নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের নামে অধর্মকে ঘৃণা করি, ধর্মকে নয়

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:৫৩

অনেকের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে আপত্তি আছে। তারা লেখেন ধর্মের বিরুদ্ধে । হয়তো খুব যৌক্তিকভাবেই। কেউ লিখল বাংলাদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানো ওয়ায়েজদের শিরোমণি মুফতি ইব্রাহিমের স্বপ্নে পাওয়া করোনা ভাইরাসের তাবির নিয়ে যে কিনা স্বপ্নে করোনার ঔষধ পাওয়া নিয়ে এই দুঃসময়েও ধর্মীয় চেতনার ব্যবসা করে, কেউ লিখল বিজেপির আমলে ও ছত্রছায়ায় লালিত পালিত বজরং দল নিয়ে লিখল, যারা শেখায় - ইসলাম ধর্মে পেটে বেশী ক্ষুধা থাকলে মেয়েদের কাইটা রান্না করে খাওয়া জায়েজ। কেউ লিখল ধরেন আবার মায়ানমারের ওসামা বিন লাদেন খ্যাত ভিক্ষু অশ্বিন রিথুরে নিয়ে, যে বলে মুসলমানরা মায়ানমারে আফ্রিকান কার্পের মত বংশবিস্তার করছে। এদের ঝাড়েবংশে নির্মূল করলাম। কেউ নব্য নাজিবাদ, বা ক্লু ক্লাক্স ক্ল্যান নিয়ে লিখল - যাদের কেউ কেউ কখনো কখনো হাউশে সাউথ এশিয়ানদের টানেলের মধ্যে ট্রেনের নীচে আস্তে করে ঠ্যালা দিয়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে।

আপনি লিখলেন।

আমি লিখলাম।

আমরা লিখলাম।

ধর্ম নিয়া।

হয়তো মানবিক বিবেচনায়।

হয়তো প্রোপ্যাগান্ডায়।

যার যেরকম রুচি বা মতলব।

আমার এই লেখা, যারা প্রোপ্যাগান্ডা নিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে, তাদের প্রতি উৎসর্গিত।

যারা প্রোপ্যাগান্ডায় ধর্ম নিয়ে লিখি, তারা কি চিন্তা করি - যে বা যারা হিন্দুর বাড়িতে আগুন দেয়, যে মুসলমানদের গুলি কইরা নাফ নদীর এই পাড়ে পাঠায়, যে বৌদ্ধবিহার ভাংচুর করে, বা যে আস্তে করে ঠ্যালা দিয়ে ব্রাউন বা ব্ল্যাকদের ট্রেনের নীচে ফালায়, বা মসজিদে ঢুকে গুলি করে মানুষ মারে - এরা বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় আগ্রহী না? এরা মৌলবাদী, কারণ মৌলবাদী তারাই যারা মূলরে আঁকড়ায়ে থাকে, একরৈখিক চিন্তা করে। নিজের চিন্তার লাইনের বিপরীতে যায় এমন কিছু তারা আমলে নেয় না।

না ব্লগ। না বই।

উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট পড়ে হয়তো। উস্কানিমূলক ব্লগের লেখাও হয়তো পড়ে। ব্লাসফেমাস রিলেজিয়াস প্রিচারদের সারমন শুনে। গিয়া মানুষ মারে। কখনো আইসিস রূপে। কখনো আরএসএস রূপে।

এইতো গেলো একশ্রেণী, যারা অ্যানালাইটিক্যালি চিন্তা না করে মানুষ মারার এবং হিংসা ছড়ানোর নোংরা কাজটা এক্সিকিউট করে।

তারপর আছে আরেকশ্রেণী, যারা ছাপোশ শ্রেণীর মানুষ। প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানো ধর্মবিদ্বেষীরা কার্লমার্ক্সরে কোট করে বলবে - 'ধর্ম এদের কাছে আফিম'। যারা লেখাটি পড়ছেন, তাদের জেনে রাখা উচিৎ, কার্ল মার্ক্সের এই বাক্যাংশ একটা বড় বাক্যের শেষ পার্ট। মার্ক্সের পুরো উক্তি হচ্ছে - "Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions. It is the opium of the people"

অর্থাৎ - "ধর্ম নির্যাতিতের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন পৃথিবীর হৃদয়, রুহ ছাড়া পৃথিবীর রুহ, ধর্ম একটা আফিম।"

তার মানে কি মার্ক্স ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন?

ব্যাপারটা অমনো না। মার্ক্স বলতে চেয়েছেন, পুঁজিপতিদের নির্যাতনের স্বীকার এই সমাজের তলানিতে থাকা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের দীর্ঘশ্বাস হচ্ছে ধর্ম। যে হৃদয়হীন নিষ্ঠুর পৃথিবীতে শাসিত বাস করে তার অন্তর, তার রুহ হচ্ছে ধর্ম। যে অমানুষিক প্রেষণের মধ্যে দিয়ে শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা যায়, সে হৃদয় বিদারক বাস্তবতাকে ভুলে থাকার আফিম হচ্ছে ধর্ম।

তারপর মার্ক্স তার নিয়মিত পুঁজির সমালোচনায় ফিরে যান, এবং শ্রেণী বৈষম্যহীন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করেন। মার্ক্সের শ্রেণীবৈষম্যহীন পৃথিবীতে হয়তো ধর্ম প্রাসঙ্গিক নয়। মার্ক্সের শ্রেণী বৈষম্যহীন পৃথিবীর আইডিয়া কি একটা ইউটোপিয়ান আইডিয়া কিনা, সে আলোচনা এড়িয়ে উল্লেখ করি যে - যেহেতু আমরা মার্ক্সের আকাঙ্খিত স্বর্গে বাস করছি না, কাজেই ধর্মের মত আফিম এখনো ইতিবাচকভাবেই প্রাসঙ্গিক। এটা সেই গাঁজা না - যেইটার গন্ধ্ সন্ধ্যাবেলায় সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে ভুরভুর করে আপনার নাকে প্রবেশ করে।

যারা উপরের ব্যাখ্যাটুকু বাদ দিয়ে আপনারে ধর্ম সংক্রান্ত মার্ক্সের বড়ি খাওয়াইতে আসবে, সে একজন প্রোপ্যাগান্ডিস্ট, ঐতিহাসিক মিথ্যাচারী।

