somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

।। ” গর্ভনিরোধক খাপ” এবং আমেরিকান খাপের রেডিয়াম প্রযুক্তিতে বাঙালির সর্বনাশ ।।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অতি শুদ্ধ বাংলায় গর্ভ নিরোধক খাপ তথা Condom এর নানাবিধ ব্যাবহারে এবং অন্যান্য আলোচনার দ্বিতীয় কিস্তিতে সকল লুল এবং অচুশীলদের স্বাগতম জানাই । এবারের কিস্তি লুলামি এবং চুশীলতার চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করিবে । তাই
সাধু সাবধান ।



এই সিরিজের প্রথম পোস্ট ছিল ।। '' গর্ভ নিরোধক খাপ '' এবং চিত্তবিনোদনে ইহার বহুরূপী ভূমিকা ।। এই পোস্টে নানান জন তাদের নানান রকম খাপীয় কাহিনী বর্ণনা করিছেন । হাস্য রসে টালমাটাল একখান পুস্ট ছিল ।
এই পুস্ট বদন পুস্তকে শেয়ার করিবার পড়ে নানান জন নানান ভাবে তাহাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেছিল । যাহা পড়িয়া আমি সহ আরও অনেকে দারুণ ভাবে বিনুদিত হয়েছেন ।

বন্ধু নাঈম এর ঘটনা দিয়া পুস্টের সুরবাত করি ।

ছোটকালে আমাদের খেলা ধুলার অপরিহার্য বস্তু হিসেবে ছিল রাজা নামের গুলাবি ফুটকা । একজনের হাতে ফুটকা দেখলেই আরেকজন লাফানো শুরু করতো ফুটকা নিয়ে খেলতে । ‘ গোলাবি ফুটকা ,জো তেরি হাতমে দেখি , খেলনে ক্যা ইয়ে মুড চারগেয়াআআআ ‘’ । ফুটকার জাতীয় সঙ্গিত বলা চলে ইহাকে । তবে , খেলাধুলা থেকে এই খাপ , খাবার জিনিস হতেও দেরি করে নি ।

বন্ধুপ্রতিম নাঈম তখন বালক । দিন দুনিয়ার সব কিছু থেকে বেখববর । বালক বয়সে আমাদের সবার ই একটা কিছুর উপর ঝোঁক থাকে । তার ঝোঁক ছিল চুইঙ্গামের প্রতি । তখন প্রাণ চুইঙ্গাম না কি যেন পাওয়া যেতো । আটা দিয়া বানায় যেগুলান আর কি । একবার আমি আর ও ক্যারম খেলছিলাম । বাজি ছিল কয়েকটা চুইঙ্গাম । ওরে গদাম সহকারে হারানোর চুইঙ্গাম জিতে নিলাম । চুইঙ্গাম গুলো না খেয়ে পকেটে রেখে আমি গেলাম গোসলে । নাঈম মোটামুটি ব্যাফুক মাইন্ড খাইছে । চুরের লাহান সে আমার পকেট থেকে চুইঙ্গাম গাপ করার ধান্দা করতে লাগলো । ধান্দায় সফল ও হইয়া গেলো । বাথরুমের বাইরে প্যান্ট খুইল্যা গেছিলাম । এই ফাঁকে সে আমার প্যান্ট নিয়া খিচ্যা দৌড় দিছে । কাক গোসল দিয়া আমি গামছা প্যাচাইয়া শরম ঢাইক্যা দৌড় দিলাম । প্যান্ট থেইক্যা সে খাবলা মেরে চুইঙ্গামের প্যাকেট নিতে লাগলো আর খুলে মুখে দেওয়া শুরু করলো । যে পকেটে চুইঙ্গাম ছিল সে পকেটে একটা ফুটকা ও ছিল ।
সে ফুটকা চিনে না । তাড়াহুড়ায় ফুটকার প্যাকেট ছিড়্যা সে ওইটাও মুখে দিয়ে ফেললো । মুখে দিয়ে তো আর বাছাধন চাবাতে পারে না । ফুটকার সাথে থাকা তেলে তার মুখের চেহারা বিকৃত হয়ে গেলো । চোখ উলটে সে বমি করা শুরু করলো । বন্ধু আমার চুইঙ্গাম খাইতে পারে নাই । উলটা ক্ষতিপূরণ দিছে :/



