নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

আমি রানা

আমি বিশেষ কেউ বা কিছু না। যা মনে আসে যেভাবে মনে আসে তাই লিখি।

আমি রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবিবার নীলার বিয়ে.......(৪)

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

রবিবার নীলার বিয়ে.......(১)
রবিবার নীলার বিয়ে.......(২)
রবিবার নীলার বিয়ে.......(৩) এর পর থেকে...

ওখান থেকে আসার পর নীলার প্রতি আকর্ষন বহুগুনে বেড়েগেল।সেদিন সারা রাত তার সাথে কথা বললাম। কি বললাম তা আমি জানিনা। ভোর চারটাই ফোন রাখলাম। তাও কথা ফুরইনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে বলে নিজের ইচ্ছার বিরূদ্ধে কল কেটে দিলাম। পরদিন নীলা তার বাড়িতে গেল কোন এক পূজার কারনে, বাড়ি কাছেই ওতটা দূরে না সিএনজি দিয়েই যাওয়া যায়।
সে বাড়ি গিয়ে তাদের বাড়ির সকলের ছবি পাঠাতে লাগলো। তারপর ফোন করলো আমায়-
নীলা: একটা কাজ করে ফেলছি।
আমি: কি?
নীলা: হাতে মেহেদি দিলাম।(খুবই উত্তেজিত সে)
আমি: বাহ; ভালোত...
সাথে সাথেই সে ফটো পাঠালো.....দেখেত আমার চোখ কপালে। পুরো হাত মেহেদি দিয়ে আমার নাম লিখে ভরিয়ে ফেলেছে। রাগ উঠে গেল আমার কিন্তু কিছু করার নাই।এখন বলেও লাভনেই এই লিখা মোছা যাবেনা।
জিজ্ঞাসা করলাম "কেন এমন করলা??" সে ছোট বাচ্চাদের মতো কাদোঁ কাদোঁ গলাই বলল"ওমা আপনার নাম ইত লিখলাম, এমন কেন করেন?? " আমি আর কিছু বলিনি শুধু বললাম আমার এসব ভালো লাগেনা। তবে বুঝতে বাকি রইলোনা পাগলিটারআমার প্রতি আবেগ কতটুকু। দুদিন নীলা বাড়ি ছিল, দুদিনই নানা কথা হলো তার সাথে বাড়ি থেকে আসার পর তার সাথে দেখাকরার প্লেনটাই বেশি হয়েছে।
যেদিন সে আসলো তারপরদিন বিকেলে আমরা দেখা করতে গেলাম। সিআরবি তে আমি দাড়িঁয়ে আছি, নীলাও সময় মত চলে আসলো। একটা জায়গায় বসে পরলাম আমরা। এটা আমাদের প্রথম একা দেখা করা।
আমি আর নীলা পাশাপাশি বসা। কারো মুখে কোন কথানেই, বসন্ত না তবুও আমি কোকিলের ডাক শুনছি। এক দৃষ্টিতে দূরের সেই বড় গাছটার দিকে তাকিয়ে রইলাম, যেখানে দুটি কাক নাচানাচি করছে। আজ কেন জানি মনে হচ্ছে কাক যাকে কাউয়া ছারা কিছুই মনে হতোনা সেও সুন্দর একটা পাখি। হঠাৎই নিরবতা ভেঙ্গে নীলা বলে উঠলো এখানে কেন আসলাম আমরা?? আমি আমতা আমতা করে বললাম "কেন আসলাম?" কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তখন নীলার হাতটা টেনে তার হাতে আকাঁ ট্যাটু তে হাত বুলালাম, " আচ্ছা এই ট্যাটু গুলোর মানে কি?" জিজ্ঞাসা করলাম। নীলা খুব সুন্দর করে ব্যাখা দিতে লাগলো, তবে তা আমি শুনছিনা আমি তার হাতের ট্যাটুর দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।


