| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* মতভেদের জন্য আল্লাহ মহাশাস্তির কথা বলেছেন। মহাশাস্তি থেকে আত্মরক্ষা করতে অবশ্যই জানতে হবে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
* আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত বিষয় মত। আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত বিষয়ের পরিবর্তে উপস্থাপিত আয়াত মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। আর সকল মনগড়া কথা গুরুতর অপরাধ। আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত বিষয়ের পরিবর্তে উপস্থাপিত আয়াত, হাদিস ও সকল মনগড়া কথা মতভেদ।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
* আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত বিষয় হলো ফিকাহ। এর পরিবর্তে আয়াত মানসুখ, হাদিস বাতিল এবং মনগড়া কথা গুরুতর অপরাধ। ফিকাহ দ্বারা কওমকে ভয় প্রদর্শন করতে এবং এর অবাধ্য হওয়া বিষয়ে সাবধান হতে আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে আদেশ করেছেন। সংগত কারণে এর বিরোধীতা সুস্পটভাবে মতভেদ হিসাবে সাব্যস্ত হবে।সুতরাং ফিকাহ হলো মত এবং এর বিরোধীতা মতভেদ। ফিকাহের উৎস কি?
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
* ফিকাহের উৎস হলেন রহমানের কোরআনের ছাত্র। যাঁরা তাঁর দিদার প্রাপ্ত। একজন আরবী রাসূল (সা.) এবং অন্যজন পারসিক। পারসিকদের মধ্যে একশত বার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ প্রাপ্ত। তিনি ফিকহে আকবর (সবচেয়ে বড় ফিকাহ) সংকলন করেছেন।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* একশত বার আল্লাহর দিদারপ্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফার (র.) পূর্বে ফিকহে আকবর (সবচেয়ে বড় ফিকাহ) আর কেউ সংকলন করেননি। এটি সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বাসীয় কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ পরিশোধান করে অনুমোদন করেন। আর কোন ফিকাহ কোন কুরাইশ পরাক্রান্ত খলিফা অনুমোদন করেননি।সুতরাং এখন পর্যন্ত গৃহিত ফিকাহ কুরাইশ পরাক্রান্ত খলিফা অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ। এরসাথে মতভেদ মহাশাস্তির কারণ। শিয়া কোন ইমাম পরাক্রান্ত নন। কারণ হযরত আলী (রা.) খেলাফতের একাংশ হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। হযরত ইমাম হাসান (রা.) খেলাফত ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। হযরত ইমাম হোসেন (রা.) খেলাফত উদ্ধার করতে পারেননি। অন্য ইমামগণ খেলাফত উদ্ধার না করতে পারাদের তালিকায় আছেন। সুতরাং তাদের কোন ইমামের ফিকাহ গৃহিত ফিকাহ সাব্যস্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* সাহাবায়ে কেরাম (রা.) রাসূলের (সা.) ফিহাহের অনুসারী ছিলেন। ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বানানো মোনাফেকের হাদিস রাসূলের (সা.) ফিহাহের বিনাশ সাধন করেছে।সুতরাং এখন হানাফী ফিকাহ ছাড়া মানার মত আর কোন ফিকাহ নাই। এ ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন মানসুখ, হাদিস বাতিল ও মনগড়া কথা গুরুতর অপরাধ সাব্যস্ত হবে। এখন মত হলো হানাফী ফিকাহ এবং মতভেদ হলো এর বিরোধীতা করা। যারা এ অকাজ করে তারা আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিম ছেড়ে জাহান্নামে চলে যায়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা মো্হাম্মদের (সা) রেসালাত মানে না ইসলাম তাদেরকে সত্যবাদী বলে না। কারণ তাদেরকে সত্যবাদী মানলে মোহাম্মদকে (সা) মিথ্যাবাদী মানা হয়।
২|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৬
zhenhua বলেছেন: এই পোস্টটি 'মত' এবং 'মতভেদ'-এর পার্থক্য নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা তুলে ধরেছে, যা বিভেদ এড়াতে সহায়ক। সব ক্ষেত্রেই স্পষ্টতা বজায় রাখা জরুরি! এই প্রসঙ্গে, ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টে রঙের নির্ভুলতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য একটি RGBA to HEX Color Converter অনেক কাজে আসে, যা রঙের ফরম্যাট পরিবর্তনে সাহায্য করে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে।
৩|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আপনি আজ এখানে কেন?
