নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- দশ
(বারো)
আমার পিচ্চি বোন পেট্রা দেখতে এত মিষ্টি ছিল যে ওকে ভালো না বেসে কারো উপায় ছিল না। আমার এখনও মনে পড়ে টলমলে পায়ে বাড়িময় ওর ছুটে বেড়ানো, ছুটতে ছুটতে হঠাৎ পড়ে যাওয়া, কান্না, খিলখিলিয়ে হাসি... একটা পুতুল ওর খুব প্রিয় ছিল, সারাক্ষণ পুতুলটাকে হাতে ঝুলিয়ে রাখত। আমি ওকে খুব ভালবাসতাম, বাড়ির সবাই, এমনকি আমার কঠোর স্বভাব বাবা পর্যন্ত ওকে খুব প্রশ্রয় দিতেন। এই জীবন্ত পুতুল বোনটা যে অন্যরকম হতে পারে এটা সেদিনের আগে কখনোই ভাবিনি...
আমি সেদিন চল্লিশ বিঘা নামের ফসলী জমিতে আরো পাঁচ জনের সাথে ফসল কাটতে গিয়েছিলাম। আমার কাটার পালা শেষ করে আমি আরেকজনের হাতে কাস্তে ধরিয়ে দিয়ে ফসল স্তুপ করে রাখছিলাম। হঠাৎ মনে হল মাথায় কিছু বাড়ি মারলো প্রচন্ড জোরে, এতটাই জোরে যে আমার পা টলমল করে উঠলো। পর মূহুর্তে মাথায় ব্যথা করে উঠল; মাছকে যেমন বরশিতে গেঁথে টেনে নেয়, আমার মনে হলো আমার মাথায় তেমনি কেউ বরশি গেঁথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি সেসব মাথাতেই এল না, শুধু বুঝতে পারছিলাম এই প্রচন্ড টান এড়াবার কোন সাধ্য আমার নেই। হাতের ফসলের বোঝা ফেলে দিয়ে আমি মাঠের মাঝখান দিয়ে দৌড়াতে লাগলাম, আমার সঙ্গীদের অবাক দৃষ্টি উপেক্ষা করে দৌড়ে গিয়ে আমি ক্ষেতের আইলে উঠলাম, একটা বেড়া ডিঙ্গিয়ে আরেক ক্ষেতে ঢুকে দৌড়াতে লাগলাম। মনে হচ্ছিল আমাকে আরো তাড়াতাড়ি যেতে হবে... দৌড়াতে দৌড়াতেই এ্যানগাস মর্টনের খামারের দিকে চোখ গেল, দেখি রোজালিন যেন বাতাসে ভেসে এদিকে আসছে!!
আমি দৌড়ে একটা ঢালু জমি বেয়ে নামলাম, তারপর একটা পুকুর পেরিয়ে আরেকটা পুকুরের কাছে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপ দিতেই দেখতে পেলাম পেট্রাকে, পুকুর পাড়ের একটা ঝোপ ধরে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে! জোরে সাঁতার কেটে আমি পেট্রার কাছে পৌঁছে যেই ওকে ধরলাম, সাথে সাথে মাথার মধ্যে থেকে সেই টানের অনুভূতি চলে গেল! পেট্রাকে উদ্ধার করে আমি যখন কোমর পানিতে দাঁড়িয়েছি তখন দেখলাম পুকুর পাড়ে রোজালিন দাঁড়িয়ে আছে, ওর হতভম্ব চেহারায় উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। ও যখন মুখে কথা বলল ওর গলা কাঁপছিল।
- এ-এটা কে করল? এত প্রচণ্ড শক্তি কার?
আমি বললাম। আঙ্গুল দিয়ে কপাল চেপে ধরে চোখে অবিশ্বাস নিয়ে রোজালিন বলল,
- পেট্রা!!
