বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী সম্প্রতি মে মাসে ২টি পোষ্ট লিখেছেন যার একটি হলো, "বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।"
লিংক Click This Link
বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সেনা অভিযান না করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ছিলো কি ছিলো না তা নিয়ে আলোচনার টেবিলে অনেক ঝড় উঠেছে। আমি এ ব্যাপারে আজ যাবো না। সত্যি বলতে কি, সেনা অভিযান চালানো উচিৎ ছিলো কি না তা নিয়ে আমি নিজেই কনফিউজড। আমার কাছে ২ টার পক্ষে-বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি আছে যা নিয়ে আজ নতুন করে ঝড় তুলতে চাই না। তবে হাসান কালবৈশাখী অনেক গুলো ভুল যুক্তি-তর্ক উপস্হাপন করেছেন যা পয়েন্ট আউট করে তাকে সঠিক তথ্য দেওয়া এবং ভবিষ্যতে না জেনে অহেতুক বিতর্ক না করার বিনীত অনুরোধ করাই এই পোষ্ট এর উদ্দেশ্য।
বিমান বিধ্বংসী কামান নিয়ে হাসান কালবৈশাখী বলেছেন, " এই বাহিনী অস্ত্রসস্ত্র সুধুমাত্র বিমান হামলা প্রতিরোধ করা ছাড়া অন্যকোন কাজে ব্যাবহার করা যায় না, এই বিমান বিধ্বংসি কামানের গোলার ফিউজ বিশেষভাবে তৈরি, এই কামানের গোলা সর্ব্বচ্চ উচু তে উঠে নিচে পড়ার পুর্বমুহুর্তে আকাশেই বিষ্ফোরিত হয়, কামানের নলও বেশী করা নিচু করা যায় না। তাই এই কামান কোন অবস্থাতেই ভুমিতে আক্রমনের উপায় নাই। সুধু শব্দ ভিতি শৃষ্টি করা সম্ভব। সেটাও পরবর্তিতে আরেকটি ঝামেলরপুর্ন বিপদের শৃষ্টি হত, অবিষ্ফোরিত গোলাগুলো খুঁজে অপসারন করার।"
আসল সত্য হলো, এই গোলার ফিউজ বিশেষভাবে তৈরী যা সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠে নীচে পড়ার পূর্বমুহুর্তেই আকাশে বিস্ফোরিত হয় ....... যদি.... তা কোন কিছুতে ইমপ্যাক্ট না হয়/ আঘাত না করে।
হাসান কালবৈশাখীর বক্তব্য অনুসারে অবিস্ফোরিত গোলা খু্ঁজে অপসারন করার কথা ঝামেলাপূর্ণ বিপদ হত। হ্যা, তা হত যদি গোলার ত্রুটির জন্য কোন গোলা বিস্ফোরিত না হত। তা না হলে, সর্বোচ্চ রেন্জের মধ্যে গোলাগুলো কোন কিছুতে আঘাত হানলেই বিস্ফোরিত হত, হোক সে দেয়াল, বা মানুষ বা গাড়ী বা বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর এপিসি। আপনিই বলুন, হাসান কালবৈশাখীর বক্তব্য যদি ঠিক হত, তাহলে ঘটনাটা কেমন দাড়াত বলি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত 14.5 mm 4 Barrel Anti Air Craft Machine Gun Type -56 এর কার্যকরী দুরত্ব হল বিমান বিধ্বংসী ভূমিকায় ২০০০ মিটার এবং গ্রাউন্ড রোলে (স্হলবাহিনীর বিপক্ষে) ১০০০ মিটার। এখন শত্রু বিমান যদি ১২০০ মিটার দিয়ে উড়ে যায় এবং এই কামানের গোলা যদি আঘাত করে তাহলে হাসান কালবৈশাখীর কথা অনুযায়ী তা বিস্ফোরিত হবে না এবং শত্রু বিমানের কোন ক্ষতি হবে না। কিংবা ক্ষতি হলেও ঐ গোলা টি ঢিল হিসেবে ক্ষতি করবে, গোলা হিসেবে নয়। ঘটনাটি কি এমন ই দাড়ায় না।
এত কথা না বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষন চলাকালীন সময়ে এই কামান (বস্তুত মেশিনগান) গ্রাউন্ড রোলে ফায়ার করার একটি ছবির লিংক দিলাম। আশা করি হাসান কালবৈশাখী ভাই এটা পড়ে নিজ দায়িত্বে নিজের পোষ্ট এবং কমেন্ট সংশোধন করে নিবেন।
Click This Link
