নফসের পতন মানেই রুহের উত্থান আর রুহের উত্থান মানেই জান্নাতঃ
নফসের চাহিদা নারী, বাড়ি, গাড়ি, খাদ্য৷
কুরআনে মূলত বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের( নামায, রোযা, যাকাত, কুরবানি) মাধ্যমে নফসকে কুপ্রবৃত্তি দমিত করার মাধ্যমে নফসে মুতমাইন্না(প্রশান্ত আত্মা) গড়ে তুলার শিক্ষাই দিয়েছে৷
১) রোযাঃ খাদ্যের চাহিদার পতন মানে নফসের পতন৷ আবার নফসের পতন হলেই তাকওয়ার উত্থান৷
২) দৃষ্টির হেফাজতঃ নারীর চাহিদার পতন, মানেই নফসের পতন৷ নফসের পতন মানে কুপ্রবৃত্তির পতন৷
৩) লোভঃ লোভের পতন মানেই নফসের পতন৷ আবার নফসের পতন মানেই রুহানি শক্তির উত্থান৷
৪) হিংসাঃ হিংসার পতন মানেই নফসের পতন৷ আবার নফসের পতন মানেই রুহানি শক্তির উত্থান৷ রুহানি শক্তির উত্থান মানেই জান্নাত৷
৫) নামাযঃ মানে শুকরিয়া আদায়৷ নফস শুকরিয়া আদায় করতে চায় না৷ তাই নামায মানে নফসের পতন৷
৬)কুরবানিঃ নফস স্বার্থপর৷ কুরবানী মানেই নিজেই স্বার্থ ( ইসমাইল) বিসর্জন দিয়ে আল্লাহকে(অপরকে) খুশি করার শিক্ষা৷
৭) ধৈর্য্যঃ ধৈর্য্য মানেই..........
তাহলে দেখা যাচ্ছে ইবাদতের অন্যতম উদ্দেশ্য মোহমুক্ত নফস তৈরি৷ মোহমুক্ত নফস মানে খন্নাসের ওয়াসওয়াসা মুক্ত নফস৷ মোহ থেকে মুক্তি মানে দিনের বেলার চাকচিক্য মোহময় দুনিয়া থেকে রাতের বেলার স্বপ্নের রুহানি জগত অধিক ভালো লাগা৷
শুধু ওয়াক্তিয়া নামাযই নফসে মুতমাইন্না( প্রশান্ত মন) তৈরি করে না৷ বরং নফসে মুতমাইন্না তৈরি করার শত শত সাধনার মধ্যে নামায একটি ফরজ সাধনা মাত্র৷
হে প্রশান্ত মন! আমার জান্নাতে প্রবেশ কর৷ ( সূরাঃ ফাজর)