somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০ জানুয়ারী ১৯৯৭ ইং থেকে শুরু

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০ শে জানুয়ারী ১৯৯৭ ইং
স্থানঃ মুনশিগঞ্জ সদর।
সময়ঃ সুবহে সাদিক
রোজঃ সোমবার
গল্পটা ছেলেটা তার মার কাছ থেকে শুনেছে।
তখন রমজান মাস শেষের দিকের নাজাতের কোন একটা রাত। জানুয়ারী মাসের শীতের আবহাওয়া। নানা বাড়িতে মা আর বাবা তখন চাকরির কর্মস্থল চট্রগ্রাম সাতকানিয়ায়।
নানা অনেক পরহেজগার মানুষ। ছেলেটির বাবার মতে যিনি হচ্ছেন একজন " পিছনে গাট্টি লইয়া ঘুরইন্না মুসল্লি"। নানার কাজ হচ্ছে বছরে ৩ চিল্লা দেয়া। আর বাকি মাস মসজিদে পইরা থাকা। আর নানিও পরহেজগার ৫ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত আদায় করেন।
ওইদিন ফজরের আজান তখনও হয়েছিল কিনা ঠিক মনে নেই। কিন্তু সেই ঊষালগ্নেই ছেলেটির জন্ম।জন্মের সময় বাবা কাছে ছিল না। ছেলেটির জন্মলগ্নে বাবা কাছে থাকবে না সেইটা হয়ত মাকে কিছু বিচলিত করছিল।জন্মের পরপরই নবজাতকের কানে আজানের প্রথম ধ্বনি বাবার মুখ থেকেই নাকি শুনতে হয়।সেইটা কে ছেলেটির কানে শুনিয়েছিল তা মায়ের মুখ থেকে শুনলেও ছেলেটির আর মনে নেই। কিন্তু
এইটা ভূমিষ্ঠ নবজাতকের চিরন্তন অভ্যাস গগনবিদারী চিৎকারের মাধ্যমে তার আগমন জানান দেয়া। এই নবজাতক কোন রকম কান্নাকাটি করা ছাড়াই ভূমিষ্ঠ হল। কিছুক্ষণ পর সবাই বুঝতে পারল শিশুটি মৃত। নাতির মুখ দেখতে পাশের গ্রাম থেকে দাদি চলে এসেছে। এসে দেখে উনার পুত্রবধূ একটি মৃত সন্তান জন্ম দিয়েছে। তখন চিকিৎসা এত সহজলভ্য ছিল না। দাই যিনি ছিলেন উনিও অনেক্ষন চেষ্টা করেও ছেলেটাকে কাঁদাতে পারলেন না। কি অদ্ভুত! একটি শিশুর কান্নাই তখন আশেপাশটাকে অনেক হাসিমুখর করে তুলতে পারে। সেই চেষ্টাই চলছে।

কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে তখন দাদি বলল সন্তানটাকে কবর দিতে আর মা বললেন একবার সদর হাসপাতালে নিলে কেমন হয়। ডাক্তার একবার শেষ চেষ্টা করে দেখুক। দাদি হয়ত বলেছিল মৃত সন্তান জন্ম দেও আবার কথা বল। কিন্তু মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য হলেও শিশুটিকে সদর হাসপাতাল নেয়া হল। ডাক্তারের প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর শিশুটিকে পৃথিবীকে তার অস্তিত্তের কথা জানান দিল কান্নার মাধ্যমে।
সেই যে শুরু আজ অবধি চলছে। মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করে সেদিন মরে গেলে কি হত??? কেমন হত সেদিন থেকে ২০ বছর পর আজকের ২০শে জানুয়ারী???
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫০
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বামিঙ্গিয়ান উপাখ্যান

লিখেছেন যুবায়ের আলিফ, ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০




মাঝ রাতে কড়া একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙলো জ্যাকের৷ ঘুমের ঘোরে দেখতে পেল কেউ চোখ ধাঁধানো পোষাক পরে ডাইনিংয়ে একটা চামচ রেখে দরজা গলিয়ে চলে যাচ্ছে৷ গা ও পোষাকের উজ্জ্বলতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×