আগস্ট মাসটা আসলে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি।শংকায় থাকি প্রতিটি মুহুর্ত ,এই বুঝি এলো কোন বেদনাবিধুর দুঃসংবাদ।এটা একান্তই আমার মনের ব্যাপার।লিখতে পারিনা ,পড়তে পারিনা এমনকি বলতেও পারিনা।কেমন যেনো অসংলগ্ন থাকি এই মাসটাতে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট যে মিশনটা শুরু করেছিলো বাংলাদেশের শত্রুরা তা আজো অব্যাহত আছে।আসলে চক্রান্তের শুরুটা ছিলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় থেকেই।এই সময়েই চক্রান্তকারিরা বলতে শুরু করেছিলো যদি তোমরা স্বাধীনতা চাও তাহলে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে হবে তোমাদের ।আর যদি বঙ্গবন্ধুকে চাও তাহলে পাকিস্তানের কনফেডারেশন হয়ে থাকতেই হবে।১৫ই আগস্টের প্রতিপক্ষ আর ২১শে আগস্টের প্রতিপক্ষ একই এমনকি ১৭ই আগস্টেও রিহার্সেল করেছিলো সেই একই অপশক্তি।সবকিছু একই সূত্রে গাথা।
গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করুন দেখবেন ভিন্নরুপে একই পক্ষ ও বিপক্ষ~~~
বাংলাদেশটাকে যারা বার বার খুন করতে চেয়েছে তাদের লক্ষ ছিলো একটাই ।অর্থাত এই দেশটাকে যেভাবেই হোক মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হতে দেওয়া যাবেনা।এটাকে আইয়ুব ,ইয়াহিয়ার অপ পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে হবে।এর জন্য যা কিছু করার তাই করবে এই খুনীরা।১৫ই আগস্ট শুধু একটি পরিবার ,একটি আদর্শ ও একটি দেশকে খুন করার পরেও যখন দেখলো অসহায় এতিম একজন কণ্যা জিবন বাজী রেখে বাংলাদেশকে তার গন্তব্যের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে,তাকে শেষ না করতে পারলে তাদের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে ।ঠিক তখনি তারা জন্ম দিলো ২১শে আগস্টের ।ফুলপ্রুফ প্ল্যান ছিলো এবার যেনো কোনভাবেই ফসকে যেতে না পারে তাই রাষ্ট্রের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো হায়েনারা।কিন্তু তারা বিসৃত হয়েছিলো যে মারনে-ওয়ালার চাইতে বাচানে-ওয়ালার মহিমা অসীম।১৫ই আগস্ট স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দুরে রেখেছিলেন ফিরয়ে আনবেন বলে।আর ২১শে আগস্টের মহিমা দিয়ে উপলব্দী করিয়ে দিলেন ১৫ই আগস্টের ভয়াবহতাকে ।শেখ হাসিনার ভেতরের যন্ত্রণার যে উপলব্দী ছিলো তার সচল চিত্র হলো ২১শে আগস্ট।আশা করি এরপরে আর কোন ভুলের অনুকম্পা তিনি দেখাবেননা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৫ই আগস্ট কখনই ঘটতোনা ।যদি বঙ্গবন্ধু একটু কঠোর হতে পারতেন।যদি তিনি অবারিত ক্ষমা না করে যার যা প্রাপ্য ছিলো কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে দিতেন।তাহলে এই অপশক্তি মাথা তুলে দাড়াতে পারতোনা ৫০ বছরেও।কালকেউটের সাথে একই ঘরে বসবাস যে কি নির্মম তা বঙ্গবন্ধুর আত্মহুতি আমাদের চোোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি য যখনি পেছনের নির্মমতার ইতিহাসকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি ততবারই বেঈমান মির্জাফররা তাদের স্বরুপ দেখিয়ে দিয়েছে।ছোবল হেনেছে একই কায়দায়।প্রতিটি ঘটণার মোটিভ এক।প্রতিটি ঘটণায় ম্যাসাকার একই রকম.।প্রতিটি আক্রমনের ছক এক।একটুসহজ সরল পর্যবেক্ষনেই বুঝতে পারবেন ।শত্রু /মিত্রের চেহারার কোন পরিবর্তন হয় নাই।এবং এরা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শেষ মুহুর্তেও ছোবলই দিতে চাইবে।শেখ হাসিনার নিজের জন্য নয় বাংলাদেশ"কে ব্ঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে হবে এদেশের নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষের জন্যই।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করতে হলে কঠোর থেকে কঠোরতর হওয়ার কোন বিকল্প নেই।নিজের চারিপাশেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।মির্জাফর,উমিচাদ,রাজবল্লব ও মোহাম্মেদি বেগরা আশেপাশেই ওৎ পেতে থাকে।একটু অসতর্ক হলেই আবারো ছোবল মারবে।শুধু সততার সাথে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে লেজ গুটিয়ে পালাবার পথ খুজবে।ঠিক এখন যেমন আছে।এরা নিরাপদে থেকে বিলাসী জিবন-যাপনে অভ্যস্ত।ক্ষমতাও দখল করতে চায় সেই পন্থায়।ভাড়াটে খুনি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে যখন বুঝতে পারে যে তারা নিরাপদ তখনি মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে এদের।
একাত্তরের মতই শক্তি সাহস ও ঐক্যের বিকল্প নেই আজকে।মাননিয় প্রধানমন্ত্রী পিতার যোগ্য কণ্যার মত স্বাধীনতার স্বপক্ষ ছোট বড় একক যৌথ সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসুন।তুচ্ছতাচ্ছিল্য নয় এদেরকে সন্মান দিয়ে দেখুন এরা আপনার জন্য জিবন বাজী রেখে লড়াই করবে।ঠিক যেমন ২১শে আগস্ট আপনাকে বাচিয়ে নিয়ে এসেছে যমদুতের মোকাবেলা করে।
ধন্যবাদ,সম্পূর্ণ আমার মতের প্রকাশ ।রাজাকারে আওলাদরা দুরে থাকুক।কারো পছন্দ না হলে কিছুই আসবে যাবেনা আমার।আমার স্বাধিনতায় আমার কথাই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৪