somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম ;বাংলা বানান শেখার ২০টি বইয়ের লিস্ট এবং ৪৯ টি গুরুত্বপূর্ণ লিংক !! (একের ভিতর সব)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার মতো যাদের বাংলা বানানের সমস্যায় আছেন তাঁদের এই পোস্টটি খুব কার্যকরি হবে । থাকছে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানান লিংক । আপনি অনলাইনেও এই সব লেখা পড়তে পারেন । সংগ্রহ করেছিলাম এগুলো,সময় করে পড়ার জন্য । অারও কিছু যোগ করা হলো । পড়ার আগেই শেয়ার করার লোভ পেয়ে বসলো । :) বাংলা বানান সমস্যা সমাধানে বাংলা লেখার নিয়ম কানুন ,আমার এই লেখাটি দেখতে পারেন।
প্রথমে ,প্রথম থেকেই শুরু করা যাক । :)

বাংলা বানানের নিয়ম
আরও দেখতে পারেন।
২-বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম সম্পূর্ণ,লিখেছেন সামুর খলিল মাহমুদ
আমাদের সামুতে ‘বাংলা বানান’ নামক নিকে বাংলা বানান সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট করেছিলেন । অতি মূল্যবান সেসব পোস্টের লিংক -
৩-সহজ বাংলা বানান নিয়ম
৪-ম-ফলা, ব-ফলার ও য-ফলার উচ্চারণ : বাংলা বানান
৫-বিসর্গ (ঃ ) ব্যবহার : বাংলা বানান
৬-বাংলা বর্ণ তথ্য : বাংলা বানান
৭-বাংলায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের বানান : বাংলা বানান
৮-বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পরিবহণ, ব্যানার-পোস্টার ও চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে যেসব বানান বেশি ভুল ব্যবহার হচ্ছে
প্রাণের সামুর ব্লগার ‘নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২’ লিখেছেন আরও একটি পর্ব
৯-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ১ম পর্ব
১০-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ২য় পর্ব
১১-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৩য় পর্ব
১২-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৪য় পর্ব
১৩-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৫র্থ পর্ব
১৪-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৬র্থ পর্ব
১৫-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৭ম পর্ব
১৬-যেসব সহজ-বানান আমরা খুব সহজে ভুল করি-- ৮ম পর্ব
মুক্তচিন্তা ব্লগের ‘যুক্তিযুক্ত’ লিখেছেন নিচের পর্বটি -
১৭-বাংলা ভাষার প্যাঁচ-ঘোচ: কি ও কী, তৈরি ও তৈরী (প্রথম পর্ব)
১৮-কি ও কী এর ব্যবহার( এই টপিকে লিখেছেন সামুর ব্লগার খলিল মাহমুদ
১৯http://www.muktochintablog.com/blogpost/details/4261
২০-বাংলা ভাষার প্যাঁচ-ঘোচঃ দন্ত-স ও মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের সংক্ষিপ্ত ছহি তরিকতনামা (তৃতীয় পর্ব)
২১-বাংলা ভাষার নব্য বিধান! - রত্ব ও ড়ত্ব বিধান!
২২-বাংলা ভাষার প্যাঁচ-ঘোচ: (পর্ব-পাঁচ): প্রচলিত ভুল-বানান ও শুদ্ধরীতি (উপপর্ব-এক)
২৩-শুদ্ধ বানানরীতি (পর্ব-ছয়): প্রচলিত ভুল-বানান ও শুদ্ধরীতি (উপপর্ব-দুই)
২৪-শুদ্ধ বানানরীতি (পর্ব-সাত): প্রচলিত ভুল-বানান ও শুদ্ধরীতি (উপপর্ব-তিন)
২৫-শুদ্ধ বানানরীতি (পর্ব-আট): প্রচলিত ভুল-বানান ও শুদ্ধরীতি (উপপর্ব-চার)
২৬বাংলাবানান ও শব্দগঠনঃ ভুল শুধু ভুল ।লিখেছেন-শাহ আলম বাদশা ।
২৭-বাংলা বানানের বেড়াজাল,লিখেছেন-মন যাযাবর
২৮-সঠিক বাংলা বানান ব্যবহার করুন, বাংলা ভাষাকে অবিকৃত রাখুন!
২৯-বানান নিয়ে আরো কিছু বকরবকর । লিখেছেন- মুক্তমনা ব্লগের ফরিদ আহমেদ । এই লেখাটি আমার খুব ভালো লেগেছে ।
৩০-বাংলা বানান স্টেশন। লিখেছেন বিডি ব্লগের সাইফুল বিন আ. কালাম
৩১-বাংলা বানান
৩২-বাংলা বানান প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ।
৩৩-বাংলা ভাষা রক্ষায় প্রয়োজন প্রমিত বানান
৩৪-বাংলা বানানের যম ও নিয়ম (শেষ পর্ব)
৩৫-বাংলা বানানের যম ও নিয়ম (প্রথম পর্ব)। বিঃদ্র-নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত ‘নতুনধারা’ সাময়িকী পত্রিকার সপ্তম সংখ্যায়।
৩৬-বাংলা বানানের যম ও নিয়ম (দ্বিতীয় পর্ব)
৩৭-১ম পর্ব : আমরা বাংলা বানান কতটুকু শুদ্ধ করে লেখি?- সামুর ব্লগার শাবা সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন
৩৮- ২য় পর্ব- বাংলা বানান : আসুন এক ছাতার নিচে । ব্লগার শাবা।
৩৯- লিখেছেন সামুর গুণী ব্লগার জোবাইর ভাইয়া ।
৪০-নির্ভুল বানান শেখার কিছু পরামর্শ ও প্রস্তাব । লিখেছেন-মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন কাসেমী
৪১-শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) ।লিখেছেন-Mohammed Amin
৪২-তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন
৪৩-বাংলা বানান নিয়ম (ব্লগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)
৪৪- এরকম আরও লেখা পড়তে চাইলে । সামুর গুণী ব্লগার জোবাইর ভাইয়ার পোস্টটা পড়তে পারেন ।
৪৫-যুক্তিযুক্তের বানান বিভ্রাট । মুক্তচিন্তা ব্লগের ।
৪৬-শব্দ-কাল-বানান । লিখেছেন -আখতারুজ্জামান অজাদ ।
৪৭-JAN 19 বাংলা বানানের প্রায়োগিক কিছু ভুল: প্রয়োজন সাধারণ সতর্কতা
৪৮-বাংলা বানান: সিদ্ধান্ত বিভ্রাট ।লিখেছেন-Zeon Amanza ,সামুর ব্লগার
৪৯-প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম । লিখেছেন-আরিফুল ইসলাম ।
উপরের লিংকের লেখাগুলো ভালো করে পড়লে আশাকরি বানান সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হবে ।
ভাষাগত মৌলিক সমস্যা নিয়ে কিছু লেখার লিংক । তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ মূলক লেখাগুলো সচেতন পাঠক মাত্রই অবশ্য পাঠ্য।
বাংলা ভাষার জটিলতা ও সময়ের দাবি-লিখেছেন সামুর ব্লগার ক্লান্তবেলা
হরির উপরে হরি হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় : বাংলা ভাষা হতে সমগোত্রীয় ও সমউচ্চারলমূলক বর্ণ লিপি কমানো প্রসঙ্গ-লিখেছেন -ডঃ এম এ আলী

বাংলা প্রয়োগবিধি-

কি/কী
'কি' প্রশ্নবোধক, সংশয়সূচক এবং বিস্ময়বোধক অব্যয়। যেমন: তুমি কি খাবে, নাকি খেয়ে এসেছ? তুমি কি কথাটা তাকে বলেছ?
'কী' প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: তুমি কী খাবে? ভাত, না রুটি? তুমি তাকে কী বলেছ যে সে এত রেগে আছে?
'কী' বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: কীভাবে, কী আশ্চর্য্য, কী সুন্দর, কী বিভৎস, কী খুনেরে বাবা, কী শয়তান।
বিস্ময়বোধক অব্যয় 'কী' বাক্যের প্রথমে না বসে শেষে বসলে 'কি' হয়ে যায়। যেমন: আশ্চর্য কি! তার মতো ইতরের পক্ষে সবই সম্ভব। তোমার কথা শুনে মুশকিলে পড়ি আর কি!
টা/টি/টে/খান/খানা/খানি/টুকু
একত্বসূচক টা/টি/টে/খান/খানা/খানি/টুকু - এগুলোর কোনোটাই পৃথক শব্দ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হবে না৷

টা: একটা, ছেলেটা, কলমটা, ...
টি: ছেলেটি, বইটি, তিনটি, নিবন্ধটি, ...
টে: তিনটে, চারটে, ...
খান: একখান, দুইখান, ...
খানা: খাতাখানা, ঘরখানা, ...
খানি: অনেকখানি, ভুরুখানি বাঁকা, ...
টুকু: এতটুকু ছেলে, দুধটুকু খেয়ে নাও, ...
তবে, খান শব্দের আগে বসলে পৃথকভাবে ব্যবহৃত হবে৷ যেমন: খান দশেক শাড়ি৷ টি শব্দের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে টি বসে। কিন্তু ঐ ব্যক্তি বা বস্তু নির্দিষ্ট হয়ে গেলে সেই ক্ষেত্রে টি বসবে না। যেমন: ঐ লোকটি কে ? আবার, আসাদ এখানে কি করছে। এখানে আসাদের পরে টি যুক্ত হবে না।

গুলি/গুলো/রা/এরা/গণ/বৃন্দ/সমূহ
বহুবচন-জ্ঞাপক গুলি/গুলো/রা/এরা/গণ/বৃন্দ/সমূহ - এগুলোর কোনোটাই পৃথকভাবে বসবে না, আগের শব্দের সাথে যুক্ত থাকবে৷ যেমন: বইগুলি, চিঠিগুলো, লেখকগণ, সাহিত্যিকবৃন্দ, গ্রন্থসমূহ, ...

ক্ষণ এবং কাল শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ
ক্ষণ এবং কাল শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ আলাদা না বসে একসঙ্গে বসবে৷

{এ, এত, কত, তত, যত, অনেক, কিছু, বহু, সে} + কাল/ক্ষণ = একাল, এতকাল, কতকাল, ততকাল, যতকাল, অনেককাল, কিছুকাল, বহুকাল, সেকাল; এক্ষণ, এতক্ষণ, কতক্ষণ, ততক্ষণ, যতক্ষণ, অনেকক্ষণ, কিছুক্ষণ, বহুক্ষণ, সেক্ষণ৷

ব্যতিক্রম:

খানিকক্ষণ হয়, তবে খানিককাল হয় না৷
দিন শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ (এ, সে বিশেষণ দুটি ছাড়া) একসঙ্গে বসবে না৷ যেমন: এত দিন, কত দিন, তত দিন, যত দিন, অনেক দিন, কিছু দিন, বহু দিন৷ কিন্তু এদিন, সেদিন৷
এ ছাড়া অন্যান্য শব্দের ক্ষেত্রে এত, কত, তত, যত, অনেক, কিছু, বহু পৃথকভাবে বসবে৷ যেমন: এত বই, কত নৌকা, তত কষ্ট, যত আনন্দ, অনেক বছর, অনেক সময়, কিছু পদক্ষেপ, বহু প্রচেষ্টা ইত্যাদি৷
আগামী ও গত শব্দের পরের শব্দ
আগামী ও গত শব্দের পরের শব্দ সর্বদা পৃথক বসবে৷

{আগামী, গত} + {কাল, দিন, পরশু, বছর, বার, মরশুম, মাস, রাত} = আগামী কাল, আগামী দিন, আগামী পরশু, আগামী বছর, আগামী বার, আগামী মরশুম, আগামী মাস, আগামী রাত ; গত কাল, গত দিন, গত পরশু, গত বছর, গত বার, গত মরশুম, গত মাস, গত রাত৷

