somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জেনে নিন, নিজেকে লুকানোর কতটুকু সামর্থ্য রাখেন... অথবা, 'তারা' আপনার সম্পর্কে কতটুকু জানে

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই বছরের জন্য ব্লগ-ফেবু থেকে বিদায় নিয়ে বসে ছিলাম। বাট আই কুডন্ট রেজিস্ট-এখনি ঝোঁক চাপল ঈদ মুবারক জানানোর। অবশ্য ড্রাফটে দেড়শতাধিক অনাগত পোস্ট আছে... কম্পিউটারে আরো শ তিনেক... আগামী বছরের জন্য।

ঈদ পোস্ট, ঈদের স্বরে ও সুরে।

১. আপনার মোবাইল ফোনের, এবং সেলফোন জাতীয় সব বস্তুর 'মিডিয়া' বিষয়ক কর্মকান্ড তথা অডিও ভিডিও এবং ডাটা ট্রান্সফার চালু বা বন্ধ করার সামর্থ্য 'তারা' রাখে... যদি তা অ্যান্ড্রয়েড যুগের হয়ে থাকে... হোক না এমনকি কালোজাম- ব্ল্যাকবেরি।

২. আমরা প্রত্যেকে আজ পর্যন্ত যত কল, এসএমএস, এমএমএস, কন্টেন্ট ট্রান্সফার করেছি, তার প্রতিটা বিট/বাইট পর্যন্ত সেইভ করা আছে যা ব্যবহার করতে পারবে কমপক্ষে দুই/তিনটা বেসরকারি সংস্থা এবং কমপক্ষে আরো ছয়টা দেশ প্লাস আপনার দেশ... যদি নিজ দেশ ডিজি টাল হয়ে থাকে। এবং দ্বিতীয় স্তরে তা ব্যবহার করতে পারবে কমপক্ষে আরো ত্রিশটা দেশ। চিয়ার্স। ভাষা অসুবিধা নেই, উচ্চারণ অসুবিধা নেই, জগতের সকল ভাষা মেশিন ট্রান্সক্রাইব ও ট্রান্সলেট হয়। শব্দানুযায়ী সর্টআউট হয়। ক্যাটাগরাইজড হয়। প্রতিনিয়ত প্রতিদিন প্রতিপলে অন্যান্য তথ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়। তারপর... মুহাহা।

৩. সবার মা তো আর সাইকো-অ্যানালাইসিসে এক্সপার্ট না। মায়েরা যতটা, তারচে অনেক বেশি এক্সপার্ট একজন মনোবিদ্যার পুরনো ঝানু প্রফেসর। সেই প্রফেসররা যা করেন, তা হল, ডাটাকে সর্টআউট করে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেন। অর্থাৎ, ডিজিটালাইজ করেন নিজ মস্তিষ্কে। তাই সেই প্রফেসরদের চেয়ে বেশি দক্ষ একটা প্রোগ্রাম কোড করা কোন বিষয় না। বছরের পর বছর কাজ ও ওইসব দেশের তুলনায় নস্যি ফান্ডিং চাই। তাই, নিশ্চিন্তে, যে কাউকে সে নিজে বা তার মা যতটুকু চেনে, 'তারা' চেনে তারচে অন্তত একশো গুণ বেশি। এবং এক কণা মানব অ্যাফোর্ট পার পারসন না দিয়েই।

হ্যা। আপনার প্রতিটা সার্চ, প্রতিটা ই-মেইল, প্রতিটা তথাকথিত ইনবক্স, টুইট, শেয়ার, লগইন... হোক না টর ব্রাউজার থেকে... গ্যাছে। আপনার পনেরোতম বা একশো পনেরোতম পছন্দের রঙ আপনি জানেন না, তারা জানে। আর কি বলতে হবে?

যেমন, আপনি কোন্ কোন্ ভাষায় কী কী শব্দ জানেন এবং তা কত বেশি ব্যবহার করেন তা নিজেরই জানা নেই। কিন্তু সেই শব্দ ব্যবহার দেখে তারা মুহূর্তে অন্য ডাটাবেইসে সংরক্ষণ করছে, এই লোকটা শেক্সপিয়র পড়েছে। অথবা ফ্রয়েড/মার্ক্স অথবা হুমায়ূন আহমেদ। মুভি দেখেছে আয়রনম্যান অথবা শাটার আইল্যান্ড। তার পছন্দের ব্যান্ড ওটা... অথবা, কোন্ মুহূর্তে, কার সাথে আপনার বিহেভিয়ার কেমন হয় এবং আপনার কখন কী ইচ্ছা করে, কেন করে।

ব্যাপারটা এরকম, আপনি পাসওয়ার্ড বানাবেন? মেশিন জিবারিশ না বানিয়ে যাই বানান না কেন, আপনার আগেই 'তারা' জানে, আপনার সম্ভাব্য ১০ হাজার পাসওয়ার্ড কী কী হতে পারে... শুরুতে কী কী থাকতে পারে।

৪. ফোনে সিম না থাকলেও আপনি ট্র্যাকড। ব্যাটারি না থাকলেও ট্র্যাকড।

৫. ছবি তুলেছেন ডিজি টাল ক্যামেরায়? মাইক্রোফোনে রেকর্ড? বা ভিডিও? জগতের যে-ই যেখান থেকেই আপনার ক্যামেরায় তোলা ছবি ব্যবহার করুক না কেন, সেটা যে কার, সেই তথ্য গ্যাছে। ছবির ওইসব তথ্য ইরেজ করার অতি গোপন সফট আছে।

৬. প্রিন্ট/স্ক্যান/ব্লুটুথিং এমনকি সিডি বার্ন করেছেন? অতি সংক্ষিপ্তাকারে গ্যাছে। না গিয়ে থাকলেও জমা আছে, যাবে।

