১৮তম পর্ব:###একপর্যায় খাওয়া শেষ হলো। এবার আবার শুরু হলো আলোচনা। এখন আহমাদ ও ফারিহার বিয়ের ব্যাপারে কথা শুরু হলে দেনমোহর ও বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হল। আলোচনা সাপেক্ষে ধার্যকৃত দেনমোহর হল, ৪০০০০১টাকা ও তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৫ তারিখ শুক্রবার। আর ওদের ফ্লাইট ২০ তারিখ রাত ২টায়। এবারে আহমাদ ও ফারিহা লজ্জা পেয়ে অন্য ঘরে চলে গেল। নিজেদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে লাগল তারা দুইজন। কিছুসময় পর ওরা আবার তাদের বাবা-মায়ের সাথে যোগ দিল। আজ আহমাদের পরিবার থাকবে ফারিহাদের বাসায়। এবার আহমাদ বলল, খালা তুমি তো আমার সাথে তেমন কোনো কথায় বললে না। খালা বললেন, আরো দিন পরে আছে ওসব পরে হবে। একপর্যায় ক্লান্ত হয়ে এলে আসরের আগ পর্যন্ত হাল্কা রেষ্ট নিলো সকলেই। আহমাদ একাই অন্য ঘরে রইল আর ফারিহা তার রুমে। আহমাদের বাবা-মা ও খালা-খালু এক রুমেই উপরে-নিচে শুয়ে রেষ্ট নিতে থাকল। আহমাদ নিজের জীবন সম্পর্কে একটা ছক একে নিলো, পরবর্তীতে ফারিহার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এদিক-সেদিক করতে পারে। আসরের আযান কানে ভেসে আসলে সবাই নিজের মতো নামায পড়ে নিল। এরপরে সকলে মিলে নিজেদের বাগানে ও আশপাশে হাটতে বের হল। এভাবে সময়টা উপভোগ করার একপর্যায় মাগরিবের আযান দিলে নারীগণ বাড়িতে চলে গেলেন আর পুরুষগণ মসজিদে নামায পড়তে গেলেন। এভাবে উপভোগ করে দিনাতিপাত করল সবাই। সকালে খুব ভোরে উঠে গেছে সকলেই। আজ আহমাদের যাওয়ার পালা তাই সকালেই তড়িঘড়ি করে তৈরী হয়ে গেল আহমাদ ও তার বাবা-মা। খালা আহমাদকে শেষবারের মতো আদর করে দিলেন আর বললেন বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে। একথা বলেই বিদায় নিল আহমাদ ও তার পরিবার। ৪ঘণ্টা পার করে নিজেদের বাসায় পৌছল তারা। তাছাড়া বিয়ের প্রস্তুতি নিতেই কিছুসংখ্যক বন্ধুদের আর গুটি কয়েক আত্মীয়দের দাওয়াত দিল। এতে দিন কয়েক পার হল।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/newpost