somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবজগতের রহস্যময় সদস্য ভাইরাস (আসুন ভাইরাস সম্পর্কে জানি )

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



করোনা ভাইরাসের আতংক শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্য ভাইরাস সম্পর্কে তেমন কৌতুহল ছিলনা।যেহেতু করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি তাই ভাইরাস সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকলে হয়ত আমরা নিজেরা সাবধান হতে পারবো। নিজেদের সাথে সাথে অন্যদেরও রক্ষা করতে পারবো।

ভাইরাস কি?
ভাইরাস খুবই ছোট একটি জীবানু যা এতটাই ক্ষুদ্র যে সাধারণ মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়না দেখতে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ লাগে।এটা এতটাই সরল যে এর এমনকি একটা কোষও নেই।আছে শুধু একটা প্রোটিন আবরন (ক্যাপসিড) আর অল্প কিছু জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল( ডি এন এ অথবা আর এন এ)।




ভাইরাস কেন অন্য জীব থেকে আলাদা?
ভাইরাসকে আসলে সত্যিকার অর্থে জীবিত বলা যায় না।কারন যদি জীবিত দেহের বাইরে থাকে তাহলে ভাইরাস সাধারন ধুলাবালির মতই জড়।জীব দেহের বাইরে এরা নিজে নিজে চলাচলও করতে পারেনা।এরা কোনো খাবার খায়না অর্থাৎ এদের পুষ্টির প্রয়োজন হয় না।

কিন্ত এই ভাইরাসই যদি কোনো জীবন্ত কোষে ঢুকে যায় তখন সে সেই কোষটিকে জিম্মি করে নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।কোষগুলোকে ধ্বংস করে।এদের জীনে মিউটেশন(হঠাৎ পরিবর্তন) হয়।তাই এদের তখন জীবন্ত প্রানীর মত মনে হয়।

অর্থাৎ ভাইরাস পোষক দেহের বাইরে জড় পদার্থ কিন্ত পোষক জীবের ভেতরে জীবের মত আচরণ করে।

জীব জগতে এমন আচরণ করা আর কোনো জিনিসই নেই।তাই ভাইরাস সকল জীবের চেয়ে অনেক আলাদা।ভাইরাসকে জীব এবং জড় পদার্থের মধ্যে সেতু বন্ধন বলা হয়।

এবারে কিছু ইতিহাস

অনেক আগে মানুষের অনুজীব সম্পর্কে ধারনা ছিলনা।মানুষ তখন রোগ বালাই নিয়ে কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিল।বিজ্ঞানীদের অপরিসীম পরিশ্রমে ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার হলো।আস্তে আস্তে অনুজীব দেখার জন্য উন্নত মাইক্রোস্কোপ তৈরি হলো।তখনও মানুষ ভাইরাস সম্পর্কে জানত না।

তামাক গাছের মোজাইক রোগ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী আইভানোভস্কি প্রথম বুঝতে পারেন এমন একটা জিনিস আছে যা ব্যাকটেরিয়ারোধি ফিল্টার দিয়েও ছাঁকা যায় না(ব্যাকটেরিয়া থেকে ছোট) এবং ভাল গাছে আক্রান্ত গাছের ছাঁকা রস দিলেও তাতে মোজাইক রোগ হয়ে যায়।উনি ভাবলেন এটা হয়ত ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি বিষাক্ত কিছু।ল্যাটিন ভাইরাস(Virus) শব্দের অর্থও কিন্তু টক্সিন বা বিষ।এই নিয়ে গবেষণা করতে করতে প্রথম ভাইরাস হিসাবে টোবাকো মোজাইক ভাইরাস আবিষ্কার হলো।সেটাও ১৮৯২ সালের কথা।
তারপর বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়েছে।ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার হওয়ার পর ভাইরাসের আকৃতি অনেক ভাল করে দেখা গেছে।ভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাইরোলজী বিভাগ খুলেছে,এ নিয়ে হরদম গবেষণা হচ্ছে।কিন্ত প্রকৃতিতে থাকা অগনিত ভাইরাসের তুলনায় খুব অল্প ভাইরাস সম্পর্কেই আমরা জানতে পেরেছি।