পেট্রাকে ঘাসের উপর শুইয়ে দিয়ে পরীক্ষা করলাম। ভয়ে বা ক্লান্তিতে ও একেবারে নেতিয়ে গেছে। রোজালিনও পেট্রার পাশে বসে পরীক্ষা করল ও ঠিক আছে কিনা, তারপর আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকাল।
- আমি জানতাম না, কখনো ভাবতেই পারিনি পেট্রা আমাদেরই মত, আমি বলে উঠলাম।
কপাল ডলতে ডলতে রোজালিন বিচলিত চোখে আমার দিকে তাকাল, তারপর মাথা নাড়ল।
- ও আমাদের মত না। অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রচন্ড ক্ষমতা ওর আছে, তা আমাদের কারো নেই...
রোজালিন থেমে গেল, আমাদের চারপাশে কিছু উৎসুক মানুষ ভিড়। আমার পেছনে পেছন কয়েকজন এসেছেন, রোজালিনের পেছন পেছনও কয়েকজন এসেছেন, কারণ বাড়ি থেকে বের হবার সময় ওর দৌড় দেখে সবাই ভেবেছে ওর বাড়িতে আগুন লেগেছে!! আমি পেট্রাকে কোলে নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হতেই আমাদের ক্ষেত থেকে আসা একজন জিজ্ঞেস করলেন,
- কিন্তু তুমি জানলে কী করে? আমি তো কোন চিৎকার শুনিনি!
রোজালিন খুবই অবাক হয়ে বলল,
- বলছ কী তুমি? ও যেভাবে চিৎকার করছিল, আমি তো ভাবছিলাম কেন্টাক পর্যন্ত ওর চিৎকার পৌঁছে গেছে!
লোকটা চিন্তিত ভাবে মাথা নাড়ল। আমরা দুজন শুনতে পেয়েছি, ওরা কেন শুনল না তাই ভাবতে ভাবতে ওরা ফিরে গেল। আমি কিছু বললাম না, মনে মনে বাকি ছ'জনকে বলছিলাম ঘটনাটা, সবাই জানতে চাচ্ছিল কি ঘটেছে।
সেদিন রাতে আমি কয়েক বছর পর আবার পাপাত্মা ধ্বংসের সেই পুরনো দুঃস্বপ্ন দেখলাম। এবারেও বাবার ডান হাতে ছুরি রোদে ঝলমল করছে, কিন্তু বাঁহাতে ভেড়ার বাচ্চা বা সোফি না, উনি ধরে রেখেছেন পেট্রাকে! প্রচন্ড ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে দেখি ঘেমে জুবজুবে হয়ে গেছি...
পরদিন অনেকবার চেষ্টা করলাম পেট্রার কাছে ভাবনা- চিত্র পাঠাবার, কিন্তু ওর কাছে পৌঁছাতে পারলাম না। অন্যরাও চেষ্টা করে পৌঁছাতে পারল না। ভাবলাম ওর সাথে কথা বলে ওকে বুঝিয়ে বলি, এভাবে হঠাৎ তীব্র সঙ্কেত পাঠালে বিপদ হতে পারে। কিন্তু রোজালিন নিষেধ করল।
- সম্ভবত ভয়ানক আতঙ্ক থেকে পেট্রা এটা করেছে, হয়তো বুঝতেই পারেনি কী করছে... এখন ওকে এটা নিয়ে কিছু বললে ও কিছুই বুঝতে পারবে না। ও তো একটা ছয় বছরের বাচ্চা! আমার মনে হয় এখন ওকে কিছু বোঝাতে গেলে ও তালগোল পাকিয়ে ফেলবে।
ভেবে দেখলাম রোজালিন ঠিকই বলেছে। এত বছর অভ্যাস করার পর এখনও আমরা সতর্ক থাকি যেন আমাদের কোন কথা বা কাজে কেউ সন্দেহ না করে, পেট্রা কী করে এটা করবে!! আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করলাম আমরা অপেক্ষা করব, ও যতদিন আমাদের সতর্কবার্তা বোঝার মত বড় না হচ্ছে ততদিন, অথবা আবার কোন ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত! এরমধ্যে আমরা মাঝে মাঝেই পরীক্ষা করে দেখব মনে মনে ওর সাথে যোগাযোগ করা যায় কিনা!!