হাসান কালবৈশাখী ভাই আরো বলেছেন," আর্মির দেখা পেয়েই ৪নং গেট ট্রাষ্ট ব্যাঙ্কের পাস থেকে বেপরোয়া ভাবে গুলি বর্ষন করা সুরু করে BDR, কানফাটানো মেসিনগানের ঠা ঠা ঠা শব্দে দিক-বিদিক ছুটাছুটি সুরু হয় পাবলিকের। কামানের কাছে দন্ডায়মান তিন-চারজন সেনা কবুতরের মত গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পরে। জিগাতলায় সেই দিন উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মিরা তাদের আনাড়িপনা দেখে বিস্মিত হয়ে যায়। তারা সেনা মোতায়েনের সময় উপস্থিত পুলিশের পরামর্শ পর্যন্ত নেয়নি,"
মজার তথ্য হলো, তিন-চার জন নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছিল ২ জন। তারা মোটেই কামানের পাশে ছিলেন না। তারা ছিলেন ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্ত ইন্জিনিয়ার কোম্পানীর জীপ এ। জীপটি চলমান ছিল। একটি মাত্র গুলি এসে প্রথমে জীপের সামনের উইন্ডশীল্ড ভেংগে পেছনে বসা উক্ত কোম্পানীর সৈনিক জহির এর মাথার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে পাশে বোশা সৈনিক এর গলা্য় বিদ্ধ হয়। জহির মারা যায় এবং পাশে বসা সৈনিক আহত হয়। আপনি বলেছেন যে ২ জন মারা যায়। আপনার এ তথ্য সম্পুর্ন ভুল অথবা মিথ্যা। আর সামরিক বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে পুলিশের মতামত নেওয়া অযৌক্তিক কেননা ২ বাহিনীর অভিযান সম্পূর্ন ভিন্ন প্রকৃতির।
হাসান কালবৈশাখী আবার বলে বসতে পারেন, ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনে কোন ইন্জিনিয়ার কোম্পানী নেই। না রে ভাই, আছে। ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড একটি স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড হওয়ায় এটি ফাইটিং ফরমেশন হিসেবে পরিগনিত। স্বতন্ত্র ব্রিগেড ছাড়া অন্যান্য ব্রিগেড ডিভিশন এর অধীনে থাকে এবং সেক্ষেত্রে ডিভিশন ফাইটিং ফরমেশন হিসেবে পরিচিত। ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড কোন ডিভিশনের অধীনস্ত নয়। এ জন্য এর অধীনে ফাইটিং ফরমেশনে যা যা থাকা উচিৎ তার প্রায় সবই আছে। ইন্জিনিয়ার কোম্পানী সহ।
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন, যেসব মতলববাজ সেনা কর্মকর্তা বলে তাৎক্ষনিক সেনা অভিযান চালাতে সরকার বাধা দিয়েছে, এদের কে ধরে থাবরানো দরকার। তাৎক্ষনিক কেন প্রথম দিন আক্রমন দূরে থাক এই ঢিলা বাহিনির আক্রমন সামাল দেয়ার ক্ষমতাও ছিলনা। তাহলে কেন তাদের হাজির করা হয়েছিল ? আমার ধারনা কারন একটাই, এই এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড ঢাকার সবচেয়ে কাছে বিমান হামলা থেকে বিমানবন্দর রক্ষায় মোতায়েন এবং এরা ২৪ ঘন্টাই প্রস্তুত থাকে। সুধুমাত্র এই বাহিনীটিকেই ২ ঘন্টার ভেতর মোতায়েন সম্ভব ছিল। কিছু না করার চেয়ে কিছু একটা মোতায়েন করা দরকার ছিল।
