শীতের শুষ্কতা এখনো অনেক বাকী তারপরও একটু ভেবে দেখুন না? শীতের গাছেদের ফুল ফোটানোর উৎসাহে কেমন ভাটা পড়ে এবং
পাতা ঝরানোয় কত ব্যস্ত। কি অদ্ভুত সেই সেই পাতা ঝরার দৃশ্য! সম্মোহিতের মত তাকিয়ে থাকেন, দেখেন গাছদের মাথা ঝাঁকিয়ে সেই অবাঞ্চিত পাতা ঝরানোর দৃশ্য।
ইস কতই না সুন্দর হত। এমনি করে যদি জীবনের নেতিবাচক দিকগুলো ঝরিয়ে ফেলতে পারতাম জীবন হতে। জীবনের এতটা বেলায় এসে কি কেউ বলতে পারবো দৃঢ়তার সাথে - কখনো আমরা কারো ব্যাথার কারণ হইনি। আমাদের অনিয়ন্ত্রিত আচরণে আহত হয়নি কোন হৃদয়। কিংবা আমাদের আচরণের নেতিবাচক দিকগুলো কখনো আঘাত করেনি কাউকে। জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর অযাচিত কোন ভুলের স্মরণ আজো আমাদের বিব্রত করেনা কেন?
জীবনের যে নেতিবাচক আচরণগুলো আমাদের অনুশোচিত আত্নার রোদন ঝরাবে। অথবা আমাদের ব্যাথার স্মরণ হয়ে রইবে চলার পথে। কি লাভ তাকে শুধু শুধু ঝিইয়ে রেখে? সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে।
আসুন না আজ হতে ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করি -অযথা অন্যকে কটু কথায় আহত করা, অন্যের অধিকার নষ্ট করা, পরনিন্দা ,লোভ ,মিথ্যে বলাসহ সমস্ত নেতিবাচক দিকগুলো।
সেই বয়সী গাছেদের মত নিজেদেরকে ঝাঁকিয়ে ,নিজেদেরকে বিশ্লেষণ করে আচরণের সমস্ত নেতিবাচক দিকগুলোকে বিদায় জানাই। শুধু সত্য আর সুন্দরের চাষ করি নিজেদের মাঝে।
আজ হতেই চেষ্টা করি আসুন। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে সকাল হতে রাত অবধি আমরা আমাদের আচরণের সমস্ত কদর্য দিকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবো। পরের সপ্তাহে একে দুই দিনে রুপান্তরিত করি। তার পরের সপ্তাহে তিন দিনে। এভাবে ধীরে ধীরে আত্ননিয়ন্ত্রনের ভিতকে মজবুত করি। ইনশাআল্লাহ দেখা যাবে, একদিন জীবনের বেলাভূমিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সত্য ও সুন্দররের প্রতিমূর্তি হয়ে।
দেখা যাবে, সুন্দরের জোসনায় স্নাত হয়ে আমরাও এক জোৎস্নালোকিত মানুষ হয়ে গিয়েছি। কদর্যতা আর সংকীর্ণ আচরণের সাথে পাকাপোক্ত ভাবে আমাদের জনমের মত আড়ি হয়ে গেছে। কেমন হবে সেই দিনকার অনুভূতি ভাবতে পারেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১১