somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিওর লাভ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনু খুবই দুঃখী আর একা হয়ে গেছে এই কয়দিনে, ওর আর নিশাদের সম্পর্কের তিন বছর দুই মাস চলছে। এতদিন এত তীব্র ভালোবাসার পর যে নিশাদ এত ক্ষুদ্র অজুহাতে একেবারে ব্রেকাপ করে ফেলবে ভাবতেই পারেনি অনু।
ব্রেকাপ এর দুইদিন আগেও অনু এফ,বি তে এক ছেলেকে ঝারি দিয়ে বলেছে দেখুন আমি রিলেশনশিপে আছি,তাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, এসব নিয়ে একদম বিরক্ত করবেন না। কিন্তু তখন কি জানতো এত ঠুনকো কারনে এত্তদিনের সম্পর্ক জলে ভেসে যাবে!!

দুঃখে কষ্টে মরে যেতে ইচ্ছে করছে অনুর, মরে যাচ্ছে না শুধু ওর বাবার জন্য, ওর বাবার হাই প্রেসার, দুবার স্ট্রোক করেছে, অনু আত্মহত্যা করলে ওর বাবা সাথে সাথে স্ট্রোক করে মারা যাবে, শুধু এই চিন্তায় নিশাদের কাছ থেকে গত ৫টা দিন আলাদা থেকেও মরে যায়নি।
আজ ৫দিন ও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসছে, দুঃখে কষ্টে অনুর মনে হচ্ছে এক দৌড় দিয়ে নদীতে ঝাপ দেয় কিন্তু আশেপাশে নদী থাকা দূরে থাক একটা পুকুর ও নেই। তার উপড় বাবার স্ট্রোক করার ভয়!!
অনু সারাক্ষন শুধু কাঁদে সঙ্গে মোবাইল নিয়ে তার সে কি অপেক্ষা !আর অপেক্ষা যদি ফোন করে নিশাদ!!
কিন্তু নিশাদ গত পাঁচ দিনে এতটাই পাষাণ হয়ে গেছে যে ওকে একটাবার ফোন করা দূরে থাক এস,এম,এস ও করলো না। গত কয়দিন ধরে কাঁদতে কাঁদতে অনুর চোখের পাতা ফুলে ভারী হয়ে গেছে, কোন জায়গায় একটু একা দাঁড়ালেই চোখ ভর্তি হয়ে যায় জলে, সমস্যা হয় আশেপাশে মানুষ থাকলে।
গতকাল বাসায় এসেছিল অনুর খালা খালু খালাতো ভাই বোন কত কষ্ট করে যে ওদের সাথে স্বাভাবিক আচরন করেছে ওই_ই জানে, ঘুমালেও বিপদ; গভীর ঘুমের মধ্যে অনু কেঁদে জেগে ওঠে নিশাদকে নিয়ে নানা রকম দুঃস্বপ্ন দেখে।
ব্রেকাপের কারন বলতে গেলে কিছুই না, ঘটনার সুত্রপাত নিশাদের অফিসের ৯জন কলিগ জাবি’তে ঘুরতে যাবে প্রজাপতি মেলা দেখতে, সেখানে প্রতি বছর একবার করে প্রজাপতি মেলা হয়, দেখতে বেশ লাগে। যাই হোক ওই কলিগরা নিশাদ কে ও ইনভাইট করলো, নিশাদ করলো অনু কে, সব ঠিকঠাক।
যেদিন যাবে তার আগের দিন রাতে নিশাদ ফোন করে অনুকে বলে আগামী কালকের প্রোগ্রামের জন্য নীল শাড়ি পড়তে, অনু ভাবে নিশাদের বোধহয় ওকে নীল শাড়িতে দেখতে ইচ্ছে করছে, আহা! নিশাদ কত রোমান্টিক! এই রকম ভালবাসা কত উপন্যাসে পড়েছে যে নায়ক নায়িকাকে নীল শাড়ি পড়ে দেখা করতে বলেছে, ওর ভালবাসার জীবনে দীর্ঘ তিন বছরে এই প্রথম নিশাদ ওকে নীল শাড়ি পড়তে বলল, ভেবে ভেবেই কত যে ভালো লাগছিল অনুর! অনু খুব ঝামেলা করলো নীল শাড়ি জোগাড় করতে, কারন ওর নিজের নীল শাড়ি নেই, ওর মামনির ও নেই, অনুর মামনি অনেক খুঁজে রাত নটার দিকে তার এক বান্ধবীর কাছ থেকে নীল শাড়ি জোগাড় করে এনে দেয় অবশেষে, শাড়িটা সুন্দর, শাড়ির পাঁড়টা হাল্কা রুপালি রঙের জরির সুতা দিয়ে কাঁচ করা।

