somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

।। '' গর্ভ নিরোধক খাপ '' এবং চিত্তবিনোদনে ইহার বহুরূপী ভূমিকা ।।

২৭ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ চুশিলদের আগমণ প্রত্যাশিত নয়

Condom ( কনডম ) নামক বস্তুটির শুদ্ধ বাংলা হইল গর্ভনিরোধক খাপ । ইহা মূলত একখান বিবাহ + বস্তু । তবে আমরা হইলাম বাঙালি । বাঙালিরা সময়ের আগেই সব কিছু ব্যাবহার করিয়া ফেলি । কনডমও রক্ষা পায় নাই । সময়ে অসময়ে , রাত বিরাতে , অজস্র কনডম ব্যাবহার করা হইয়াছে ।
তবে ছুড়ি দিয়া যেমন মানুষ একাধারে সবজি কাটে আর মানুষের পেট চিরে , তেমন ই কনডমের ব্যাবহার ওঃ শুধু মাত্র গর্ভ নিরোধকের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে নি ।

বাজারে কনডমের চাহিদার সাথে আনুপাতিক হারে বাড়ে যোগান । একের পর এক কনডম বাহির হইয়াছে আর একেকজন লুফিয়া নিয়াছে । তাহাদিগকে ষড়ঋতুর নাম শুধাইতে বলিলে মাথা চুলকাইবে , কিন্তু বিভিন্ন গর্ভনিরোধক খাপ এর নাম সমূহ শুধাইতে বলিলে উলটো আপনার চুলকানি উঠিবে ।

সহজ সরল হিসাব অনুসারে কনডমের সহিত আমাদের মোলাকাত হওয়া সঠিক সময় বিবাহের পড়ে । কিন্তু ওই যে উপরে বললাম না , আমরা বাঙালি । সময়ের আগেই সব ব্যাবহার করিয়া ফেলি । বয়সের বাঁধা পেরিয়ে বহু আগেই আমাদের কাছে পৌঁছে যায় নানান নামের , নানা রঙের , গন্ধের গর্ভনিরোধক খাপ ।

খাপের সাথে আমার খাপ মিলিয়াছিল সেই ছোট বয়সে । একদা গ্রামের বাড়ি গিয়াছিলাম । পাশের বাড়িতে থাকতো আমার বন্ধু সোহেল । বৈকালিন ভ্রমণের সময় তাহার হাতে হালকা গোলাপি রঙের ‘’ ফুটকা ’’ দেখিলাম । সুতলির সাথে ইহা বেঁধে সে মহানন্দে খেলিতেছে ।

ওরে জিগালেম , ‘’ ওহে এই গোলাপি ফুটকা কইত্যে ? ‘’
সে উত্তর দিলো , ‘’ বাপের বালিশের নিচেত্যে ‘’
আমি মোটামুটি আচানকিত হইয়া কইলাম ‘’ তোর বাপে ফুটকা দিয়া কিতারে ? ‘’
ত্যাড়া চাহনি দিয়া কইল , ‘’ হেইডা বাপে কইতারে । ‘’

বন্ধু আমাকে কহিতে পারিলো না । অজানাকে জানার আগ্রহ প্রবলভাবে কষাঘাত করতেছিল । বন্ধুরে পাম পট্টি দিয়া ওর পকেটে রাখা ‘ফুটকার’ প্যাকেট থেকে দুইখান ফুটকা খসাইলাম । আগে ফুটকা কিনতাম ‘ছুটা’ আর এটা ব্রান্ডেড । নাম হইল ‘রাজা’ । হাতে নেওয়ার পর তেল জাতীয় পদার্থে আমার হাত পিচ্ছিল হইয়া ফুটকা পড়িয়া যাবার উপক্রম । বন্ধুরে শুধাইলাম
‘’ কিতাবে , এতো তেল কিরে ? তোর পকেটে কিতা ? ‘’
‘’ পকেটে কুস্তা নাই । এই ফুটকায় তেল ই থাকে ‘’

তেল থাকা বিশেষ জাতীয় ‘ফুটকা’ পকেটের মধ্যে গুঁজিয়া বাসায় চলিয়া আসিলাম । ওখানকার হৈহুল্লোড়ে ফুটকা নিয়া খেলার কথা ভুলিয়া ই গেলাম । পরদিন সকালে মা জননী প্যান্ট ধৌত করিবার তরে প্যান্ট নিয়া গেলেন । কিছুক্ষণের মধ্যেই মা আমাকে ডাকিলেন । ফুটকা দুইখানা আমার চোখের সামনে নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন ,

‘‘ ইহা তোমার পকেটে কি করে ‘’
‘’ সোহেল থেইক্যা আনছি ‘ ‘
‘’ ওঃ কোথা থেকে আনছে ‘’

