সবুজ রঙা কলম
হড়হড় করে বমি করছে
নর্দমা রং কালি
আর আঁকা হয়ে যাচ্ছে
বিচ্ছিরি সব ম্যানহোল

গর্তের ভিতর মানুষ
পোকার মত কিলবিল
শোনা যায় একটানা শব্দ
ইয়াক! ইয়াক! বাকিটুকু পড়ুন

কি যেন আমায় তুলে ধরেছে ! হাতের তালুতে পা মুঠো করে নিয়ে উপরে বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রমশ ! এই তো থানকুনি লতা ছেড়ে গেল গোড়ালি ! কোমরের খাঁজে মুখ ডোবানো হরিণী ঝিরঝির কাঁপনে চমকালো খুব; তারপর এক দৃষ্টিতে তাকিয়েই রইলো, তাকিয়েই রইলো যেন এই আমাকে দেখেনি কখনও । আমি একটা পাখি... বাকিটুকু পড়ুন

আমি দ্রুত উড়েই যাব
সর্ষে ফুলের হলুদ ক্ষেতে ছোট্ট ছোট্ট হলুদ ডানা
এই আসে যায়, এই আসে যায়
এইবারে আমি ডুবেই যাব পাতার তলে, দেখবে না আর।

নদীর পারে দাঁড়িয়ে থেকে আমায় তুমি বিদায় দেবে ?
অল্প অল্প দূরে যাব, আস্তে ধীরে হালকা হবে ?
গা সওয়া এই যাচ্ছি – যাব – যাচ্ছি বলে ?
এ মাঘেতে... বাকিটুকু পড়ুন

তার প্রসারিত হাতের নিচে
সরু গলি
মুখোমুখি দুটি জানালা চিরমুক
তালা ঝোলানো গেট
কিছু মানুষ প্রবেশ করে,
কেউ কোনদিন করে না।

বুড়ো মুচি ঘা মারে শুকতলিতে আর শব্দ হয়
ঢ্যাপ...... ঢ্যাপ.... ঢ্যাপ.....
থুতু পড়ে নর্দমায়।

পচা কাদা পাকে জলপোকাদের ঘরবাড়ি
আমাদেরই মতো -
কিছু মনে করে না।
বাকিটুকু পড়ুন

চোখ ক্লান্ত – অবিকল বন্ধ দুর্গে সবুজ শ্যাওলা সকল
তাকালেই তালা দেয়া কংক্রিট বিমের আকাশ ।
মাঝেমাঝে জেগে যাওয়া ঈগল আঁচড়ায় – অসহ্য ক্ষুদ্ধতায়
অত:পর এক ঘাড় ভাঙা চড়ুই নেমে আসে;
ডুবে যায় চোখের ভিতর

পাল্টায় না ঋতু আর, ঝুলে আছে মাকড়সা মলিন
... বাকিটুকু পড়ুন

আছি : আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বাগানে, জমিনের ওপর গড়াগড়ি খেয়ে
বেড়েছি, পরিচর্যা করেছি নিজেরাই নিজেদের, হয়েছি সৌরভ ।

আমরা চেয়েছি সবুজে সবুজে ছড়িয়ে যেতে এবং হঠাৎই আমাদের ছেটে দেয়া হয়
ডালে ডালে পরস্পরকে জড়িয়ে থাকতে এগিয়েছি এবং আমাদের ভেঙে দেয়া হয়
আমরা আলোর দিকে যাই আর ঢেকে দেয়া হয় ছায়াতে
জ্বালিয়ে রাখা হয় আগুন... বাকিটুকু পড়ুন

এখানে কি ?
শিশুর আওয়াজ
- প্রথম কান্নার
- প্রথম পানের

ওখানে কি ?
মৃত্যুর ডাক
- শেষ কান্নার
- শেষ পানের ।

বাকীটা সময়
ময়লা কাদা
সাফসুতরো
নিংড়ে নেবার

দেহ মস্ত জলাধার ।
বাকিটুকু পড়ুন

ক)
শুয়ে আছে বিছানায়
ব্যবহৃত হওয়া গাছ ও মানুষ।
জাজিমের ভেতর অপেক্ষা করছে সময়,
- ধুলো করবার।

ধুলোতো মিলন, প্রতিদিন জমতে থাকে
আর উড়িয়ে দেই।

খ)
এই আকাশের জন্য কি করা - ঘন হয়ে নামছে
উঁচু উঁচু বাড়ির ওপর
চিলেকোঠাগুলির মুখে চেপে দিচ্ছে অন্ধকার
প্রকান্ড শীত মাথায় ধরে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বাতাস -
ঘরে ঢোকে, সরসর করে পেঁচায় ।

কুন্ডলীর চাপে দমবন্ধ মানুষেরা... বাকিটুকু পড়ুন

ক)
জলেতে চড়ুইর মুখ, চোখ ছায়াচারী
ছায়া ও প্রেম, মাঝে জলসঞ্চারী

দুই ফোঁটা ঠোঁটে বাকী উদ্বেগে

যতনা অবগাহন তারচে’ সাতকাহন - যথেচ্ছ যন্ত্রণার
যতনা ভালবাসি তারচে’ বানভাসি... বাকিটুকু পড়ুন

মনের ভিতর মানুষ না থাকলে, মানুষ কেমন মরা যেমনে
মরা মাছ ভাসে জলের ভেতর
ভাসে কেবল, সাঁতরায় না
প্রাণের জলে সাঁতরায় না ।

কাঁকড়া খোটায় নরম কাদায়
সে দাগ কোথাও দেখন না যায়
খালি পানির রং ঘোলা হইয়া যায়
চেহারা হয় সেই ঘোলা রং, কাঁচা হলুদে ঢাকে না ।
শিলের পাটা ছাড়ে না ।

মেন্দি পাতা শুকায়ে ঝরে, উইড়া... বাকিটুকু পড়ুন

চ্যাপ্টা হওয়া শরীরটা লেগে আছে নোনা ধরা দেয়ালের আছে, রঙ চটা কোণের দিকটায় বহুদিনের ধুলো জমা মাকড়সার কালো ঝুল, তন্তুগুলোর পাশ দিয়ে আসবার সময় সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো টাঙিয়ে রাখা অষ্টপদীর মশারি আগের মতনই আছে কিন্তু মালিক নেই। বাচ্চা দিয়ে হয়তো কোথাও মরে টরে পড়ে আছে, এমন ভাবনায় সে কয়েক... বাকিটুকু পড়ুন

মাল মুহিতের টেনশন না যায়
এত পয়সা কই যায় ?

কপাল আমার অনেক বড়। রাখলে আগুন গলা পয়সা,
অনায়াসে ঢুকে যায়

দেখি তোর ছাদের ছিরি ! আহারে ! এমনই বিচ্ছিরি !
টেনশন না যায়। বাকিটুকু পড়ুন

- তার মানে তুমি বলতে চাও রোবো-হিউম্যান ।

- একজেক্টলি । পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ যারা খায়-দায়-ঘুমায়, সন্তান উৎপাদন করে, সংসারে ঝগড়া ফ্যাসাদ করে করে রাতে এক বিছানায় শোয়, সর্দি হলে হাঁচে, হাচতে হাঁচতে কেউ চুলায় রান্না করে, জ্বর কাশিতে নাক মুছতে মুছতে বসের ঝাড়ি খায় আর মনে মনে দিনে অন্তত... বাকিটুকু পড়ুন