এই হ্রদয় বিদারক অডিও ক্লিপটির অথেনটিকি নিয়ে প্রশ্ন করে যারা তাদেরকে কোন কিছু দিয়ে সন্তষ্ট করার মত ক্ষমতা কারো নেই।
একটু অপেক্ষা করুন ,কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে একরামের ক্যারেক্টার এ্সাসিনেসন পর্ব। পরিকল্পিতভাবে বেশি প্রধান্য পাবে ছাত্র জিবনে একরাম প্রেম পিড়িতের মাধ্যমে হাজার হাজার মেয়ের সর্বনাস করেছে।কলেজে পড়ার সময় বিয়ারের কৌটা নিয়ে একরাম পোজ দিয়েছে।হাবি-জাবি অসংখ্য ইতিহাস আবিষ্কৃত হয়ে যাবে অচিরেই।হেন এমন কোন অন্যায় নেই যা একরামের দ্বারা সংগঠিত হয় নাই।কাজেই একরাম ইয়াবা বা ফেনসিডিল-বাবা ব্যাবসায়ী হোক বা না-হোক তাকে হত্য্য করা জায়েজ ছিলো।এবং বিশেষ বাহিনির বীর পুংঙ্গব একরামের মত নরাধমকে পরপারে পাঠিয়ে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করেছে।মারহাবা,মারহাবা তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সন্মাননা পদকে ভুষিত করে দেশ ও জাতিকে ধন্য করা হৌক।
হত্যা করার সময় অথেনটিক কোন প্রমাণের প্রয়োজন হয় নাই।কিন্তু এখন সার্টিফিকেট লাগবে একরামের সাথে তার স্ত্রী ও মেয়েদের কথোপকথন নিয়ে।একরামের টেলিফোনের শেষ কনভারসেসনের যাচাই বাছাই করতে এক যুগ লেগে যেতে পারে।এতে কোনই সমস্যা নেই।যে কাজ মাত্র দুই সেকেন্ডে করা সম্ভব সেটার আয়োজন করতে যে দুই মাস লাগবে সেই লক্ষণ সুস্পষ্ট।আরো নাটকিয় হবে যখন নাম বিভ্রাটের কারন দেখিয়ে হিমাগারে প্রেরণ করবে এর অনুসন্ধানকে।বাংলাদেশের অধিকাংশ আইন শৃংখলা রক্ষাকারির সদস্যরা তাদের নিজেকে কুলিন বংশের মনে করেন ।আর বাকি আমরা যারা খুব সাধারণ মানুষ তারা হোচ্ছে নমসুদ্র।আমাদেরকে পশুর চেয়ে অধম মনে হয় তাদের কাছে ,তাই আমাদের জিবন তাদের কাছে অতি তুচ্ছ।অথচ বিচিত্র এই সেলুকাসের দেশে আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন সহ হাজারো রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকে তারা।যা আমার আপনার জন্য শুধুই স্বপ্ন।
পৃথিবীর অনেক দেশ দেখার সুযোগ আমার হয়েছে।অনেক কিছু না হলেও সামান্য কিছু হলেও জেনেছি বুজেছি দেখেছি।পৃথিবির কোথাও এমন অকর্মন্য সদস্য অন্তত আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহনির মধ্যে দেখিনি।একমাত্র বাংলাদেশের ল-এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির লোকরাই পারে রাতকে দিন আর দিনকে রাতে প্রমাণ করে দিতে।আপনার নাম যদি হয় কলিম-উদ্দিন /আপনাকে তারা অনায়াসে ছলিম-উদ্দিন বাবা ব্যাবসায়ী বানিয়ে দিয়ে সব কিছু জায়েজ করে ফেলবে।কারনটা হোচ্ছে অলিখিতভাবে রাষ্ট্রের থেকেই তাদের দায়মুক্তি দেওয়া আছে।যে অস্র তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আমাদের জান,মাল হেফাজত করার জন্য ।তা মূহুর্তের মধ্যেই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে আপনার আমার টাকায় কেনা সেই অস্রের বুলেটে।খুব বেশি আশা করা সমিচিন মনে করছিনা আমি একরাম হত্যার বিচার নিয়ে।ক্লোজ করা নাটক দেখতে পারেনক খুব বেশির চাইতে বেশি হলে।তারপর তাদের বিভাগিয় তদন্তের দোহাই দিয়ে এর পরিসমাপ্তী।আমরা কতিপয় সরকারের নিয়োজিত লাইসেন্সধারি সন্ত্রাসীর নিকট জিম্মি।শাখের করাতের মত সমাজের অন্যায় অত্যাচার হতে রক্ষা পেতে যাদেরকে পাশে পাওয়ার কথা পক্ষান্তরে তারা আরো বেশি ভয়ংকর রুপে হানা দিচ্ছে আমাদের জিবনে।অথচ দেশটা কিন্তু আমাদেরই।আমাদের পুর্বপুরুষরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে উপহার দিয়ে গেছেন এই দেশটা।সত্য কথায় বিড়াল বেজার ,আপনি কোন প্রতিবাদ করেছেন তো মরেছেন। তাহোলেই আপনাকে আপনার বাপ-দাদার দেশ ছাড়তে বাধ্য করবে।এমনকি কলমের স্বাধিনতাটুকুও নেই আপনার।