এছাড়া আমাদের আর কী করার ছিল!! গত কয়েক বছরে আমরা চেনাজানা সকল মানুষের মানসিকতা নিয়ে ভেবেছি, বুঝতে পেরেছি আমাদের ভাবনার ধরণ তাদের ভাবনা থেকে আলাদা, একথা জানতে পারলে এই মানুষগুলো কতটা নির্মম হয়ে উঠতে পারে! পাঁচ ছয় বছর আগেও এভাবে মনে মনে কথা বলাটা আমাদের কাছে ছিল একটা খেলার মত, আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছি এটা একটা বিপজ্জনক খেলা। প্রকৃতির দেয়া এই বিশেষ উপহার হয়ে গেছে আমাদের জন্য অভিশাপ! এটা আমাদের বন্দী করে ফেলেছে নিষেধের বেড়াজালে; কারো কাছে নিজেকে প্রকাশ করা যাবে না, কথা বলতে হবে হিসাব করে, জানা বিষয় না জানার ভান করতে হবে। নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য আমাদের প্রতি মূহুর্ত প্রতারণা, মিথ্যা আর গোপনীয়তার আশ্রয় নিতে হয়...
আমাদের মধ্যে মাইকেল এসব নিয়ে খুব ভাবত, মাঝে মাঝেই এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ও এত হতাশ, ক্ষুব্ধ আর ক্রুদ্ধ হয়ে উঠত যে ভয় পেতাম, ও না আবার সব প্রকাশ করে দেয়। অবশ্য আমার ভয় শুরু হয় পেট্রার এই ঘটনার একবছর আগে থেকে। সে বছর ফসল আর গবাদি পশুর বিকৃতি এত বেড়ে গিয়েছিল যে আমাদের এলাকায় পঁয়ত্রিশটা ক্ষেত পুরোপুরি জ্বালিয়ে দিতে হয়, তারমধ্যে ছিল আমার বাবার আর এ্যানগাস মর্টনের তিনটা করে ক্ষেত। প্রায় প্রতিদিনই দেখা যেত কারো না কারো বিচার হচ্ছে বিকৃতি গোপনীয়তার অভিযোগে, কেউ হয়ত বিকৃত ফসল লুকিয়েছে আবার কেউ বিকৃত পশু খেয়ে ফেলেছে। এরমধ্যে একদিন দেখা বুড়ো জেকবের সাথে। সে অতি বিরক্ত হয়ে বলেছিল,
- এই সবকিছু হচ্ছে পাপের ফলস্বরূপ। এখন বিকৃতি গোপন করার দায়ে কেউ ধরা পড়লে কিছু জরিমানা দিলেই মুক্তি পায়। টাকা দিয়ে পাপ থেকে মুক্তি !! আমাদের প্রশাসন পাপীকে শাস্তি দিচ্ছে না বলেই পাপ আর বিচ্যুতি বেড়ে চলেছে। শুনেছি আমার বাবার আমলে কোন মহিলা পরপর তিনবার পাপাত্মা জন্ম দিলে তাকে পোড়ানো হত। অথচ এখন কী হচ্ছে? প্রশাসনের এই লোকগুলো বলছে পাপাত্মা হলেও যেহেতু দেখতে মানুষের মত, তাই তাদের মেরে না ফেলে প্রান্তভূমিতে যেতে দেয়া হোক, ফলে তারা বেঁচে থাকছে! ধর্মগুরুরাও মুখে কুলুপ এঁটে আছে।
- একেবারে মেরেই ফেলতে হবে?