যাক, দোয়া করি এমন কারো সাথে আপনার দেখা না হয়। মূল আলোচনায় ফিরে আসি আবার।

এখন ইতিবাচক অর্থে ধর্মের আফিমে মাতাল এই মুসলিম লোকটা, যে আপনার প্রতিবেশী, যে সারাদিন খাটাখাটনি করে বাসায় ফিরে এসে মসজিদে গিয়ে এশার নামাজে আল্লার কাছে দোয়া করে, যাতে তার শরীর ঠিক থাকে, চাকরির ক্ষয়ক্ষতি না হয় , বাচ্চাকাচ্চাগুলিকে ঠিকমত মানুষ করতে পারে; বা আমার গোপীবাগে থাকাকালীন পাশের বাসার হিন্দু ভদ্রলোক, যিনি সকালবেলা তুলসী গাছের গোঁড়ায় পানি ঢেলে সূর্য প্রনাম করে ঘরের যে ছোট মন্দির, বা একজন সাধারণ খ্রিস্টান, বা বৌদ্ধ - তাদের কাছে ধর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রোপ্যাগান্ডামূলক লেখার কোন প্রাসঙ্গিকতা আছে? সে কোন দিন নিজের বিশ্বাসরে সমালোচনা করবে?

আরেক শ্রেণীর বিশ্বাসী, যাদের ধর্মবিশ্বাস স্পেসিফিক কোন প্রিচারের সারমনের মাধ্যমে তৈরি হয় নাই, যার ধর্ম বিশ্বাস প্রাথমিকভাবে নৃতাত্ত্বিকভাবে এবং পরবর্তীতে আত্মজিজ্ঞাসার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে, যে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সংকটের মুহূর্তে স্রষ্টার সাথে - সুপার কসমিক পাওয়ারের সাথে - বা নিজের সাথে নিজের খুব একান্ত ব্যক্তিগত কনভারসেশনের মাধ্যমে যারা একটা স্পিরিচুয়াল বিয়িং এ পরিণত হয়েছে, তাদের কাছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তাকে তুচ্ছ করে লেখা যুক্তিপূর্ণ বিষোদ্গার কোন মিনিং বিয়ার করে কী?

একজন চিন্তাশীল মুসলিম/ খ্রিস্টান আল্লাহর কাছে হেকমত চাইবে, একজন চিন্তাশীল হিন্দু/বৌদ্ধ চাইবে প্রজ্ঞা।

যেসমস্ত ধর্মীয় আচার তার অস্তিত্বের সাথে জড়িত, সে কী ঐ সমস্ত অ্যাক্টের সমালোচনা করবে কোন দিন?

একজন মুসলমানরে যদি জিজ্ঞেস করেন, কি ভাই হাওয়ার উপর সেজদা দাও, কার কাছে হাত তুলে মোনাজাত করো - যারে দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করা যায় না - সে যদি মাথা গরম মুসলমান হয়, তাহলে এ প্রশ্ন যে করেছে তারে মারতে যাবে, আর যদি হেকমত প্রাপ্ত মুসলমান হয় - তার কাছে এই তর্কে যাওয়াই অবান্তর বিধায় মুচকি হাসি দিয়ে হয়তো প্রশ্নকর্তারে জিজ্ঞেস করবে - কাজ নাই ভাই? ভাবীর সাথে ঝগড়া লাগছে? মনমেজাজ খারাপ?

একই রেসপন্স একজন চিন্তাশীল হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও হয়তো দিবেন।

যারা প্রোপ্যাগান্ডা করে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ান, তারা তো অন্ধবিশ্বাসী না, যুক্তিবাদী। ধর্ম -অ্যাজ এ হোলের পুরোটা বা তার কোন আংশিক ক্রিয়াকর্মের সমালোচনা করে হাজার হাজার বছর ধরে বহতা নদীর স্রোতের মত প্রবাহিত হতে থাকা একএকটি আব্রাহামিক রিলেজিয়ন - ফুঁ দিয়ে উড়ায়ে দেয়া সম্ভব? তাদের যুক্তিতে কি বলে?

তবে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত প্রোপ্যাগান্ডা যে একদমই কাজে লাগে না, বা ভ্যালুলেস, তাও না। যারা কাউন্টার প্রোপ্যাগান্ডিস্ট, যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, যারা ধর্মের নামে অন্যের জায়গা জমি, অন্যের জান- মাল, ইজ্জত-আব্রুর দখল নেয়ার চেষ্টা করে তাদের কাছে এই ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত প্রোপ্যাগান্ডার মূল্য আছে। তারা এধরণের লেখাকে পুঁজি করে ধর্মকেন্দ্রিক পাল্টা বিদ্বেষ ছড়ানোর পলিটিক্স করে। এমন ধর্মব্যাবসায়ি বাংলাদেশেও আছে। এমন ধর্মব্যাবসায়ি পাশের দেশ ভারতেও আছে। কাজেই, যারা রিলেজিয়াস মেজরিটির ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে খোঁচা দিয়ে লিখে মনে করেন বড় বীরত্বের কাজ করে ফেলেছেন, তারা আসলে উক্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের উপর নতুন করে নিপীড়ন চালানোর হাতিয়ার ঐ আগের পক্ষের ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেন। এইরকম 'বুদ্ধিমান' কলম/কীবোর্ড সৈনিকও বাংলাদেশে আছে। ভারতেও আছে। সারা পৃথিবী জুড়েই আছে।

আমার মনে পড়ে আমার প্রাক্তন কর্মস্থলে আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের আমার খুবই প্রিয় একছাত্র, যাকে ক্লাসরুমে আমি ইংলিশের কোর্স করিয়েছি, সে নাস্তিকও ছিল - একদিন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফেলল - "এই যে আজানের নামে ভাল্লুকের মত চিৎকার করে , এগুলির কি দরকার?"। আমার সারা ক্লাসের মধ্যে এই একটা ছেলের সাথে আমি কথা বলে আরাম পেতাম, কারন ও প্রথাবিরোধী ছিল। চিন্তা করতো। তার উপরে ও উক্ত ইউনিভার্সিটিতে আমার সাহিত্য ক্লাবের সদস্য, ও লোগো ডিজাইনার। স্নেহ কাজ করতো একটা।

সেই মাঝরাতে ফোন - "স্যার কি করবো"। ফেসবুকে গিয়ে দেখি, ইউনিভার্সিটির সাধারণ স্টুডেন্টরা ইভেন্ট খুলে ফেলসে পরের দিন ভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ওর বিচার দাবী করবে। কাওকে দেখলাম ওকে মারতেও বেশ আগ্রহী।