৭. ম্যাক না পিসি? রেজিস্টার্ড কেনা? ব্যাকডোর। যে তথ্য যেভাবে খুশি গ্যাছে। পিসির সাথে জড়িত সকল স্টোরেজ ডিভাইসের কোথায় কী আছে... পাঁচ টেরাবাইটের পোর্টে হাড্ডিতে অথবা দশ মেগাবাইটের মোবাইল মেমোরিতে...
রেজিস্টার্ড কেনা না? ক্র্যাক ভার্শন? তাদের আপনার প্রতি কোন আইনি দায়বদ্ধতা এবার আর নেই। বেশি করে গ্যাছে।

কখন কী করলেন, সবই।

৮. চালু হিসাবে প্রক্সি/টর/টরেন্ট/লিনাক্স ব্যবহার করেন? তাও গ্যাছে।

৯. জগতের যত ডিভাইসে যত ফ্রি সফট অ্যাপ ব্যবহার করি, সেই সমস্তর মাধ্যমে আমাদের সমস্ত তথ্য এবার বড় বড় অগুণতি কর্পোরেটেও গেছে। ফ্রি তো ফ্রি, বিজয়ের মত পেইড সফটেও একই ব্যবস্থা।

১০. যদি ডিজিটাল কিছু কাভার করতে বাকি না থেকে থাকে উপরের নয় পয়েন্টে, তাও গ্যাছে।

১১. এবার আসুন ব্যক্তি পর্যায়ে। একজন মানুষ, ডজন ডজন ফুট সীসার নিচে না থেকে থাকলে... অর্থাৎ মাটির তলার সাত তলা পর্যন্ত নিচে থাকলেও সে কী কথা বলছে, তা পর্যন্ত ট্রান্সক্রাইব করতে পারবে... যদি তাকে ট্র্যাক করে থাকে বা তার দিকে কোন কারণে ফেরানো থাকে স্যাটেলাইট।

এগারো নাম্বার পয়েন্টটা ধাঁধাঁময় থাকলে শুধু এই ধাঁধা সলভ করা যাক, নিউট্রিনো জগতের এখন পর্যন্ত জানা সবচে কম রিঅ্যাক্টিভ কণিকা।

অর্থাৎ, পৃথিবী এফোঁড় ওফোঁড় করে প্রতি মুহূর্তে বিলিয়ন বিলিয়ন নিউট্রিনো আসাযাওয়া করে।

এই নিউট্রিনোর ইমেজ রিসিভ করার ক্ষমতা মানুষের হাতে এখন। তাই, মাটির বহু নিচে থেকেও যদি আমরা কথা বলি, সেই কথার সময় আমাদের ভঙ্গির ওঠানামাকে নিউট্রিনো ইমেজে স্পষ্ট দেখা যায়। তারপর, সেই ভঙ্গিকে সিমুলেটরে দিয়ে আমার ল্যাঙ্গুয়েজে শব্দ আনা এবং সেই শব্দকে লিখিত আকারে যে কোন ভাষায় ট্রান্সক্রাইব করার প্রযুক্তি তো আরো পনেরো বছরের পুরনো, যদি না বিশ বছরের হয়ে থাকে। পুরো কাজটা মাত্র একটা সফটওয়্যার করবে।

জগতে ঈশ্বরপক্ষীয় চোখ ছাড়া মাত্র একটা চোখ আছে, যা সব দেখতে পায়।

একটা অটো সাজেশন ডেভলপ করেছিলাম, বছর তিনেক আগে। পরে আর সেটা চর্চা করা হতো না, এখনি মনে পড়ল... আমি সর্ব্বোচ্চ নন-রিঅ্যাক্টিভ, কোনকিছুই যাত্রাপথে আমাকে অ্যানগেজড করতে পারবে না। আলোর সবচে তীক্ষ্ণ রূপ- আমি নিউট্রিনো। সর্বভেদী। লক্ষ্যকে আলোর গতিতে ভেদ করে যাই, এবং পরবর্তী লক্ষ্যে উপনীত হই বিনা বিশ্রামে।

হায়! কথা কাজে পরিণত হবার দরকার নেই, শুধু কথাটাই যদি ধরে রাখতাম!

তাহলে বারো নাম্বার পয়েন্ট হয়েই যাক? আমার পূর্বপুরুষ কারা, তাদের আত্মীয় কারা, তাদের কাদের কাদের সাথে কাদের কাদের আত্মীয়তা আছে, এর একটা রাফ চার্টও আছে তাদের কাছে। বিষয়টা এমন, আমার একশতম পূর্বপুরুষের অথবা দশম, এক বংশধর ও আমার নিজের আত্মীয়তার সবগুলো সূত্র তাদের জানা থাকার তাত্ত্বিক সম্ভাবনা আছে। কারণ, হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট শেষ করার পর হিউম্যান ডাইভার্সিটি প্রজেক্ট শেষ হয়ে গেছে তাও সেই দশ বছর আগে... অবশ্য এটা এখনো নিশ্চিত জানতে পারিনি যে, 'তাদের' কাছে পৃথিবীর কমবেশি সব মানুষের পূর্ণ জিন আছে কিনা... 'তারা' টিকাদান কর্মসূচি থেকে আসলেই জিন কালেক্ট করে কিনা। অবভিয়াসলি! 'তারা' মানুষ।। আর হিউম্যান ডাইভার্সিটি প্রজেক্ট থেকে জানা গেছে, জগতের ৮% মানুষ চেঙ্গিস খানের সাথে, সম্পর্কিত।

ঈদ মুবারাক!
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×