এর
যে শব্দের বানানে শুধু একটা অক্ষর থাকে, সেগুলোতে "-র/-এর" (possessive/genitive case) যোগ করতে হলে -র/-ের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লিখবেন, যেমনঃ

স্বপ্ন -> স্বপ্নের (স্বপ্ন-র/স্বপ্ন-এর নয়)
বাংলাদেশ -> বাংলাদেশের (বাংলাদেশ-এর নয়)
বাবা -> বাবার (বাবা-র/বাবায়ের নয়)
বিদেশী শব্দেও একই নিয়মঃ

জাপান -> জাপানের (জাপান-এর নয়)
আমেরিকা -> আমেরিকার (আমেরিকা-র বা আমেরিকা-এর নয়)
স্টেশন -> স্টেশনের (স্টেশন-এর নয়)
বানানে শুধু একটা অক্ষর থাকলে, বা সব্দের শেষে দ্বিস্বর (আই, আয়, আউ, আও, ঐ, ঔ, ইত্যাদি) থাকলে, -য়ের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লিখবেন, যেমনঃ

মা -> মায়ের (মা-এর/মা-র/মার নয়)
ভাই -> ভাইয়ের (ভাইএর/ভাইর/ভাই-এর/ভাই-র নয়)
হৈচৈ -> হৈচৈয়ের (হৈচৈ-এর/হৈচৈএর/হৈচৈর/হৈচৈ-র নয়)
শব্দের শেষে ং/ঙ থাকলে, -ঙের (ড্যাশ/হাইফেনটা বাদ দিয়ে) লিখবেন, -ংয়ের লিখবেন না, যেমনঃ

রং/রঙ -> রঙের (রং-এর/রঙ্গের/রংয়ের নয়)
শিলং -> শিলঙের (শিলং-এর/শিলঙ্গের/শিলংয়ের নয়)
টিচিং (teaching) -> টিচিঙের (টিচিং-এর/টিচিঙ্গের/টিচিংয়ের নয়)
ক্রিয়াপদে 'ও'-কার (ো)
ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে অপ্রয়োজনীয় ও-কার বর্জন করতে হবে। সঠিক উদাহরণ: করছ, করেছ, করেছিল, করত, করব, আছ, গেল, ছিল, দিল, নিল, দেব, ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম: তবে অধিক প্রচলিত শব্দের ক্ষেত্রে ও অর্থবিভ্রাট এড়ানোর জন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে। যেমন: হলো, হতো।
ক্রিয়াবিশেষ্যের ক্ষেত্রে শেষ বর্ণে ও-কার হবে। যেমন: করানো, পড়ানো, বলানো, থামানো, ইত্যাদি।
তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে ক্রিয়াপদের শেষ বর্ণে ও-কার বসবে।
বর্তমান অনুজ্ঞায়: তুমি আমার সাথে চলো। কী হয়েছিল ঠিক ঠিক বলো।
ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায়: বইটা বাড়ি গিয়ে পোড়ো। তাকে আমার কথা বোলো। (এখানে লক্ষ্য করুন দুইটি ব্যঞ্জন বিশিষ্ট ক্রিয়ার ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় প্রথম বর্ণের সাথেও ও-কার বসেছে)
নিত্য বর্তমানে: তোমরা যা বলো তা ভাল লাগে না। তুমি যেভাবে চলো সেটা ঠিক নয়।
দেওয়া/নেওয়া
'দেয়া', 'নেয়া' লেখার বদলে লিখতে হবে 'দেওয়া', 'নেওয়া'। অনুরূপে 'দেওয়ার', 'নেওয়ার', 'খাওয়ার', ইত্যাদি লিখতে হবে। তবে ' 'খাদ্য' অর্থে 'খাবার' লিখতে হবে।


জাতীয়তাসূচক বা উদ্ভবস্থলসূচক বিশেষ্য ও বিশেষণ-


American বলতে যদি ব্যক্তি বোঝায়, তাহলে বাংলায় মার্কিনী লিখতে হবে, "আমেরিকান" নয়।
American বলতে যদি জাতীয়তা নির্দেশক বিশেষণ বোঝায়, তাহলে বাংলায় মার্কিন লিখতে হবে, "আমেরিকান" নয়।
American শব্দটি যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি নামের অংশ হয়, তাহলে "মার্কিন" বা "মার্কিনী" লেখা হবে না, সহজ প্রতিবর্ণীকরণ করে আমেরিকান লিখতে হবে।
Spanish-এর বাংলা হবে স্পেনীয়, "স্প্যানিশ" নয়। তবে Spanish শব্দটি যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি নামের অংশ হয়, তাহলে সহজ প্রতিবর্ণীকরণ করে স্প্যানিশ লিখতে হবে।
Latin-এর বাংলা হবে লাতিন, "ল্যাটিন" নয়। তবে Latin শব্দটি যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি নামের অংশ হয়, তাহলে সহজ প্রতিবর্ণীকরণ করে ল্যাটিন লিখতে হবে।

বাংলা শুদ্ধ বানান ও বানানরীতির সমাহার
১) বিসর্গ ও কোলন
আমরা প্রায়ই শিরোনাম বা প্রধান লেখার পরে বিসর্গ ব্যবহার করি, অতঃপর বিসর্গের পরে বিস্তারিত বক্তব্য লিখি। এটি ভুল। মনে রাখতে হবে, বিসর্গ একটি অক্ষর, ফলে আমরা যেখানে ‘বিসর্গ’ ব্যবহার করি সেটি আসলে বিসর্গ না হয়ে ‘কোলন’ হবে। যেমন- বাক্য পাঁচ প্রকারের, যথাঃ
এখানে যথার পরে বিসর্গ দেওয়া হয়েছে, এটি ভুল; এখানে কোলন (:) হবে। সেক্ষেত্রে এটা হবে- বাক্য পাঁচ প্রকারের, যথা:
দ্রষ্টব্য: আমরা যারা কম্পিউটারে অভ্র ফনেটিক ব্যবহার করে বাংলা লিখি তারা হয়ত চাইলেও কোলনটা সহজে দিতে পারি না, কোলন দিতে গেলে বিসর্গ এসে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে বিসর্গ লেখার পর কিবোর্ড থেকে একসেন্ট (Accent) কি চাপতে হবে। এটির অবস্থান কিবোর্ডের Tab বাটনের উপরে এবং 1 এর বামে। বিসর্গ আসলে এটি একবার চাপলেই কোলন হয়ে যাবে। প্রথম কমেন্টে একসেন্ট কি-এর একটি চিত্র দেওয়া হলো।
২) স্পেসের ব্যবহার
দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন, কোলন এসবের পর সবসময় একটা স্পেস হবে, তবে আগে কোন স্পেস হবেনা।

ভুল: সাবরিনা অনেক ভাল,সুন্দর ,লক্ষ্মী ও ভদ্র একটা মেয়ে।সে নিয়মিত ক্লাসেও উপস্থিত থাকে।
শুদ্ধ: সাবরিনা অনেক ভাল, সুন্দর, লক্ষ্মী ও ভদ্র একটা মেয়ে। সে নিয়মিত ক্লাসেও উপস্থিত থাকে।

অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে কোলনের আগে স্পেস ব্যবহার করতে দেখা যায়। আসল নিয়মটা হলো কোলনের আগে অর্ধ-স্পেস ব্যবহারের। কিন্তু ইউনিকোডে অর্ধ-স্পেস সাপোর্ট না করায় কোলনের আগে কোন স্পেস ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
৩) ডটের (.) ব্যবহার
বাংলায় সংক্ষিপ্ত শব্দে ডট ব্যবহার হবে। যেমন- ড. (ডক্টর), লি. (লিমিটেড), মি. (মিস্টার) ইত্যাদি। ইংরেজিতে Govt. (Government), Ltd. (Limited), Mr. (Mister), Dr. (Doctor)। ইংরেজি শব্দের সংক্ষিপ্ত বর্ণ রূপে (Abbreviation) ডট ব্যবহার না করাই ভালো। যেমন— SSC, HSC, SMS, MMS, BCS, BA; বাংলায় এসএসসি, এইচএসসি, এসএমএস, এমএমএস, বিএ, বিকম ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ডট ব্যবহার করা ভুল নয়, তবে আমাদের দ্বারা ভুলের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- BSc, PhD লিখতে গিয়ে B.S.C., P.H.D. লেখা। BSc, PhD-তে ডট ব্যবহার এভাবে হবে B.Sc., Ph.D. শুধু মাঝে ডট দিলে চলবে না (B.Sc, Ph.D) অর্থাৎ Sc. ও D.-এর পরেও ডট হবে; অনুরূপ বাংলাতেও। সুতরাং ভুল এড়াতে এবং বাংলা বানানের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ডট ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এসব শব্দে হাইফেন ( - ) বা কমাও ( , ) ব্যবহার করা যাবে না।
৪) কি ও কী
কি:
যেসব প্রশ্নের জবাব 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেওয়া যায়, অথবা মাথা নেড়ে বা সার্বজনীন ইশারায় দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে 'কি' ব্যবহৃত হবে। যেমন:
সাবরিনা কি আমাকে চেনে?
তোমার নাম কি যুক্তিযুক্ত?
অনিমেষ কি গিয়েছিলে?
কি শীত কি গ্রীষ্ম!
মনে রাখা দরকার যে, এভাবে ব্যবহৃত এই 'কি' শব্দটি হচ্ছে অব্যয় পদ।
অন্য বর্ণের সাথে একসঙ্গে ‘কি’ এর ব্যবহার হয়। যেমন:
কিনা- ফারিহা আজ কলেজে যাবে কিনা জানি না।
নাকি- তানি আজ দুপুরে নাকি ভাত খায়নি।
কিরে- কিরে বন্ধু, আজ ক্লাস করবি না?
কিসে- হা হা, কিসে কী হল। (‘কি’ ও ‘কী’ একসঙ্গে লেখা)
কী:
যেসব প্রশ্নের জবাব 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেয়া যায় না, অথবা মাথা নেড়ে বা সার্বজনীন ইশারায় দেওয়া যায়না সেক্ষেত্রে 'কী' ব্যবহৃত হবে। যেমন:
তোমার নাম কী?
নিশাত কী বলতে চাও, বলো?
কী বিষয়ে অনার্স করছো?
কী থেকে তেল হয়?
কী জন্য রেগে গেলে?
মনে রাখা দরকার যে, এভাবে ব্যবহৃত এই 'কী' শব্দটি হচ্ছে সর্বনাম পদ।
বিভিন্ন পদরূপে ‘কী’ ব্যবহৃত হয়। যেমন:
কী আনন্দ! - বিশেষণ
কী সুন্দর! কী অপরূপ! - বিশেষণের বিশেষণ
তুমি কী খাবে? - সর্বনাম
কীভাবে? - ক্রিয়া-বিশেষণ।
(কীভাবে বানানটি নিয়ে মতদ্বৈততা আছে, কেউ বলেন এটা হবে ‘কিভাবে’)
‘কি’ এবং ‘কী’ ব্যবহারের ভুলটি আমাদের সবচেয়ে বেশি হয়। সিংহভাগই আমরা সব জায়গায় কি ব্যবহার করি। অথচ কেবল ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ বোধক উত্তর যেসব প্রশ্নের হয় সেসব ক্ষেত্রে ‘কি’ হবে। একটু খেয়াল করে কয়েকদিন চর্চা করলেই ভুলটি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। উত্তরের পার্থক্যটা মাথায় রেখে লিখলেই ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
৫) ‘কালীন’ মানেই ‘সময়’
মনে রাখা দরকার ‘কালীন’ মানেই ‘সময়’। ফলে এ দুটি শব্দ একসাথে বসে না।
ভুল: সমকালীন সময়ে
শুদ্ধ: সমকালীন
ভুল: খেলা চলাকালীন সময়।
শুদ্ধ: খেলা চলাকালে/ খেলা চলার সময়ে
ভুল: গর্ভকালীন সময়ে।
শুদ্ধ: গর্ভকালীন/গর্ভাবস্থায়
৬) এক বচন ও বহু বচনের ভুল
ভুল: সব বন্ধুদেরকে বলেছি।
শুদ্ধ: সব বন্ধুকে বলেছি।
৭) ন ও ণ
ঋ, র, ষ বর্ণের পরে দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়; যেমন: ঋণ, বর্ণ, কারণ, ধারণা, দারুণ, বিষ্ণু, বরণ, ঘৃণা।
যদি ঋ, র, ষ বর্ণের পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ থাকে; তার পরবর্তী দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যায়; যেমন : কৃপণ, নির্বাণ, নির্মাণ, পরিবহণ, গ্রহণ, শ্রবণ।
ট-বর্গের পূর্বের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়, যেমন : বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড, ঘণ্টা।
বাংলা ক্রিয়াপদের অন্তঃস্থিত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না, যেমন : ধরেন, মারেন, করেন।
বিদেশী শব্দের দন্ত্য-ন কখনোই মূর্ধন্য-ণ হয় না; যেমন : কোরান, জার্মানি, ফরমান, ফ্রান্স, রিপন, লন্ডন, ড্যান্ডি, ইন্ডিয়া/ ইনডিয়া, প্রিন্ট, পেন্টাগন, মডার্ন, ইস্টার্ন, পর্নোগ্রাফি, কর্নার, বার্ন, হর্ন, পপকর্ন।
সন্ধি বা সমাসনিষ্পন্ন শব্দে ণ হয় না; যেমন: দুর্নীতি, দুর্নিবার, দুর্নাম, ত্রিনয়ন।
মানুষ “ন আর ণ”-এই দুটোর মধ্যে এতো বেশি গোল পাকায়, এটা ধারণার বাইরে। ছোটোখাটো বানান, যেমন- কারণ, নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ বানানেও অনেকেই দেদারসে ‘ন’ ব্যবহার করে। অথচ এসব জায়গায় ‘ণ’ হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধারণা ও দারুণ বানানে ণ হলেও ধরন ও দরুন বানানে ন। বর্ণ থেকে উদ্ভূত বরনে ন হলেও বরণ করে নেয়ার বরণে ণ। এছাড়া ধরনা, ঝরনা/ঝর্না বানানে ন।
৮) দরিদ্র ও দারিদ্র্য
'দরিদ্র' বিশেষণ আর 'দারিদ্র্য' ও 'দরিদ্রতা' বিশেষ্য। 'দারিদ্রতা' বলে কোনো শব্দ নেই।
৯) স্মরণ ও সরণ
'সরণ' মানে রাস্তা, সরণ থেকে 'সরণি'। যেমন- রোকেয়া সরণি, বিজয় সরণি, প্রগতি সরণি। স্মরণ মানে মনে করা। যেমন- স্মরণসভা। সরণির সাথে স্মরণের কোনো সম্পর্ক নেই।
১০) পরা ও পড়া
'পরা' আর 'পড়া' এক না। কেবল পরিধান করা অর্থে 'পরা' এবং বাকি সব ক্ষেত্রে 'পড়া'। যেমন-