আমি নিজে পরে ওকে ফেসবুকে ইনবক্সে একটা অ্যাপোলজি স্ট্যাটাস টাইপ করে পাস করে দিলাম, যাতে আপাতত প্রাণে বাঁচে। যদিও পরবর্তীতে অ্যাকাডেমিকভাবেও ওকে হ্যাপার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

আমি জানি না ঠিক কি আবেগের বশবর্তী হয়ে ও এই ধরনের একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল - কিন্তু এর পেছনে যে কোন সুচিন্তিত লক্ষ্য ছিল, এমনটা বলা চলে না। ও বেঁচে গিয়েছিল, কিন্তু ওর অনেকগুলো ব্যাচ সিনিয়র, সেই একই ইউনিভার্সিটির আর্কি ডিপার্টমেন্টএর আরেকজন ব্লগার কিন্তু প্রাণে বাঁচে নি। তাকে আততায়ীরা হত্যা করে, এবং এ নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয় একসময়।

তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে যেকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে আবেগে হোক, বা প্ল্যান করে হোক - যেকোনো প্রোপ্যাগান্ডামূলক লেখা দেখলেই আমার বিরক্ত লাগে। ধর্মের মত সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে লিখলে অবশ্যই আপনার আলট্রা সেনসিটিভ হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে প্রোপ্যাগান্ডা আর নিজের দিকে টানা লাগবে না, নিজেই নিজের প্রোপ্যাগান্ডার স্বীকার হবেন। হয়তো আপনি হবেন না, আপনার স্বজাতিরা হবে। যারা অসহায়, যাদের কোন দোষ নাই।

এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল - সমালোচনা কি হবে না, ধর্মকে নিয়ে কেউ অধর্ম করলে?

এইটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে ধর্মকে ব্যবহার করে বহু ধর্ম ব্যবসায়ী হাজার হাজার বছর ধরে সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেটা প্রাক রেনেসাঁ রোমের পোপ হন, বা আধুনিক ধর্ম ব্যবসায়ী প্রফেশনাল ওয়ায়েজরা হোক। একদিকে মুসলমানের জন্যে চারটা বিয়ে শরিয়তে জায়েজ জেনে জোতদার মুসলমান আজ থেকে এক- দুই প্রজন্ম আগেও চারটা করে বিয়ে করতো, এটা ভুলে যে তখনই এই বিয়ে করার সম্মতি আছে, যখন উক্ত ব্যক্তি সবদিক থেকে পূর্ণ সমতা বজায় রাখতে পারবে নিজের স্ত্রীদের মধ্যে। ধর্মের নামে অধর্ম। আবার বিশ শতকের শুরুর দিকেও কুলীন ব্রাহ্মণরা গ্রামকে গ্রাম ঘুরে বেরিয়ে বিয়ের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতো কেবল কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাদের উদ্ধার করার জন্যে। বিয়ের রাতেই একসঙ্গে থাকা। তারপর বিয়ের পন নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে সেই যে হাওয়া , আর কোনদিন দেখা হত কিনা, কেউ বলতে পারে না। লেখার শুরুতেই খেয়াল করবেন - প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ এমন কিছু সাম্প্রতিক ধর্মীয় ব্যক্তি/ সংস্থা/ সংগঠনের নাম উল্লেখ করেছি।

এগুলো ধর্মের নামে অধর্ম। এই ধরনের লালসালুর মজিদকে কি আমরা সমর্থন করতে পারি? আইনত না, নৈতিক ভাবে না, ধর্মীয় ভাবেও না। এদের বিরুদ্ধে লেখাও ধর্মীয় দায়িত্ব।

কিন্তু আমার মত হচ্ছে - এই সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমালোচনার ভার বরং আমরা বিশ্বাসীরাই যেন তুলে নিই। অবিশ্বাসীর হাতে এ গুরুদায়িত্ব অর্পণ না করি। হি উইল নেভার বি দ্যাট মাচ সেনসিটিভ, অ্যান্ড দ্যাট মাচ আকুরেট। ধর্মবিশ্বাস কোন লেফাফার ভেতর থেকে বের করা নিয়মের ফর্দ না। বাংলা ধর্ম শব্দটি উদ্ভব হয়েছে ধৃ ধাতু থেকে, যার অর্থ ধারন করা। জীবনের পক্ষে যা কিছু ধারণযোগ্য সেই কাজই ধর্ম, কিংবা 'যুক্তির দ্বারা গ্রাহ্য মহত্তর নীতির অনুমোদিত কর্মই ধর্ম' (বিমলকৃষ্ণ মতিলাল, ১৯৮৭)। এ অর্থে ধর্ম একটি আচরি বিষয়বস্তু। আচরণের মাধ্যমে তা উপলব্ধি করা লাগে। একজন অবিশ্বাসী ধর্মের সারবত্তা বুঝতে কখনোই পুরোপুরি সক্ষম হয় না কারন সে বাইরে থেকে খণ্ডিতরূপে ধর্মীয় আচরণ দেখে এবং আলোচনা - পর্যালোচনা - সমালোচনা করে।

কাজেই আসুন, যদি নিজেকে একজন ধার্মিক মুসলিম মনে করেন তো ইসলামকে ঘিরে যারা ব্যাবসা করছে, যারা উঁচু উঁচু তখতে বসে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে - তাদের সমালোচনা করুন। যদি নিজেকে একজন প্রকৃত হিন্দু মনে করেন তোঁ হিন্দুধর্ম নিয়ে যারা ব্যাবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

আমার পুরো লেখার সারসত্তা এক লাইনে এভাবে সাম আপ করতে পারি যে - একজন ধার্মিকের কাছে পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ, কিন্তু একজন বকধার্মিকের কাছে তার নিজের ধর্মের মানুষও নিরাপদ না।





মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি আমি পছন্দ করি না।
বোকা গুলো বুঝে না ধর্ম আছে বলেই আজও দুনিয়াটা টিকে আছে। সবাই যার যার ধর্ম মানুষ। একজন আরেকজনের ধর্মকে অসম্মান বা অবহেলা করা মোটেও ঠিক না।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: রাজীব ভাই, ধর্ম আছে বলেই দুনিয়া আজও টিকে আছে কিনা - আমি এম্প্যারিক্যালি তা জানি না। কিন্তু এটা জানি যে ধর্মের নামে বা ধর্মের বিরুদ্ধে প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ালে দুনিয়াতে বসেই নরক/জাহান্নাম দেখতে হবে। সহনশীলতা চর্চা জরুরী। বুদ্ধিবৃত্তিক সততা জরুরী। শুভকামনা।

২| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানব জাতির ইহকালীন সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা,
কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী বিধান নাযিল করেছেন।
একদিকে মানব সমাজের সার্বিক ব্যবস্থার ভারসাম্য, স্থিতিশীলতা,
মানুষ, মানবতা, মননশীলতা ও মানবপ্রেমের রীতি-নীতি সমৃদ্ধ
ইসলামী শরী'আতের চির শাশ্বত বিধান।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মুসলিম উম্মাহর কতিপয় মানুষের
জীবনে ইসলামী চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস ও রীতি-নীতির লালনের
ক্ষেত্রে মারাত্মক পদস্খলন ঘটেছে। তন্মধ্যে আল্লাহর দীন ইসলাম,
মুসলিম জাতিসত্তা, ইসলামী শরী'আতের বিধি-বিধান নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য
করা, তামশা করা, বিদ্রূপ করা অন্যতম। ইসলামী আইন ও ইসলামী আইন
বাস্তবায়ন আকাঙ্ক্ষী মুসলিমদের নিয়ে তাদের তামাশা করা উপহাস করা
মজ্জাগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেখা যায়, কতিপয় লেখক, কবি ও
সাহিত্যিকদের লেখা ও কবিতায় ইসলাম, ইসলামী আদর্শ, ইসলামী শরী'আহ,
এর বিধি-বিধান এবং যারা ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে মেনে চলে
এমন মুসলিমদেরকে নিয়ে কত ব্যঙ্গাত্মক কথা। ঠাট্টা, বিদ্রূপ, উপহাস আর তামাশা
মিশ্রিত সাহিত্যের রং রস দিয়ে লেখা কত পংক্তি আর বাক্য। একশ্রেণীর মিডিয়া ও
মিডিয়া কর্মীরা ইসলামকে নিয়ে তামাশা করা, ব্যঙ্গ করা এবং মুসলিম জাতিসত্তা ও
কৃষ্টি কালচারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়। তাদেরকে মৌলবাদী,
জঙ্গিবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল এবং মধ্য যুগীয় ইত্যাদি বিদ্রূপাত্মক বিশেষণে চিত্রায়িত করে।
সমাজে তাদেরকে বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের চরিত্র হনন করা হয়।
সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়। তাদের ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশের মাধ্যমে তাদেরকে
সমাজে ঘৃণার পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথকে সঠিক মত ও
পথ থেকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।’ -সূরা বাকারা :২৫৬
সুতরাং ‘তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য, আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য।’ -সূরা কাফিরুন : ৫

৩| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের
অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন
আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব।’ –সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২
তিনি (সা.) আরও বলেছেন, ‘অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী
জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই
ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে।’ –সহিহ বোখারি : ৩১৬৬

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিকে অন্যায়ভাবে
হত্যা করবে আল্লাহতায়ালা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’
-সুনানে নাসাঈ : ৪৭৪৭

০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কোরআন শরীফকে অনেক মুসলমানের মত ভক্তি ভরে আলমিরার উপরে তুলে না রেখে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করছেন দেখে ভালো লাগলো।

৪| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার পূর্ববর্তি লেখার সাথে এটা মেলাতে পারছি না। আপনি নাফ নদীতে রোহিঙ্গাদের কথা বললেন বা কাজী ইব্রাহিমের কথা বললেন

কিন্তু আমাদের দেশের বড় সমস্যা হলো প্রতি জু্ম্মাতে যে বাংলায় খুতবা দেয়া হয় তার একটা অংশ থাকে ইহুদী নাছাড়া খ্রিস্টান তথা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো। প্রতিটা মাদ্রাসাতে কোরানের তাফসীর থেকে তুলে নিয়ে আমাদিয়া ইশতিশাদী ইনঘিমাস ফিদায়ী বানু কুরায়জার গনহত্যা ধর্ষন রসিয়ে রসিয়ে পড়ানো হয় এমনকি ক্লাশ এখানের অংক বইতে পড়ানো হয় মুজাহিদ যদি ১০ জনের মধ্যে ৫ জনকে হত্যা করে তাহলে কতজন অমুসলিম থাকে.... এ ব্যাপারটা তো আরো প্রকট।

এমনকি কিছু দিন আগে মসজিদে ঘোষনা দিয়ে হিন্দুদের পেটানো, অথবা সাওতালীদের ঘরে পুলিশের আগুন দেয়া অথবা মুসলমান কর্তৃক হিন্দুর ফেসবুক হ্যাক করে মুহাম্মদের কুতসিত রূপ নিয়ে পোস্ট করে তাকে ফাসানো এবং তৌহিদী জনতার কাছে জনতার হার এগুলো তো চোখের সামনেই হচ্ছে।

এখন আপনি নাফ নদী বা ভারতে কি হচ্ছে সে উসিলা দিয়ে নিজের ঘরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথা এড়িয়ে যাবেন বা তদপেক্ষা হাল্কা বিষয় যেমন কাজী ইব্রাহিমের স্বপ্নদোষ নিয়ে কথা বলাটা কি একটা ফ্যালাসী নয়??

০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অনেকগুলো অভিযোগ একসাথে করেছেন। আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে - এরপর থেকে আলাপে জড়াতে চাইলে একটা অভিযোগ একবারে করবেন, সেটা নিয়ে আলোচনা শেষ হলে পরে আরেকটা।

আমি কেবল প্রথম অভিযোগটা নিচ্ছি। ভারতের বজরঙ্গি দল/আরএসএস বা মায়ানমারের বিন লাদেনের বিপক্ষে মুফতি ইব্রাহীমকে দাঁড় করানোটা ফ্যালাসি হোল কিনা।

আমার উত্তর হোল ফ্যালাসি তোঁ বটেই। কিন্তু ডিফল্ট ফ্যালাসি। মানে , যে ফ্যালাসি এড়ানো সম্ভব না।

কেন?