আপনার জামাইয়ের নেতা এসেছেন। তার কাছে যান।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জামাই তার দলের সাথে আছে। আমি সরকারী চাকুরী করি। আমার এখন তার সাথে থাকা সম্ভব নয়। জামাইয়ের দল ক্ষমতায় গেলে আমি তার ঠিকাদারীরর হেল্প করতে না হয় চাকুরী থেকে অবসরে যাব। তখন চাকুরীর এককালীর যে টাকা পাব তা’ না হয় জামাইয়ের ব্যবসায় ইনভেষ্ট করব।
৪|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১২
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনি তো মানুষের মধ্যে মতভেদ আরো বাড়ানোর কাজ করছেন, নিজের মনমতো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, সমগ্র কোরআন আর রাসুল(সঃ) এর বাণী না জেনেই। আপনার মতো লোকজনই মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে
আবু হানিফার আগে কি কেউ সৎপথপ্রাপ্ত ছিলেন না? আপনার ধারনা ভ্রান্ত..
সুষ্পস্ট প্রমাণ আসার পরও যারা মতভেদ করে তাদের বিষয়ে শাস্তির কথা বলেছেন
অনেক বিষয়ে আল্লাহ বিস্তারিত বলেন নাই, সে ক্ষেত্রে যে কোন পথই সঠিক....ইহুদীদের গরু জবাই এর নিদের্শনার আয়াতগুলো দেখুন..
রাসুল সঃ বলেন তোমরা বেশি প্রশ্ন কর না, তোমরা মনে কর না যে আল্লাহ উহা বলতে ভুলে গেছেন..
যে সব বিষয়ে আল্লাহ আপনাকে স্বাধীনতা দিয়েছে সে সব বিষয়ে মত পার্থক্য হতে পারে যেমনটা বিভিন্ন মাযহবে হয়েছে, আর আপনি নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন ..
আবু হানিফা আল্লাহকে স্বপ্নে দেখেন নাই...আর আপনি বড় মিথ্যাবাদী....সাবধান, গোমরাহীতে পতিত হওয়ার আগে তওবা করেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আবু হানিফা আল্লাহকে স্বপ্নে দেখেন নাই...আর আপনি বড় মিথ্যাবাদী....সাবধান, গোমরাহীতে পতিত হওয়ার আগে তওবা করেন দিদার মানে স্বপ্নে দেখা নয়। এটা কি রকম সেটা আমি জানি। দিদারে স্বপ্নে আল্লাহর কথা শুন যায়। আবু হানিফার (র) আল্লাহর দিদারের প্রমাণ তাঁর ফিকহে আকবর। ইমাম আবু হানিফা (র) সত্য না বললে অন্য কেউ সত্য বলেছে সেটা আপনি কিভাবে জানলেন? আপনার কথা অনুযায়ী আপনার পক্ষে ইসলাম মানা অসম্ভব। কারণ ইসলামের মূল বিষয়ই ঈমান বা বিশ্বাস।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
আল্লাহ ফিকাহ দাতা, রাসূল (সা.) এর বন্টনকারী, ইমাম আবু হানিফা (র.) এর সংকলক ও শিক্ষক
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।
* ফিকাহ দ্বারা আল্লাহ ভয় প্রদর্শন ও সাবধান হতে আদেশ করেছেন। আল্লাহ ফিকাহ প্রদানকারী এবং রাসূল (সা.) ফিকাহ বন্টনকারী। হানাফী ফিকাহের অনুসারী আব্বাসীয়রা জয়ী ছিল, তুর্কীরা জয়ী ছিল, হানাফী রাষ্ট্র সমূহের আওতায় হানাফীরা এখনো জয়ী। রাসূলের (সা.) কথা অনুযায়ী তারা তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭৮ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭৮। হযরত যুবায়ের ইবনে আদী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট আগমন করে আমাদের উপর হাজ্জাজের পক্ষ হতে যা হচ্ছে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য অবলম্বন কর। কেননা তোমাদের পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগ হতেও নিকৃষ্ট হবে। যখন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হও। আমি নবি করিমকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি।
