আমি টিউশনি করি আজ ৭ বছর হলো । এটাকে ঠিক নেশা না পেশা বলা যায় এটা বুঝতে বুঝতেই ৭ বছর কেটে গেছে । টিউশনি করে যে যৎসামান্য পাওয়া যায় তা দিয়ে আসলে ভদ্রভাবে জীবন যাপন করা অনেকটাই মুশকিল । তারপরেও চলছে । এটা আমার পেশা তো বটেই, নেশাও বৈকি । কারণ আয়ের দুরবস্থা দেখে অন্য কিছু করার কথা ভাবা মাত্রই গায়ে রীতিমত হেরোইনচিদের মত কাঁপুনি অনুভব করি । সুতরাং সেই হিসাবে দেখতে গেলে এটা আমার নেশা-পেশা একই সাথে দুটোই । “টিউশন মাস্টারের প্রেম মানেই ছাত্রীর সঙ্গে”- এই কমন মিথটা আমার ক্ষেত্রে কেন যেন মেলেনি । তার কারণ বলতে আমার চেহারা খারাপ বা স্মার্টনেস কম সেটাও কিন্তু নয় । আসলে ন্যাকা স্বরে কথা বলা এবং চিকেন ফ্রাই চিবানো মেয়েগুলোর চোখের দিকে তাকিয়ে “বনলতা সেন” খুঁজতে যাওয়া আমার কাছে সময়ের সর্বোচ্চ অপব্যবহার বলে মনে হত । তাই কোনমতে নাক মুখ গুঁজে ছাত্রীর মায়েদের পাঠানো চা-বিস্কুট খেয়ে টিউশনির বরাদ্দ সময় পার করতাম । এভাবেই চলে যেত হয়ত, যদি না সেই অঘটনটা ঘটতো । মানে সেই প্রেম আর কি । আমাদের পাড়ার কার্ত্তিকদার একটা ফোন-ফ্যাক্স প্লাস ফটোকপির দোকান ছিল । এক সন্ধ্যাবেলায় ঐদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম, তো কার্ত্তিকদা আমাকে পেয়ে ডেকে বলল,
“কিরে অপু, কি করছিস আজকাল ?”
“আর কি ? সেই টিউশনি ।” দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম নিজের অজান্তেই ।
“হুম, আসিস মাঝেমধ্যে আড্ডা দিতে ।”
“আসব বড়দা, সন্ধ্যার টাইমে ।”
প্রায়ই যেতাম সেখানে । বিশেষ করে টিউশনি শেষ করে সন্ধ্যাবেলা কাটানোটা খুব জরুরী হয়ে পড়ত । আমার সমবয়সীরা ততদিনে চাকরি, সংসার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে । দু-একজন বোধকরি ছেলেমেয়ের বাপও হয়ে গেছে । দোকানের পাশেই ছিল কার্ত্তিকদার মামার বাড়ী । দোকানটা মূলত ওনার মামাবাড়ির মালিকানার একটা অংশে অবস্থিত । কার্ত্তিকদারা পাঁচ ভাই । ৭১ সনে বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর ওনার মামারাই কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন । কার্ত্তিকদা তিন মামা বলতে অজ্ঞান । তাঁদের যে কোন আদেশ ওনার কাছে বেদবাক্যের সমান । সত্যি কথা বলতে কার্ত্তিকদার মত মানুষও আমি কম দেখেছি । নইলে এযুগে সকালবেলা বাসিমুখে পুজো সেরে মামাদের সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করা, সত্যিই অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার । কিন্তু এত সুখ বেশিদিন সইল না এবং সেই সুখ-বিঘ্ন করার ঘটনার নায়ক আমি নিজে । ঘটনাটা খুলেই বলি । জলি কার্ত্তিকদার মামাতো বোন । এস সি পরীক্ষার্থিনী । বিভিন্ন নোট ফটোকপি করার জন্য প্রায়ই দোকানে আসত । প্রথমদিনই তার পাখির বাসার মত চোখদুটোতে আমার স্বপ্নের ডানা এমনভাবে আটকাল যে সেই আঠা আর খুললই না । ক্রমশ সেই আঠা শক্তিশালী হয়ে আমাকে এমন আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধল যে নড়াচড়া করাই রীতিমত মুস্কিল হয়ে পড়ল । এলাকায় ততদিনে কার্ত্তিকদার মামার একটা কাপড়ের দোকানও হয়েছে । দোকানটা জলির নামেই নাম, “জলি ফেব্রিক্স”। সন্ধ্যাবেলাটায় আমাকে দোকানে বসিয়ে