অনু নীল শাড়ির পাঁড়ের সাথে মিলিয়ে ওর মামনির থ্রি কোয়াটার হাতার একটা ব্লাউজও খুঁজে বের করে। পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নীল শাড়ি পড়ে, সাথে যখন রুপার গহনা আর নাকে রুপার নথ পড়ে, হাল্কা একটু মেকআপ করে, আর চুলে দুটা গোলাপ গুঁজে বাইরে বেরিয়ে এলো অনু; ওকে তখন রীতিমত অপ্সরার মত লাগছিল।

অনু নিশাদের সম্পর্ক গত তিন বছরে দুই পরিবারই কম বেশি জেনে গেছে, অনু দেখতে সুন্দরী চেহারায় মায়া মায়া ভাব প্রবল, ল’ পড়ছে।
আর নিষাদ বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছে। পাশাপাশি এম,এস,সি টা ও চালিয়ে যাচ্ছে, ছেলে ভদ্র ভালো ব্যবহার অপছন্দ করার মত ছেলেই না । কাজেই দুই পরিবারই মোটামুটি নিম রাজী হয়েই আছে।

যাই হোক ঘটনার দিন অনু দেখে অনুর মত নিশাদের মেয়ে কলিগরাও নীল শাড়ি পড়ে এসেছে, শান্তা নামে এক মেয়ে আছে খুব চটপটে আর নজর কারা সুন্দরীও, (কে জানে হতে পারে তেমন সুন্দর না, নীল শাড়ি পরে আছে বলে হয়তো এত সুন্দর লাগছে) ভাবে অনু, ওই মেয়েটা জানায় যে গতকাল বিকেলে হঠাৎ ওর মাথায় আইডিয়াটা আসছে, অনুসহ ওরা চারটা মেয়ে সবাই নীল শাড়ি পড়ে আছে, অনুর খুব রাগ লাগে নিশাদের উপড়, একটা মেয়ের কথা মত নিশাদ ওকে নীল শাড়ি পড়তে বলছে!! এটা কোন কথা!!!
অনু ঝট করে উঠে আসে ওদের সামনে থেকে, নিশাদ পেছনে পেছনে এগিয়ে আসতে আসতে জিজ্ঞেস করলো
-কি হলো?
-কিছুনা
-কই যাচ্ছ তুমি?
-বাসায় ফিরে যাচ্ছি
-কেন?
-তুমি ওই মেয়ের কথা মতো আমায় নীল শাড়ি পড়তে বলেছ?
-হ্যাঁ তো কি হয়েছে? ওরা মেয়েরা মেয়েরা প্ল্যান করেছে নীল শাড়ি পড়ার, তোমাকেও পড়তে বলেছে।
-তাই আমাকে তুমি শাড়ি পড়তে বলেছ? কিন্তু আমি তো ওদেরকে চিনিনা ওদের কথা মত আমি কেন শাড়ি পড়বো?

রাগে অনু জোরে জোরে হাঁটা শুরু করলো, নিশাদ বহুবার পথ আটকালো; বাঁধা দিল; কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা, অনু যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, ড্রাইভারকে ইতিমধ্যে ফোন করে গাড়ী স্টার্ট দিতে বলেছে, চলে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই, কোন উপায় অন্তর না দেখে শেষে নিশাদ বলে,
- আজ যদি তুমি চলেই যাও, তাহলে আমার সামনে তুমি আর কোনোদিন আসবেনা।
- মানে কি ব্রেকাপ ?
- তুমি যা মনে করো,
- আমি যদি মনে করি ব্রেকাপ?
- তবে তাই।
রাগের পাশাপাশি এইবার প্রচণ্ড অপমান বোধ করে অনু, আর কোন কথা না বাড়িয়ে ও গাড়িতে উঠে পড়ে।
সেই তারপর থেকে আর নিশাদ ফোন করেনি, অনুর কাছে মনে হচ্ছে একযুগ ধরে নিশাদের কথা শোনেনি ও, গত তিন বছরে এমন একটা দিন যায়নি যেদিন নিশাদের সাথে কথা বলেনি, অথচ আজ পাঁচ পাঁচটা দিন চলে যাচ্ছে!!
আজ আর মনটাকে কিছুতেই মানিয়ে রাখতে পারছেনা, মোবাইল হাতে নিয়ে অনু ঘুরপাক খাচ্ছে কি করবে! কি করবে। আহারে সেদিন যদি ওভাবে চলে না আসতো! এখন ভীষণ আফসোস লাগছে, এমন ভাবতে ভাবতে খুব অস্থির হয়ে নিশাদ কে ঝপ করে ফোন করে বসলো অনু।
সাথে সাথে কল রিসিভ করে নিশাদ, যেন সব কিছু স্বাভাবিক গত পাঁচদিনে রোজই যেন অনুর সাথে কথা হয় এমন ভঙ্গিতে বলল,
- এই শোন আমি অনেক ঝামেলা আওয়াজ এসবের ভেতর আছি,
- কেন তুমি কই?
- মিষ্টির দোকানে।
- মিষ্টির দোকানে কি কর?
- কেন মিষ্টির দোকানে মানুষ কি করে?
- মিষ্টি কেনে
- তাই তো
- ও আমার সাথে ব্রেকাপ করে খুব আনন্দে আছো, তাই মিষ্টি কিনে সেলিব্রেট করা হচ্ছে, তোমার সেই সুন্দরী কলিগদের সাথে?
- ফালতু কথা বলে আবার মাথা খারাপ করে দিও না, অনেক কষ্ট দিয়েছো তুমি আর একটাও কথা না।
- এহ! কষ্ট শুধু উনিই পাইছে, আর সবাই বুঝি খুব আনন্দে ছিল, আমি ওই দিনের পর প্রতিদিন ভাবছি আত্মহত্যা করবো শুধু বাবার জন্য করিনি,
- কেন বাবার কি?
- ওমা তুমি জানোনা যে বাবা দুই দুই বার স্ট্রোক করেছে, আমি মারা গেছি শুনলে বাবা বাঁচবে বল!! সাথে সাথে মরে যাবে না?
- শুধু বাবার কথা ভাবছো? আমার কথা ভাবো নাই? আমিও তো মরে যেতাম অনু,
- তোমার কথাও ভাবছি,
- হ্যাঁ আমাকে গত পাঁচ দিন কাঁদিয়ে এখন বলে তোমার কথাও ভাবছি। আচ্ছা শোনো আমি আব্বু আম্মুকে পাঠাচ্ছি তোমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, গত পাঁচদিন তুমি যেই ভাবে নাই হয়ে ছিলে তোমাকে আর দূরে রাখা যাবেনা। এই জন্যই মিষ্টি কিনতে আসছি, একটা আংটি ও কিনেছি ডায়মন্ডের।
- কি আশ্চর্য তুমি এত কিছু করে ফেলেছো? ডায়মন্ডের আংটি কিনতে গেলে কেনো?
- যদিও আমি রাজা না তবু আমি তোমায় রানী বানিয়ে রাখবো তাই। তোমার পছন্দ না হলে পাল্টানো যাবে, আব্বু আম্মু তোমার বাবা মার সাথে কথা বলেছে, তারা আজ সন্ধ্যায় তোমাদের বাসায় যেতে বলেছে, তুমি আবার বিয়ে করবো না বলে বেঁকে বোসো না যেন, এখন রাখি, অনেক কাজ বাকী। আর ওই দিনের নীল শাড়িটায় তোমাকে যা মানিয়েছিল না। তাই একটা নীল শাড়িও কিনে দিয়েছি, ওটা পরেই আব্বু আম্মুর সামনে এসো।
- তুমি আসবে না?
- আসতে তো ইচ্ছে করছে , কিন্তু ভয়ে সাহস পাচ্ছি না তুমি যদি বাসা থেকে বের করে দাও।
- প্লীজ তুমিও আসো,
- আচ্ছা পাগলী আমি ও আসবো, তুমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও তো, অনেক কান্নাকাটি হয়েছে, আর না ।
ফোন রেখে দিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পরে অনু। তারপর অঝরে কাঁদতে থাকে এই কান্না প্রবল আনন্দের কান্না, এই কান্না এক স্বর্গীয় ভালোবাসা পাওয়ার তীব্র সুখের কান্না।
“তোমায় আমি দেখেছিলাম ব’লে
তুমি আমার পদ্মপাতা হলে;
শিশির কণার মতন শূন্যে ঘুরে
শুনেছিলাম পদ্মপত্র আছে অনেক দূরে
খুঁজে খুঁজে পেলাম তাকে শেষে।

নদী সাগর কোথায় চলে ব’য়ে
পদ্মপাতায় জলের বিন্দু হ’য়ে
জানি না কিছু-দেখি না কিছু আর
এতদিনে মিল হয়েছে তোমার আমার।।’’
- জীবনানন্দ দাশ


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×