আমরা প্রায়ই পড়ি বা বলতে শুনি কাউকে না কাউকে কেউ না কেউ উদ্যেশ্য করে বলছেন “মানুষ হও” অর্থাৎ যিনি বলছেন তিনি কি মনে করছেন সামনের মানুষটি মানুষ নন। ভিন্ন কিছু! আর মানুষ না হয়ে ভিন্ন কিছু যদি হয়ে থাকে তাহলে তো তার ভাষা, লেখা, কথা বোঝার কথা না! তাহলে কি ধরে নিবো যিনি “মানুষ হও” বলছেন তিনি জেনে শুনে বুঝে বলছেন কারণ তিনি জানেন তার ভাষা, লেখা, কথা সামনের জন বুঝবেন অর্থাৎ সামনে যারা আছেন তারাও মানুষ বৈ ভিন্ন কিছু নন। অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করেছি; তিনি যাদের মানুষ হও বলছেন তাদের মধ্য একজন বেশ ভালো গল্প উপন্যাস লিখেন আরেকজন অত্যন্ত সন্মানের সাথে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য নিরলসভাবে সাইন্সল্যাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দুজনই আমাদের গর্ব।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, একজন অসুখী মানুষ একজন অপমানিত মানুষ আরেকজনকে খুব সহজে অবলীলায় অপমানসূচক মন্তব্য করতে পারে। এগুলো এক ধরনের অসুস্থতা। দিন দিন বিজ্ঞান উন্নত হচ্ছে, হয়তো এই ধরনের অসুস্থতার চিকিৎসা আছে। এছাড়া পরচর্চা, পরশ্রীকাতরতা, গীবত এগুলো শুধু যে ধর্মীয়ভাবে পাপ তাই নয় এগুলো এক ধরনের ট্যাবু, মানসিক অসুস্থতা, মানসিক দৈন্যতাও বটে।
একজন মানুষ হয়ে অন্য একজনকে কেনো বলবেন মানুষ হও? তিনি কি নিজে চিন্তিত এই ভেবে যে, তিনি আসলে নিজেই হয়তো মানুষ নন! ভিন্ন কিছু? সেই ভিন্ন কিছুটা কি? তিনি কি নিজ বাসায় আয়না দেখে কোনো কারণে বিভ্রান্ত - তিনি কি আয়নায় ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন? তাহলে এর আশু সমাধান কি? অস্ত্রোপচার, মানসিক হাসপাতাল, জ্বিন হুজুর, তাবিজ, তন্ত্র মন্ত্র, যাদুটোনা কিসে মুক্তি? নাকি প্রয়োজন জেলখানা! - কোনটি আমরা জানিনা। তাই সাধারণ মানুষ হিসেবে ভদ্রলোকের সুচিকিৎসা ও সুস্থতা কামনা করা ছাড়া আপাতত আর বলার কিছু নেই।
ব্যক্তি আক্রোশ ও ব্যক্তি আক্রমণকারীর আশু সুস্থতা কামনা করছি এবং আরোও কামনা করছি তারা যেনো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। আর অন্যকে ভালো মন্দ বলার আগে নিজে ভালো হই নিজে নিজের উন্নতি করি। যার যার নিজ গন্তব্যের পথ ধরি। সবাইকে ধন্যবাদ।
ছবি: নিজেই ফটোশপে তৈরি করে নিয়েছি।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৫