টে দেখা গেল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে হোমসের হাত থেকে নিস্তার পায়নি, আসলে হোমসের বড় শত্রু ততদিনে প্রফেসর মারিয়ার্টি না ডয়েল নিজেই। ইচ্ছা করলেই হোমসকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না, আবার ফেরত আসল হোমস। “দ্য কেস বুক অভ শার্লক হোমস” এ “দ্যা এ্যাডভেঞ্চার অভ দ্যা ম্যাজারিন ষ্টোন” গল্প দিয়ে আবারো শার্লক হোমস ফেরত আনলেন গোয়েন্দাগিরিতে। স্রষ্টাকে বারবার ফিরে যেতে হয় তার সৃষ্টির কাছে।
Adrian Conan Doyle, age 19, with his father Sir Arthur
১৯৩০ সালে স্যার কোনান ডয়েল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিস্তার পান নি শার্লক হোমসের হাত থেকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, রাষ্ট্রেরপ্রধান থেকে সাধারণ জনতা সবাই ছিল তার পাঠক। এর প্রমাণ পাওয়া যায় তার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের বক্তব্য থেকেই। তিনি বলেন, “তার (স্যার আর্থার কোনান ডয়েল) প্রতি আমার প্রশংসার অন্ত নেই। নিশ্চয়ই তার প্রতিটি লেখা আমি পড়েছি এবং মুগ্ধও হয়েছি।” স্রষ্টা মারা গেলে সৃষ্টির ও বিনাশ হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু শার্লক হোমসের ক্ষেত্রে তা ঘটল না, নতুন প্রজন্মের নতুন মেধাবীরা নিজেদের আলাদা সৃষ্টি না করে শার্লক হোমস লিখে যেতে থাকে। ১৯৫২ সালে অর্থ্যাৎ স্যার ডয়েলের মৃত্যুর ২২ বছর পর হোমসকে নিয়ে প্রকাশিত হয় একটি কাহিনী সংকলন “দ্য এক্সপ্লয়েন্ট অব শার্লক হোমস” যারা লিখেছেন তাদের একজন আর্থার কোনান ডয়েলের ছেলে “অ্যাড্রিয়ান কোনান ডয়েল” অন্য জন ঔপন্যাসিক জন ডিকসনকার। তাদের এই যৌথ প্রযোজনা মুল লেখক স্যার ডয়েলের লেখার থেকেও ভালো হয়েছে বলে অনেক বোদ্ধার মতামত। পাঠকেরাও মুগ্ধ। এরপর বহু বিখ্যাত লেখক শার্লক হোমস কে নিয়ে লিখছেন বিখ্যাত সব গোয়েন্দা কাহিনী।
Sherlock Holmes: The Devil's Daughter
জন টমসনের “দ্য সিক্রেট ফাইলস অব শার্লক হোমস”, হেনরি লেজার্ডের “দ্য সেভেন পার্সেন্ট সল্যুশন”, মাইকেল ডিবডিনের “দ্য লাষ্ট শার্লক হোমস ষ্টোরী”। লেখক ভিন্ন হলেও শার্লক হোমস সেই আদি অকৃত্রিম। সেই চলন বলন, সেই বুদ্ধিদীপ্ত ডিডাকশান, সেই ভাবভঙ্গি, হতাশায় আক্রান্ত হলে মাদক নেয়া সব ...... সব সেই ডয়েলের সৃষ্টি হোমসের। কোন পার্থক্য নেই। এক গত শতকের নব্বই দশকে হোমস কে নিয়ে লেখা হয়েছে পাঁচটি উপন্যাস, তিনটি নাটক এবং সতেরটি ছোট গল্পের সংকলন।
michael dibdin - last sherlock holmes story
“দ্যা ফাইনাল প্রবলেম” গল্পে হোমসের চির শত্রু প্রফেসর মারিয়ার্টির সাথে যুদ্ধ করতে করতে জলপ্রপাতে হারিয়ে গিয়েছিল হোমস ঠিক সেখান থেকেই শুরু ডিবডিনের “দ্যা লাষ্ট শার্লক হোমস ষ্টোরী”। এই উপন্যাসে দেখা যায় লন্ডনের কুখ্যাত নারী হত্যাকারী সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্যা রিপারকে (এখানে লিঙ্কে “মিষ্ট্রিয়াস রেপিষ্টঃ জ্যাক দ্য রিপার” আনসলভড মিষ্ট্রি দেখুন) ধাওয়া করছে হোমস। কল্পনা বাস্তবের এক অসামান্য মিশেল সে গল্প।
অতি সম্প্রতি বের হয়েছে “ম্যামথ বুক অভ নিউ শার্লক হোমস এ্যাডভেঞ্চার”। আবারো ফিরে এসেছে শার্লক হোমস। এই সংকলনটির সম্পাদক মাইক এ্যাশলে। নতুন প্রজন্মের গোয়েন্দা কাহিনীকাররা আবারো ফিরিয়ে এনেছেন ডাঃ ওয়াটসনের কথকের মাধ্যমে চির নতুন পুরাতন শার্লক হোমসকে। এটা এক প্রকার নিশ্চিত সামনে আরো কাহিনী আমরা দেখব হোমস কে নিয়ে হয়ত তখন আমরা বেচে থাকব না কিন্তু বেচে থাকবে স্যার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস।
221B Baker Street: Sherlock Holmes
যখন চিঠি লেখার চল ছিল প্রতিদিন গড়ে ৪০/৫০ টা চিঠি আসত ২২১, বি বেকার ষ্ট্রীটের ঠিকানায়, সে সব চিঠির উত্তর ও দিত ওয়াটসন। আসলে উত্তর দেয়া হত হোমস সোসাইটির পক্ষ থেকে। চিঠির প্রেরকদের জানানো হত “আমরা দুঃখিত হোমস এখন আর গোয়েন্দাগিরি করছেন না, সে তার পেশা ছেড়ে মৌমাছি পালনে ব্যাস্ত।” জানি না আধুনিক কালে হোমসের নামে কোন ইমেইল আছে কিনা? থাকার তো কথা, কারন শার্লক হোমস তো মারা যায় নি, যত দিন গোয়েন্দা কাহিনী থাকবে শার্লক হোমস জীবিত থাকবে নিঃসন্দেহে, যে তার মরনশীল স্রষ্টার মত নয়, অমর এক চরিত্র।
শার্লক হোমস রচনা সমগ্র বাংলায় ক্লিক করে সব গল্প উপন্যাস ডাউন লোড করুন
বাংলা গোয়েন্দাদের নিয়ে অনেক আগে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন কাকাবাবু, অজু'ন এর স্রস্টারা এবং বাংলা উপন্যাসের অন্যান্য গোয়েন্দাদের তালিকা
ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটি রায়, ফেলুদা, কর্নেল নিলাদ্রি সরকার এর স্রষ্টারা
কাজী আনোয়ার হোসেন , মাসুদ রানা
কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল এর বিভিন্ন সাইট এবং কিছু পত্রিকা এবং বই
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৭