অফিস শুরু ৯টায়। ৯টা ১ মিনিট মানে লেট। লেট মানে বহু বহু কিছু ফেইস করা। এত সব কিছুর পর আমি নিয়ম ভাঙ্গি নিয়ম ভাঙ্গতে ভালো লাগে । ঘুম থেকে উঠলাম সাড়ে ৯টায় , ধীরে সুস্থে যখন বের হলাম তখন বাইরে টকটকে রোদ, আমার কি যে ভালো লাগলো দিনটা বেশ কিছু ছবি তুলতে থাকলাম। সাথে সক্রেটিসের জীবনের শেষ কথাটা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকলো “The hour of departure has arrived, and we go our separate ways, I to die, and you to live. Which of these two is better only God knows.I to die, and you to live I to die, and you to live I to die, and you to live I to die I to die die die die .....................
ছবিগুলো খুব কাছাকাছি তোলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি
এই ছবিটা আজকের তোলা না, তবে এটা নিয়ে একটু ভালো স্মৃতি আছে তুলে দিলাম------
অফিস থেকে বের হয়ে রিক্সায় উঠতে উঠতে রিক্সাওয়ালা মামা কে বললাম টাকা তুলবো, লেকের পাড়ের বুথটায় চলেন, সে চলতে চলতে বলে এইখানেরটায় কি হইছে! বললাম অফ লাইন। সে ছোট একটা শব্দ করে বলে অ" গেলাম টাকা তুললাম ফিরতে ফিরতে এই সুনসান রাস্তার জন্য মায়া অনুভব করতে করতে বললাম মামা এখুনি ফিরে যেতে ইচ্ছে করছেনা আর একটু ঘুরেন, সে এই একি রাস্তা দিয়ে মোট চার বার রাউন্ড দিয়া পঞ্চম বার বলল মামা আরো ঘুরবেন, বললাম অফিস থেকে বের হয়েছি অনেক্ষন হল, কি করব বুঝতেছিনা আপনার কাছে আমার জন্য যেটা ভাল মনে হয় করেন, সে ধীরে ধীরে রিক্সা অফিসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আমি এই ব্যাপারটা অনেক আগে থেকে লক্ষ্য করেছি গুলশানের রিক্সাওয়ালারা অনেক intelligent হয়।
শেষ কৃষ্ণচূড়ার এই ছবিটি তুলেছি গুলশানের লেকের কাছের চেকপোস্ট থেকে, দূর থেকে দেখলাম আজ খুব চেক টেক হচ্ছে মেয়েদের হ্যান্ড ব্যাগ মহিলা পুলিশ খুলে খুলে দেখছে। আমি দূর থেকেই হেসে বললাম কি চেক হচ্ছে বুঝি জবাবে পুলিশ মেয়েটি হেসে দিলো সাথে পুলিশ ছেলে কয়টা ও হাসল। মেয়েটি বলল কিছু যদি মনে না করেন, আমি ব্যাগ এগিয়ে দিলাম হেসে, জঙ্গি হামলা এই হামলা সেই হামলা সবার আগে এই পুলিশ গুলোই তো প্রান হারায়, আহারে ওদের জন্য মায়াই হয় মাঝে মাঝে কেমন কম বয়স আর একটু কেমন ভিতু থাকে সারাক্ষন। কবে যে আমাদের দেশ নিরাপদ হবে এই সব থেকে।
সবশেষে আমি আমার দেশকে ভীষণ ভালোবাসি। আমার দেশ সেরা। আমার জন্মভূমি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর মায়াময় ভুমি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২২