- পাপাত্মাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে হবে বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য... আমি বলে রাখছি, এই বেলা যদি আমরা পাপাত্মা মারার ব্যবস্থা না করি তবে শিগগিরই ঈশ্বরের অভিশাপ আবার নেমে আসবে আমাদের উপর...
আমি এক্সেল খালুকে জিজ্ঞেস করলাম সবাই কি বুড়ো জেকবের মতো এমন কট্টরপন্থী কিনা। খালু বললেন যে, সকলে এমন না, কিন্তু যদি আরো দুয়েক বছর ফসল আর গবাদি পশুর এমন জন্ম অব্যাহত থাকে, তবে ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ে বেশিরভাগ মানুষ কট্টরপন্থী হয়ে যেতে পারে!
- বিকৃতির হার কোন কোন বছর এভাবে বেড়ে যায় কেন?
- ঠিক বলতে পারছি না, কিন্তু দেখা গেছে কোন কোন বছর যদি দক্ষিণ- পশ্চিমের পোড়াভূমি থেকে প্রবল বাতাস বয়ে যায়, তৎক্ষণাৎ কিছু হয়না কিন্তু পরের মৌসুমেই দেখা যায় বিকৃতি বেড়ে গেছে। মানুষের ধারণা যে, পোড়াভূমির বাতাস এমন কিছু বয়ে আনে যার জন্য এমন ঘটে;যদিও কী থাকে বাতাসে সেটা কেউ জানেনা। সবাই মনে করে, এটা ঈশ্বরের তরফ থেকে সতর্ক বার্তা, যাতে তারা উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিশুদ্ধতা রক্ষার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়। আমার অভিজ্ঞতা বলছে, আগামী বছরও বিকৃত জন্মের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে মানুষ খুঁজবে বলির পাঁঠা, সামান্যতম বিকৃতি ও পাপাত্মা দেখলেই তাকে ধ্বংস করে দেবে।
কথা শেষ করে খালু দীর্ঘ সময় ধরে চিন্তিত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। খালুর এই ইশারাই কাফী; আমি আমার বন্ধুদের খালুর বলা কথাগুলো জানালাম। সত্যিই পরের বছরেও অবস্থার কোন উন্নতি হল না, আর তাই লোকজন হন্যে হয়ে বিকৃতি খুঁজে বেড়াতে লাগল। এই সময়টাতেই আমরা আবিষ্কার করলাম, পেট্রাও আমাদেরই মতো, আর আমাদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়ল! এক সপ্তাহ ধরে আমরা খুব সাবধানে লোকজনের কথাবার্তা আর আচরণ পর্যবেক্ষণ করলাম, কেউ আমাদের সন্দেহ করল কিনা জানার জন্য। কিন্তু দেখলাম কেউ সন্দেহ করছে না, সবাই ভেবেছে হয়তো তারা অন্যমনস্ক ছিল, তাই পেট্রার চিৎকার শুধু আমি আর রোজালিন শুনতে পেয়েছি। আমরা বেশ নিশ্চিন্ত বোধ করতে শুরু করলাম। কিন্তু মাসখানেক পরেই নতুন এক দুশ্চিন্তা শুরু হল, যখন এ্যান বিয়ে করবে বলে ঘোষণা দিল।
বিয়ে করার সঙ্কল্প স্থির করে তারপর এ্যান আমাদের জানিয়েছে, কিন্তু তবু আমরা কথাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছিলাম না। আমরা বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এ্যান এ্যালান এরভিনকে বিয়ে করতে চাইবে! এ্যালান আমাদের মতো না, ও সাধারণ একটা ছেলে। এ সেই এ্যালান, যার সাথে আমি মারামারি করেছিলাম, যে সোফির কথা জানিয়ে দিয়েছিল। আমরা ভাবলাম, হয়তো এ্যানের মা-বাবা এ বিয়েতে রাজি হবেন না। কারণ এ্যানের বাবা বিত্তশালী, বিশাল খামারের মালিক; আর এ্যালান কামারের ছেলে, ভবিষ্যতে তারও কামারই হবার কথা। সুতরাং এ্যানের মা-বাবা হয়ত কামারের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হবেন না...