সত্য হলো, ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড থাকে ঢাকা সেনানিবাসে (এর অধীনস্ত আর্টিলারী ইউনিট থাকে মিরপুরে) এবং জাহাংগীর গেট থেকে মোটামুটি যথেষ্ট কাছে। এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড থাকে মিরপুর সেনানিবাসে। বিমানবন্দরে এরা থাকেনা। রাডারে সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লে বিমান বাহিনীর গ্রাউন্ড ইউনিট প্রাথমিক বিমান প্রতিরক্ষা দেয়। এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারিকে রেডী করতে যত সময় লাগে, পদাতিক ব্রিগেডকে রেডী করতে তারর সমান বা কম সময় লাগে। এখন বলেন, কোথা থেকে পিলখানা তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়। জাহাংগীর গেটের কাছের ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড থেকে? নাকি মিরপুর-১২ এর কোনার এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড থেকে। পাঠক রা এবার আমার দেওয়া সম্পুর্ন সঠিক তথ্য বিচার করে ঠিক করেন কে মতলববাজ? তারপর হাসান কালবৈশাখীর প্রস্তাবনা অনুযায়ী থাপড়াতে চাইলে অন্য কথা।
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন "বিকেলের দিকে সাভার থেকে চার-পাঁচটি APC ট্যাঙ্ক হাজির করা হলেও এর কোন অস্ত্র, গোলা-বারুদ ছিলনা, ট্যাঙ্কের গোলাবারুদ রাজেন্দ্রপুরের একটি ভিন্ন অস্ত্রাগারে রক্ষিত ছিল। সে গুলো এনে ট্যাঙ্ক ও কামান প্রস্তুত করতে করতে বিকেল-সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগে গিয়েছিল। (পরবর্তিতে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সেনা কর্মকর্তারা এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন) সন্ধ্যা পর্যন্ত APC (ট্যাঙ্ক) এ যন্ত্রপাতি লাগাতে দেখা গেছে। এইসব সেনারা যুদ্ধ লাগলে যে কি অবস্থা করবে ...!"
ভাইজান, ট্যাংক এক জিনিস আর এপিসি অন্য জিনিস। এটা আগে ভালো করে বুঝে এসেন। ট্যাংক এর গোলা রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে থাকে শুধু সাভার সেনানিবাস এর ট্যাংক এর গুলো। এবং তা রাজনৈতিক নিরাপত্তার খাতিরে। অন্যান্য সেনানিবাসের সাঁজোয়া ই্উনিটের গোলা তাদের ই্উনিটেই থাকে। বাংলাদেশে যুদ্ধ লাগলে শত্রুর ট্যাংক বা পদাতিক বাহিনী আকাশ থেকে উড়ে আসবে না।সীমান্ত হয়েই আসবে। তখন অন্যান্য সেনানিবাসের ট্যাংক ইউনিটগুলো প্রথমে সামাল দিবে। ততক্ষনে সাভার সেনানিবাস ট্যাংক এর গোলা পেয়ে যাবে। অতএব, এই সেনারা যুদ্ধ লাগলে কি অবস্থা করবে তা চিন্তা না করে আপনি কি অবস্থা করবেন আপাতত তাই নিয়ে চিন্তা করুন।
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন," দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ স্টাইলে ভারি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আর্টিলারি ব্রীগেড আবাহনির মাঠ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে একযোগে কামানের গোলাবর্ষন করে নিজেরা নিরাপদ থেকে বিদ্রহীদের প্রতিরোধ ভাংগার প্রানঘাতি পরিকল্পনা নেয়া হয়। গোলাবর্ষনের মাধ্যমে নির্মুল করার পর APC (আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার, ট্যাঙ্ক এর মত) প্রবেশ করার পরিকল্পনা হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে পিলখানার আসেপাসের ৩ কিলো এলাকার লোকজন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেয়া হয়।
(এদের কামানের একুরেসি-এরর ৩ কিলো? বজলুল হুদার কামানও মনে হয় এর চেয়ে একুরেট ছিল, ৩২ নং বঙ্গবন্ধুর বাসা লক্ষ করে নিক্ষিপ্ত কামানের গোলাগুলো পরেছিল ২ কিলো দূরে জেনেভা ক্যাম্পে) "