অনেকটা সময় পার করলাম তার সাথে। কখনযে সময় আমাদের ফাকিঁ দিয়ে চলে গেল তা আমরা কেউই টের পাইনি। আজান দিয়ে দিয়েছে , চারদিকটা অন্ধকার হয়ে এসেছে। আমি আর নীলা সিগারেট ধরালাম। সিগারেট আনার দায়িত্ব আমার আর লাইটারের দায়িত্ব নীলার । নীলা সিগারেট ধরালে আমার খুব ভালো লাগে, তখন আমি দাড়িঁয়ে যাই আর আসে পাশের মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকি। তাদের অবাক বিস্ময়ে ভরা চোখ দুটি আমাকে অত্যাধিক আনন্দদেয়।
সামনের আনসার ক্যাম্পের একজন প্রথমে দেখে নীলা সিগারেট ধরিয়েছে তারপর সে ভিতরে থাকা বাকিদেরও ডেকে নিয়ে আসে।আর চোখে তাকিয়ে কিযেন কানা-কানি ফুস-ফুস, ফিস-ফিস করলো কিছুই বুঝলাম না তবে, আমি আর নীলা সেই মুহূর্তটাকে আনেক উপভোগ করেছি। সিগারেট শেষ করে আমরা চলে আসলাম । নীলাকে রিক্সায় তুলে দিয়ে আমিও বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরেত মহাযন্ত্রনা, অস্থির লাগছে তার সাথে আবার দেখা করার জন্য, একবার বাসায় ঢুকছি আবার বাসা থেকে বের হচ্ছি কিন্তু নীলাকে বলতে পারছিনা। পরবর্তী দেখাকরার ডেইট হলো আরো দুদিন পরে। আমিত আর আমার ভিতর নাই। তবে রাত দশটার দিকে মন পুরাই ভালো হইয়া গেল একবারে তুলার মতো পাতলা আর নরম কারন...
কবিতা তুমি লিখেছে নীলা।

(১) তুমি

প্রথম দেখাতে ভালো লাগা তোমাকে।
তোমার হাসিঁ রিদয়ে এখনো হাসায় আমাকে।
তোমার চোখে একটা অস্থিরতা
যা তোমাকে বিশ্লেষন করে।
তোমার চোখ যখন আমাকে দেখে
আমার চোখে লজ্জা নিয়া আসে।
তোমার স্পর্ষ আমার রিদয় ছুয়েঁ যায়।
তোমার সৌরভ বাতাসে আজো ভেসে বেড়ায়।
তুমি কিছু না বললে ও আমি তোমাকে শুনতে পারি।
তোমার চোখ তোমার মনের আয়না।
তোমার ভালোবাসা তোমার চোখে মুখ ফুঁটে উঠে।
শুধু তুমি আর তুমি..................

(২) তোমার জন্য

তোমার জন্য সব পারবো কিনা জানিনা
বাট ট্রায় করবো সব করার।
জানি ভাবতে পারো এতো ইজিলি কেউ কেমনে প্রেমে পরে
তবে আমি পরে গেছি।
জানি ভয় করবে আমাকে নিয়ে যে
আমি চলে যেতে পারি।
তবে কথা দিলাম যাওয়ার আগে এটলিস্ট বলে যাব।
অন্য কারো আমি হবো না।
গেলে এই পৃথিবি থেকে চলে যাওয়া লাগবে
কজ আমি এখন নিজেকে ওইভাবে ক্রিয়েট করছি।
জানি লাইফে একজনকে রেখে তোমার দিকে আসাটা খারাপ দিক।
বাট কি করবো হয়ে গেছে।
আমি শুধু তোমার হতে চাই........

(৩) হঠাৎ তুমি এলে

বেশ তো ছিলাম আমি তার সনে,
ছিল অনেক রাগ অভিমান,
তবুও বেশ ছিলাম।
হঠাৎ তুমি এলে জীবন রাঙ্গিয়ে ,
অর্থহীন জীবনে ফিরিয়ে দিলে প্রাণ।
নিষ্প্রন হয়ে পরছিলাম
তার সনে।
তুমি এসে প্রাণের সশ্চার করে
নিজের করে নিলে আমায়।
কিভাবে তোময় নিজের থেকে দূর করি?
আমার মনযে তুমি ছুঁয়ে দিলে।
কেমনে এখন একা থাকি?
মনযে শুধু তোমাকে চাই।

কবিতা পেয়ে খুশি হয়ে গেলাম।....
চলবে..............
ঘরে থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমি এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

আমি রানা বলেছেন: তখন আপনি কি করেছিলেন?

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: ভাই, আগেরবারেও লিখেছি আবারো লিখছি, পূর্ববর্তী পর্বগুলোর লিংকগুলো দিয়ে দিলে ভালো হত :(

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

আমি রানা বলেছেন: দুঃখিত ভাই, লিংক দিয়ে দিলাম।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাই করোনার ভিতর বিয়ে দিবেন না, হা হা। চলতে থাকুক লেখা

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫১

আমি রানা বলেছেন: চেষ্টা করবো বিয়েটা আটকাতে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তখন আপনি কি করেছিলেন?

হা হা হা---
আমি অদ্ভুত সব কান্ড করেছিলাম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫০

আমি রানা বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন:
হা হা হা---
আমি অদ্ভুত সব কান্ড করেছিলাম।
জানার আগ্রহ অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.