[
আমদের জীবন নানা সময়ে , নানা ভাবে ধাবমান হয় বা চলতে থাকে , নানা চিন্তায় নানা ভাবনায় । তা সবকিছুই পাওয়া না পাওয়া নিয়েই বোধ হয় । এর মাঝেই নানা ঝামেলা , নানা ঝক্কি , নানা টেনশন , নানা বিপদ । আবার কখনও সুদিন , কখনও দুর্দিন । কখনও নিকটজন বিয়োগ বেদনা , কিছু হারানো স্রিতি , অতীত মনে করা বা মনে হওয়া। কখনো দুর্দান্ত মনোবল আবার কখনও দুর্বল মনোবল । এর মাঝেই আবার আমরা দিবা স্বপ্ন দেখি । জীবনের এমন একটি সময় থাকে , যখন ভাবনার বিষয়টি পাওয়ার অধীর আগ্রহ মনে জাগে , থাকে অনেক লক্ষ্য , থাকে উদ্যম , উৎসাহ । যা আমাদের দুরন্ত দুরাশা করে ফেলে , যা কখনই হওয়ার নয় বা পাওয়ার নয় । আর এখানেই বেঁধে যায় জীবনের বিরোধ । জীবনের তারুণ্য ও যৌবনের সংঘাত , একটি মারাত্মক সংঘাত । আর এই সংঘাত থেকেও শুরু হতে পারে হতাশা , আবার সমাজের নানা আচার/ আচরণেও হতে পারে হতাশা । অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের নানা সমস্যার কারনেও হতে পারে হতাশা , প্রতিদন্দিতাও অনেক সময় হতাশ করে । আবার ভুল থেকে অনেক ভুল , যাকে বলে ভুলের পর ভুল , তার থেকেও হয় হতাশা । স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু অতি স্বপ্নও আবার হতাশার কারন হতে পারে । দীর্ঘ অভাব / অনটনও হতাশার কারন হতে পারে । অন্যদিকে বয়কালে অনেক প্রাচুর্য থাকা সর্তেও , জটিল রোগের কারনে জীবনটায় ব্রিতিস্না এসে যেতে পারে । যার জন্যও হতে পারে হতাশা ।এই সকল হতাশা থেকেই আসে আত্মহত্যার প্রবণতা । তাই সুন্দর পৃথিবীটা কখনো কখনো আমাদের জীবনে অসুন্দর হয়ে পড়ে এবং পৃথিবীটা আর ভালো লাগে না । এর সকল রুপ / যৌবন অতৃপ্তি লাগে , থাকে না আর কোনও মোহ / লালসা । কিন্তু আত্মহত্যা আবার মহাপাপ , যার নেই কোনও পরকাল , তবুও আমরা আত্মহত্যা করছি । অথচ এহকালের চেয়ে পরকাল আরও সুন্দর জীবন , তবুও আমরা কখনও কখনও বেশী সুখ আর চাচ্ছিনা । যে সুখ আমাদের জীবন কালে পাওয়ার জন্য পাগল প্রায় ছিলাম , কিন্তু কেনও ঐ সুখ আর চাচ্ছিনা জীবদ্দশায় ? তারপরও আমরা আবার বাঁচতে চাই বোধ হয় , মানুষ যখন আত্মহত্যা করে , ঠিক যখন গলায় ফাঁস টা লেগে যায় , ঠিক সেই মহুত্তে । কিন্তু তখন আর সময় থাকে না বাঁচার । তাই হতাশাগ্রস্থ জীবন খুব দুর্বিষহ জীবন । একে জীবন থেকে মুছে ফেলতে হবে যে কোনও উপায়ে । তাই মাল কামাউ , করো নো চিন্তা , ডু ফুর্তি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