কার্ত্তিকদা নতুন দোকানের হিসাব এবং তদারকি করতে যেতেন । ঐ সময়টাতে জলি আসত আমার সাথে দেখা করতে । এটা ক্রমশ একটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল । আমাদের প্রেমকাহিনী পাড়ায় রটে গেল নিমিষেই । খুব দ্রুত কার্ত্তিকদার কানেও পৌঁছে গেলো । শুরু হল আমার আর কার্ত্তিকদার নীরব স্নায়ুযুদ্ধ । বেচারা নিতান্তই ভদ্রগোছের একটা ছেলে । আমার মত “খালকাটা কুমির”কে নিয়ে সে পড়ল মহাবিপদে । এবং এ ধরনের বিপদে সে আগে কখনোই পড়েনি সেটাও বোঝা গেল । আমি ধরেই নিয়েছিলাম কার্ত্তিকদা আমার সাথে ওনার মামাদের মতোই রূঢ় আচরণ করবেন । কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি একদিন আমাদের পাতলা খান লেনের বাসায় এসে উপস্থিত হলেন । বিধ্বস্ত চেহারার এই কার্ত্তিকদা আমার কাছে সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষ । ঘরে ঢুকেই আমার হাতদুটো ধরে কোন ভূমিকা ছাড়াই বললেন, অপু, তুই আর জলি পালিয়ে যা, আমি সব ব্যবস্থা করে এসেছি । এলেঙ্গাতে আমার এক পিসি আছে, তাঁর বাড়িতে গিয়ে উঠবি । দেরী করিস না, হাতে বেশী সময় নেই । একঘণ্টা পর বাস ছাড়বে । যা নেবার নিয়ে নে ।”
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় । নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিনা । কোনমতে দুটো ঢোক গিললাম ।
“বড়দা একথা আপনি বলছেন ? কিন্তু... ।”
“কিন্তু কি রে ব্যাটা ? যা বলছি কর । মাসীমাকে বল জরুরী কাজে দু’তিনদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যাচ্ছিস । আর কাউকে কিছু বলার দরকার নেই । পরে আমি সব ম্যানেজ করে নিবো ।”
হতবিহবল আমি জলির হাত ধরে বাসে উঠলাম । বাসে ওঠার আগমুহূর্তে কার্ত্তিকদা আমার হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলেন । প্যাকেটটা খুলে আমার তো চক্ষু রীতিমত চড়কগাছ । পঞ্চাশ হাজার টাকা !!! কার্ত্তিকদার প্রতি ভক্তিতে আমার চোখদুটো বুজে আসলো । এতোটা উপকার নিজের মায়ের পেটের ভাইও তো করেনা ।
আমাদের বিয়েটা শেষমেশ আমার পরিবার মেনে নিলেও জলিদের পরিবার আগের মতোই অনড় থাকলো । কার্ত্তিকদার সাথে সেদিনের পর থেকে আমার আর দেখাও হয়নি । কারণ ঐ এলাকার আশেপাশে জলির পরিবারের পক্ষ থেকে আমার জন্য অলিখিত কারফিউ জারি ছিল অনেকদিন । কিন্তু এতোটা হাঙ্গামা যা নিয়ে হলো, আমাদের সেই বিয়েটাই শেষপর্যন্ত টিকলো না । হৃদয়বিদারক সেই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বাসর রাতেই । এলেঙ্গায় কার্ত্তিকদার পিসির বাড়িতে বিয়ের সব ব্যবস্থাই হয়েছিল সুচারুভাবে । কার্ত্তিকদার পিসতুতো ভাই স্বপন আর আমি মিলে বিয়ের কেনাকাটা সম্পন্ন করলাম । লাল বেনারসি পরিবেষ্টিত জলিকে দেখার অদম্য বাসনায় সন্ধ্যারাতের অন্যান্য আয়োজন রীতিমত ফিকে লাগছিল । অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ । খাটের উপর বসে থাকা লজ্জাবনত জলির নরম কোমল হাতদুটো যখন ধরলাম, আচমকা সে বলে বসলো,
“করেছ তো শুধু টিউশনি, কত মেয়ের হাত ধরেছ বলতো ?”
আমি রীতিমত হতভম্ব । বলে কি মেয়েটা ? তাও কিনা বাসর রাতে । ফাজলামি করছে কিনা ভেবে দ্বিধান্বিত হলাম ।
“এসব কি বলছ জলি ? আমি অনেক মেয়ের হাত ধরেছি, মানে ?”
“ধরোনি ?”