কারণ, আমি ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস বা বজরঙ্গি দলের মত রাষ্ট্রক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর দমন - নিপীড়ন - প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ায়, অথবা মায়ানমারের জঙ্গি ভিক্ষুর মত এই একবিংশ শতাব্দীতে বসে দশকের পর দশক ধরে এথনিক ক্লিনসিং চালিয়ে চৌদ্দ - পনের লাখ রোহিঙ্গাকে দেশ ছাড়া করে অন্যদেশে পাঠিয়েছে - এই দুই শ্রেণীর সমান, বা এই মাত্রার কোন ধর্মসন্ত্রাসী আমি শেখ হাসিনার বাংলাদেশে পাইনি। অন্তত গত দশ বছরে।

আপনার যদি একই মাত্রায় কোন দমন নিপীড়নের সংবাদ / ভিডিও/ ডকুমেন্ট থেকে থাকে, আমার সাথে শেয়ার করেন। আমি মুফতি ইব্রাহীমকে বাদ দিয়ে তার নাম ঢুকিয়ে দিই। আমার আপত্তি নেই।

০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার ব্লগ ঘুরে এসে দেখলাম প্রথম পাতার আশি শতাংশ লেখা ইসলামে কিভাবে জিহাদ - জিহাদের কারণে আত্মহত্যা - জিহাদের ফলশ্রুতিতে মেয়েদের রেপ করা - মেয়েদের বাল্যবিবাহ নিয়ে ইসলাম কি বলে - নিউটনের সুত্রের গণ্ডির মধ্যে ফেলে আল্লাহ আছে নাকি নাই এগুলো নিয়ে।

ইসলামের নেতিবাচক দিক নিয়ে ক্রমাগত লিখে যাওয়ার পেছনে আপনার উদ্দেশ্য কি বুদ্ধিবৃত্তিক তাগিদ, না প্রোপ্যাগান্ডা?

৫| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম হলো আফিম।
ধর্ম নিয়ে যে হানাহানি দুনিয়াতে হয়েছে তা অন্য কিছু নিয়ে হয় নি।

৬| ০৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৩০

শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখা পড়া এক ধরনের আনন্দ। ধন্যবাদ। এমনিতেই ভালো লেখেন, পরিস্কার ভাবনার অধিকারী।

০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া, শের শায়রী ভাই।

৭| ০৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে কি লাভ । মরার পর ধর্ম মেনে কবরে রাখে।

৮| ০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:১৯

রাােসল বলেছেন: Thanks for this universal religious talk. Yes we should identify that people, who do business and his capital is religion. And no religious people should know religion before criticism.

০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মের নামে অধর্মের কারনেই হানাহানি হচ্ছে। যে কোনও ধর্মের প্রকৃত ধার্মিকরা অন্য মানুষকে কখনও কথা বা কাজে আঘাত করে না। ধর্মীয় নেতাদের এখানে ভালো ভুমিকা রাখার কথা ছিল কিন্তু তারা নিজেরা এত বেশী বিভক্ত যে ধর্মের প্রকৃত বাণী তারা সাধারণ মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌছাতে পারছে না।

১০| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রোপাগান্ডা তখনই হবে যদি আপনি ভুল প্রমান করেন।

যতক্ষন কেউ ভুল প্রমান করছে না এবং আমার লেখাগুলো এখনো সরাইনি সেহেতু এটা আমার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষুধা ও তাগিদ। যদি ভুল প্রমান করতে পারেন তাহলে সে পোস্ট সরিয়ে বা শুধরিয়ে দেবো।

বাকি সিদ্ধান্ত আপনার

আপনাকে দুটো ছবি দিলাম





মাদ্রাসার শিশুদের জন্য এই বই। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড একটা সায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও এসব বই এর জন্য তাদের এনটিসিবিআই এর দ্বারস্থ হতে হয় যেটা সরাসরি প্রাথমিক গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে তৈরী করা হয়ে থাকে। শুধু এটাই নয়, জেনারেল লাইনের অনেক বইতে জঙ্গি শিশুকামী জানোয়ারদের থেকে তৈরীকৃত সবক দিয়ে বই তৈরী করা হচ্ছে এবং কিছু দিন আগেও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে মেয়েদেরকে বডিশেমিং বিষয়ক ইঙ্গিতপূর্ন প্রশ্ন করা হইছে।

আপনি দর্শনের শিক্ষক

আপনার তো এগুলো জানার কথা বোঝার কথা

০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রশ্ন ছিল, শুধু ইসলামের বিরুদ্ধেই লেখা কেন?

০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আর আপনার প্রোপ্যাগান্ডার ডেফিনেশন খানিকটা রিভাইজ করা প্রয়োজন। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোন একটা বিষয়ে ধারাবাহিক সত্য - অর্ধসত্য - কিংবা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোকে প্রোপ্যাগান্ডা বলে। সবসময় সে তথ্য মিথ্যা বা ভুল হইতে হবে, এমন না।

ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সত্য - অর্ধসত্য - মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর দায়ে মিরিয়াম ওয়েবস্টার , এবং Encyclopedia Britannica ইত্যাদি ডিকশনারি বলবে - আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপ্যাগান্ডা ছড়াচ্ছেন।

আমি অবশ্য আপনার কথাই বিশ্বাস করতে চাই। অনেক জ্ঞানী অবিশ্বাসীর কাছে শুনেছি - ধর্মগ্রন্থই নাকি ভুলে ভরা। ডিকশনারি কি সব ঠিক অর্থ বলে?

শুভকামনা।

১১| ০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১) ছোটবেলা হেফজ করেছিলাম যদিও পুরো না। আমাদের পরিবার পুরোপুরি তাবলীগ টাইপ। সে হিসেবে কোরানে দখল ছোটবেলা থেকেই। বড় হয়ে হাদিস সীহাহ সিত্তা সীরাত তাফসীর বহুবার পড়েছি। সে হিসেবে ইসলাম সম্পর্কে জানি এবং এর ব্যাসিক খুব ভালো ভাবে বিচার করতে পারি। যেহেতু আমি ইইই এর ছাত্র ছিলাম আর মাস্টার্সে পার্টিক্যাল ফিজিক্স রেডিয়েশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেছি সেহেতু আমার লেখার বিষয় ইসলাম পার্টিক্যাল/কোয়ান্টাম ফিজিক্স

২) মফস্বলে বড় হবার কারনে শুধু সমাজ নয়, আমি যে মাদ্রাসাতে পড়েছিলাম, যে পরিবারে বড় হয়েছি সেখানে অনেক অসংগতি দেখছি। মা চেস্টা করেছিলেন সমাজ ও নিজ পরিবারের এসব অসংগতি দূর করার নিজের মতো করে এবং হার মানেন। কিন্তু মা এর এই জিনিসগুলো আমার মধ্যে ঢুকে গেছে। তবে আমার মা প্রাকটিসিং মুসলিম ছিলেন যতদিন বেঁচে ছিলেন। আমি ক্লাস এইটে রিদ্দা করলেও অনেক চেস্টা করি এবং যখন মোটামুটি ব্যাসিক পড়া শেষ করলাম তখন ইসলাম ত্যাগ করলাম