পরা:
আমি পাঞ্জাবি পরি।
বাবা চশমা পরেন।
সে শাড়ি পরেছে।
চাচি বোরকা পরতেন।
মা শাড়ি পরেছেন।
নানি চাদর পরতেন।
সেদিন নীল পাঞ্জাবি পরেছিলাম, আজ লাল পাঞ্জাবি পরব।
সাবরিনা চোখে কাজল পরতে পছন্দ করে।
কোনোমতে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি।
আমি কারোটা খাইও না, পরিও না।
সেদিনের ঐ শাড়ি-পরা বালিকাটিকে আর কোথাও দেখিনি।
কে শাড়ির ওপর ব্লাউজ পরল, আর কে ব্লাউজের ওপর শাড়ি পরল; তাতে কার কী আসে-যায়? যার যা ইচ্ছে, পরুক!
পড়া:
সে বই পড়ে।
বৃষ্টি পড়ছে।
সে প্রেমে পড়েছে।
তিনি পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছেন
প্রশ্ন কমন পড়েনি।
শেয়ারবাজার পড়ে গেছে।
বই পড়ছি।
গাছ থেকে আম পড়ল।
লোকটা রিকশা থেকে পড়ে গেল।
বাজারে আলুর দাম পড়ে গেছে।
বেজায় গরম পড়েছে।
রাগ পড়ে গেছে।
ভারি বিপদে পড়েছি।
অর্থের পার্থক্যটা মাথায় রেখে লিখলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
১১) আ-কার এর কারণে ণ
ধরন ও দরুন বানানে ন। ধারণ, ধারণা, দারুণ বানানে ণ। খেয়াল রাখতে হবে- দ বা ধ এর সাথে আ-কার বসলে পরে ণ হয়, আ-কার না বলে ন হয়।
১২) দ্রব্যমূল্য ও দ্রব্যমূল্যের দাম
'দ্রব্যমূল্য' অথবা 'দ্রব্যের দাম' শুদ্ধ। 'দ্রব্যমূল্যের দাম' কথাটা ভুল, মূল্য মানেই দাম।
১৩) উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ
উদ্দেশ্য = লক্ষ্য, উদ্দেশ = প্রতি।
সংকট নিরসনের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, ভাষণ শেষে তিনি ব্রিটেনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
১৪) লক্ষ ও লক্ষ্য
লক্ষ = লাখ, দৃষ্টি। লক্ষ্য = উদ্দেশ্য। জীবনের লক্ষ্য পূরণের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আমার দিকে লক্ষ করো। লক্ষ করে শোনো।
১৫) চন্দ্রবিন্দু
দাঁড়িপাল্লা, দাঁড়ি-মাল্লা, দাঁড়ি-কমা ইত্যাদি সব দাঁড়িতে চন্দ্রবিন্দু থাকলেও কেবল দাড়ি-মোচের দাড়িতে চন্দ্রবিন্দু নেই। কাঁচা ও হাঁড়িতে চন্দ্রবিন্দু আছে, কাচ ও হাড়ে নেই।
১৬) ভারি ও ভারী
ভারি = খুব, ভারী = ওজনদার। ক্লাসের ভারী-ভারী বই পড়তে ভারি কষ্ট লাগে।
১৭) উত্তম, মধ্যম ও নাম পুরুষ
ভুল: আমি ও সে যাব।
শুদ্ধ: সে ও আমি যাব।
বাক্যে একাধিক পুরুষ থাকলে উত্তম পুরুষটি শেষে বসবে। ক্রম হবে- সে>তুমি>আমি।
১৮) নিচ ও নীচ
নিচ = নিম্ন, নীচ = জঘন্য। আমাদের নিচতলার ভাড়াটিয়া অত্যন্ত নীচ প্রকৃতির মানুষ।
১৯) নিত্য শ
'পোশাক' বানানে শ।
২০) জীবী ও জীবি
আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ইত্যাদি সকল জীবী-তে দুটোই দীর্ঘ ই-কার; কিন্তু জীবিকা বানানে ব-য় হ্রস্ব ই-কার অর্থাৎ 'বি'।
২১) ত্য, ত্ত, ত্ত্ব, ত্ব
সত্য বানানে ত্য, সত্তা বানানে ত্ত, সত্ত্বেও বানানে ত্ত্ব, স্বত্বাধিকারী বানানে ত্ব।
২২) ভুঁড়ি ও ভূরি
ভুঁড়ি : নাড়ি-ভুঁড়ি
ভূরি : এ জগতে হায় সে-ই বেশি চায়, আছে যার ভূরি-ভূরি!
২৩) জোর ও জোড়
জোর = শক্তি
জোড় = যুগল
বাবা তাকে জোরে ধমক দিলেন, সে করজোড়ে ক্ষমা চাইল। জোরাজুরি করলে কারো মনও পাবে না, বেজোড় থেকে জোড়ও হতে পারবে না। সে পরীক্ষায় বড়জোর ৪০ পাবে।
২৪) স্বার্থক নয় সার্থক
স্বার্থক না, সার্থক; স্বার্থকতা না, সার্থকতা।
২৫) য় নয় র
'সে আশায় গুড়েবালি' কথাটা ঠিক নয়, কথাটা হবে 'সে আশার গুড়ে বালি'।
২৬) অন্তঃস্থল নয় অন্তস্তল
'অন্তরের অন্তঃস্থল' না, 'অন্তরের অন্তস্তল'।
২৭) আপস/আপোস/আপোষ
বাংলা একাডেমির অভিধান মতে আপস, আপোস এবং আপোষ এই তিনটা বানানই সঠিক।
২৮) 'ওঠে' ও 'উঠে'
ওঠে' সমাপিকা ক্রিয়া, 'উঠে' অসমাপিকা ক্রিয়া। সে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে। ঘুম থেকে উঠে ছাদে ওঠে। ছাদে উঠে আকাশ দেখে।
২৯) ক্ষ-এর নিচে ম
লক্ষ্মী, যক্ষ্মা বানানে ক্ষ-এর নিচে একটা ম-ও আছে।
৩০) ষ্ঠ ও তম
কনিষ্ঠ মানেই সবার ছোট, জ্যেষ্ঠ মানেই সবার বড়, শ্রেষ্ঠ মানেই সবার সেরা। কনিষ্ঠতম, জ্যেষ্ঠতম, শ্রেষ্ঠতম বলে কোনো শব্দ নেই।
৩১) যুক্তবর্ণে ন ও ণ’র ভুল
অপরাহ্ণ ও পূর্বাহ্ণ বানানে ণ; সায়াহ্ন, মধ্যাহ্ন, আহ্নিক ও চিহ্ন বানানে ন।
৩২) গাঁথা ও গাথা
গাঁথা = গ্রন্থন (মালা গাঁথা, সুতো গাঁথা)
গাথা = কবিতা (সাফল্যগাথা, বীরত্বগাথা, জীবনগাথা, দুঃখগাথা)
৩৩) লী নয় লি
অঞ্জলি বানানে ই-কার। এভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি, গীতাঞ্জলি।
৩৪) দু, দূ ও দুঃ
দূর বানানে দীর্ঘ ঊ-কার; কিন্তু দুর্নীতি, দুর্লভ, দুর্গম, দুর্নাম, দুর্ধর্ষ, দুর্দিন, দুঃস্থ, দুষ্প্রাপ্য, দুর্বল, দুর্গ ইত্যাদিতে হ্রস্ব উ-কার।
দুঃসম্পর্কের আত্মীয় না, দূরসম্পর্কের আত্মীয়।
৩৫) শীষ ও শিস
শীষ- গুচ্ছ। গমের শীষ। শিস- শুভ কামনা। শব্দটি ‘আশীষ’ বা ‘আশিশ’ নয়, ‘আশিস’। এভাবে শুভাশিস, দেবাশিস, স্নেহাশিস হবে।
৩৬) ভাষাভাষী নয় শুধু ভাষী
'বাংলা ভাষাভাষী' বা 'ইংরেজি ভাষাভাষী' লেখা নিষ্প্রয়োজন, 'বাংলাভাষী' বা 'ইংরেজিভাষী' লিখলেই চলবে।
৩৭) বেশি ও বেশী
বেশি = খুব, অনেক
বেশী = বেশধারী (ছদ্মবেশী, ভদ্রবেশী)
৩৮) য-ফলা আছে
সন্ন্যাসী বানানে 'ন্ন্যা', সন্ধ্যা বানানে ‘ন্ধ্যা’।
জ্যেষ্ঠ, জ্যৈষ্ঠ, জ্যোতি, জ্যোৎস্না, ন্যূনতম, ব্যূহ বানানে য-ফলাগুলো কই-কই বসেছে; লক্ষ রাখতে হবে।
৩৯) কারণ ও কেননা
ইতিবাচক বাক্যে 'কারণ' বসবে, যেমন : সে ভালো ফলাফল করেছে, কারণ সে নিয়মিত স্কুলে যায়।