পৃথিবির সকল দেশেই শিক্ষিত,ভদ্র এবং চৌকশ লোকদেরকেই নেওয়া হয় সাধারণ পুলিশ বাহিনিতে।কারন তাদেরকে দিনের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয় দেশের প্রকৃত মালিক সাধারন মানুষের সাথে.।কাজেই তারা তাদেরকে সেরা সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টাই করে।একমাত্র ব্যাতিক্রম বাংলাদেশ এখানে বেশিরভাগ অযোগ্য,অদক্ষ্য এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ লোক-গুলোই পেয়ে থাকে ভালো ভালো পোষ্টগুলো।এরা সমাজের অন্যায় অপরাধ দুর করার চাইতে বেশি নিয়োজিত থাকে তার বিস্তার ঘটাতে।কারন এখানেই নিহিত রয়েছে তাদের বিশাল বানিজ্য।সমাজে যত বিশৃংখলা ততই তাদের শণৈ শণৈ উন্নতি।যেখানে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অপরাধিদেরকে অপরাধ থেকে ফিরিয়ে এনে সঠিক পথে চলতে বাধ্য করা সেখানে তারা নিরপরাধীকে অপরাধি বানানোর মিশনে লিপ্ত আছে বলেই আমার বিশ্বাস।বাংলাদেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনি প্রথমেই শুরু করে তুই তোকারি দিয়ে।পৃথিবির কোন দেশেই সাধারণ নাগরিকদেরকে স্যার এবং আপনি ছাড়া কথা বলেনা কোন বাহিনীর লোক।নিজের দেশের কোন সংস্থার সদস্যদেরকে নিয়ে নেগেটিভ কথা লিখতে ইচ্ছা করেনা।কিন্তু বর্তমানে ক্রস ফায়ার বা বন্ধুকযুদ্ধের নামে যা চলছে তা কোনভাবেই সমর্থণ করার মত নয়।আমি একটি বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডকেও সমর্থন করার কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনা।এতে সমাজের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার নেই।এর মাধ্যমে মাদকের মত যেমন ধংস হয়ে যায় পুরো পরিবার ঠিক তেমনি ফল হয় বিচারের বাইরে সকল হত্যাকান্ডের ফলাফলও।যা সৃষ্টি করার ক্ষমতা আমাদের নেই তা ধংস করার আগে সহস্রবার ভেবে দেখা উচিত। জিবনের চাইতে গুরুত্বপুর্ণ কিছুই নাই।তাই এই কথা বলে পাড় পাওয়ার কোন যুক্তি আমি দেখিনা যে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য ক্ষুদ্রতর অন্যায় জায়েজ।এটাকে আমার কুযুক্তি ছাড়া কিছুই মনে হয়না ।ভুল হওয়ার আগেই সংশোধিত হওয়া হাজার গুনে ভালো।এতে দুই,চার জন ক্রিমিনাল বেচে গেলেও যাক।কিন্তু নিরপরাধ একজন মানব সন্তানও যেনো আক্রোশ বা অন্যায়ের স্বিকার হয়ে জিবন না হারায়।ভুক্তভোগি পরিবারের উপর দিয়ে কি যায় তা তারা ছাড়া কারো বিন্দুমাত্র উপলব্দিতেও আসবেনা।এভাবে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের অগোচরেই।জাতিয় গণমাধ্যমে যেগুলো আসে আমরা শুধু সেই অতি ক্ষুদ্র অংশের সংবাদই জানতে পারি।অন্যায়ভাবে যায়গা-জমি দখল/ছিনতাই/খুন/ধর্ষণ জোর করে রক্ষিতা করে রাখা এমন কোন কাজ নেই যা আমাদের রক্ষকরা করেন না বা করেন নাই।
সর্বোপরি মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার বিনিত নিবেদন অনুগ্রহ করে আপনি যেনো কোন অণ্যায়ের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা না হয়ে যান সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখুন।আপনার ঘাড়ে বন্ধুক রেখে পাড় পেয়ে যেতে চাচ্ছে সবাই।সেটা সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে আমি কখনই চাইবোনা আমার প্রধানমন্ত্রী একটি অন্যায়কে মেনে নিয়ে কোন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করুক।দিন শেষে কিন্তু সকল কিছুর দ্বায় আপনার কাধে এসেই বর্তাবে।কারন সবাই বলবে শেখ হাসিনার আমলে এমন অন্যায় হয়েছে।প্রয়োজনে আইনকে কঠিন থেকে আরো কঠিন করুন ।এবং শতভাগ প্রয়োগের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন।সামার ট্রায়াল করে হলেও বিচারের মাধ্যমেই সাস্তি দিন।দরকার হলে আইন করুন মৃত্যুদন্ডের এবং নিকৃষ্ট একজন মানুষও যেনো তার কথাটুকু বলতে পারে।ভুলক্রমে কোন হত্যা যেনো এখানেই শেষ হয়।এবং তা করতে হলে স্বল্পতম সময়ের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের বিচার করে তার সাস্তি প্রয়োগ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে ।এর কোন বিকল্প নেই ,এর অন্যথা হলে আজ একরাম গেছে কাল হবে আমার বা আপনার পালা।কাজেই একরামের রক্তের বিনিময়ে হলেও এর অবসান অবশ্যই হতে হবে।অন্যথায় মানুষ নিজে নিজেই একদিন আইন নিজের হাতে তুলে নিবে।এবং এটা ভুলে গেলে চলবেনা ৮০% সাধারণ মানুষই মুক্তিযুদ্ধা ছিলো।শহিদ হয়েছে বেশিরভাগ সাধারন মানুষই।নিয়মিত বাহিনির সবাই স্বিকৃতি পেয়েছে শুধু বঞ্চিত হয়েছে সাধারন মানুষই যা আজো অব্যাহত আছে।আশা করি বঙ্গবন্ধু কণ্যা কোন অন্যায়ের সাথে থাকবেননা।এতে তার জিবন গেলেও।ঠিক যেমন তার পুরো পরিবার রক্ত দিয়ে গেছেন এই স্বাধিন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