ছেলেমানুষি কাহিনী অনেক হল । এবার একটু বড়দের কথা বলি । আহসান ভাই । একাধারে বন্ধু এবং বড় ভাই । থাকেন বড় ভাই আর বোনের সাথে । চাকরি করেন , সুবাদে সুন্দরী প্রেমিকাও আছে । প্রেমিকার বাবা-মা প্রেমিকাকে তাগাদা দিচ্ছে বিয়ের জন্য প্রেমিকা আহসান ভাইকে তাগাদা দিচ্ছেন বিয়ের জন্য , আহসান ভাই তাগাদা দিচ্ছেন উনার বড় ভাইকে , বড় ভাই তাগাদা দিচ্ছেন বাবা-মা কে । চেইন অব তাগাদা আর কি । হাজার ধরনা দেওয়ার পর ও আহসান ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছিল না । প্রেমিকা চেইত্যা ফায়ার । গাল ফুলাইয়া অপ । প্রেমিকার অপ মার্কা মুখ দেইখ্যা আহসান ভাইয়ের দিমাগ ক্যা বাত্তি জইল্যা উঠলো । সাত পাঁচ চিন্তা ভাবনা করে এক রাতে বাসায় না গিয়ে থাকলেন বন্ধুর বাসায় । পরদিন সকালে গেলেন নিজের বাসায় । গিয়ে সোজা বাথরুমে গিয়ে গোসল শেষ করে বেরোলেন । এর আগেই উনি কর্ম সমাধা করেছেন । এখন শুধু রেজাল্টের অপেক্ষা ।

কিছুক্ষণ পর বুয়া কাপড় ধুতে এলো । আধা কাপড় ধুয়ে বুয়া বাথরুম থেকে বেরিয়ে আহসান ভাইয়ের বড় ভাইয়ের কানে কানে কি যে বলল । বড় বড় চোখ করে উনি তাকিয়ে থাকলেন আহসান ভাইয়ের দিকে । তারপর কিছুদিনের মধ্যেই আহসান ভাই আর উনার প্রেমিকার হ্যাপি ওয়েডিং হয়ে গেলো । ( কতটূকু হ্যাপি ওয়েডিং তা বুঝবেন এরপরের কাহিনীতে । )

পাঠক নিশ্চয় চিন্তা করছেন পোস্টের সাথে এই কাহিনীর সম্পর্ক কি ? আর আহসান ভাই এমন কি করলেন যে উনার বিয়ে হয়ে গেলো ? আমি বলবো না । বলতে হবে আপনাদের । যদিও ব্যাপারটা খুবি সহজ । আশা করি সবাই ধরে ফেলেছেন ।



আমেরিকা এমন একটা দেশ , যেখানে পৃথিবীর সব আজিব পাবলিক আছে । তাদের মাথা থেকে প্রসবিত হয় নানান আজিব আজিব বুদ্ধি । এসব বুদ্ধি মাঝে মাঝে বাঙালির দাম্পত্য জীবন হুমকির মুখে ফালায় । চিন্তা করেন , কি বুদ্ধি হইতে পারে যা কিনা সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হইয়া হ্যাম্পার করে ।
যাই হোক ,
বিয়ের পর মোটামুটি সব ঠিকঠাক ই যাচ্ছিল আহসান ভাই আর ভাবীর । লাজশরমের মাথা খাইয়া বলি , বিয়ের পর অ্যাডাল্ট ফুটকা একটু বেশিই জরুরী । আহসান ভাইয়ের এক মামা আমেরিকা থাকেন । ভাগ্নের সুবিধার্থে পাঠালেন সেখানকার ‘’ ব্রান্ডেড ফুটকা ‘’ । তিনি যে ফুটকার মধ্যে বোমা পাঠালেন আর সেই বোমা যে এতো বড় ক্যালেংকারি করবো সে উনি জন্মেও হয়তো ভাবেন নি ।

ছোট বেলায় ফুটকা নিয়ে খেলা আমাদের সবার জন্যই সুখকর অভিজ্ঞতা । বড় বেলায় হয়তো আরও বেশি ;) তবে তা অবশ্যই দেশী পণ্যের ক্ষেত্রে ;)

বিদেশী পণ্য ব্যাবহার করার জন্য আহসান ভাই সাহস দেখালেন । স্বাভাবিক , রাত ই এটা ব্যাবহারের উপযুক্ত সময় , এবং অবশ্যই অন্ধকারে । জাউক গা , আহসান ভাইয়ের ভাষাতেই বলি ,

‘’ আমার এক মামু গিফট করে ছিল অ্যামেরিকান রাজা মামাকে... ও খোদা উহা রাতের বেলায় বিভিন্ন কালারে জ্বলতে থাকে...পরে বুঝলাম শালারা রেডিয়ামও লাগাইছে...তবে ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে! মানে তিনদিন রাতে শোয়ার জায়গা ছিলোনা!!! ড্রয়িং রুমে রাত কাটাইতে হইছে ঐ শালার জন্য :’( ‘’

কথাটা শুনে আমি হাসুম না কান্দুম বুঝতেছিলাম না । আমেরিকান জিনিসে রেডিয়াম লাগানো ছিল । অন্ধকারে এটা স্বাভাবিকভাবেই নানান রঙে জ্বলছিল । পুরাই আজিব একটা জিনিস ছিল । প্রতি ঝাঁকিতে এটার কালার চেঞ্জ হয় । আহসান ভাই আর ভাবী দুইজনেই এটা দেখে ভয় পাইছিলেন । আর ভাবী এতোই ভয় পাইছিলেন যে উনি আহসান ভাইরে শাস্তি দিছিল । তিন রাত সোফায় ঘুমাতে হবে । নো এন্ট্রি ইন বেড রুম । হার বেড রুম ।

আহসান ভাই এখনো আফসোস করেন আর মনে মনে ওই মামুরে গদাম দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন । উনার পাঠানো গিফট উনার বিয়া ভাইঙ্গা লাইবার উপক্রম করছিল । হাউ ডেয়ার ।



এবারের পর্ব টা মজা করে লিখতে পারি নি । নর্মাল ভাবে কাহিনী তুলে দিলাম । জাতে থাকা ব্লগাররা তো এমন ভাবেই লিখেন তাই না ? আশা করি এভাবে লিখে জাতের ব্লগার হতে পারবো ।
মনটা খারাপ হয়ে আছে । কয়েকদিন পর ই পরীক্ষা , আর আমি শালা এখনো বই কিনি নাই ।
পরশু দিন একটা পোস্ট দিলাম । এটা নিয়া ক্যাচাল । হেনতেন । বাপ যা কইবি আমার ব্লগে ক , অন্যের ব্লগে ক্যানু । নতুন আইছি বইলা কি মানসম্মান নাই ?

আর মডুভাই । একটু বুঝে শুনে কাম করেন । আপনার কাজ কর্ম আরেকজনের জন্য চরম বিব্রতকর হতে পারে । প্লিজ । কাজে একটু ডেডিকেশন দেখান ।




আরে ধুর । কাহিনী পুরা না লেইখ্যা ই লাফাইতেছি ।
হুম । আহসান ভাইয়ের বিয়ের কিভাবে হল বলি । যদি কেউ ধরতে পারেন , মন্তব্য করে জানাবেন ।

সকালে আহসান ভাই বাসায় গিয়ে উনার প্যান্টটা বাথরুমে দিয়ে আসেন ধোয়ার জন্য । প্যান্টের পকেটে রেখে আসেন একটা ‘খাপের’ প্যাকেট আর একটা খোলা ‘খাপ’ । ওই খাপটা উনি সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে , ভেতরে হালক্যা ফেনা রেখে চলে আসেন । বুয়া কাপড় ধুতে এসে এটা দেখেই উনার বড় ভাইকে বলেন , আর বড় ভাই বাবাকে । ছেলে হাত থেকে বেড়িয়ে গেছে , মান সম্মান নিয়ে টানাটানি লাগবে , ছেলে এখন এসব করে বেড়ায় , এই ধরণের চিন্তা ভাবনা থেকে উনাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগেন । ফলশ্রুতিতে উনাদের বিয়েও হয়ে যায় । আর রাতের বেলা বন্ধুর বাসায় থাকেন এই ধারণাকে পোক্ত করার জন্য ।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । পোস্টে এসে গালি+চুশিলামী+ত্যাড়া কথা বলবেন না । শুভ রাত্রি ।

প্রথম পর্ব - ।। '' গর্ভ নিরোধক খাপ '' এবং চিত্তবিনোদনে ইহার বহুরূপী ভূমিকা ।।

এই পোস্টের একটি অনুলিপি জমা রাখলাম আমার ব্লগে
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×