চমৎকার এই গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চিত্র তুলেছি লালবাগ কেল্লার উত্তর দিকের বাগান থেকে। ঝকঝকে রোদের জন্যই কিনা কে জানে ছবির ফুলগুলো ঝকঝকে আকর্ষণীয় লাগছে, বাস্তবে কিন্ত অর্ধ মৃত এবং আকর্ষণ বিবর্জিত।।
অনেকক্ষণ থেকে দেখলাম উনি নানা ভাবে নানারকম পোজ দেখিয়ে দিচ্ছেন ছবির এই বেবিকে মাঝে মাঝে কোলে নিয়ে অন্য জায়গার দাড় করিয়ে নতুন উদ্যমে নতুন পোজে নতুন ভাবে ছবি তুলছেন, ছবি তোলা শেষ করে বেবীকে আদর করছেন নাক মুখের ঘাম মুছে দিচ্ছেন, আইস্ক্রিম কিনে খাওয়াচ্ছেন , অনুমান করলাম সে শিশুটির বাবা, সুখী বাবা। আর নিঃসন্দেহে শিশুটি পৃথিবীর ভাগ্যবতী শিশুদের একজন।।
উনারা খোলা ছাউনির নীচে দাঁড়িয়েছেন একটু নিরিবিলি কথা বলার জন্য। দিয়া বাড়ির পরিচিত দৃশ্যপট।।
র্যানডম লালবাগ থেকে তোলা ফুলের ছবি
একবার আমি একসাথে অনেক কাজ করতে করতে ইউনিতে অনিয়মিত হতে হতে হঠাৎ একদিন আমার বান্ধবী নামের শত্রু লিপির ফোন পেলাম উনি টিভি উপস্থাপিকার স্বরে বললেন আমাদের বোর্ড টেস্ট এক্সাম হয়ে গেছে, তুই তো দিতে পারিস নাই, শুনেছি যারা ফাইনাল টেস্ট দেয়নি তাদের বোর্ড এক্সাম দিতে দেয়া হবেনা, তাছাড়া এটা থেকে ৩০ মার্ক ফাইনাল পরীক্ষায় এড হবে, যেহেতু তুই পরীক্ষা দিস নাই তুই তো এই মার্ক ছাড়া ভালো নাম্বার তুলতে পারবিনা। কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, সারাদিন অফিস করে ফিরে কেবল একটু ঘুমাইছি, ঘুমের মধ্যেই ফোন ধরে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া কথা শুনতে শুনতে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললাম তোর না পরীক্ষার ডেট জানানোর কথা?? ইউনিতে কাউরে আমি ফোন নং দেইনাই তুই ছাড়া, লিপি অ্যা উ জাতীয় কোন শব্দ করার আগেই আমি ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল সুইচ অফ করে ইউনিতে রওয়ানা দিয়া ডিপার্টমেন্ট হেড এর কাছে গিয়া দাঁড়াইলাম,
ডিপার্টমেন্ট হেড, আমার অতি প্রিয় মাসুদ স্যার' এবং অন্যান্য ম্যাডাম আমাকে একা পেয়ে প্রচুর বকতে থাকলেন বকা খাইতে খাইতে খাইতে রুমের কোনার জানলা দিয়া পাশের বিল্ডিঙের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকলাম এই বছর আমার কপাল পুড়ছে, ভাবতে ভাবতে বেদিশার মত সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে যখন স্যার এর দিকে তাকালাম দেখি উনি মুখ আড়াল করে চোরা হাসি হাসছেন আর বকছেন, উনার সেই চোরা হাসিতে আমার অমাবস্যার অন্ধকার আকাশ আলোকিত হয়ে গেলো, বুঝলাম কানের পাস দিয়া গুলি গেছে, স্যার এখন আর ইউনিতে নেই সম্ভবত সচিব হয়েছেন। অনেকদিন পর স্যার এর সেই চোরা হাসি দুই বোনের মধ্যে ছোটটির মুখে দেখে ক্যামেরায় তুলতে চাইতে চাইতে প্রয়োজনের সীমানার বাইরে চলে যাওয়ায় তেমন করে উনার হাসি বন্দি করতে পারিনি। আফসোস। শিশুটি তার অজান্তেই সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে গেলো।।
আকাশে উড়ছে পরাধীন ঘুড়ি ।।
এইটার নাম ডল হাউজ বোট, দিয়া বাড়ির লেকে উনাকে পাওয়া যাবে এবং যখন ইচ্ছা ভ্রমন করা যাবে, সামনা সামনি দেখতে এটা পুরান আর নোংরা।।
বৃষ্টি ভেজা ফুল
ঈদ র্যালি
র্যানডম কার্জন হল
সবশেষের ফুলটি "নাগালিঙ্গম" উদ্ভিদের।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