কিন্তু আমাদের আশা পূরণ হলো না; এ্যান তার মা-বাবাকে রাজি করিয়ে ফেলল। যখন শুনলাম এ্যানের বাগদান হবে, তখন আমরা বাকি সাত জন শঙ্কিত হয়ে উঠলাম, এই বিয়ে হলে আমাদের বিপদ কতটা বেড়ে যাবে সেকথা ভেবে। মাইকেল এ্যানকে বোঝাতে চাইল যে, আমাদের মত নয় এমন কাউকে বিয়ে করা এ্যানের ঠিক হবে না।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা, আমিও অধীর অপেক্ষায় রইলাম, ফিরে আসবেন বলে...
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
ভালো লিখছেন। লেখা খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনি যে কষ্ট করে প্রতিটা পর্ব পড়ছেন এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। ধন্যবাদ রাজীব নুর।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
শের শায়রী বলেছেন: সাথে আছি বোন। ফলোয়িং।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০
করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ শের শায়রী।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০০
নিভৃতা বলেছেন: পড়ে ফেললাম এক নিঃশ্বাসে। পেট্রাকে বাঁচানোর মুহুর্তটা শ্বাসরুদ্ধকর। এ্যানকে আবার কোন ভূতে পেলো! ও তো এ্যালানকে ভালো করেই চেনে। বুদ্ধিনাশ বুঝি একেই বলে। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি। বেশি অপেক্ষা করতে পারবো না কিন্তু। মজা করলাম। জানি খুব ধৈর্য্য ও সময়ের কাজ। অনেক কষ্ট হচ্ছে আপনার। কিন্তু কষ্টের ফল মিঠা হয় জানে তো। ইনশাআল্লাহ দারুণ একটা অনুবাদ গ্রন্থ হবে এটা।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার কথাগুলো আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা নিভৃতা, এমন পাঠকের জন্য শত ঝামেলার মধ্যেও লিখতে ইচ্ছা করে। অনেক ধন্যবাদ।
এতদিনে আসল গল্প শুরু হয়েছে, কী করে অন্যরকম কিছু মানুষ টিকে থাকার সংগ্রাম করে এমন এক সমাজে, যেখানে অন্যরকম হওয়াকে পাপ বলে ভাবা হয়। এ্যান যদি কিছু গোলমাল না করে তাহলে তো গল্প আগাবে না!!
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুপাঠ্য, সুশোভন, শ্রুতিমধুর লেখা ।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১২
করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতো সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ,নেওয়াজ আলি।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উফফফ দারুণ , চমৎকার ভাবে এগুচ্ছে ...।।
আপনার লেখায় পাঠক ধরে রাখার দারুণ ক্ষমতা।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা অবশ্য আমার লেখা না, অন্যের গল্প আমি বলে চলেছি!!
কিন্তু এমন মন্তব্য আর প্লাস আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা! অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরা।
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৩
নিভৃতা বলেছেন: তাই তো গোলমাল তো একটা লাগতেই হবে। নয়তো গল্প আগাবে কী করে। পরবর্তী চমকের অপেক্ষায় রইলাম।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৭
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ নিভৃতা! পরের পর্ব লেখার প্রেরণা পেলাম।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৪১
সোহানী বলেছেন: দূশ্চিন্তায় শেষ করলাম এবারের পর্ব.............
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২০
করুণাধারা বলেছেন: পরের পর্ব দিয়েছি।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, সোহানী।
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
বিকৃতির হার এক মৌসুম থেকে আরেক মৌসুমে ক্রমাগত বেড়েই চলছে এটা দেখছি যে ভাবে অনুধাবন করছে আর অনেকেই কেউই সেটা বুঝতে পারছে না । এ্যান ও এ্যলেনের এর সর্বশেষ পরিস্থিতি কি হয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৩
করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল, এ্যান আর এ্যালানের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে পোস্ট দিয়েছি।
অনেক শুভকামনা রইল।
১০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
নিভৃতা বলেছেন: আর কত দেরি পাঞ্জেরী!!!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৪
করুণাধারা বলেছেন: রাত পোহাল তবে!!