নেতিবাচক বাক্যে 'কেননা' বসবে; যেমন : সে পাশ করেনি, কেননা সে লেখাপড়ায় মনোযোগী ছিল না। সে ভালো নেই, কেননা তার বাবা মারা গেছেন। অর্থাত যেসব বাক্যে ‘না, নি, নেই’ ইত্যাদি আছে; সেসব বাক্যে ‘কেননা’ বসে।
৪০) ষ ব্যবহারের ব্যতিক্রম
বিদেশী কোনো শব্দেই ‘ষ’ না বসলেও কেবল 'খ্রিষ্ট' শব্দটিতে ‘ষ’ বসবে। 'খ্রিষ্ট' শব্দটি ইংরেজি 'ক্রাইস্ট' থেকে এলেও এটি বাংলা ভাষায় ঢুকে আত্মীকৃত হয়ে গেছে এবং এর উচ্চারণও বদলে গিয়ে সংস্কৃত শব্দ 'কষ্ট', 'নষ্ট' ইত্যাদির মতো হয়ে গেছ। ফলে খ্রিষ্ট, খ্রিষ্টীয়, খ্রিষ্টপূর্ব, খ্রিষ্টাব্দ, খ্রিষ্টান ইত্যাদিতে ‘ষ’ লিখতে হবে।
৪১) ভাল ও ভালো
ভাল - ভালো, কাল - কালো একক শব্দ হিসেবে লিখলে দুটো বানানই ঠিক।কিন্তু এর অন্য কিছু জুড়ে দিলে 'লো' হবে। যেমন: ভালোবাসা কালোবাজার।
৪২) তৈরি ও তৈরী
‘তৈরি’ এবং ‘তৈরী’ দুটো বানানই সঠিক। কিন্তু এর মধ্যে মার-প্যাঁচ আছে। ‘বেশি’ এবং ‘বেশী’ দুটো বানান যেমন সব জায়গায়, সবসময়েই ঠিক। ‘তৈরি’ এবং ‘তৈরী’ দুটো বানান কিন্তু সব জায়গায়, সবসময়েই ঠিক না। প্যাঁচটা এখানে। যদি অতীত ও ভবিষ্যৎকে নির্দেশ করে তবে ‘তৈরী’ অর্থাৎ দীর্ঘ ই-কার ব্যবহৃত হবে আর যদি বর্তমান বা সতত কোন কিছুকে নির্দেশ করে তবে ‘তৈরি’ অর্থাৎ হ্রস্ব ই-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন:
লজিক্যাল বাঙ্গালী জেনুইন মসলা দিয়ে ‘তৈরি’ (সতত অর্থে)।
ফারিহার ‘তৈরী’ আয়না (ইতোমধ্যে ক্রিয়াটি সম্পাদিত, অর্থাৎ অতীত)।
ফারিহা কী যে আয়না ‘তৈরী’ করবে কে জানে? (ভবিষ্যৎ)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এতো প্যাঁচের দরকার কী? বর্তমান বাংলা একাডেমীর অভিধানে ‘তৈরি’ লিখেছে। ঐটা লিখলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়।
৪৩) বুঝা ও বোঝা
‘বুঝা’ এবং ‘বোঝা’ শব্দ দুইটি নিয়ে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আমরা অনেকেই "বুঝা" এর জায়গায় "বোঝা" লিখি।

বুঝ (১) = বোধ, বিচার, জ্ঞান। যেমন:
তিনি কী বলেছেন, তার কিছুই বুঝতে পারিনি।
বুঝা গেল তুমি একটা ভুল করেছ।
খেয়াল করলে দেখবেন দ্বিতীয় বাক্যটির "বুঝা" শব্দটি অনেকে ভুল করে "বোঝা" লিখে থাকেন।

বুঝ (২) = প্রবোধ, সান্ত্বনা। যেমন:
তাকে বুঝ দিয়ে লাভ নাই।
তিনি অনেক বুঝানোর (এখানে বোঝানোর হবে না) চেষ্টা করেছেন, লাভ হয়নি।

বোঝা (১) = ভার; মোট।
যেমন: তার বোঝা টানার শক্তি ছিলো না।
সংসারের বোঝা টানতে টানতে আমি হয়রান।

বোঝা (২) = দায়িত্ব। যেমন:
না জেনে এত বড় বোঝা নিতে গেলে কেন?

বোঝাই- পূর্ণ বা ভর্তি। যেমন:
মাল বোঝাই ট্রাকটিকে পুলিশ আটক করলো।

তবে বোঝা অথবা বুঝা দু'টোই ব্যবহৃত হচ্ছে আজকাল। দু'টোই সঠিক। তাই বুঝাপড়া বা বোঝাপড়া-তে কোনো পার্থক্য নেই। (বাংলা একাডেমি প্রণীত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে এর উল্লেখ আছে)।
৪৪) গণ ভুল
শিরোচ্ছেদ বানানটি হবে শিরশ্ছেদ (শ্+ছ = শ্ছ)।
মতদ্বৈততা বানানটি হবে মতদ্বৈধতা
সান্তনা/শান্তনা বানানটি হবে সান্ত্বনা (ন+ত+ব=ন্ত্ব)
৪৫) ঙ, ঙ্ক (ঙ+ক), ঙ্খ (ঙ+খ) ও ঙ্ক্ষ (ঙ+ক্ষ)
পঙক্তি, অপাঙক্তেয় বানানে ঙ
অঙ্ক বানানে ঙ্ক (ঙ+ক)
শৃঙ্খলা বানানে ঙ্খ (ঙ+খ)
আকাঙ্ক্ষা বানানে ঙ্ক্ষ (ঙ+ক্ষ)
৪৬) সাধারণ দুইটি ভুল
১) হ্যাঁ: এটার ব্যাপারে সবাই খুব কিপ্টে। ‘হ্যাঁ’ বানানে চন্দ্রবিন্দু দিতে চায় না কেউ; ‘হ্যাঁ’ বানানে চন্দ্রবিন্দু হবে।
২) জ্বি: আরেকটা ট্রিকি বানান হচ্ছে ‘জ্বি’, যেমন- “হ্যালো, জ্বি বলছি”। এটাকে কেউ জ্বী লেখে, কেউ জি, কেউ জী। শুদ্ধ বানান হচ্ছে ‘জ্বি’।
(বিঃদ্র:বাংলা শুদ্ধ বানান ও বানানরীতির সমাহার-অংশটি সংকলন করেছেন রিহানুর ইসলাম প্রতীক