“না ধরিনি, হাত তো ধরা দূরে থাক, চোখের দিকে তাকিয়ে কথা পর্যন্ত বলিনি, মা কালীর দিব্যি ।”
“একথা তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে বলছ ?”
“হ্যাঁ বলছি, কারণ মা কালীর দিব্যি দিয়ে আমি মিথ্যে বলিনি কোনদিন, এটা তুমি জানো।”
“তোমার চাদর বালিশ নিয়ে বারান্দায় যাও । আমার সাথে ঘুমাতে হবেনা ।”
তীব্র অভিমানে নিস্তব্ধ আমি কোন ধরণের আবদার অনুরোধেই গেলাম না । খাটজুড়ে ঝোলানো অবহেলার ফুলগুলো দুহাতে সরিয়ে বেরিয়ে গেলাম।
পুরো ব্যাপারটার অবিশ্বাস্য ঘোর আমাকে কয়েকদিন আচ্ছন্ন করে রাখলো।এ জলিকে কি আমি চিনি?বাড়ির লোকের কাছে সর্বোপরি এলাকায় জলির কারণে আমার নাম ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত।এইতো সেদিন মোড়ের দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে তোতলা গণেশের সাথে দেখা।ওর কাঠের ব্যবসা।তাই মাসের ১৫ দিনই ট্যুরের উপর থাকে।তোতলাটা আমাকে দেখামাত্রই ঘড়ির দোকানের উত্তর পাশের দেয়ালে পুচুক করে পানের পিক ফেলল।আমি দ্রুত বেগে ছুটে এসে ওর হাতদুটো ধরলাম,
“হাআআত ধধরছিস কেন?” গণেশ শরীর মোচড়াল।
“মা কেমন আছে?”
“আআআমি কিভাবে বলবো মাআআসীমা কেমন আছে?তুতুইইই গিয়ে দেদেদেখে আয়।”
বুঝলাম মা ভালো নেই। জন্মাবধি আমি চোখের জল ফেলিনি, এমনকি বাবা যেদিন মারা গেলেন সেদিনও না, আজ নিজের অজান্তেই ফেললাম।
বাড়িতে এসে উঠোনে পা দিয়ে দেখি জলি স্নান শেষ করে চুল ঝাড়ছে।আমার হতবিহবল চেহারা দেখে কিছুটা ভয় পেয়েই বোধহয় ঘরে ঢুকে গেলো।আমি প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে মুখে চাপালাম। জলি ঢোক গিলছে আর তাকাচ্ছে,
“কিছু হয়েছে ? অমন করছ কেন তুমি ?”
“জলি, আমি বাড়ি যাব। এক্ষুনি রওয়ানা হবো।”
জলি এবার খুব শান্ত ভঙ্গীতে জিজ্ঞেস করলো,
“শুধু মাথা গরম না করে কি হয়েছে বলবে তো?”
“যথেষ্ট পাগলামি হয়েছে।এখন আমি মায়ের কাছে ফিরবো।সব গুছিয়ে নাও,দুপুরের বাস ধরবো।”
জলি মাথা নিচু করে কি যেন ভাবলো। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমি এখন যাবোনা। তুমি বরং ঘুরে এসো। কয়েকদিনের ব্যাপার। মাকে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে তারপর এসে আমাকে নিয়ে যেও।”
আমি জলির চোখের দিকে তাকালাম। শান্ত-স্নিগ্ধ সে দৃষ্টি।
“তুমি সত্যিই যাবেনা আমার সাথে ?”