৩) সহী ইসলাম জানলে আপনার সামনে দুটো পথ খোলা: হয় আপনি হবেন ইসলাম বিদ্বেষী অথবা আপনি হবেন আইএসআইএস আল কায়েদা জেএমবি থেকেও ভয়ানক জঙ্গি: এটা আমার উপলব্ধি

৪) এমন না যে ওল্ড নিউ টেস্টামেন্ট পড়িনি। সেগুলো বেশ ভালোই পড়া। মুসা একটু কাল্পনিক চরিত্র এটা নিশ্চিত তবে যীশুর ব্যাপারে শিওর না। এবং শিওর হতে হলে নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্বিক ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেক স্টাডি করতে হবে। ইহুদীরা কেন যেনো এই বিষয়ে অতটা জোর দেয়নি তবে খ্রিস্টানদের এসব বিষয়ে বেশ শক্ত ফ্রমেওয়ার্ক আছে যেটা প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়া ভাঙ্গা সম্ভব না। বৌদ্ধ ধর্ম নাস্তিক ধর্ম সেহেতু সেটা নিয়ে লেখার কিছু নেই। যেহেতু ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান স্বয়ংসম্পূর্ন আর যেহেতু আমার লেখা গুলো মনোলোগ টাইপের যার রেফারেন্সিং গুলো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া একমাত্র শর্ত সেহেতু এটা নিয়েই লিখছি। আর বাংলাদেশের অনগ্রসরতার পেছনে সিঙ্গেল হ্যান্ডেডলি এর অবদান বেশ ব্যাপক যেটা আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি (আপনি হয়তো বলবেন ইহা সহী ইসলাম নয়... এর উত্তর আমি একটাই বলবো গেম অব থ্রোনসের মতো.... ইউ নো নাথিং, জন স্নো (এবাউট ইসলাম))

এই চারটা কারন। আর মিরিয়াম ওয়েবস্টার ধরে নিলাম ভুল লিডস ইউনির এটা নিয়ে কি বলবেন? আরেকটা কথা মিরিয়াম ওয়েবস্টার কোন পোস্টে বলছি একটু বলেন তাহলে আপনার পছন্দসই বা সর্বস্বীকৃত কোনো অর্গানাইজেশন বা রেফারেন্সিং এর আশ্রয় নিচ্ছি

প্লিজ

যদি আলোচনা করতে চান অবশ্যই করবেন। কারন আমি আলোচনার করার জন্যই এত কিছু লিখি পড়ি।

বর্তমানে দর্শন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছি কিন্তু এটা এক মহাসমুদ্র

১২| ০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর আপনি প্রোপাগান্ডা বলছেন প্রমান না করেই এটা কি গ্যাম্বিলিং ফ্যালাসীর মধ্যে পড়ছে না?? মিথ্যা কোন পোস্টে ছিলো সেটার উল্লেখও নাই।

আপনি তো দর্শন পড়েছেন তাই না?

০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্যের ভুল পাঠ বের করেছেন। আমি বলি নাই যে আপনি প্রোপ্যাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমি বলছি মিরিয়াম ওয়েবস্টার, আর এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা - পৃথিবী বিখ্যাত এই দুই অনলাইন ডিকশনারিতে দেয়া যে প্রোপ্যাগান্ডার সংজ্ঞা আছে, তার অনুযায়ী আপনি প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানোর অপরাধে অপরাধী, যদি প্রোপ্যাগান্ডা ছড়ানো আদৌ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে।

যে মিথ্যা - বানোয়াট তথ্য ছড়ায় , সেই কেবল প্রোপ্যাগান্ডাবাজ এমন না। যে নিজের একটা নির্দিষ্ট মত প্রমাণ করবার জন্যে ক্রমাগত একই লাইনে কথা বলে বা লিখে যায়, সেও প্রোপ্যাগান্ডাবাজ। ধরে নিলাম, আবারো বলছি, ধরে নিলাম আপনার ইসলামের বিরুদ্ধে সব যুক্তি তর্ক প্রমাণাদিই সত্য। তবুও, আপনার যেহেতু লেখাগুলি ইসলামকে হেয়, হীন, পাশবিক একটা ধর্ম প্রমাণ করবার জন্যেই , কাজেই তা ইসলাম বিরোধী প্রোপ্যাগান্ডা।

আপনার লেখা যুক্তির মোড়কে ঘৃণা তৈরিতে সহায়তা করে, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করে। আমি বিভেদ সৃষ্টি করে এমন কোনকিছুরই পক্ষপাতি নই। সমাজে মানুষে মানুষে এমনিই অনেক ঘৃণা। তলোয়ার দিয়ে কেউ কতল করে, কেউ ত্রিশুল দিয়ে খোঁচায়, কেউ বৌদ্ধবিহার ভাঙ্গে, কেউ মসজিদের মিনার ভাঙ্গে, কেউ রামু, কেউ শাহিনবাগ, কেউ সংখ্যাগুরুর পলিটিক্স খাটায়ে জায়গাজমি দখল করে, কেউ আবার সংখ্যালঘুর পলিটিক্স খাটায়ে চাকরিবাকরিতে প্রতিপক্ষরে কোণঠাসা করে। নিজের চোখেই তো দেখলাম।

আমি মানুষে মানুষে বিভেদ কমানোর পক্ষে। একধর্মের মানুষ হয়ে অন্যধর্মের মানুষকে পুরোপুরি সম্মান দেয়ার পক্ষে। কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ - তা তুলনা না করার পক্ষে। কার ধর্ম কতটুকু খারাপ - সেটা ঘেঁটে না বের করার পক্ষে। কাজেই আমারও যে প্রোপ্যাগান্ডা নাই তা না। আমার প্রোপ্যাগান্ডা নদীয়ার প্রোপ্যাগান্ডা। আমার প্রোপ্যাগান্ডা ঠাকুর নিত্যানন্দের প্রোপ্যাগান্ডা, শাহজালাল - শাহপরানের প্রোপ্যাগান্ডা। আমার প্রোপ্যাগান্ডা সেই ইসলামের প্রোপ্যাগান্ডা - যেটা শান্তি, এবং কেবল শান্তি শিক্ষা দেয়।

আমি ভালোবাসা ছড়ানোর প্রোপ্যাগান্ডা নিয়ে সুখে আছি। ঘৃণা - হেইটস্পিচ - পরিকল্পিত মিথ্যা দেখলে কষ্ট লাগে। এইটার সাথে ডিল করাও শিখে যাবো।



১৩| ০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি যেহেতু ঢাকা ভার্সিটিতে পড়েছেন, ঘটনাটা ঢাকা ভার্সিটিরই হতে পারে । আপনার পোস্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে কী ধরণের উগ্রচেতনার মানুষ নামের পশু গুলো ধর্মকে লালন পালন করে!

আর সিস্টেমের ভিতরে থেকে সিস্টেমকে ক্লিন করার কোনো সম্ভবনা নাই। কারণ সিস্টেমের ভিতরে থেকে সিস্টেমের রহস্যই সে বুঝতে পারে না।

বাংলাদেশ সেইদিন থেকেই ভালো করবে যেদিন থেকে কেউ আর সিভি তে ধর্ম লিখবে না। হয়তো সেটা কোনো দিন বাংলাদেশে আসবেও না। আর বাংলাদেশে সেই জন্য রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ ভার্সিটি সব জায়গায় ধর্মকে নিয়ে সংঘাত লেগেই থাকবে। পশ্চিমা বিশ্বে যেটি কল্পনাও করা যায় না।

১৪| ০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে দর্শন আমার পাঠ্যপুস্তক নয় বলেই শালার বুঝটে ভুল করলাম।

আপনার প্রোপাগান্ডা নিয়ে বিষদ পড়তে গিয়ে হঠাৎ একটা কমেন্টের কথা মাথায় আসলো সেটা ব্লগের মডু কাল্নিক ভালোবাসা উনি আমার এক ধর্মীয় পোস্টে এসে মন্তব্য করলেন যে আমার পোস্টগুলো নাকি প্রিজাজমেন্টের ফল। কথাটা তখন পড়ে খুব একটা অনুধাবন করতে পারিনি কিন্তু তাকেও বলেছিলাম একই কথা যে আমি ভুল বলছি কিনা।

এখন আপনি যখন প্রোপাগান্ডা শব্দটি উল্লেখ করলেন তখনি মাথার মধ্যে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হলো কারন বাস্তবিক জীবনে আমার এর অর্থটা মিসইন্টাপ্রেট করি। যদিও আপনার লিংক গুলো আমাকে বেশ স হায়তা করলো এটা বুঝতে। আমি আরো কিছু রেফারেন্স ও লেখা পেলাম এই সম্বন্ধে কিন্তু তার আগে আপনার উল্লেখিত লিংক থেক আসছি:

1capitalized : a congregation of the Roman curia having jurisdiction over missionary territories and related institutions
2: the spreading of ideas, information, or rumor for the purpose of helping or injuring an institution, a cause, or a person
3: ideas, facts, or allegations spread deliberately to further one's cause or to damage an opposing cause also : a public action having such an effect

এখানে প্রথম লাইনে যেটা আছে সেটা হলো পৃথিবীতে প্রথম প্রোপাগান্ডা শব্দটির উৎপত্তি। এখানে বলা হচ্ছে একটা বিশেষ প্রশাসন বা কম্যাুনাল বডি অন্য কোনো ধর্মীয় বা সে সম্পর্কিত বডির ওপর জুরিসডিকশন জারী করা।

এটা পড়ে মনে হলো ইসলামে এমন বেশ কিছু এলিমেন্ট আছে যেমন মুফতীদের ফতোয় প্রদান। আবার ফিক হ বিদ গন ফতোয়া ধারীদের কাউন্সিল ও তাদের রুপরেখা প্রনয়ন, মসজিদে শূরা কমিটির দ্বারা দেশ পরিচলানার সিদ্ধান্ত অথবা চাঁদ দেখে কমিটির ঈদের সময় নির্ধান বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ফিতরার টাকা নির্ধারন। তারা কিন্তু আপনাকে বাধ্য করছে না, শুধু তাদের মত দিচ্ছে

২ নম্বরে আছে: একান্ত মত, চিন্তা বা গুজবের প্রসারের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করা বা তার ক্ষতি করা
এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি সিডিবি বা টিআইবি তারা তাদের গবেষনা প্রকাশ করে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ উন্মোচন করেন অথবা বাশ দেন। আবার হেফাজত মেয়েদের তেতুল বলে নারী সমাজের ডুগ ডুগী বাজান। অথবা মোল্লারা নবী মোহাম্মদের ৬ বছরে বিয়ে এবং ৯ বছরে বাসর রাত বলে নিজেরাই একসময় যেসব বাল্যবিবাহ ঘটাতেন। যদি চান তো মাসিক মদিনাতে তাদের কার্যক্রম যে আছে সেটার লিংক দিতে পারি
৩ নম্বরে আছে:চিন্তা ভাবনা, আইডিয়া বা কিছু ঘটনার উল্লেখের মাধ্যমে বয়াক্তিবিশেষের কোনো কার্যক্রমে আপনি স হায়তা করলেন বা তার ক্ষতি করলেন

এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি জিয়ার ব্যাপারে লীগের বক্তব্. তারেকের ব্যাপারে এফবিআই যে সাক্ষী দিলেন। অথবা হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ব ব্যাংক যে আঙ্গুল তুললেন বা বঙ্গবন্ধু সিরাজ শিকদারকে ফাসিতে ঝুলিয়ে পার্লামেন্টে বললেন কোথায় সিরাজ।

এক্ষেত্রে আমি প্রোপাগান্ডা সম্পর্কে বর্টমান রক স্টার ইউভাল নোয়াহ হারিরির একটা কথার ভাবানুবাদ করলাম যেটা হলো আমরা মানুষেরা এখন আমরা একই ক্লাউড বা নেটওয়ার্ক স্পেসে নিজেদের তথ্য শেয়ার করি এবং তা নিয়ে নিজেদের পছন্দমতো কথা বলতে ভালোবাসি। যখন এটা সম্পন্ন করি তখন মানসিক প্রশান্তি পাই। এটে দোষের কিছু নাই। এটা যদি প্রোপাগান্ডা বলে তাহলে সেটা ভালোও হতে পারে।

সিরিয়াসলি?

একজন দর্শনের ছাত্র হয়ে আপনি এরকম জাস্ট একটা পলিটিক্যাল টার্ম ইউজ করবেন?

কাল্পনিক ভালোবাসা অর্থাৎ আমাদের মডু এটা করটে পারে কারন হলো সে কোনো একাডেমিক নন আর তিনি কোনো ফিলোসোফিক্যাল লেভেল নিয়ে অতটা পড়ালেখা করেননি। কিন্তু শিক্ষকতা এবং ফিলোসফি দুটোই আপনার পেশা। সেকানে আপনি দর্শনের রেলিটিভিজম র‌্যাশোনাীটি বা অন্যান্য কতকিছু আছে সেসব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

ড্যুড, সিরিয়াসলি????