ইতিহাসের প্রথম সনাক্ত হওয়া ভাইরাস টোবাকো মোজাইক ভাইরাস



ভাইরাস কোথায় থাকে?
ভাইরাস আছে নানা রকমের।প্রজাতি ভেদে বাতাস,মাটি, পানি এক কথায় সবখানেই ভাইরাস নির্লিপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।জীবিত অবস্থায় এরা ভিন্ন ভিন্ন জীব দেহে বসবাস করতে পারে।তাতে নানা রকম রোগ দেখা দেয়।মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা এমন কি ব্যাকটেরিয়াও এদের দ্বারা আক্রান্ত হয়।ভাইরাস একটা ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে শত বা হাজারগুন ছোট হয়।

ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
ভাইরাস যেহেতু নিজে নিজে চলতে পারেনা তাই এর একটা বাহক দরকার হয়।ধরুন একটা ফসলের ক্ষেতে একটি গাছে ভাইরাস ধরেছে।গাছটির রোগলক্ষন দেখা দেবে।এই গাছটিতে যেসব পোকামাকড় রস খায় তাদের মধ্যে কেউ বাহক হিসাবে কাজ করতে পারে।রস খেয়ে সে অন্য গাছে বসে রস খেলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়বে।এভাবেই পুরো ক্ষেত ভাইরাস আক্রান্ত হবে।

আবার যদি কোনো কৃষক কাঁচি দিয়ে রোগাক্রান্ত গাছের ডাল কাটে তবে গাছের রসের সাথে ভাইরাস কাঁচিতে চলে যাবে।সেই কাঁচি দিয়ে কাটা সব গাছে এভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে।

প্রানীর ক্ষেত্রেও তাই।দেহের রস,রক্ত ইত্যাদির সাথে ভাইরাস থাকলে তার দ্বারা ছড়িয়ে পড়বে যদি সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে।এক্ষেত্রে জীবন্ত বাহক (বা ভেক্টর) দরকার হতে পারে যেমন ডেঙ্গু। আবার প্রানী যেহেতু নিয়েই চলাচল করে বেড়ায় তাই তারাও সরাসরি অন্য প্রানীকে আক্রান্ত করতে পারে।যেমন এইডস,করোনা ভাইরাস,নিপাহ ভাইরাস।রোগের রকম ভেদে আক্রান্ত লোকের দেহের রস বা টিস্যু যদি জড়বস্তুতে পড়ে সেই জড়বস্তু ধরলে সেখান থেকেও সুস্থ দেহে ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।

আমাদের জানা সব ভাইরাসের জন্যই কিন্ত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি এমনভাবেই হয়।

নিপাহ ভাইরাস কিভাবে ছড়াচ্ছে তার ধারনা



ভাইরাস সৃষ্ট রোগ
দেখুন আমাদের চারপাশে অসংখ্য ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে।সব কিন্ত রোগ তৈরি করে না।আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে এদের থেকে বাঁচায়।আমাদের শরীরের কিছু প্রোটিন যদি জীবানুর সাথে ম্যাচ করে যায় তখন সেই জীবানু দেহে প্রবেশ করতে পারে।এজন্য এসব প্রোটিনকে 'রিসেপ্টর' বলে।

সব ভাইরাস সবাইকে আক্রমণ করে না।যা পাখিকে আক্রমণ করে তা মানুষকে করে না।যে জীবানু গবাদিপশুর পক্স তৈরি করে তা মানুষের পক্স তৈরি করেনা।তাই বলা যায় ভাইরাসের পোষক নির্দিষ্ট।

ভাইরাসের কিন্ত বাহকও নির্দিষ্ট। ডেঙ্গু শুধু এডিস মশা দিয়েই ছড়ায়,এনোফিলিস মশা দিয়ে ছড়ায় না।(মশা শুধু বাহক হিসাবে কাজ করে।মশার কিন্ত ডেঙ্গু রোগ হয়না)

ভাইরাসের জন্য সাধারণত টিস্যুও নির্দিষ্ট। যেমন এইচআইভি ভাইরাস শ্বেতরক্তকণিকা আক্রমণ করে।করোনা ভাইরাস শ্বাসনালী ও ফুসফুস আক্রমণ করে।

