মানবতার প্রশ্ন যখন আসে,তখন আমরা বই এর পাতায় লিখা মহান মনিষীদের রেখে যাওয়া আখ্যান মুখস্থ আওড়াতে থাকি।। যেন বুলি শিখানো তুতা পাখি। খবরের কাগজ,ফেসবুক,অনলাইন ব্লগ যত্র তত্র সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবর্ণনীয় কষ্টের ছবি। বুঝলাম,অতীতে এই জনগুষ্টিকে ঢুকানোয় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে। তাই বলে কি রোহিঙ্গাদের সর্বোপরি নারী-শিশুদের ঝড় বিক্ষুব্ধ উত্তাল বঙ্গোপসাগরে ফিরিয়ে দিতে হবে?!!পত্রপত্রিকা গুলো এমন ভাবে লিখছে যেন ওদের কে মামা বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই আবার এর পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন ! হায় সেলুকাস!বিচিত্র তুমি মানবতা। ধিধা তুমি ধরণী। দুঃখিত ধরণী বলা ঠিক হবেনা শুধু বাংলাদেশ বলাই বাহুল্য । অসংখ্য নারী শিশুদের সাগরের মধ্যে ঠেলে দিয়ে শুধু তাদের সমাধিস্থ করা হলনা সাথে মানবতার ও সলিল সমাধি হতে যাচ্ছে বা হচ্ছে। ফেসবুকে/ব্লগে অনেকের মতামত পড়ছিলাম,অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করে যাচ্ছেন। অবাক লাগল কিছু কিছু মন্তব্য পড়ে। যা শুধু প্রতিহিংসারই আস্ফালন। উনাদেরকে প্রশ্ন করি, নৌকার মধ্যে অবর্ণনীয় অনাহারের কষ্টে থাকা এই শিশুগুলোর মুখগুলি কি আপনাদের একটুও ভাবায় না??ভাবুন না একটিবার নিজের কোন এক প্রিয়জন কে অথবা যাদের সন্তান আছে তারা নিজ সন্তানদের এই দুরাবস্থায় কল্পনা করে দেখুন।।। আসলে এই বেপারটি স্বভাবতই কালের সাক্ষী ,মানুষের নিজের উপর না পড়লে অন্যের দুরাবস্থা বুঝতে কষ্ট হয় ।
আমি ইতিহাস কবচাতে যাচ্ছিনা,কারণ এই শিশুগুলো ইতিহাসে জন্ম গ্রহণ করেনি । আর বাংলাদেশের সরকারের কথা কি বলব !! ৭১ কি সবাই ভুলে যাচ্ছেন?? আমরা কি শরণার্থী হই নি?? ভারত যদি আমাদের কে জায়গা না দিত তাহলে কি দাঁড়াত?? শরণার্থী শব্দটার মানে আগে আমাদের দেশ পরিচালকদের অভিধান ঘেঁটে জানতে হবে। শরণার্থী তাদেরকেই বলে যারা জাতি কাল পাত্র ভেদে সব অতীত দেনা পাওনা হিসেব নিকেশের উরধে উঠে সাহায্যের শরণাপন্ন হয়। অতএব সরকারের উচিৎ হবে সব কিছুর উরধে উঠে মানবতার স্বার্থে শরণার্থী শব্দের যথার্থতা প্রতিপন্ন করা।
অন্য দেশের কথা ভেবে আমাদের লাভ নেই--- অন্য কেউ বর্জ্য ত্যাগ করলে আমাদের ও যে সমান তালে লাইন ধরে দাড়াতে হবে এমন তো কথা নেই--- অবাক লাগলো বাংলাদেশের নীরবতা দেখে--- ভাগ্য ভালো হাজার কয়েকের, মুসলিম সম্প্রদায়ের তকমা হেতু তুরস্ক প্রেসিডেন্ট এগিয়ে এসেছিলেন বটে।