ভাইজান, ওখানে বিডিআর ৮২ মিমি মর্টার ব্যবহার করেছিলো যার কার্যকরী দুরত্ব ৩০৪০ মিটার। চারদিক থেকে সেনা অভিযান হলে বিডিআর এর সদস্যরা বাচার আত্মরক্ষার জন্য চারদিকেই গোলাবর্ষন করতো। তাই বেসামরিক জনগণকে ৩ কিলোমিটার দুরে সরে যেতে বলা হয়েছিলো। এটা সেনাবাহিনীর এ্যাকুরেসি এরর না, আপনার জানার এরর।
আর বেশীকিছু বলতে মন চাইছে না। শুধু আপনার ঐ বেয়োনেট সংক্রান্ত কথা নিয়ে বলবো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২ ধরনের বেয়োনেট ব্যাবহার করা হয়। নাইফ টাইপ এবং স্পাইক টাইপ। নাইফ টাইপ বেয়োনেট এর সুবিধা হলো এটি খুব সহজেই অস্ত্র থেকে খুলে ফেলা যায় এবং খুব সহজেই তা লাগানো যায়। আর স্পাইক টাইপ বেয়োনেট অস্ত্র থেকে খোলা-জোড়া একটু কষ্টকর। স্ক্রু ড্রাইভার লাগে। কিছুদিন আগেও আমাদের ২টি ডিভিশনেন সৈন্যরা জি-৩ রাইফেল ব্যবহার করত। ওটায় নাইফ টাইপ বেয়োনেট ব্যবহার করা হত। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরীতে উৎপাদিত বিডি-০৮ রাইফেলে নাইফ টাইপ বেয়োনেট সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবহৃত ৭.৬২ মিমি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল টাইপ-৫৬ (চায়না) তে এবং ৭.৬২ মিমি এসএমজি টাইপ-৫৬ (চায়না) তে স্পাইক টাইপ বেয়োনেট ব্যবহার করা হয়। আপনার লেখার জবাবে ৯৬ নং কমেন্টে রিফাত হোসেন এর বক্তব্যের জবাবে আপনি যে ছবি দিয়েছেন, তার সামনের ব্যাক্তির হাতে ধরা রাইফেল এর ব্যারেলের নীচের চকচকে রুপালী অংশটি হলো ৭.৬২ মিমি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল টাইপ-৫৬ (চায়না) তে সংযোজিত স্পাইক টাইপ বেয়োনেট যা ফোল্ডেড অবস্থায় রয়েছে। দেখেন সেই রুপালী চকচকে অংশটি চিনতে পারছেন কি না?
link Click This Link
তবে ভাইজান, সেনা অভিযান চালাতে না দিয়ে সরকার ঠিক নাকি বেঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বোঝা আপনার বা আমার সাধ্য নাই। এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি থাকবে। তবে, সেনা অভিযান চালানোর আগে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করা উচিৎ ছিলো এবং আমি বিশ্বাস করতে চাই লক্ষ্য করা হয়েছে তা হলো, aim of the operation, economy of force, social security, over all security etc.
এক Aim এর অধীনেও অনেকগুলো বিষয় ছিলো। এটা বলতে অনেক সময় লাগবে। আমার এত ধৈর্য এই মুহুর্তে নেই।
আমি ঢালাও ভাবে কা্উকে দোষ দেই না। আমি যা জানি না, তা নিয়ে অহেতুক লাফালাফি পছন্দ করি না। সরকার এখানে দায়ী কি দায়ী না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। আমার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন। ঐ সময় ঐ ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্যু হওয়া অস্বাভাবিক ছিলো না। আওয়ামী লীগ তখন মাত্র ২ মাস হলো ক্ষমতায় গিয়েছে। সেনাবাহিনী মাত্র ২ মাস হলো সেনানিবাসে ফেরৎ গিয়েছে। ঐ সময়ে আওয়ামী লীগ কেনো এমন একটা ঝুকি নেবে? অনেকে ভারত এর কথা বলে। এটার ই বা ভিত্তি কতটুকু? আবার ভারত ই বা এত তাড়াতাড়ি লজিস্টিক সহ ছত্রীসেনা প্রস্তুত করলো? আমার মাথা খালি ঘুরায়।
২য় পর্ব : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৩৭