তবে ভাইরাস কখনো কখনো তার জীন পরিবর্তন করে (মিউটেশন) এক ধরনের পোষক থেকে অন্য পোষকে চলে যায়।এই ভাইরাসগুলো বেশ ভয়ানক হয়।করোনা ভাইরাস ও এমন একটি ভাইরাস বলে মনে করা হচ্ছে।বাদুড় জাতীয় প্রানীতে অন্যরকম করোনা ভাইরাস প্রজাতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।এছাড়া নিপাহ ভাইরাস(বাদুড়) ,এইডস ভাইরাস(বানর),সারস (বাদুর),ইবোলা(বাদুড়) ইত্যাদি অন্য প্রানী থেকে এসেছে বলে ধারনা করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বাদুড় কিন্ত কোনো পাখি নয়।এরা একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা উড়তে পারে।আমরাও স্তন্যপায়ী প্রাণী তাই জীনগত মিল থাকায় ভাইরাসগুলো সহজেই নিজেদের একটু বদলে নিয়ে মানুষকে আক্রমণ করছে।



ভাইরাসের প্যানডেমিক?
ভাইরাস কিভাবে উৎপন্ন হলো বা কত আগে থেকে পৃথিবীতে আছে তার সঠিক উত্তর বিজ্ঞানীরা আজও দিতে পারেনি।হয়ত প্রানের সূচনার পর থেকেই পৃথিবীতে ভাইরাস আছে।ভাইরাসের কারনে অনেক প্রাণহানি হয়েছে অতীতে।গুটি বসন্ত,স্প্যানিশ ফ্লু,ইবোলা,এইডস,নিপাহ ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতি পৃথিবী দেখেছে।এখন সময় করোনা ভাইরাসের।করোনা ভাইরাস নতুন নয়।এটি আগেই আবিষ্কার করা হয়েছে সারস এবং মারস রোগ ছড়ানোর কারনে।তবে কোভিড- 19 অনেক বেশি ছোঁয়াচে।এর জন্য কোনো বাহক লাগেনা।আক্রান্ত মানুষ এর বাহক হিসাবে কাজ করে।মৃত্যু হার অনেক কম হলেও ছড়ানোর হার বেশি থাকায়,সর্বোপরি আমাদের অসচেতনতার জন্যই এই ভাইরাসের মহামারী প্যান্ডেমিক(বৈশ্বিক) আকৃতি নিয়েছে

বিভিন্ন রোগের ভাইরাস



একসময় গুটিবসন্ত ছিল আতংকের নাম




ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
দুনিয়ায় এত ভাইরাস তার কোনোটা যে আপনাকে ধরবে না তার কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।তবুও সুস্থ সবল শরীর মেইনটেইন করা আর সাধারণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা দিয়েই ভাইরাস থেকে দূরে থাকা যায়।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকলে রোগ হলেও তা কাবু করতে পারেনা।জানা যেসব রোগের ভ্যাক্সিন আছে সেগুলো নিলে দেহে সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হয়।তখন সেই ভাইরাস দেহে আক্রমণ করলে দেহ সাথে সাথে সেটাকে চিনে ফেলে এবং ঝেঁটিয়ে বিদায় করে।এভাবে গুটিবসন্তের মত ভয়ানক ভাইরাসও কাবু করা গেছে।এছাড়া অখাদ্য কুখাদ্য খাওয়া থেকেও বিরত থাকা দরকার(ওয়াক থু! বাদুড় কেউ খায়?দুনিয়ায় এত জিনিস থাকতে এগুলো খেতে হবে কেন?)

খুব বেশি এন্টিভাইরাল ড্রাগ নেই তাই ঔষধ কাজে আসবে না।ভাইরাসের কারনে রোগির যে যে সমস্যা হবে সময় মত তার চিকিৎসা করলে রোগীর মৃত্যুর ভয় কম থাকে।একসময় রোগীর দেহ নিজে থেকেই ভাইরাসকে কাবু করে ফেলে।তখন রোগও সেরে যায়।

করোনা ভাইরাস এর পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়-

কোভিড- 19 কিন্ত সম্পূর্ণ নতুন কিছু না।এই ধরনের আরো 5 ধরনের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষ জেনেছে(আরো কত প্রজাতির করোনা ভাইরাস আকাশ বাতাসে আছে আল্লাহ ভালো জানেন)।প্রথম ভ্যাক্সিন ও দেয়া হয়ে গেছে টেস্ট করার জন্য।যদি সেটা কাজ করে তবে ভ্যাক্সিন নেয়া কেউ ভবিষ্যতে করোনা আক্রান্ত হবে না(যদি না বদমাশ ভাইরাস আবার জীন পরিবর্তন করে)