অনেক শুভকামনা নিভৃতা।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এ্যালান কামারের ছেলে, ভবিষ্যতে তারও কামারই হবার কথা। সুতরাং এ্যানের মা-বাবা হয়ত কামারের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হবেন না...
আজ থেকে প্রায় ৩৭০ বছর আগে আমাদের পরিবারের পূর্ব পুরুষ ৩ বছর দিন রাত অমানুষিক পরিশ্রমে কামারের কাজ করেছেন। বেঁচে থাকার তাগিদে তার হাতে এছাড়া কোনো উপায়ান্তর ছিলো না। - বিচিত্র কারণে আমরা কামারের কাজ পারি বেশ ভালোই পারি।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০১
করুণাধারা বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদভাই, মূল বইয়ে এই বাক্যটা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম, শ্রেণী বৈষম্য তাহলে শুধু আমাদের দেশে নয়, সব দেশে, সব কালেই দেখা যায়। এই বাক্যটা আমি হুবহু অনুবাদ করেছি এটা বলবার জন্যই, কিন্তু কেউ সম্ভবত লক্ষ্য করেননি। শেষ পর্যন্ত একজন হলেও তাহলে বাক্যটা লক্ষ্য করলেন!! অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পরিবারের প্রায় চারশ বছরের ইতিহাস আছে বলে মনে হচ্ছে। খুব আগ্রহ বোধ করছি। রুটস আমার সবসময়ের প্রিয় বই। আপনিও লিখুন না আপনার রুটস সম্পর্কে।
শুভকামনা রইল।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা,
শ্রেণী বৈষম্য হাজার বছর আগেও ছিলো এখনো আছে। শুনতে খারাপ লাগলেও এটি সত্য “শ্রেণী বৈষম্য থাকতে হবে নয়তো ভারসাম্য বজায় থাকবে না”।
শুভকামনা রইলো আপা।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৯
করুণাধারা বলেছেন: শ্রেণী বৈষম্য থাকতে হবে নয়তো ভারসাম্য বজায় থাকবে না”।
খুবই মূল্যবান কথা। সব দেশে, সব কালেই শ্রেণী বৈষম্য দেখা যায়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু আপনার কাহিনীর অপেক্ষায় থাকলাম, আমি নিশ্চিত সেই কাহিনী আমাদের সকলকে নিজের শিকড়ের দিকে ফেরাবে।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: তারমানে এই এল্যান মিঞা কি ভিলেন হিসেবে আবার আসবে.......।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: নাহ্, ভিলেন হবার আগেই খেল খতম!!
১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমিও পেট্রাকে ভাবছিলাম নতুন সদস্য হিসেবে। যাই হোক, বিয়েটা হোক, পরিস্থিতি জটিলতার দিকে যাচ্ছে। ভালোই হচ্ছে উত্তেজনা বাড়ুক।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৩
করুণাধারা বলেছেন: বিয়ে হবে ঠিকই, কিন্তু...
ঠিকই বলেছেন, এরপর থেকে কাহিনী জটিল আর উত্তেজনাপূর্ণ...