বহুল ব্যবহৃত কিছু বাংলা বানানের অশুদ্ধ-শুদ্ধ শব্দের তালিকা-

অশুদ্ধ - শুদ্ধ
অংক - অঙ্ক
অংকন - অঙ্কন
অংকুর - অঙ্কুর
অংগ - অঙ্গ
অংগন - অঙ্গন
অংগাংগী - অঙ্গাঙ্গি
অকল্যান - অকল্যাণ
অকারন - অকারণ
অগ্রগন্য - অগ্রগণ্য
অগ্রহায়ন - অগ্রহায়ণ
অচিন্ত - অচিন্ত্য
অচিন্ত্যনীয় - অচিন্তনীয়
অঞ্জলী - অঞ্জলি
অণ্বেষণ - অন্বেষণ
অতিথী - অতিথি
অতিব - অতীব
অতিষ্ট - অতিষ্ঠ
অত্যাধিক - অত্যধিক
অত্যান্ত - অত্যন্ত
অদ্ভূত - অদ্ভুত
অদ্যপি - অদ্যাপি
অদ্যবদি - অদ্যাবধি
অধঃস্তন - অধস্তন
অধিকরন - অধিকরণ
অধীনস্ত - অধীনস্থ
অধ্যাবসায় - অধ্যবসায়
অধ্যায়ণ - অধ্যয়ন
অধ্যূষিত - অধ্যুষিত
অনিন্দসুন্দর - অনিন্দ্যসুন্দর
অনিষ্ঠ - অনিষ্ট
অনু - অণু
অনুকুল - অনুকূল
অনুর্ধ্ব - অনূর্ধ্ব
অনুসঙ্গ - অনুষঙ্গ
অন্তঃসত্তা - অন্তসত্ত্বা
অন্তকরণ - অন্তঃকরণ
অন্তর্ভূক্ত - অন্তর্ভুক্ত
অন্তর্মুখি - অন্তর্মুখী
অন্যমনষ্ক - অন্যমনস্ক
অপসৃয়মান - অপসৃয়মাণ
অপাংক্তেয় - অপাঙ্‌ক্তেয়
অপেক্ষমান - অপেক্ষমাণ
অভিভুত - অভিভূত
অভিমুখি - অভিমুখী
অভ্যন্তরিক - আভ্যন্তরিক
অভ্যস্থ - অভ্যস্ত
অমানুসিক - অমানুষিক
অমাবশ্যা - অমাবস্যা
অমিতাক্ষর - অমিত্রাক্ষর
অর্ধ্ব - অর্ধ
অর্পণা - অপর্ণা
অলংঘ - অলঙ্ঘ্য
অশিরিরী - অশরীরী
অসুয়া - অসূয়া
অস্তমান - অস্তায়মান
অহঃরহ - অহরহ
আঁড়াআড়ি - আড়াআড়ি
আঁড়িপাতা - আড়িপাতা
আকষ্কিক - আকস্মিক
আকাংখা - আকাঙ্ক্ষা
আকাবাকা - আঁকাবাঁকা
আকুতি - আকূতি
আকূল - আকুল
আক্রমন - আক্রমণ
আটপৌড়ে - আটপৌরে
আড়ষ্ঠ - আড়ষ্ট
আড়ৎ - আড়ত
আতংক - আতঙ্ক
আত্মস্যাৎ - আত্মসাৎ
আদ্যান্ত - আদ্যন্ত
আদ্র - আর্দ্র
আনবিক - আণবিক
আনুষাঙ্গিক - আনুষঙ্গিক
আপাতঃদৃষ্টে - আপাতদৃষ্টে
আপাততঃ - আপাতত
আপোষ - আপোস
আভ্যন্তরীণ - অভ্যন্তরীণ
আয়ত্ব - আয়ত্ত
আয়ত্বাধীন - আয়ত্তাধীন
আরাম্ভ - আরম্ভ
আলিংগন - আলিঙ্গন
আলোচ্যমান - আলোচ্য
আশংকা - আশঙ্কা
আশক্তি - আসক্তি
আশ্বস্থ - আশ্বস্ত
আস্তাকুঁড় - আঁস্তাকুড়
ইংগিত - ইঙ্গিত
ইতঃস্তত - ইতস্তত
ইতিপূর্বে - ইতঃপূর্বে
ইতিমধ্যে - ইতোমধ্যে
ইদানিং - ইদানীং
ইয়ত্বা - ইয়ত্তা
ইষ্ঠ - ইষ্ট
ইষৎ - ঈষৎ
ঈস্পিত - ঈপ্সিত
উচিৎ - উচিত
উচ্চৈস্বরে - উচ্চৈঃস্বরে
উচ্ছ্বল - উচ্ছল
উজ্বল - উজ্জ্বল
উত্তরন - উত্তরণ
উত্তরসুরী - উত্তরসূরি
উত্তলন - উত্তোলন
উত্যক্ত - উত্ত্যক্ত
উদীচি - উদীচী
উদ্দান - উদ্যান
উদ্দ্যোগ - উদ্যোগ
উদ্ধত্য - ঔদ্ধত্য
উদ্বিঘ্ন - উদ্বিগ্ন
উদ্ভিজ - উদ্ভিজ্জ
উদ্ভুত - উদ্ভূত
উনবিংশ - ঊনবিংশ
উপকুল - উপকূল
উপচার্য - উপাচার্য
উপরোক্ত - উপরিউক্ত
উপলক্ষ্য - উপলক্ষ
উভয়চর - উভচর
উর্ধ্ব - ঊর্ধ্ব
উর্মি - ঊর্মি
উশৃঙ্খল - উচ্ছৃঙ্খল
উষর - ঊষর
উহ্য - ঊহ্য
উৎকর্ষতা - উৎকর্ষ
ঊনিশ - উনিশ
এককৃত - একীকৃত
একনিষ্ট - একনিষ্ঠ
একভূত - একীভূত
একাধিক্রমে - একাদিক্রমে
এক্ষুণি - এক্ষুনি
এতদ্‌সঙ্গে - এতৎসঙ্গে
এতদ্‌সত্ত্বেও - এতৎসত্ত্বেও
এশিয় - এশীয়
ঐকবদ্ধ - ঐক্যবদ্ধ
ঐক্যতা - একতা
ঐক্যতান - ঐকতান
ঐক্যমত - ঐকমত্য
ওতঃপ্রোত - ওতপ্রোত
ঔচিত্ত - ঔচিত্য
কংকণ - কঙ্কণ
কংকাল - কঙ্কাল
কচিৎ - ক্বচিৎ
কটুক্তি - কটূক্তি
কতৃক - কর্তৃক
কতৃত্ত্ব - কর্তৃত্ব
কতৃপক্ষ - কর্তৃপক্ষ
কথপোকথন - কথোপকথন
কদাচিত - কদাচিৎ
কনা - কণা
কনিষ্ট - কনিষ্ঠ
কন্ঠশিল্পী - কণ্ঠশিল্পী
কন্ঠস্ত - কণ্ঠস্থ
কয়েদী - কয়েদি
করনিক - করণিক
কর্তী - কর্ত্রী
কর্মচারি - কর্মচারী
কলংক - কলঙ্ক
কলসী - কলসি
কল্যান - কল্যাণ
কল্যানীয়াষু - কল্যাণীয়াসু
কল্যানীয়েসু - কল্যাণীয়েষু
কষ্ঠি - কষ্টি
কাঁচ - কাচ
কাঁছাকাছি - কাছাকাছি
কাংখিত - কাঙ্খিত
কাকলী - কাকলি
কাচা - কাঁচা
কাতলা - কাৎলা
কার্যতঃ - কার্যত
কিংবদন্তী - কিংবদন্তি
কিম্বা - কিংবা
কুটনীতি - কূটনীতি
কুৎসিৎ - কুৎসিত
কূটিল - কুটিল
কৃচ্ছতা - কৃচ্ছ্রতা
কৃচ্ছসাধন - কৃচ্ছ্রসাধন
কৃষিজীবি - কৃষিজীবী
কৃষ্টিবান - কৃষ্টিমান
কেন্দ্রিয় - কেন্দ্রীয়
কেরাণী - কেরানি
কোণাকুণি - কোনাকুনি
কৌতুহল - কৌতূহল
কৌতূক - কৌতুক
ক্রুর - ক্রূর
ক্ষীয়মান - ক্ষীয়মাণ
ক্ষুন্ন - ক্ষুণ্ণ
ক্ষুব্দ - ক্ষুব্ধ
ক্ষেপন - ক্ষেপণ
ক্ষেপনাস্ত্র - ক্ষেপণাস্ত্র
খঞ্জনী - খঞ্জনি
খুটিনাটি - খুঁটিনাটি
খুড়ী - খুড়ি
খুশী - খুশি
খেতমজুর - ক্ষেতমজুর
খেলাধূলা - খেলাধুলা
খেলোয়ার -খেলোয়াড়
খোজ -খোঁজ
খোলাখোলি -খোলাখুলি
গংগা - গঙ্গা
গগণ - গগন
গড্ডালিকা -গড্ডলিকা
গত্যান্তর -গত্যন্তর
গন - গণ
গননা - গণনা
গনিত - গণিত
গন্য - গণ্য
গন্‌জ - গঞ্জ
গবেষনা - গবেষণা
গরীব - গরিব
গর্ধব - গর্ধভ
গাড়ী - গাড়ি
গার্হস্থ - গার্হস্থ্য
গীর্জা - গির্জা
গুড়া - গুঁড়া
গুড়ো - গুঁড়ো
গুণে গুণে - গুনে গুনে
গৃহস্ত - গৃহস্থ
গৃহিত - গৃহীত
গোধুলি - গোধূলি
গোষ্ঠি - গোষ্ঠী
গোস্পদ - গোষ্পদ
গ্রন্থী - গ্রন্থি
গ্রহন - গ্রহণ
গ্রহিতা - গ্রহীতা
গ্রামীন - গ্রামীণ
গ্রীক - গ্রিক
গ্রীস - গ্রিস
ঘনিষ্ট - ঘনিষ্ঠ
ঘরণী - ঘরনি
ঘাটি - ঘাঁটি
ঘুরাঘুরি - ঘোরাঘুরি
ঘুর্ণীয়মান - ঘূর্ণায়মান
ঘুর্নি - ঘূর্ণি
ঘুসখোর - ঘুষখোর
ঘূণ - ঘুণ
ঘোষনা - ঘোষণা
ঘ্রান - ঘ্রাণ
চত্তর - চত্বর
চরক - চড়ক
চাকরানী - চাকরানি
চাকরী - চাকরি
চাকুরী - চাকুরী
চাতুর্যতা - চাতুর্য
চীৎকার - চিৎকার
চুড়মার - চুরমার
চুড়ান্ত - চূড়ান্ত
চূষ্য - চোষ্য
চৌচিড় - চৌচির
ছাকনি - ছাঁকনি
ছাকা - ছাঁকা
ছাত্রীবাস - ছাত্রীনিবাস
ছোওয়া - ছোঁয়া
ছোকড়া - ছোকরা
ছোটখাট - ছোটোখাটো
ছোটাছোটি -ছোটাছুটি
জংগল - জঙ্গল
জগত - জগৎ
জঘণ্য - জঘন্য
জটীল - জটিল
জবানবন্দী -জবানবন্দি
জরুরী - জরুরি
জাগরুক - জাগরূক
জাতিয় - জাতীয়
জাতী - জাতি
জাতীয়করন -জাতীয়করণ
জানুয়ারী - জানুয়ারি
জিনিষ - জিনিস
জীবীকা - জীবিকা
জেষ্ঠ্য - জ্যেষ্ঠ
জৈষ্ঠ্য - জ্যৈষ্ঠ
জ্বরাজীর্ণ - জরাজীর্ণ
টাকশাল - টাঁকশাল
টেঁকসই - টেকসই
ডাইনী - ডাইনি
তক্ষুণি - তক্ষুনি
তছরূপ - তছরুপ
তড়িত - তড়িৎ
ততক্ষণাৎ - তৎক্ষণাৎ
ততধিক - ততোধিক
তত্তজ্ঞান - তত্ত্বজ্ঞান
তত্তাবদায়ক - তত্ত্বাবধায়ক
তত্তাবধান - তত্ত্বাবধান
তদসংক্রান্ত - তৎসংক্রান্ত
তদানুসারে - তদনুসারে
তদ্রুপ - তদ্রূপ
তফাত - তফাৎ
তরংগ - তরঙ্গ
তরান্বিত - ত্বরান্বিত
তর্জনি - তর্জনী
তষ্কর - তস্কর
তাঁতী - তাঁতি
তাবত - তাবৎ
তিতীক্ষা - তিতিক্ষা
তিরষ্কার - তিরস্কার
ত্বরিৎ - ত্বরিত
ত্যজ্য - ত্যাজ্য
ত্রান - ত্রাণ
ত্রিভূজ - ত্রিভুজ
তৎবিষয়ক -তদ্বিষয়ক
থুত্থুরে - থুত্থুড়ে
দক্ষিন - দক্ষিণ
দণ্ডবত - দণ্ডবৎ
দরকারী - দরকারি
দরুণ - দরুন
দারিদ্রতা - দরিদ্রতা, দারিদ্র
দারুন - দারুণ
দিকভ্রান্ত - দিগভ্রান্ত
দিক্ষা - দীক্ষা
দিঘী - দিঘি
দীর্ঘসূত্রিতা -দীর্ঘসূত্রতা
দুতাবাস - দূতাবাস
দুরবীক্ষন - দূরবীক্ষণ
দুরাবস্থা - দুরবস্থা
দুষ - দোষ
দুষ্কৃতীকারী -দুষ্কৃতকারী
দূরবীক্ষন - দূরবীক্ষণ
দূরবীণ - দূরবীন
দূরারোগ্য - দুরারোগ্য
দূরুহ - দুরূহ
দূর্গ - দুর্গ
দৃঢ়করণ - দৃঢ়ীকরণ
দৃষ্টিকোন - দৃষ্টিকোণ
দৃষ্ঠিভঙ্গি - দৃষ্টিভঙ্গি
দেদীপ্যমাণ - দেদীপ্যমান
দেরী - দেরি
দৈনতা - দীনতা, দৈন্য
দোষনীয় - দূষণীয়
দৌরাত্ম - দৌরাত্ম্য
দ্বন্দ - দ্বন্দ্ব
দ্বিতীয়তঃ - দ্বিতীয়ত
ধজা - ধ্বজা
ধরণ - ধরন
ধাধা - ধাঁধা
ধারন - ধারণ
ধারনা - ধারণা
ধুমপান - ধূমপান
ধুর্ত - ধূর্ত
ধুলি - ধূলি
ধুসর - ধূসর
ধূলা - ধুলা
ধ্বনী - ধ্বনি
ধ্বস - ধ্স
ধ্বস্তাধ্বস্তি -ধ্স্তাধস্তি
নচেত - নচেৎ
নচ্ছাড় - নচ্ছাড়
নবীণ - নবীন
নমষ্কার - নমস্কার
নিক্কন - নিক্বণ
নিন্দ্যনীয় - নিন্দনীয়
নিরব - নীরব
নিরস - নীরস
নিরুপন - নিরূপণ
নিরোগ - নীরোগ
নির্দোষী - নির্দোষ
নির্ধনী - নির্ধন
নির্নয় - নির্ণয়
নিস্কাশন - নিষ্কাশন
নিস্প্রভ - নিষ্প্রভ
নিস্প্রয়োজন - নিষ্প্রয়োজন
নিহারীকা - নীহারিকা
নীচে - নিচে
নীজ - নিজ
নীরলস - নিরলস
নূন্যতম - ন্যূনতম
নৃসংশ - নৃশংস
নৈশব্দ্য - নৈঃশব্দ্য
ন্যয় - ন্যায়
ন্যয্য - ন্যায্য
পংক - পঙ্ক
পংক্তি - পঙক্তি
পক্ক - পক্ব
পড়শী - পড়শি
পড়াশুনা - পড়াশোনা
পথমধ্যে - পথিমধ্যে
পথিকৃত - পথিকৃৎ
পন্য - পণ্য
পরবর্তীতে - পরবর্তীকালে
পরমানু - পরমাণু
পরমানু - পরমাণু
পরষ্পর - পরস্পর
পরাস্থ - পরাস্ত
পরিনাম - পরিণাম
পরিবহণ - পরিবহন
পরিমান - পরিমাণ
পরিষ্ফুট - পরিস্ফুট
পরিস্কার - পরিষ্কার
পশ্চাদপট - পশ্চাৎপট
পশ্চাদপদ - পশ্চাৎপদ
পশ্চাৎগামী - পশ্চাদগামী
পশ্চাৎভূমি - পশ্চাদভূমি
পারদর্শীতা - পারদর্শিতা
পারমানবিক - পারমাণবিক
পার্বন - পার্বণ
পালংক - পালঙ্ক
পাষান - পাষাণ
পিচাশ - পিশাচ
পিঠস্থান - পীঠস্থান
পিপিলিকা - পিপীলিকা
পুংখানুপুংখ - পুঙ্খানুপুঙ্খ
পুজা - পূজা
পুণবিবেচনা - পুনর্বিবেচনা
পুন্য - পুণ্য
পুরষ্কার - পুরস্কার
পুর্ন - পূর্ণ
পুস্করিনী - পুষ্করিণী
পূজো - পুজো
পূবালী - পুবালি
পূর্ণগঠন - পুনর্গঠন
পৈত্রিক - পৈতৃক
পোষাক - পোশাক
পৌনঃপৌনিক - পৌনঃপুনিক
পৌরহিত্য - পৌরোহিত্য
প্রজ্জলন - প্রজ্বলন
প্রজ্জলিত - প্রজ্বলিত
প্রণয়ণ - প্রণয়ন
প্রতিকুল - প্রতিকূল
প্রতিযোগীতা - প্রতিযোগিতা
প্রত্যয়ণ - প্রত্যায়ন
প্রথমতঃ - প্রথমত
প্রধানতঃ - প্রধানত
প্রনালী - প্রণালী
প্রনিধান - প্রণিধান
প্রবাহমাণ - প্রবাহমান
প্রবীন - প্রবীণ
প্রভুত - প্রভূত
প্রয়ান - প্রয়াণ
প্রশস্থ - প্রশস্ত
প্রসংগ - প্রসঙ্গ
প্রসংশা - প্রশংসা
প্রাংগন - প্রাঙ্গণ
প্রাণপন - প্রাণপণ
প্রানীজগৎ - প্রাণীজগৎ
প্রানীবিদ্যা - প্রাণীবিদ্যা
ফলতঃ - ফলত
ফলপ্রসু - ফলপ্রসূ
ফাল্গুণ - ফাল্গুন
ফেব্রুয়ারী - ফেব্রুয়ারি
বংগ - বঙ্গ
বনষ্পতি - বনস্পতি
বনিক - বণিক
বন্টন - বণ্টন
বন্দোপাধ্যায় - বন্দ্যোপাধ্যায়
বয়ষ্ক - বয়স্ক
বয়োকনিষ্ট - বয়ঃকনিষ্ঠ
বর্ণালী - বর্ণালি
বর্ত্তমান - বর্তমান
বর্ষন - বর্ষণ
বাঁশী - বাঁশি
বাকদত্তা - বাগদত্তা
বাঞ্চনীয় - বাঞ্ছনীয়
বাঞ্চা - বাঞ্ছা
বাড়ী - বাড়ি
বাদুর - বাদুড়
বানিজ্য - বাণিজ্য
বিদ্যান - বিদ্বান
বিপদগ্রস্থ - বিপদগ্রস্ত
বিপদজনক - বিপজ্জনক
বিপনন - বিপণন
বিপনী - বিপণী
বিশ্বস্থ - বিশ্বস্ত
বিষ্ফোরণ - বিস্ফোরণ
বীভৎস্য - বীভৎস
বুদ্ধিজীবি - বুদ্ধজীবী
বেশী - বেশি
ব্যকরণ - ব্যাকরণ
ব্যপক - ব্যাপক
ব্যহত - ব্যাহত
ব্যাতিক্রম - ব্যতিক্রম
ব্যাথা - ব্যথা
ব্যাপি - ব্যাপী
ব্যাবধান - ব্যবধান
ব্যাবহার - ব্যবহার
ব্যাভিচার - ব্যভিচার
ব্যায় - ব্যয়
ব্যার্থ - ব্যর্থ
ব্যুৎপত্তি - বুৎপত্তি
ব্রাক্ষণ - ব্রাহ্মণ
ভংগ - ভঙ্গ
ভংগী - ভঙ্গি
ভংগুর - ভঙ্গুর
ভনিতা - ভণিতা
ভবিষ্যৎবাণী - ভবিষ্যদ্বাণী
ভরনপোষণ - ভরণপোষণ
ভষ্ম - ভস্ম
ভাষ্কর - ভাস্কর
ভিখারী - ভিখারি
ভিরু - ভীরু
ভীড় - ভিড়
ভুড়ি - ভুঁড়ি
ভুতপূর্ব - ভূতপূর্ব
ভুমিষ্ট - ভূমিষ্ঠ
ভুয়সী - ভূয়সী
ভুরিভোজন - ভূরিভোজন
ভূবন - ভুবন
ভূয়া - ভুয়া
ভূল - ভুল
ভৌগলিক - ভৌগোলিক
ভ্রমন - ভ্রমণ
ভ্রাম্যমান - ভ্রাম্যমাণ
ভ্রুক্ষেপ - ভ্রূক্ষেপ
মজুরী - মজুরি
মণিষা - মনীষা
মনমালিন্য - মনোমালিন্য
মনিষী - মনীষী
মন্ত্রনালয় - মন্ত্রণালয়
ময়ুর - ময়ূর
মরুদ্যান - মরূদ্যান
মশারী - মশারি
মস্তিস্ক - মস্তিষ্ক
মহত্ত - মহত্ত্ব
মহামতী - মহামতি
মহামারি - মহামারী
মহিয়সী - মহীয়সী
মাংশ - মাংস
মানিক্য - মানিক
মাসী - মাসি
মাহাত্ম - মাহাত্ম্য
মিতালী - মিতালি
মিমাংসা - মীমাংসা
মিরিচিকা - মরীচিকা
মুখস্ত - মুখস্থ
মুঢ় - মূঢ়
মুত্র - মূত্র
মুদ্রন - মুদ্রণ
মুমুর্ষ - মুমূর্ষ
মুর্খ - মূর্খ
মুর্তি - মূর্তি
মুর্ধন্য - মূর্ধন্য
মুষ্ঠি - মুষ্টি
মুহুর্ত - মুহূর্ত
মুহূর্মুহু - মুহুর্মুহু
মুহ্যবান - মোহ্যমান
মূখ্য - মুখ্য
মূল্যায়ণ - মূল্যায়ন
মৃয়মান - ম্রিয়মাণ
মোটামোটি - মোটামুটি
মৌনতা - মৌন
যক্ষা - যক্ষ্মা
যথেষ্ঠ - যথেষ্ট
যদ্যাপি - যদ্যপি
যন্ত্রনা - যন্ত্রণা
যাদুঘর - জাদুঘর
রংগ - রঙ্গ
রঙিণ - রঙিন
রঙ্গিণ - রঙ্গিন
রথি - রথী
রসায়ণ - রসায়ন
রাংগামাটি - রাঙ্গামাটি
রামায়ন - রামায়ণ
রাষ্ট্রিয় - রাষ্ট্রীয়
রূপায়ন - রূপায়ণ
রোপন - রোপণ
লংকা - লঙ্কা
লংঘন - লঙ্ঘন
লক্ষী - লক্ষ্মী
লক্ষ্যণীয় - লক্ষণীয়
লঘুকরণ - লঘূকরণ
লজ্জাষ্কর - লজ্জাকর
লবন - লবণ
লাইব্রেরী - লাইব্রেরি
লাবন্য - লাবণ্য
শংকর - শঙ্কর
শংকা - শঙ্কা
শংকিত - শঙ্কিত
শরীক - শরিক
শশাংক - শশাঙ্ক
শশুর - শ্বশুর
শশ্মান - শ্মশান
শাড়ী - শাড়ি
শাষণ- শাসন
শারীরীক - শারীরিক
শাশুড়ী - শাশুড়ি
শিক্ষাঙ্গন - শিক্ষাঙ্গণ
শিরচ্ছেদ - শিরশ্ছেদ
শিরধার্য - শিরোধার্য
শিরনাম - শিরোনাম
শিরমণি - শিরোমণি
শুভাকাংখী - শুভাকাঙ্খী
শুশ্রুষা - শুশ্রূষা
শূণ্য - শুন্য
শৃংখলা - শৃঙ্খলা
শ্বাশত - শাশ্বত
শ্রদ্ধাঞ্জলী - শ্রদ্ধাঞ্জলি
শ্রদ্ধাভাজনীয় - শ্রদ্ধাভাজন
শ্রদ্ধাষ্পদ - শ্রদ্ধাস্পদ
শ্রমজীবি - শ্রমজীবী
শ্রাবন - শ্রাবণ
শ্রীমতি - শ্রীমতী
শ্রেষ্ট - শ্রেষ্ঠ
ষষ্ট - ষষ্ঠ
ষষ্ঠদশ - ষোড়শ
সংগা - সংজ্ঞা
সংগী - সঙ্গী
সখ - শখ
সতীন - সতিন
সত্বেও - সত্ত্বেও
সত্যয়িত - সত্যায়িত
সদ্যজাত - সদ্যোজাত
সদ্যস্নাত - সদ্যঃস্নাত
সনাক্ত - শনাক্ত
সন্মান - সম্মান
সন্মানীত - সম্মানীত
সন্মুখ - সম্মুখ
সন্মেলন - সম্মেলন
সমীচিন - সমীচীন
সম্বরণ - সংবরণ
সম্বর্ধনা - সংবর্ধনা
সম্বলিত - সংবলিত
সরকারী - সরকারি
সরণী - সরণি
সরনী - সরণি
সর্বাঙ্গীন - সর্বাঙ্গীণ
সলজ্জিত - সলজ্জ
সশংকিত - সশঙ্ক
সহকারি - সহকারী
সাংগ - সাঙ্গ
সাক্ষাতকার - সাক্ষাৎকার
সাড়াশী - সাঁড়াশি
সাধারন - সাধারণ
সান্তনা - সান্ত্বনা
সামগ্রীক - সামগ্রিক
সৌখিন - শৌখিন
স্বচ্ছল - সচ্ছল
স্বরস্বতী - সরস্বতী
স্বস্ত্রীক - সস্ত্রীক
স্বাতন্ত্র - স্বাতন্ত্র্য
স্বাধীকার - স্বাধিকার
স্বায়ত্ত্বশাসন - স্বায়ত্তশাসন
স্মরন - স্মরণ
স্রোতঃস্বতী - স্রোতস্বতী
হীনমন্যতা - হীনম্মন্যতা
হৃদপিণ্ড - হৃৎপিণ্ড
হৃদস্পন্দন - হৃৎস্পন্দন
হৃৎরোগ - হৃদরো