* রাসূল (সা.) পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ বন্টন করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এটি সংকলন করে রাসূল (সা.) কর্তৃক অনুমোদন না করায় রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় তাঁর ঘরেই পরস্পরের সঙ্গে মতভেদে লিপ্ত হয়েছেন।রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের পর ফিতনার সাথে তাদের যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে হাজারে হাজারে নিহত হয়ে নিজেরা দূর্বল হয়ে ফিতনাবাজদের শাসনভূক্ত হয়ে লাঞ্চিত হতে থাকেন। ফিতনাবাজ ইয়াজিদের লোকেরা রাসূলের (সা.) নাতি সাহাবী হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দিলে মদীনাবাসী এর প্রতিবাদ করে। ইয়াজিদ তখন মদীনাবাসীকে লাঞ্চিত করে। তখন মদীনার ঘর সমূহের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হয়। ফিতনাবাজ আব্দুল মালেকের লোক হাজ্জাজ বিন ইউসুফ উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশার (রা.) বোন হযরত আসমার (রা.) ছেলে সাহাবা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরকে (রা.) হত্যা করে মক্কার রাজপথে তাঁর লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এভাবে সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) লাঞ্চনাকারী ফিতনাবাজেরা দলে দলে কাফের হয়ে যায়।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* মহাফিতনার সময় মোনাফেক ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মাহানবি (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) নামে মিথ্যা হাদিস প্রচার করলে মহানবির (সা.) বন্টন করা ফিকাহ নিষ্ট হয়ে ইসলাম নষ্ট হয়। তখন ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। তখন একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বাসীয় কুরাইশ খলিফা হারুনুর রশিদ হানাফী ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে দুই তৃতীয়াংশ মুসলিম এর অনুসারী হয়। সেই থেকে অদ্যবধি হানাফীরা জয়ী অবস্থায় বিদ্যমাণ। হাদিস অনুযায়ী তাদের জয়যাত্রা কেয়ামত অবধি বিদ্যমাণ থাকবে।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* হানাফী ফিকাহ ছাড়া আর কোন ফিকাহ কুরাইশ পরাক্রান্ত খলিফা আমির কর্তৃক অনুমোদীত নয় বিধায় এসব ফিকাহ গ্রহণযোগ্য নয়। শিয়া ইমামদের কেউ পরাক্রান্ত নন। হযরত আলী (রা.) খেলাফতের একাংশ হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) ছেড়ে দিয়েছেন। হযরত ইমাম হাসান (রা.) খেলাফত পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। হযরত ইমাম হোসেন (রা.) খেলাফত উদ্ধারে সক্ষম হননি। শিয়া অন্য ইমামগণের অবস্থা হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মতই। পরাক্রান্ত না হওয়ায় হাদিস অনুযায়ী শিয়া ফিকাহ গ্রহণযোগ্য নয়। রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ফিকাহ সংকলন করেননি। তাঁদের সংকলিত ফিকাহ মোনাফেকের প্রচারিত মিথ্যা হাদিসের প্রভাবে নষ্ট হয়েছে।পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা আমির পরিশোধীত ও অনুমোদীত একমাত্র ফিকাহ হানাফী ফিকাহ। এটি বাদ দিয়ে যারা অন্য ফিকাহ বা হাদিস মেনে বিভিন্ন পথ অনুসরন করে তারা আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাহান্নামে চলে যায়। তাদের জান্নাত লাভের কোন সম্ভাবনা নাই।
৫|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
আলামিন১০৪ বলেছেন: ইসলাম শুধু বিশ্বাস না, প্রমাণ সহকারে বিশ্বাস, উদাহরণ হিসবে বাতাসের কথা ভাবতে পারেন
ইসলামে বিশ্বাস.ঈমান নিয়ে আমার একটি লিখা ড্রাফট হিসেবে আছে, একদিন আপনাদেন সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ
মনে রাখবেন, মুশরিকরাও বিশ্বাস করে আর আমরাও বিশ্বাস করি, এ দুয়ের মধ্যে একটা বেসিক পার্থক্য আছে...