“যাবো না তাতো বলিনি। বলেছি এখন যাবো না। তুমি ঘুরে এলে পরেরবার যাবো।”
ওটাই ছিল জলির সাথে আমার শেষ দেখা এবং শেষ কথা। জলির আশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে আমি মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি আমার শোকে মা মৃত্যুশয্যায়। শেষমুহুর্তে মায়ের মুখে পানি দিতে পেরেছিলাম। তা নাহলে এই জীবনে নিজেকে হয়তো কখনো ক্ষমা করতে পারতাম না। মাকে দাহ করে এলেঙ্গায় ফিরে এসে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায়ের মুখোমুখি হলাম।
জলি নিখোঁজ।
আমি ঢাকায় যাওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যেই জলি কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। মূলত মায়ের মৃত্যুর পর আমি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলাম যে থানা-পুলিশ করার মত ধৈর্য এবং মনমানসিকতা কোনটাই আমার অবশিষ্ট ছিল না। নিকট আত্মীয়স্বজনরা হাসপাতাল-ক্লিনিকে যা খোঁজ নেবার নিয়েছেন। অতঃপর বিফলমনোরথ হয়ে ফিরে এসে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে যে যার গন্তব্যে হাঁটা দিয়েছেন । কার দায় পড়েছে কাকে দেখার। আর আমি ? মীমাংসাহীন ঘটনার শিকার এবং সাক্ষী হয়ে রইলাম সারাজীবন ভর। বিয়ে-থা করার মত রুচি আমার আর হয়নি । তবুও শেষ আশা ছাড়িনি। এলাকা ছেড়ে ট্যুরের চাকরী নিলাম। উদ্দেশ্য জলিকে খুঁজে বের করা। মৃত্যুর আগে হলেও তার খোঁজ আমাকে যে পেতেই হবে।আর সব প্রশ্নের জবাব না পেলে আমি তো বটেই ঠাকুর ও বোধকরি তাকে মুক্তি দেবেন না।
৫ বছর মানুষের জীবনে অনেকটা সময়। এসময়ের মধ্যে সারা বাংলাদেশ আমি মোটামুটি চষে বেড়িয়েছি। রফিক ভাই আমার খুব কাছের বন্ধু এবং কলিগ হওয়ার সুবাদে একবার পাবনা ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলাম। পাবনা এর আগে আমি বারকয়েক কাজে গিয়েছি।কিন্তু ঠিক বেড়ানোটা হয়নি।রফিক ভাই এবং রীমা ভাবীর আন্তরিকতায় দুয়েক দিনেই অত্যাচারিত এবং অতিষ্ঠ হয়ে পড়লাম।মওকা বুঝে এক বিকেলে বলেই ফেললাম,
“ভাবী, যেভাবে আদরের নামে অত্যাচার করছেন তাতে তো এখনই বাসের টিকেট কাটতে হচ্ছে।”
“ওমা সেকি, এখনই এই কথা ? আসল অত্যাচার তো এখনো শুরুই করিনি ?”
“আরো বাকি রেখেছেন ? রক্ষে কর ঠাকুর।”
ভাবী মুখ টিপে হাসলেন।
“আহা যাবেনই তো। আগামীকাল চলুন আশেপাশের কিছু জায়গা আপনাকে ঘুরিয়ে আনি।আপনার ভাইয়ের প্ল্যান এটা।”
যথারীতি ঐতিহাসিক কিছু স্থান ঘুরে দেখার পর চরম ক্লান্তিতে আমার দু’চোখে বিছানা এলানো ঘুম ভর করতে শুরু করলো। কিন্তু হঠাৎই ভাবী আবদার করে বসলেন গভঃ এডওয়ার্ড কলেজের পাশে তার বোন কাকলীর বাসায় দেখা করে আসার জন্য। আমার প্রবল আপত্তি ধোপে টিকলো না মোটেই।
ছোট্ট ৩ রুমের বাসা। কাকলী ভাবীর স্বামী বিদেশে থাকায় দুই রুম নিজের এবং ছেলের জন্যে রেখে বাকি রুমটুকু সন্তানহীন এক দম্পতিকে ভাড়া দিয়েছেন। তাতে এই দুর্দিনে কিছু টাকা আয় হয়।ভদ্রমহিলা অত্যন্ত বাচাল স্বভাবের। স্বতঃস্ফূর্ত আলাপচারিতার এক পর্যায়ে শুরু হলো দুপুরে খেয়ে যাওয়ার জোরাজুরি।জোরাজুরির এক পর্যায়ে হঠাৎই পাশের রুমের মহিলা বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢুকলেন। মুহূর্তেই আমার পৃথিবী তছনছ হলো।
জলি !!!
“জলির সাথে একদিন না একদিন আমার দেখা হবেই” আমার সারাজীবনের এই বিশ্বাসটুকু অবশেষে আলোর মুখ দেখলো। আপাতদৃষ্টিতে সরল এই অঙ্কের জটিল যে অধ্যায়টুকুর জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না, তাও আমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। আমাকে দেখে জলির কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাওয়া চেহারার পেছনে এই গল্পের ভিলেন বনাম বিদ্রোহী প্রেমিক বনাম ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক তার পদধূলি রাখলেন।তিনি এমনই একজন মানুষ যিনি কিনা তার দীর্ঘদিনের নিষিদ্ধ পারিবারিক প্রেমকে সুচারুভাবে সফল করার জুয়া খেলায় প্রেমিকাকে বাজি রাখতে এবং তাকেও এই সর্বনেশে খেলায় সামিল করতে এবং একজন যুবকের সরল বিশ্বাস তথা ভালোবাসাকে দু’পায়ে মাড়িয়ে যেতেও পিছপা হননি।
তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের অতি পরিচিত “কার্ত্তিকদা”।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