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
পেট্রাকে জলে ডোবা থেকে উদ্ধারের ঘটনাটি অত্যন্ত নাটকীয় লাগলো।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে পর্ব শেষ হলো। সাধারণ ও বিকৃতির বিয়ের পরিণতি কী হতে পারে জানতে চললাম পরবর্তী পর্বে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৬
করুণাধারা বলেছেন: খুবই দেরি করে ফেললাম উত্তর দিতে, আশাকরি অপারগতার কারণ বুঝতে পারছেন।
এরপরেও কিছুটা লিখেছিলাম, এখন ভাবছি সংক্ষেপে লিখে শেষ করে দেব।
ভালো থাকুন সপরিবারে, আন্তরিক প্রার্থনা রইল।
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্প জমেই ছিল, এখন মনে হচ্ছে ক্ষীর হয়ে যাচ্ছে। এখন ভাবছি সংক্ষেপে লিখে শেষ করে দেব। ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না। যেভাবে প্ল্যান করেছেন, সেভাবেই লেখা শেষ করেন।
মানুষ ধর্মকে কিভাবে কুধর্মে পরিনত করে, এটা চমৎকারভাবে এসেছে গল্পে। পরবর্তীতে এই কুধর্ম করা মানুষদের মতোই আরো কিছু মানুষের আবির্ভাব হয়, যারা সবকিছুর জন্যই ধর্মের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
করুণাধারা বলেছেন: এতদিন ধরে লিখে যখন শেষ করলাম তখনই আপনার মন্তব্য আসল- তাড়াতাড়ি শেষ না করতে!!
খুব তাড়াহুড়া করি নাই! দেখেন না অনেকে প্রশ্ন করেছে শেষে কী হবে, সোফির সাথে ডেভিডের আর দেখা হবে কিনা ইত্যাদি... ভাবলাম তাদের প্রশ্নের উত্তর যদি না দেই, আপনার ওই তিনমাস থিয়োরি যদি আমার বেলায় সত্যি হয়, তাহলে সবাই বড় বিরক্ত হবে, আমার তিরোধানে কেউ দুঃখিত হবে না। তারচেয়ে এই বেলা কিছু লিখে ফেলি, পড়ে দেখবেন, ৬৫ বছর আগে লেখা এই কাহিনী কী অদ্ভুতভাবে এখনকার মানুষের জন্যও খেটে যায়।
এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, শেষ না করে কোথাও যাবেন না কিন্তু।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.... এ্যানতো আসলেই বিপদেই পড়তে যাচ্ছে বুঝি!!
এবং বাখী সবাইকেও ঝুকিতে ফেলে দেবে ! দেবে কি?
যাই পরের পর্বে
++++
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২২
করুণাধারা বলেছেন: দ্যাখেন গিয়ে কী হয়!! যাওয়ার সময় ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিয়ে যাবেন!
১৮| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মূলটা পড়িনি, তবুও আপনার এ পর্বটা পড়েই আমার প্রথম মনে হলো, অনুবাদ খুব সাবলীল হয়েছে, কারণ লেখার ফ্লোটা খুব স্মুথ হয়েছে এ পর্বটাতে। বিশেষ করে কয়েকটি অনুচ্ছেদ খুবই ভাল হয়েছে বলে মনে হলো।
এ্যান আর এ্যালানের পরিকল্পিত বিয়ের খবরে সিরিজে নতুন এক শঙ্কার মাত্রা যোগ হলো!
১৩ নং প্রতিমন্তব্যটাকে একটি স্পয়লার মনে হলো।
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
করুণাধারা বলেছেন: "অনুবাদ ভালো হয়েছে"- আপনার কাছ থেকে এটা জানা আমার অনেক বড় পাওয়া, কারণ কবিতা অনুবাদে আপনার পারদর্শিতা দেখে আমি বরাবরই বিস্মিত হই। অসংখ্য ধন্যবাদ এই অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যর জন্য।
স্পয়লার আগেও কয়েক জায়গায় করেছি, এখন আর ভুল শোধরানোর উপায় নেই।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
নিভৃতা বলেছেন: উফ! ব্লগে আসতে না আসতেই পেয়ে গেলাম প্রিয় গল্প। পড়িনি এখনও। পড়ে মন্তব্য করবো। আপাতত গল্পের ঘ্রাণ নেই। পড়ে ফেললেই তো শেষ হয়ে যাবে। তারপর আবার অপেক্ষা।