শিশুর বাহ্যিক বৃদ্ধি দেখে আমরা বুঝতে পারি শিশুটির মানসিক ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কি-না। শিশুর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তার বয়স অনুপাতে বাড়তে থাকে। প্রতিটি শিশুরই এই বাড়ন্তকালের হার প্রায় কাছাকাছি।
নিচে এর একটি সময়সীমা দেয়া হলো
তিন মাস : শিশুকে এই সময় পিঠে বালিশ দিয়ে বসিয়ে দিলে সে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারে, মাথা বা ঘাড় কাত হয়ে পড়ে যায় না। নিজের হাত নেড়ে সব দিক লক্ষ্য করে, চোখ ঘুরিয়ে সবকিছু দেখতে চায়, শব্দ শুনলে মাথা ঘুরিয়ে তাকাতে চায়। এ সময় সে তার মাকে ভালোভাবেই চিনতে পারে।
ছয় মাস : এই সময় শিশু হাত দিয়ে তার খাবার বোতলটি ধরতে পারে, নিজে নিজেই উপুড় বা চিত হয়, এমনকি হামাগুড়ি দেয়া শিখে ফেলে। বসিয়ে দিলে কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই বসে থাকতে পারে, এমনকি খেলনা এক হাত থেকে অন্য হাতে নিতে পারে। মুখ ও ঠোঁট দিয়ে অস্পষ্ট শব্দ করতে শেখে। এক বছর: ৯ মাস বয়সেই শিশু দাঁড়াতে চেষ্টা করে এবং কখনো কখনো পারেও। ১ বছর বয়সে সে নিজেই শোয়া অবস্থা থেকে ওঠে বসে এবং শক্ত কিছু ধরে নিজে নিজেই হাঁটা শুরু করে দেয়। এই সময় সে বেশকিছু পরিচিত অর্থবোধক শব্দ বলতে শেখে।
দেড় বছর: শিশু এই সময় হাঁটতে হাঁটতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে, এমনকি উল্টো দিকেও হাঁটতে পারে। হাঁটার সময় হাতে একটা খেলনা ধরে রাখাটাও তার অভ্যাসে এসে যায়। ছবির বই এনে দিলে তা দেখে বেশ মজাও করতে শেখে। পরিচিত শব্দগুলো মিলিয়ে এক-আধটা পূর্ণ বাক্য বলে আÍীয়স্বজনদের আনন্দের খোরাক হতে তার বেশ ভালোই লাগে এ সময়। দুই বছর: এই সময় শিশুটি চায় সবাই তার প্রতি মনোযোগী হোক, মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকাটাই তার যত বাসনা। দরজার হাতল ঘুরিয়ে খুলে ফেলা, নিজে নিজে জামা-কাপড় পরে ফেলা কিংবা নাম ধরে ৪-৫টা খেলনা চেয়ে বসতে পারে। দেখিয়ে দিলে কাগজে আঁকতে পারে লম্বা দাগ। এই সময় প্রায় গোটা পঞ্চাশেক অর্থবোধক শব্দ তার শব্দ ভাণ্ডারে জমা হয় এবং তা দিয়ে সে কথাবার্তা ভালোই চালিয়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র : মানবকন্ঠ
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প
তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।
সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন