ঘরের মেঝেতে পরে আছে
বোনের অর্ধনগ্ন লাশ, সায়ানাইডের বোতল, একটা চিরকুট।
চিরকুটে লেখা-
'এ ঘরে ঈশ্বর ছিলনা, মাষ্টার দা ছিল'
ধর্ষণ আজকাল শিক্ষা যার দায়িত্ব পালন করে গৃহশিক্ষক
কৃতজ্ঞ হলাম।
বোন সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে
মন খুলে হাসলাম।
ফ্রিজ খুলে গোটা পাঁচেক মিষ্টি গিললাম ক্ষুধার্তের ন্যায়
খুশির খবরে মিষ্টি খেতে হয়।
গোটা কয়েক মিষ্টি ঠুসে দিলাম বোনের মুখেও
এটা অভ্যাস।
সংবিধান অনুযায়ী ধর্ষিতা এবং সেচ্ছামৃতদের ময়নাতদন্ত হয় !
বোনের জন্য মায়া-
চিরকুট পুড়িয়ে ফেললাম
চোখ বেঁধে ধুয়ে ফেললাম বোনের রক্তাক্ত যোনী।
প্রমানহীন সকল মৃত্যুই স্বাভাবিক মৃত্যু; ময়নাতদন্ত হয়না
বাঁচা গ্যালো।
ধর্ষিতা'কে কবরে নামানোর আগে শেষবার গোসল করাতে গিয়ে
জমিরণ চাচী চেচিয়ে বললেন,
'সর্বনাশ ! মাইয়া তো রেপ হইছে' !
যা শালা !
মাথায়ই আসেনি;
ধর্ষকের নখের আঁচড়ে, দাঁতের কামড়ে ছিলে গ্যাছে ধর্ষিতার গলা, স্তন এবং নাভি
খিস্তি দিলাম নিজেকে।
পুলিশ'রা দায়িত্ব পালনে সচেতন বিধায়
বোনের শরীরের সর্বশেষ পরমেশ ছিল তিন জন ডোম।
আমার ধারণা, তাদের কেউ একজন আক্ষেপ করে বলেছিল;
'ইশ ! এমন একটা মাল জিন্দা অবস্থায় পেলে' !
অ-বিচার যেখানে এদেশের প্রধান সংবিধান
সেখানে বিচারের স্বপ্ন দ্যাখে- মূর্খ।
এক বন্ধুর থেকে নতুন একটা শব্দ শিখলাম- 'প্রতিশোধ'।
একদিন !
মাষ্টারের বোনকে ধর্ষণ করে ফেলে রাখলাম রাস্তায়।
পরেরদিন লোকমুখে সে ধর্ষণের খবর
আমি দেবশিশুর মত হাজির মাষ্টারের সামনে;
বললাম, 'আমি আপনার ধর্ষিত বোনকে বিয়ে করতে চাই'।
বাসর রাতে স্ত্রীর মুখে শুনেছিলাম সেই ধর্ষকের বর্বরতার গল্প
হাসি পায়; আমাদের প্রথম সঙ্গমে আমার স্ত্রী সেই ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেনি।
উল্লেখ্য, বোনের বিয়ে সম্পন্ন হতেই মাষ্টার আত্মহত্যা করেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১