শুদ্ধ শব্দের তালিকা
আয়ত্ত [সাধারণ ভুল: আয়ত্ব, আয়ত্ত্ব]
উচ্ছ্বাস [সাধারণ ভুল: উচ্ছাস]
উপার্জন [ভুল: উপার্যন]
কোমর [ভেরি সাধারণ ভুল: কোমড়]
ক্ষতিগ্রস্ত [ভুল: ক্ষতিগ্রস্থ]
খ্রিস্টাব্দ [ভুল: খ্রিষ্টাব্দ]
গোষ্ঠী [ভুল: গোষ্ঠি]
জ্বর (fever) [ভুল: জর]
জ্বালা [ভুল: জালা]
জ্যোৎস্না [জোৎস্না]
ঠাঁই [ভুল: ঠাই]
তত্ত্ব [ভুল: তত্ত]
তোড়জোড় [সাধারণ ভুল: তোরজোর]
দীর্ঘজীবী [ভুল: দীর্ঘজীবি]
দুরাকাঙ্ক্ষা [ভুল: দূরাকাঙ্ক্ষা]
দুরাশা [ভুল: দূরাশা]
দূরবর্তী
দুর্গা [ভুল: দূর্গা]
ধোঁয়া (vapour) [ধোয়া]
নিয়ন্ত্রণ [সাধারণ ভুল: নিয়ন্ত্রন]
নূপুর [ভুল: নুপূর]
পরিপূরক [ভুল: পরিপুরক]
পুব - পুবাকাশ (পূর্ব দিক অর্থে) [ভুল: পূব]
পুরোনো [সাধারণ ভুল: পুরান, পুরনো, পুরানো]
পুরস্কার [সাধারণ ভুল: পুরষ্কার]
পূজা [সাধারণ ভুল: পুজা]
প্রচণ্ড [সাধারণ ভুল: প্রচন্ড]
প্রতিদ্বন্দ্বী
বাঁধা (বন্ধন বোঝাতে, বা যুদ্ধ বাঁধা)
বাধা (প্রতিবন্ধকতা)
বিষণ্ণ [ভুল: বিষন্ন]
বৃষ্টি [ভুল: বৃস্টি]
ব্যক্তি [ভুল: ব্যাক্তি]
ব্যবহার [ভুল: ব্যবহার]
ব্যাকরণ [ভুল: ব্যকরণ]
ব্যাধি [ভুল: ব্যধি]
ব্যাহত [ভুল: ব্যহত]
ভালো [সাধারণ ভুল: ভাল]
মর্ত্য [ভুল: মর্ত]
মনোযোগ [ভুল: মনযোগ]
মুমূর্ষু [সাধারণ ভুল: মুমুর্ষ, মুমুর্ষু, মুমুর্ষূ]
শ্বশুর [সাধারণ ভুল: শ্শুর, শ্বশুড়]
শাশুড়ি [সাধারণ ভুল: শ্বাশুরি, শাশুরি, শাশুড়ী]
শূন্য [সাধারণ ভুল: শুন্য, শুণ্য]
শূন্যতা [সাধারণ ভুল: শুন্যতা]
শ্যেন [ভুল: শেন]
শেষমেশ [সাধারণ ভুল: শেষমেষ]
শখ [সাধারণ ভুল: সখ]
সত্তা (being) [সাধারণ ভুল: সত্বা, সত্ত্বা]
সত্ত্বেও [সাধারণ ভুল: সত্তেও/সত্বেও]
সহ্য [ভুল: সজ্য]
সাঁতার [ভুল: সাতার]
সাধ (শখ বোঝাতে) [ভুল: সাদ]
স্বাচ্ছন্দ্য [ভুল: সাচ্ছন্দ]
স্বাদ [ভুল: স্বাধ

নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।

ক্ক = ক + ক; যেমন: আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক + ট; যেমন: ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন: অক্ট্রয়
ক্ত = ক + ত; যেমন: রক্ত
ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন: বক্ত্র
ক্ব = ক + ব; যেমন: পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক + ম; যেমন: রুক্মিণী
ক্য = ক + য; যেমন: বাক্য
ক্র = ক + র; যেমন: চক্র
ক্ল = ক + ল; যেমন: ক্লান্তি
ক্ষ = ক + ষ; যেমন: পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন: তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন: ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন: লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন: সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন: লক্ষ্য
ক্স = ক + স; যেমন: বাক্স
খ্য = খ + য; যেমন: সখ্য
খ্র = খ+ র যেমন; যেমন: খ্রিস্টান
গ্‌ণ = গ + ণ; যেমন - রুগ্‌ণ
গ্ধ = গ + ধ; যেমন: মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন: বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন: দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ + ন; যেমন: ভগ্ন
গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন: অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ + ব; যেমন: দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ + ম; যেমন: যুগ্ম
গ্য = গ + য; যেমন: ভাগ্য
গ্র = গ + র; যেমন: গ্রাম
গ্র্য = গ + র + য; যেমন: ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য, গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = গ + ল; যেমন: গ্লানি
ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন: কৃতঘ্ন
ঘ্য = ঘ + য; যেমন: অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ঘ + র; যেমন: ঘ্রাণ
ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন: অঙ্ক
ঙ্‌ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন: পঙ্‌ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন: অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন: আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন: শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন: অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন: ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন: সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন: দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন: অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন: বাঙ্ময়
চ্চ = চ + চ; যেমন: বাচ্চা
চ্ছ = চ + ছ; যেমন: ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন: জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন: উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন: যাচ্ঞা
চ্ব = চ + ব; যেমন: চ্বী
চ্য = চ + য; যেমন: প্রাচ্য
জ্জ = জ + জ; যেমন: বিপজ্জনক
জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন: উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন: কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন: জ্ঞান
জ্ব = জ + ব; যেমন: জ্বর
জ্য = জ + য; যেমন: রাজ্য
জ্র = জ + র; যেমন: বজ্র
ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন: অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন: লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন: কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন: ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট + ট; যেমন: চট্টগ্রাম
ট্ব = ট + ব; যেমন: খট্বা
ট্ম = ট + ম; যেমন: কুট্মল
ট্য = ট + য; যেমন: নাট্য
ট্র = ট + র; যেমন: ট্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড + ড; যেমন: আড্ডা
ড্ব = ড + ব; যেমন: অন্ড্বান
ড্য = ড + য; যেমন: জাড্য
ড্র = ড + র; যেমন: ড্রাইভার, ড্রাম (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড়্গ = ড় + গ; যেমন: খড়্‌গ
ঢ্য = ঢ + য; যেমন: ধনাঢ্য
ঢ্র = ঢ + র; যেমন: মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল)
ণ্ট = ণ + ট; যেমন: ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন: কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন: কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ + ড; যেমন: গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন: পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন: পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন: ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন: বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ + ব; যেমন: স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ + ম; যেমন: চিণ্ময়
ণ্য = ণ + য; যেমন: পূণ্য
ত্ত = ত + ত; যেমন: উত্তর
ত্ত্র = ত + ত + র; যেমন: পুত্ত্র (মন্তব্য: এই যুক্তবর্ণটি ইউনিকোডে সাপোর্ট করে না বলে আকৃতি বিকৃত হয়েছে৷ বর্তমানে ব্যবহৃত না হলেও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও তৎকালীন লেখকেরা এই বানানটি ব্যবহার করেছেন৷)
ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন: সত্ত্ব
ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন: উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত + থ; যেমন: অশ্বত্থ
ত্ন = ত + ন; যেমন: যত্ন
ত্ব = ত + ব; যেমন: রাজত্ব
ত্ম = ত + ম; যেমন: আত্মা
ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন: দৌরাত্ম্য
ত্য = ত + য; যেমন: সত্য
ত্র = ত + র যেমন: ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = ত + র + য; যেমন: বৈচিত্র্য
ৎল = ত + ল; যেমন: কাৎলা
ৎস = ত + স; যেমন: বৎসর, উৎসব
থ্ব = থ + ব; যেমন: পৃথ্বী
থ্য = থ + য; যেমন: পথ্য
থ্র = থ + র; যেমন: থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ + গ; যেমন: উদ্গম
দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন: উদ্ঘাটন
দ্দ = দ + দ; যেমন: উদ্দেশ্য
দ্দ্ব = দ + দ + ব; যেমন: তদ্দ্বারা
দ্ধ = দ + ধ; যেমন: রুদ্ধ
দ্ব = দ + ব; যেমন: বিদ্বান
দ্ভ = দ + ভ; যেমন: অদ্ভুত
দ্ভ্র = দ + ভ + র; যেমন: উদ্ভ্রান্ত
দ্ম = দ + ম; যেমন: ছদ্ম
দ্য = দ + য; যেমন: বাদ্য
দ্র = দ + র; যেমন: রুদ্র
দ্র্য = দ + র + য; যেমন: দারিদ্র্য
ধ্ন = ধ + ন; যেমন: অর্থগৃধ্নু
ধ্ব = ধ + ব; যেমন: ধ্বনি
ধ্ম = ধ + ম; যেমন: উদরাধ্মান
ধ্য = ধ + য; যেমন: আরাধ্য
ধ্র = ধ + র; যেমন: ধ্রুব
ন্ট = ন + ট; যেমন: প্যান্ট (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্ট্র = ন + ট + র; যেমন: কন্ট্রোল (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্ঠ = ন + ঠ; যেমন: লন্ঠন
ন্ড = ন + ড; যেমন: গন্ডার, পাউন্ড
ন্ড্র = ন + ড + র; যেমন: হান্ড্রেড
ন্ত = ন + ত; যেমন: জীবন্ত
ন্ত্ব = ন + ত + ব; যেমন: সান্ত্বনা
ন্ত্য = ন + ত + য; যেমন: অন্ত্য
ন্ত্র = ন + ত + র; যেমন: মন্ত্র
ন্ত্র্য = ন + ত + র + য; যেমন: স্বাতন্ত্র্য
ন্থ = ন + থ; যেমন: গ্রন্থ
ন্থ্র = ন + থ + র; যেমন: অ্যান্থ্রাক্স (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ন্দ = ন + দ; যেমন: ছন্দ
ন্দ্য = ন + দ + য; যেমন: অনিন্দ্য
ন্দ্ব = ন + দ + ব; যেমন: দ্বন্দ্ব
ন্দ্র = ন + দ + র; যেমন: কেন্দ্র
ন্ধ = ন + ধ; যেমন: অন্ধ
ন্ধ্য = ন + ধ + য; যেমন: বিন্ধ্য
ন্ধ্র = ন + ধ + র; যেমন: রন্ধ্র
ন্ন = ন + ন; যেমন: নবান্ন
ন্ব = ন + ব; যেমন: ধন্বন্তরি
ন্ম = ন + ম; যেমন: চিন্ময়
ন্য = ন + য; যেমন: ধন্য
প্ট = প + ট; যেমন: পাটি-সাপ্টা, ক্যাপ্টেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
প্ত = প + ত; যেমন: সুপ্ত
প্ন = প + ন; যেমন: স্বপ্ন
প্প = প + প; যেমন: ধাপ্পা
প্য = প + য; যেমন: প্রাপ্য
প্র = প + র; যেমন: ক্ষিপ্র
প্র্য = প + র + য; যেমন: প্র্যাকটিস (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
প্ল = প + ল; যেমন:আপ্লুত
প্স = প + স; যেমন: লিপ্সা
ফ্র = ফ + র; যেমন: ফ্রক, ফ্রিজ, আফ্রিকা, রেফ্রিজারেটর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ফ্ল = ফ + ল; যেমন: ফ্লেভার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ব্জ = ব + জ; যেমন: ন্যুব্জ
ব্দ = ব + দ; যেমন: জব্দ
ব্ধ = ব + ধ; যেমন: লব্ধ
ব্ব = ব + ব; যেমন: ডাব্বা
ব্য = ব + য; যেমন: দাতব্য
ব্র = ব + র; যেমন: ব্রাহ্মণ
ব্ল = ব + ল; যেমন: ব্লাউজ
ভ্ব =ভ + ব; যেমন: ভ্বা
ভ্য = ভ + য; যেমন: সভ্য
ভ্র = ভ + র; যেমন: শুভ্র
ম্ন = ম + ন; যেমন: নিম্ন
ম্প = ম + প; যেমন: কম্প
ম্প্র = ম + প + র; যেমন: সম্প্রতি
ম্ফ = ম + ফ; যেমন: লম্ফ
ম্ব = ম + ব; যেমন: প্রতিবিম্ব
ম্ব্র = ম + ব + র; যেমন: মেম্ব্রেন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ম্ভ = ম + ভ; যেমন: দম্ভ
ম্ভ্র = ম + ভ + র; যেমন: সম্ভ্রম
ম্ম = ম + ম; যেমন: সম্মান
ম্য = ম + য; যেমন: গ্রাম্য
ম্র = ম + র; যেমন: নম্র
ম্ল = ম + ল; যেমন: অম্ল
য্য = য + য; যেমন: ন্যায্য
র্ক = র + ক; যেমন - তর্ক
র্ক্য = র + ক + য; যেমন: অতর্ক্য (তর্ক দিয়ে যার সমাধান হয় না)
র্গ্য = র + গ + য; যেমন - বর্গ্য (বর্গসম্বন্ধীয়)
র্ঘ্য = র + ঘ + য; যেমন: দৈর্ঘ্য
র্চ্য = র + চ + য; যেমন: অর্চ্য (পূজনীয়)
র্জ্য = র + জ + য; যেমন: বর্জ্য
র্ণ্য = র + ণ + য; যেমন: বৈবর্ণ্য (বিবর্ণতা)
র্ত্য = র + ত + য; যেমন: মর্ত্য
র্থ্য = র + থ + য; যেমন: সামর্থ্য
র্ব্য = র + ব + য; যেমন: নৈর্ব্যক্তিক
র্ম্য = র + ম + য; যেমন: নৈষ্কর্ম্য
র্শ্য = র + শ + য; যেমন: অস্পর্শ্য
র্ষ্য = র + ষ + য; যেমন: ঔৎকর্ষ্য
র্হ্য = র + হ + য; যেমন: গর্হ্য
র্খ = র + খ; যেমন: মূর্খ
র্গ = র + গ; যেমন: দুর্গ
র্গ্র = র + গ + র; যেমন: দুর্গ্রহ, নির্গ্রন্হ
র্ঘ = র + ঘ; যেমন: দীর্ঘ
র্চ = র + চ; যেমন: অর্চনা
র্ছ = র + ছ; যেমন: মূর্ছনা
র্জ = র + জ; যেমন: অর্জন
র্ঝ = র + ঝ; যেমন: নির্ঝর
র্ট = র + ট; যেমন: আর্ট, কোর্ট, কম্ফর্টার, শার্ট, কার্টিজ, আর্টিস্ট, পোর্টম্যানটো, সার্টিফিকেট, কনসার্ট, কার্টুন, কোয়ার্টার (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ড = র + ড; যেমন: অর্ডার, লর্ড, বর্ডার, কার্ড (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ণ = র + ণ; যেমন: বর্ণ
র্ত = র + ত; যেমন: ক্ষুধার্ত
র্ত্র = র + ত + র; যেমন: কর্ত্রী
র্থ = র + থ; যেমন: অর্থ
র্দ = র + দ; যেমন: নির্দয়
র্দ্ব = র + দ + ব; যেমন: নির্দ্বিধা
র্দ্র = র + দ + র; যেমন: আর্দ্র
র্ধ = র + ধ; যেমন: গোলার্ধ
র্ধ্ব = র + ধ + ব; যেমন: ঊর্ধ্ব
র্ন = র + ন; যেমন: দুর্নাম
র্প = র + প; যেমন: দর্প
র্ফ = র + ফ; যেমন: স্কার্ফ (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্ভ = র + ভ; যেমন: গর্ভ
র্ম = র + ম; যেমন: ধর্ম
র্য = র + য; যেমন: আর্য (মন্তব্য দেখুন)
র্ল = র + ল; যেমন: দুর্লভ
র্শ = র + শ; যেমন: স্পর্শ
র্শ্ব = র+ শ + ব; যেমন: পার্শ্ব
র্ষ = র + ষ; যেমন: ঘর্ষণ
র্স = র + স; যেমন: জার্সি, নার্স, পার্সেল, কুর্সি (মন্তব্য: মূলত ইংরেজি ও আরবী-ফার্সি কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
র্হ = র + হ; যেমন: গার্হস্থ্য
র্ঢ্য = র + ঢ + য; যেমন: দার্ঢ্য (অর্থাৎ দৃঢ়তা)
ল্ক = ল + ক; যেমন: শুল্ক
ল্ক্য = ল + ক + য; যেমন: যাজ্ঞবল্ক্য
ল্গ = ল + গ; যেমন: বল্গা
ল্ট = ল + ট; যেমন: উল্টো
ল্ড = ল + ড; যেমন: ফিল্ডিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ল্প = ল + প; যেমন: বিকল্প
ল্‌ফ = ল + ফ; যেমন: গল্‌ফ (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ল্ব = ল + ব; যেমন: বিল্ব, বাল্ব
ল্‌ভ = ল + ভ; যেমন: প্রগল্‌ভ
ল্ম = ল + ম; যেমন: গুল্ম
ল্য = ল + য; যেমন: তারল্য
ল্ল = ল + ল; যেমন: উল্লাস
শ্চ = শ + চ; যেমন: পুনশ্চ
শ্ছ = শ + ছ; যেমন: শিরশ্ছেদ
শ্ন = শ + ন; যেমন: প্রশ্ন
শ্ব = শ + ব; যেমন: বিশ্ব
শ্ম = শ + ম; যেমন: জীবাশ্ম
শ্য = শ + য; যেমন: অবশ্য
শ্র = শ + র; যেমন: মিশ্র
শ্ল = শ + ল; যেমন: অশ্লীল
ষ্ক = ষ + ক; যেমন: শুষ্ক
ষ্ক্র = ষ + ক + র; যেমন: নিষ্ক্রিয়
ষ্ট = ষ + ট; যেমন: কষ্ট
ষ্ট্য = ষ + ট + য; যেমন: বৈশিষ্ট্য
ষ্ট্র = ষ + ট + র; যেমন: রাষ্ট্র
ষ্ঠ = ষ + ঠ; যেমন: শ্রেষ্ঠ
ষ্ঠ্য = ষ + ঠ + য; যেমন: নিষ্ঠ্যূত
ষ্ণ = ষ + ণ; যেমন: কৃষ্ণ
ষ্প = ষ + প; যেমন: নিষ্পাপ
ষ্প্র = ষ + প + র; যেমন: নিষ্প্রয়োজন
ষ্ফ = ষ + ফ; যেমন: নিষ্ফল
ষ্ব = ষ + ব; যেমন: মাতৃষ্বসা
ষ্ম = ষ + ম; যেমন: উষ্ম
ষ্য = ষ + য; যেমন: শিষ্য
স্ক = স + ক; যেমন: মনোস্কামনা
স্ক্র = স + ক্র; যেমন: ইস্ক্রু (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্খ = স + খ; যেমন: স্খলন
স্ট = স + ট; যেমন: স্টেশন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ট্র = স + ট্র; যেমন: স্ট্রাইক (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ত = স + ত; যেমন: ব্যস্ত
স্ত্ব = স + ত + ব; যেমন: বহিস্ত্বক
স্ত্য = স + ত + য; যেমন:অস্ত্যর্থ
স্ত্র = স + ত + র; যেমন: স্ত্রী
স্থ = স + থ; যেমন: দুঃস্থ
স্থ্য = স + থ + য; যেমন: স্বাস্থ্য
স্ন = স + ন; যেমন: স্নান
স্প = স + প; যেমন: আস্পর্ধা
স্প্র = স + প +র; যেমন: স্প্রিং (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্প্‌ল = স + প + ল; যেমন: স্প্‌লিন (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
স্ফ = স + ফ; যেমন: আস্ফালন
স্ব = স + ব; যেমন: স্বর
স্ম = স + ম; যেমন: স্মরণ
স্য = স + য; যেমন: শস্য
স্র = স + র; যেমন: অজস্র
স্ল = স + ল; যেমন: স্লোগান
হ্ণ = হ + ণ; যেমন: অপরাহ্ণ
হ্ন = হ + ন; যেমন: চিহ্ন
হ্ব = হ + ব; যেমন: আহ্বান
হ্ম = হ + ম; যেমন: ব্রাহ্মণ
হ্য = হ + য; যেমন: বাহ্য
হ্র = হ + র; যেমন: হ্রদ
হ্ল = হ + ল; যেমন: আহ্লাদ
র্য-কে যুক্তবর্ণ ধরা হয়েছে, কেননা এটি র ও য-এর সমষ্টি। অন্যদিকে র‌্যাব, র‌্যাম, র‌্যাঁদা, ইত্যাদিতে উপস্থিত র‌্য-কে যুক্তবর্ণ হিসেবে ধরা হয়নি, কেননা এটি আসলে র‌্যা-এর অংশ, আর র‌্যা হল র ব্যঞ্জনধ্বনি এবং অ্যা স্বরধ্বনির মিলিত রূপ।
সোর্স-https://bn.wikibooks.org/wiki

