কে বড় গর্দভ : জীবন যেখানে !
বর্ধমান জেলার এক মহকুমা শহরে একটি মামলায় সাক্ষী হিসাবে মানদা মাসির ডাক পড়েছে।বাদীপক্ষের দুঁদে উকিল বিজন মজুমদার মানদা মাসি কে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন,“আপনি আমায় চেনেন?
মানদা মাসির উত্তর : “ওমা চিনব না কেন?
তুমি বিজন।তোমায় ল্যাংটা বয়স থেকেই চিনি।পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে।
মিথ্যা কথা বলতে।লোক ঠকানোয় ওস্তাদ ছিলে।লাগানি ভাঙানি ভালোই করতে।
আরো অনেক গুন তোমার ছিল সে সব আর বলছি না। নিজেকে মস্ত কেউকেটা ভাবতে যদিও কানাকড়ির মুরোদ ছিল না।
তোমাকে আমি ভালই চিনি”।
বিজন বাবু স্তম্ভিত হয়ে গেলেন।ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন।
কোর্ট ঘরের অপর প্রান্তে বিবাদী পক্ষের উকিল সন্তোষ রায়ের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন “ওনাকে চেনেন?
মানদা মাসির উত্তর : “ওমা চিনব না কেন?
ওতো সন্তোষ।খুব ভাল করেই চিনি।অলস অকর্মণ্য। কারো সাথে সদ্ভাব ছিল না।পাঁড় মাতাল।শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল।
বৌয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটে ছুঁড়ির সাথে ফষ্টিনষ্টি করে।তার মধ্যে একজন তোমার বৌ।ওকে ছোট থেকেই চিনি”
বিবাদী পক্ষের উকিল অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন।
এমন সময় জজ সাহেব দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন।
উকিলদ্বয় কাছে যাবার পর নিচু গলায় শান্তস্বরে জজ সাহেব বললেন,
“ দুই গর্দভেরএকজনও যদি ওই মহিলাকে প্রশ্ন করো যে আমায় চেনে কিনা তাহলে তোমাদের আমি ফাঁসি কাঠে চড়াব”।
..................................................................................................................................................................
শুধুই ফান, তবে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না ।
(সংকলিত: সুত্র্ ইন্টারনেট )
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩১