হাওয়া শুধু মেকিংয়ের জন্য অসাধারণ মুভি নয়, হাওয়া তার বক্তব্যের জন্যই অসাধারণ মুভি!
আমার কাছে মনে হয়েছে হাওয়া মূলত মানুষ ও প্রকৃতির চিরায়ত দ্বন্দ্বের গল্প। বিশেষ পরিস্থিতিতে মানুষ কতটা অসহায় আর মানুষের যাবতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তি কিভাবে তাসের ঘরের মত মুহুর্তেই ভেঙ্গে পড়ে বা পড়তে পারে তার গল্প হাওয়া। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতি ও প্রকৃতির নির্মম নিঠুর শাসনই মানুষের জন্য অবধারিত, তারই গল্প হাওয়া।
বাপের হত্যার প্রতিশোধ এইখানে মুল বিষয় না। ওটা গল্পের ওছিলা মাত্র। একেবারে শেষে নায়িকার সাপ হয়ে যাওয়াটাও রুপক, এবস্যুলিউট রুপক। মানুষ তুমি যত বড়ই হও, যত কিছুই বানাও, প্রকৃতি চাইলে তোমারে যখন তখন যেভাবে খুশি সাইজ করতে পারে! প্রকৃতি যা চায় তাই করতে পারে, যেভাবে ইচ্ছা পারে, হাওয়া তারই বয়ান। মানুষ কত ঠুনকো, হালকা ও সস্তা তারই বয়ান হাওয়া!
হাওয়াতে গালাগালি নিয়ে অনেককেই চিন্তিত হতে দেখেছিলাম। অনেকে নাখোশ হয়েছিলেন। হাওয়ার গালাগালি আমার কাছে অতি কিঞ্চিত ও নস্যি মনে হয়েছে। আমাদের গ্রাম বাংলায় এর চাইতেও সরস ভাষায় প্রতিনিয়ত কথা বলা হয়।
ময়না খাওয়া নিয়ে বিশ কোটি টাকার মামলা ও তার পরিনতির খবর তো আমরা সবাই জানি। পরিস্থিতি বোঝাতে এই পাখি খাওয়াটা খুবই প্রাসঙ্গিক ও ঘটনাক্রমে দারুন ইনপুট ছিল।
হাওয়া, হাওয়ার অভিনয়, মেকিং নিয়ে এতো বেশি আলেচনা হয়েছে, এতো বহুমাত্রিক আলোচনা ইতোমধ্যে হয়েছে যে, হাওয়ার এসব দিক নিয়ে আলোচনা অতি কথন ও পুনরুক্তি হবে।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাছে আরো আরো কাজ চাই আমরা। মেজবাউর রহমান সুমন নিজেকে ছাড়িয়ে যাক বার বার এমনটাই চাই আমরা।