১৫| ০৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর সত্য কথা বলা যদি ঘৃনা হয় তাহলে কোরানের বেশ কিছু আয়াত আছে, অনেক হাদিস আছে যেখানে এসব কথা বলা সেগুলো নিয়ে আপনি তো কথা বলছেন না। কিন্তু এগুলোর কারনেই ইনঘিমাসের মতো কাজ করে বসে মুসলমান রা।অথচ এগুলো কোরান হাদিসে আছে। এখন কেউ যদি গরু নিয়ে তর্ক করতে আসে আপনি তার সাথে খিচুড়ি রাধার গল্প তো বলবেন না।

আপনি কি বুঝতে পারছেন এটা কোন ফ্যালাসীতে পড়লো, মানে আপনার প্রতিমন্তব্য?

সিরিয়াসলি?

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমি এই বিষয়ে আপনার সাথে আর আলাপে আগ্রহী না। তাই বলে এটা ভেবে নেবেন না যে আমি আপনাকে জাজ করছি, বা আপনাকে ছোট করছি। আপনার আমার চিন্তার গতিপ্রকৃতি এতই ভিন্ন যে তা এক অভিন্ন বিন্দুতে এনে মেলানোর চেষ্টা করা আমার জন্যে সময় নষ্ট। আমার মনে হয়, আপনার জন্যেও তাই। হবে না। দরকারও নেই।

সত্য - বলে সার্বজনীন কিছু নেই। আপনার যদি মনে হয় আপনি সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছেন, আপনার মনে শান্তি থাকার কথা। সত্য, শান্তি আনায়ন করে। শান্তিমত তাই লিখতে থাকুন, যা আপনি 'সত্য' - বলে বিশ্বাস করেন। নতুবা আমার লেখার পীঠে 'আপনার সত্য' প্রতিষ্ঠার বাকি লড়াইটুকু আপনার একাকী করতে হবে।

১৬| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৬

সুপারডুপার বলেছেন:


@উদাসী স্বপ্ন,

আপনার এই কথাটা অনেক সহি কথা ও বাস্তবতার সাথে খাপে খাপে মিলে যায়।

" ৩) সহী ইসলাম জানলে আপনার সামনে দুটো পথ খোলা: হয় আপনি হবেন ইসলাম বিদ্বেষী অথবা আপনি হবেন আইএসআইএস আল কায়েদা জেএমবি থেকেও ভয়ানক জঙ্গি: এটা আমার উপলব্ধি "

সহী সিস্টেমটাই সমস্যাজনক।

১৭| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:০১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এই আলোচনা হয়তো পরে অনেকের চোখে পড়বে। তাদের অনেকেই মূল পোস্ট পড়ার বদলে পপকর্ণ নিয়ে কমেন্ট পড়তে বসে যাবেন। আমার দিক থেকে তাদের খুব বেশী বিনোদনের খোরাক জোগান দেয়া সম্ভব হয়তো হবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার সূত্র রেখে যাই -

* ধর্ম , বা বিশেষ করে বললে ইসলাম নিয়ে ঘৃণা ছড়ানোর প্রচেষ্টায় অনলাইনে যারা ক্রমাগত লেখালিখি করে, তাদের খুঁজে পাওয়া জটিল কিছু না, ক্ষেত্রবিশেষে দেখবেন এরা ধর্মীয় মৌলবাদীদের চেয়েও অধিক প্রতিক্রিয়াশীল। একবার এদের চিনতে পারলে এদের মার্ক করে রাখুন - এবং পরবর্তীতে কখনোই এদের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। ধর্মকে নীচ , হেয় প্রতিপন্ন করা, নবী - রাসুলদের কটূক্তিতে ভরপুর এদের কোন পোস্টে গিয়ে নিজের সময় নষ্ট করবেন না। এদের মোকাবেলা করার সবচে উত্তম পন্থা হচ্ছে এদের কোন প্রোপ্যাগান্ডায় ট্র্যাপে পা না দেয়া। যেহেতু এদের কোন ঈশ্বর নাই, এদের ঈশ্বর নিজস্ব জ্ঞানবুদ্ধির ওপর তীব্র অহংকার। আর এদের আরাধনা হচ্ছে সেই অহঙ্কারকে তুষ্ট করবার জন্যে আপনারে ঘুরায়ে প্যাঁচায়ে নানা সুযুক্তি - কুযুক্তি দিয়ে নাস্তানাবুদ করে আপনার উপর তার 'বুদ্ধি' নামক ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা।

এদের কাছে যখনই কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দেখবেন - বলবেন, শাকিব খান বুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে যে ভুল করেছিল, আমিও সেই ভুল করতে চাই না। নাস্তিকের কাছে কোরআন শিখতে চাই না।

সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু।

১৮| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪১

সুপারডুপার বলেছেন:

লেখক আপনার মত আমিও বলতে চাই ,

ধর্মের উপর সবচেয়ে বড় চাপটা আঘাত হচ্ছে ধর্মকে ইগনোর করা। পশ্চিমা বিশ্ব ঠিক এই ইগনোর মেথডই ধর্মকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারছে। উন্নোয়নশীল ও গরীব দেশেরা তা পারছে না কারণ এইসব দেশে উঠতে বসতে রাস্তা ঘাটে সব জায়গায় ধর্মের আলাপ হয়। এইসব দেশে এইজন্য ইতিমধ্যে মানুষের জন্য বসবাস করা অস্বস্তিকর ও নিরাপত্তাহীন বলে প্রমাণিতও হয়েছে। আপনি -ই যে ধর্মের এত গুনগান গীত গাচ্ছেন। চান্স পাইলেই সেক্যুলার পশ্চিমা দেশে যেতে চাইবেন , উচ্চশিক্ষা অর্জনে আসতে চাইবেন ; কিন্তু মুখে হাজারটা নাস্তিক ধর্মবিদ্বেষীদের নিন্দা করবেন। ধর্মবিশ্বাসী মানুষরাও সামাজিক নিরাপত্তার দেশে থাকতে চায়। আর বর্তমান বিশ্বে কোনো ধর্মীয় দেশই সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারে নি।

আপনাকে ধর্মনুভুতির ব্লগারেরই একটি পোস্ট শেয়ার দেই। দেখেন : খুনাখুনি কিভাবে ইসলামধর্মের অংশ হয়েছে।
মুসলমানদের খলিফাদের সাথে রাসূল (সাঃ )-এর বংশধরদের দ্বন্দ্ব অনেক আগে থেকেই - সত্যপথিক শাইয়্যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.