এই পরিস্থিতে আক্রান্ত রোগী থেকে রোগ যাতে আর না ছড়ায় এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।ভাইরাস নিজে নিজে ছড়াতে পারেনা।তাই সচেতনতা আর বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

ধরুন চীন থেকে যদি ভাইরাস উহান প্রদেশের বাইরে মানুষের সাথে না ছড়াতো তবে রোগটা ওখানেই সীমাবদ্ধ থাকত।কারন এটা বাতাসে বা পানিতে ভেসে আসত না।আক্রান্ত বাদুড় ও অন্যদেশের সবার গায়ে গায়ে ভাইরাস দিয়ে যেত না।একটা ভাইরাস হঠাৎ যেমন মানুষকে আক্রমনের ক্ষমতা পায় তেমনি ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।তাই হঠাৎ কিছু রোগ দেখা দেয় আবার সেটা হঠাৎ বন্ধও হয়ে যায়।

করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে মানুষের দেহের প্রতিরোধের সাথে যুদ্ধ করে সে এমনিতেই দূর্বল হয়ে আক্রমণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত।যদি কন্টামিনেটেড সারফেস বা ভাইরাস লেগে আছে এমন কিছু মানুষ না ধরে তবে অন্যভাবে ভাইরাস আর ছড়াতো না। কিন্ত ইনকিউবেসন পিরিয়ড(সুপ্তাবস্থা) শেষ হয়ে রোগ দেখা দেয়ার আগেই মানুষ ভাইরাস নিয়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে গেছে।মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে তা প্যান্ডেমিক আকার নিয়েছে।

কারো দেহে ভাইরাস আছে জানা গেলে আর কিছু করার নেই।তাকে আলাদা করে ফেলতে হবে এবং যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে।মনে রাখবেন ভাইরাসের বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র আপনার নিজের শরীর।এই ভাইরাসের তো কোনো চিকিৎসা নেই এখনো।তাই জ্বর হলে জ্বরের চিকিৎসা করা হবে,নিউমোনিয়া হলে তার চিকিৎসা হবে।সব ঠিক থাকলে রোগী ভাল হয়ে যাবে।

এখন ভেবে দেখেন এদেশে রোগ এসেছে অনেক পরে কিন্ত সবাই যেমন করে রোগটিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে তা সত্যিই আতংকের।যদি মানুষ এই পনের দিন বাসায় থাকে আর অতি জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে না বের হয় তবে রোগ ছড়ানোর হার কমে যাবে।পনেরো দিনের ইনকিউবেশন ছেড়ে লক্ষন প্রকাশ হলেই বোঝা যাবে রোগী কয়জন।তাদের থেকে যদি রোগ ছড়াতে না দেয়া হয় তবে অল্প ক্ষয়ক্ষতির উপর দিয়ে যাবে কিন্ত যদি এখনকার মত চলতে থাকে তবে যতজন আক্রান্ত হবে তাদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষমতা আমাদের গরীব মাতৃভূমির নেই।কেন শুধু শুধু বিপদ বাড়াবো আমরা?রোগে আমি না মরে যাই আমার থেকে তো আমার পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়ে মরতে পারে।

যারা চাকরি করেন তারা যদি ঠিকমতো হাত ধোয়া থেকে শুরু করে অন্য নিয়ম মেনে চলেন তবে আক্রান্ত হওয়ার হারও কমে যাবে।আপনার হাতে যদি ভাইরাস লাগেও সে কিন্ত চামড়া ভেদ করে শরীরের ঢুকবে না।আপনি যদি তাকে মুখ বা দেহের খোলা অংশ দিয়ে ভেতরে না পৌঁছে দেন।তাই আসতে যেতে বারবার হাত ধোবেন।ধরে নিতে হবে দেহের বাইরে কোনো সারফেসে এই ভাইরাস 24 ঘন্টার বেশি বাঁচে না।তাই বাইরের প্রতিদিনের কাপড় সাবান পানিতে ধুয়ে নেয়া ভাল।



তাই আমাদের সতর্কতাই পারে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ইন্টারনেটে ভেসে বেড়ানো অগনিত আজগুবি তথ্য বিশ্বাস করবেন না।ভাল কোনো সোর্স থেকে পড়ে দেখুন নিজেই বুঝবেন কোনটা ঠিক।যেকোনো উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান বই থেকেও ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।সতর্ক থাকুন।সুস্থ থাকুন।



ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৪
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×