৬|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: উপরের মন্তব্য মুছে দিয়েন, অনেক বানান ভুল ছিল ঠিক করে আবার লিখলাম
আপনি ফিকহের কনসেপ্ট গুলিয়ে ফেলছেন.. ফিকহ আর সিরাতুল মুস্তাকিম এক না..
সিরাতুল মুস্তাকিম হলো সরল পথ যা ভ্রান্ত পথ থেকে আলাদা... গাইরিল মাগদুবী আলায়হিম- মাধ্যম বা-ওলী-পীরের মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়ার চেষ্টা যা শেষ পর্যন্ত শয়তান শিরকে পরিণত করে যেমনটা খ্রিষ্টান ও হিন্দু ধর্ম সহ মাজার পুজারীদের মধ্যে বিদ্যমান- এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা আমি আপনার আগের পোস্টের কমেন্টে দিয়েছি
ফিকহ হলো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- এ নিয়ে মতভেদ থাকাটা অন্যায় না কারণ অনেক বিষয়ে সুষ্পস্ট কিছু পাওয়া যায় না...আল্লাহ তা রিজিড না করে ফ্লেক্সিবিল বা সহজ করেছেন আপনি সেটা কঠিন করতে পারে না..আপনার মত অন্যের উপর চাপাতে পারেন না...
আল্লাহর দিদার আর দেখা একই ... আমি এর আগের কমেন্টে বলেছি...আয়াত দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছি....মুসা নবী আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় একজন নবী ছিলেন, তার বায়না পূরন করার জন্য আল্লাহ তাঁর নূর তুর পর্বতের উপর প্রকাশ করেন আর মুসা আ: অজ্ঞান হয়ে যায়..
আর আপনি বলছেন আবু হানিফা আল্লাহর দিদা পেয়েছে। মশাই আপনি উম্মাদ অথবা মিথ্যাবাদী নয়ত আবু হানিফাকে শয়তান বিভ্রান্ত করেছিল যদি তিনি তা সত্যই দাবী করে থাকেন...
আপনি তো তাদের মতই হয়ে যাচ্ছেন যারা দাবী করেছিল, ঈসা নবী আল্লাহর পুত্র...
লোকের সব কথায় বিশ্বাস করতে নেই
আল্লাহর কিতাব আর রাসুলের বাণীতে আস্থা রাখুন..
অন্যথায় শয়তানের ফাঁদে পড়বেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি প্রমাণ ছাড়া কিছু উপস্থাপন করছি না। আপনি আমার কথা না বুঝলে আমার কিছু করার নাই। আল্লাহর কথা কোরআনও সবাই বুঝে না।
৭|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি যে ঘটনা বা কিছু দেখেননি সেটা নিয়ে কি আপনি সাক্ষ্য দিতে পারবেন?
খুবই দরকার।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ ভিডিও রেকর্ড দেখালে সেইটা দেখে সাক্ষ্য দিতে সমস্যা হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মতভেদের জন্য আল্লাহ মহাশাস্তির কথা বলেছেন
..........................................................................
তাহলে মিথ্যাবাদীর কি হবে ?
আমি তো দেখছি ইউরোপ , জাপানে মিথ্যাবাদী নেই
কেন মুসলিম সমাজে তা বিদ্যমান ???