‘’ ওর বাপের কাছতে ‘’

এরপর মা আমার দুই ফুটকা ঢিল মারিয়া ডোবায় ফালাইয়া দিলেন । এবং সাবধান করিলেন ইহজন্মে যেন ইহাতে হাত না লাগাই ।


দুইদুইখান ফুটকা হারাবার শোকে কাতর হইয়া আপন শয়ন কক্ষে গুম মারিয়া পড়িয়া রইলাম । দুপুর বেলা অন্ন গ্রহণ করিবার তরে কক্ষ হইতে বের হইতেই দেখি বন্ধু আমার খাবার ঘরে বসে আছে । অন্ন গ্রহণ করিয়া তাহার সহিত ভ্রমণে বের হইলাম । পকেটে ফুটকা আছে কি না তাহা জিজ্ঞাসা করিলে জানতে পারি যে তাহার বাবা বালিশের নিচে আজ ফুটকা রাখে নি । বাধ্য হইয়া দুই বন্ধু দোকানে গিয়া রাজা ফুটকা চাইলাম । দোকানদার মুচকি হেসে দুই জোড়া প্যাকেট ধরিয়ে দিলো । মনের খুশীতে বাড়ি ফিরিয়ে ফুটকা নিয়া খেলিতে লাগিলুম ।

ফুটকা সাবান পানিতে ধৌত করন পূর্বক খেলিতে হইত । আমি ফুটকা ফুলাইয়া বন্ধুর কাছে দিতাম , সে সুতলি বেঁধে আসমানে উড়াইতো । ফুটকা ফুলাইতে ফুলাইতে ক্লান্ত হওয়া পূর্বক একবার আমার মুখ ফসকে একখান ফুটকা বেরিয়ে গেলো । ‘ভ্রুউউউউউউউ’ শব্দ করিয়া ইহা আকাশে উড়িয়া গেলো । ইহা দেখিয়া আমার সরল মনে একটা কুটিল খেলার বুদ্ধি জন্মাইলো ।

উঠুনে থাকা পাটশলার ভান্ডার হইতে পোক্ত একখান শোলা নিয়া ইহাকে বেজোড় খণ্ডে কাটিলাম । মাঝের নরম অংশ বের করিয়া ইহাকে ফাঁপা নলে পরিণত করিলাম । রাজা ফুটকা ফুলিয়ে ইহার পেছন দিক শোলার এক প্রান্তে আটকে দিলাম । সুতলি দিয়ে বেঁধে পার্শ্ববর্তী খালে নামালাম । তৎক্ষণাৎ ইহা আবারো ‘’ভ্রুউউউউউউউউ’’ শব্দ করিয়া স্পীড বোট এর মতো আগাইয়া চলিলো । ফুটকা স্পীড বোট এর এহেন সাফল্য দেখিয়া একের পর এক বোট পানিতে নামানো শুরু করিলাম ।

জ্ঞানীজন কহেন , সুখের সময় গুলো দ্রুত চলিয়া যায় । বেঁধে রাখা দুষ্কর । আমার সুখের সময় ওঃ শেষ হইয়া আসিলো । বন্ধু হইতে বিদায় লয়া পূর্বক গ্রামের বাড়ি ত্যাগ করিলাম । আসার সময় সে বন্ধুত্বের চিহ্ন বাবদ কয়েকটা ফুটকা হাতে গছিয়ে দিলো ।

বাসায় আসিলাম । সময় কাটিতে চায় না । এখানে ডোবা নাই । খাল নাই । পুকুর নাই । ফুটকা বোট বানাইতে পারতেছিনা । সুতলি দিয়া বাধিয়া আসমানে উড়াইয়া উড়াইয়া খেলিতে লাগিলাম ।
দ্রত ফুরাইয়া আইল ফুটকা ভান্ডার । এক সময় তাহা শূন্যে গিয়ে দাঁড়ালো । ফুটকার জন্যে মন আনচান করিতে লাগিলো । কিন্তু ফুটকার খোঁজ নাই । চরম ভাবে রাজা ফুটকা খরায় ভুগিতে লাগিলাম ।

কিছুকাল পরের কথা ।

চাচাতো ভাই সদ্য বিবাহ করিয়াছেন । দাওয়াত পাইয়া উনার বাসায় গেলুম । রাত বেশি হইয়া যাওয়ার দরুণ উনার বাসায় থাকতে বাধ্য হইলাম । পরদিন সকালে নাস্তা গ্রহণ করার সময় ভাইজান কে ডাকিতে গেলাম । ভাইজান রুমে নাই কিন্তু বিছানার উপর একখান সাদা নীল প্যাকেট আমার দৃষ্টি চরম ভাবে আকর্ষণ করিলো । প্যাকেট খুলিয়া তড়িঘড়ি করে খুলিলাম । দেখি আমার অতীত জীবনের ফুটকা । প্যাকেট উপুড় করিতেই একখান কাগজ বের হইয়া আসিলো । জিঘাংসার দরুণ কাগজ খুলিয়া পড়িতে লাগিলাম । প্রতিটা লাইন পড়িবার সাথে সাথে আমি প্রকম্পিত হইতেছিলাম এবং এতকাল আমি ফুটকা নামক বস্তু দিয়া কি কি করিয়াছি , কই কই মুখ দিয়াছি ভেবে ভেবে শিউরে উঠতে লাগলাম ।
ছোট বাংলা হরফের লেখার সাথে ছবি মিলিয়া পড়িতে পড়িতে আমার গা ঘিন ঘিন করিতে লাগিলো । দৌড়ে বাথরুমে এসে গড়্গড়ি দিলাম ।


গত কল্যের কথা ।

আমার ভাবী তথা আমার চাচাতো ভাইয়ের বউ প্রবল জ্বরে আক্রান্ত । ভাইজান বাড়িতে নাই । আমাকে ডেকে পাঠানো হল ভাবীসাবকে পাহারা দিতে । বাসায় গিয়ে দেখি ভাবী বিছানায় শুয়ে আছেন । কপালে হাত দিয়ে দেখি আগুণ গরম । দৌড়ে গেলুম ওষুধ নিয়ে আসার জনিনে । দোকানে মানুষের ভিড়ে দাঁড়ানোর ঠাই নাই । ভিড় ঠেলে দোকানীর বাড়িয়ে দেওয়া ওষুধ এর বাদামী প্যাকেট হাতে নিয়ে বাসায় পৌছালাম । ভাবীর হাতে দিয়া বলিলাম ‘ভাবী , জ্বর তো বেশি । এখন একটা নেন , আর রাতে আরেকটা । পানির গ্লাস হাতে দিয়া আমি অন্য রুমে চলিয়া গেলাম । ৫ মিনিটের মধ্যে আবার ডাক পড়িলো । ভাবীর কক্ষে গিয়া দেখি ভাবী ভ্যাবলার মতো তাকাইয়া আছেন । কহিলাম , ‘’ভাবী , কি হইছে ? ‘’
ভাবী কইলেন ‘’ তুমি এটা কি এনেছ ‘’ ।
‘’ ওষুধ আনছি ভাবী ‘’।
‘ কি ওষুধ ? ‘’ ।
‘’ জ্বর এর ওষুধ ‘’ ,

‘’ তাই ? দ্যাখো তো ‘’ বাদামী প্যাকেটটা বারাইয়া ধরিলেন । উনার হাত থেকে প্যাকেটটা নিয়ে ভেতরে উঁকি দিতেই বুকটা ধুপ করে উঠলো । সাথে সাথে প্যাকেট বন্ধ করিয়া দোকানের দিকে উলটো পা হাঁটা ধরলাম । গাধা দোকানী আমাকে জ্বর এর ওষুধ না দিয়ে কনডমের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়েছে ।



উপরিক্ত লেখা পঠিত হওয়ার মাধ্যমে আমরা জানিতে পারিলাম যে গর্ভনিরোধন খাপ শুধু মাত্র গর্ভ নিরোধক হিসেবেই নয় , শিশুদের চিত্তবিনোদন , খেলনা স্পীড বোট হিসেবেও ব্যবহার করা যাইতে পারে ।
গর্ভ নিরোধক আর বড়দের চিত্তবিনোদনের বস্তু নহে । ছোট বড় সবার সমান অধিকার ।

এতক্ষণ আপনারা যাহা পড়িয়াছেন তাহা সত্য ঘটনার আলোকে লিখিত । একদম টাটকা পোস্ট কারণ মাত্র ই লিখিলাম । ইহা প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রকাশিত হইয়াছে । শিরোনামের সাথে মিল না পাওয়া গেলে লেখক দায়ী নহে । সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণে উদ্ভুত গুরুচণ্ডালী দোষ মস্তিষ্ক প্রসূত । জীবিত , মৃত বা ভবিষ্যতে জন্মগ্রহণ করিবে এমন কাহারো সাথে কোন কিছু মিলিয়া গেলে লেখক দায়ী নহে ।
দ্বিতীয় পর্ব - ।। ” গর্ভনিরোধক খাপ” এবং আমেরিকান খাপের রেডিয়াম প্রযুক্তিতে বাঙালির সর্বনাশ ।।

স্বদিচ্ছা এবং সময়ের সমন্বয় করিতে পারিলে পড়িয়া আসিতে পারেন

১. গরম মশলা রিভিউ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪২
৪৮টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×