বাংলা বানান শেখার ২০টি বইয়ের তালিকা:
১- বাংলা ভাষার বানানরীতি-এম এ মোতালিব
২-আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধান -সুভাস ভট্টাচার্য
৩-বাংলা লেখার নিয়ম কানুন -হায়াৎ মামুদ
৪-প্রথম আলো ভাষারীতি- সম্পাদনা পরিষদ : মাহবুবুল হক, সাজ্জাদ শরীফ, অরুণ বসু ও ফরহাদ মাহমুদ
৫-বাংলা বানানের নিয়ম-মাহবুবুল হক
৬-শুদ্ধ বলা শুদ্ধ লেখা-রণজিৎ বিশ্বাস
৭-শুদ্ধ বানান চর্চা-মোহাম্মদ আমীন
৮-প্রমিত বাংলা বানান অভিধান -ড.রতন সিদ্দিকী
৯-বাংলা কী লিখবেন কেন লিখবেন - আনন্দবাজার পত্রিকা ব্যবহার বিধি
১০-বাংলা বানান অভিধান-বাংলা একাডেমী
১১-. ড. হায়াৎ মামুদ : উচ্চতর স্বনির্ভর বিশুদ্ধ ভাষা-শিক্ষা
১২-জ্যোতিভূষণ চাকী-বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
১৩-সুভাষ ভট্টাচার্য : লেখক ও সম্পাদনের অভিধান।
১৪-ডক্টর গোলাম সাকলায়েন : একের ভিতরে পাঁচ।
১৫-অশোক মুখোপাধ্যায় : সমার্থশব্দকোষ।
১৬-মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ : এসো কলম মেরামত করি
১৭- মাওলানা যাইনুল আবিদীন : সাহিত্যের ক্লাস।
১৮- রতন সিদ্দিকী : প্রমিত বাংলা উচ্চারণ অভিধান।
১৯-লেখালেখির ব্যাকরণ-ফারুক নওয়াজ
২০-বাংলা বানান কোথায় কিী লিখবেন-ড মোহাম্মদ আমীন

তথ্যসূত্র এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ :


উইকিপিডিয়া,এনটিভি,অনলাইনের বেশ কিছু ব্লগ
যারা বাংলা বানান সমস্যা নিয়ে লিখেছেন তাঁদের কাছে ।

বিঃদ্র: পোস্টটি লিখতে আমার মেধা ব্যয় করতে হয়নি । সুতারাং,বাহবা পাওয়ার যোগ্য যারা মূল্যবান কাজ করে গেছেন । এসব লেখায় ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট সংকলকারী দায়ী থাকবে না । তবে সর্ব্বোচ চেষ্টা করেছি নির্ভরযোগ্য লিংক যোগ করতে । কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকলে অবশ্যই জানিয়ে কৃতজ্ঞ করে রাখবেন আমাকে ।
আমার পরিশ্রমটা উৎসর্গ করলাম আপনাকে

আপনি জানেন বা বাংলা বানান নিয়ে লিখেছেন এমন লেখা থাকলে ,অবশ্যই দয়া করে জানাবেন আশা করি ।এখানে সংযুক্ত করে দিব আপনার নাম সহ ।
অনেক কষ্ট করে এত নিচ পর্যন্ত আসলেন । আপনার জন্য এই গানটি - :)









সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
৪৯টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×