somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রঙ / তামাশা / ফুর্তি / দম্ভ

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা সমাজে কেউ কেউ নানা সময়ে নানাভাবে নানা কথা বলে থাকি , তা কখনো বলাতে , লেখাতে , পড়াতে , পথ চলায় , মঞ্চে , বাজারে এমনকি কখনো কখনো নিজ বাড়িতেও। সে কথার মধ্যে অনেক সময় ফালতু কথা অথবা ক্ষমতার দাম্ভিকতাও প্রকাশ পায় । তাহলে কি আমরা আসলেই ক্ষমতাসালী , নাকি মুখের ঝাড়ি না অভ্যাস নাকি জন্মগতভাবে অভ্যাসী ? তাই কি আমরা কাউকেই মানতে চাচ্ছিনা বা কারো ভাল / মন্দ কথা সর্জ করতেই পারছিনা বা আমি যা বুঝি তাই চূড়ান্ত । এসব কি ক্ষমতা না মাস্তানই দেখানো । তাহলে ক্ষমতাবানকে তো ছ্যালুট দিতেই হবে বা ভয় করতেই হয় বা হবেই । কে কি পারে তা বোধ হয় , তার কর্মেই প্রমান পাওয়া যায় । তা নিজেকে জাহিরই করে বলতে হয় না বোধ হয় । তাই একটি গল্প মনে পড়ে গেলো , তা হোলও একদিন ২ টি ছেলে মটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় যাচ্ছে , আর তাদের ট্রাফিক আইন ভুল হওয়ার কারনে , একজন পথ চলতি জেলে তাদের মটর সাইকেলের আঘাতে সংগে সংগে মারা যায় পথের উপরেই । আর তাৎক্ষনিক ভাবে আশে / পাঁশের ২ /১ জন লোক এসে তাদের ধরে ফেলে । তখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলেছে এবং ভয় ভীতি দেখাচ্ছে । আবার নিজেদের বড় বড় রাজনীতির দলের নেতা বা বড় কর্মকর্তার আত্মীয় বা সমর্থক বলে হুমকি / ধামকি দিচ্ছে এবং নিজেদের মুক্ত করার চেষ্টা করে । পরে যখন অনেক লোক জড়ো হয়ে যায় । তখন তারা তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লও যে , তোদের যতো ক্ষমতাই থাক চল থানায় । তারপর যথারীতি পুলিশ আসলো গ্রেপ্তার হলো । পরে থানায় গিয়ে জানা গেলো যে , ঐ ছেলে ২ টি পরের মটর সাইকেল নিয়েছিলো চেয়ে এবং ঘুরতে বের হয়েছিলো টনটিং মারতে । তারপর তাদের বাপ আসলো এবং সেই সাথে তাদের পছন্দের দলের নেতা । তখন তার বাবা বলছে যে , আমি কোনোরকমে সংসার চালাই , তাই জরিমানা দেওয়ার চেয়ে ছেলে জেলে থাকাই অনেক ভালো । আর তাদের নেতা বললও যে জরিমানা দিয়ে আপোষ / মিমাংসাই করতে হবে । তা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই । ছেলে ২ টির পঢ়নে ছিলও জিনসের প্যান্ট আর ভালো সার্ট এবং দেখতেও সুন্দর । তাই প্রবাদে আছে যে , আমাদের মুখের কোনও ট্যাক্স নেই বা দিতে হয় না । তাই আমরা যখন যা মনে আসে তাই বলি । এই হোলও আমার ক্ষমতা বা আমি ক্ষমতাবান । আবার দেখা যায় পিকনিক , সিবীচ , মেলায় কিছু কিছু পোলাপান আছে , তারা সেখানে বেশী হৈ চৈ বা বেশী ফুর্তি করতে চায় এবং সেই কারনে অনেক রকম দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে । কিছু কিছু সময় অনেক আজে / বাজে কথা বলার জন্য , দাংগা শুরু হয়ে যায় । যাকে বলে ফাউ কথা , যাদের আবার সমাজ বাচালও বলে থাকে । শেষ কথা , যাদের লজ্জা কম বা যাদের পরিবার নিজের সন্তানদের ভদ্র আচরন কিংবা কিভাবে সমাজে চলতে হয় , তা কোনদিনই সেখাইনি , তাদের সন্তানরাই , বেশী বেয়াদব বলে মনে হয় এবং এই সকল আচরনে অভ্যাসী হয় । মুল কথা হোলও আমাদের আচার / আচরন / চলাফেরায় থাকতে হবে , আদব / কায়দা । তাই আমার মনে হয় আমাদের ভালো সমাজ / ভালো কাজ করতে হলে সমাজের রীতি / নীতি মানতেই হবে । নতুবা সমাজে সুনীতি বা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না । ভদ্র ভাবেও কিন্তু অনেক ফুর্তি করা যায় , তাতে কিন্তু আনন্দ বেসী পাওয়া যায় বোধ হয় । আমরা আনন্দ স্থলে খোলা মনে চলাফেরার সময় মনে করে ফেলি যে , আমরা বোধ হয় আজ স্বাধীন , তাই যা ইচ্ছা তাই করবো , আর তখনই বাধে বিরোধ । আর তাই যা ইচ্ছা তাই , যখন / তখন করা যাবে না । সুতারাং মনকে শাসন করতে হবে কিংবা সঠিক পথে চালনা করতে হবে নতুবা মন ভেঙে যাবে । আমরা যে যতো কথাই বলি না কেনও বা তামাশা করিনা কেনও বা যতো ফুর্তিই করিনা কেনও বা যতো দম্ভই দেখাই না কেনও , তাতে আমাদের পতন নিচ্চিত বলে মনে করতে পারি ।কারন সাপ যতো বিষাক্তই হউক বা ছোবল মারুক তাকে কোনও না কোনও সময় গর্তে ঢুকতেই হয় ।তাই দাম্ভিকতা এবং অহমিকা নিজেদের কুপথে বা পতনের পথে নিয়ে যায় বোধ হয় । আবার প্রবাদে পাওয়া যায় যে , মূর্খদের শক্তি দুর্ব্যবহার করা । পরিশেষে বলা যতো আনন্দ / ফুর্তি ততো সমস্যা বা দুর্ঘটনার কারন । তাইতো বলে , শত শত হাততালির পর পরই নীরবতা ।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৃদ্ধাশ্রম।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৬



আগে ভিডিওটি দেখে নিন।

মনে করেন, এক দেশে এক মহিলা ছিলো। একটি সন্তান জন্ম দেবার পর তার স্বামী মারা যায়। পরে সেই মহিলা পরের বাসায় কাজ করে সন্তান কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

টের পেলে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

টের পেলে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

টের পেলে গুটিয়ে যায় লজ্জাবতী/ পরিপূর্ণ যৌবনে যুবতীর নিখুঁত অনুভূতি। আমার চাওয়া, ইচ্ছে, স্বপ্ন! আমার পছন্দ বুঝদার, সুন্দর হৃদয়ের রূপ! সৌন্দর্য সুন্দর যা চিরন্তন সত্য। কিন্তু সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×