সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মনটাই ভাল হয়ে গেল , ফাঁকা রাস্তা দেখে মনে হল রিকশার শহর ঢাকা। অবিরাম রিকশা চলছে।
ছবিগুলো তুলেছি uttara area তে। এয়ারপোর্টের পরে যেতে দেয়া হয়নি সুতরাং আমার ছবি তোলার location হচ্ছে হাউজ বিল্ডিং থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।
পরিবেশ ভীষণ আরামদায়ক ছিল, মেঘলা ভাব ছিল, আবার রোদ ছিল, ঠান্ডা বাতাস ছিল।আমি বেশ উপভোগ করছিলাম, অন্যদেরকে উপভোগ করতে দেখেছি, কারো চেহারায় অশান্তি বা হয়রানি চোখে পড়েনি।
ছেলেমেয়েগুলোকে খুব বেশি আক্রমনাত্মক মনে হয়নি, কনফিউজড লাগছিল কাউকে কাউকে ঘুরে বেড়াবার মতন, চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে , আড্ডা দিতেও দেখা গেছে, দু একজন হাতে বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি গ্লাস ভাঙ্গার জন্য।
এইসব দিনের মজার ব্যাপার হলো যাদের জরুরী কাজ থাকে, তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বের হয় এবং বিনা বাক্যব্যয়ে এসব দিনে এদের ছেড়েও দেয় বিক্ষোভকারীরা।
রিকশাওয়ালাদের ছিল ঈদের রাজ্য, একই স্থানে ভাড়া তারা 100 টাকা differences এ চাইছিল, যে স্থানের ভাড়া 10 টাকা তারা সেটা 40 থেকে 50 টাকা, আর যে স্থানে ভাড়া 50 টাকা সেখানে 200 টাকা নিচ্ছিলো।
মোবাইল যেহেতু হাতে আছে, অলস ভঙ্গিতে আমার মতন কেউ কেউ ছবিও তুলছিল।
বিকেলের পরে বৃষ্টি নেমে এলো, ঝমঝমে বৃষ্টি।
সবশেষে বাচ্চাদের আন্দোলনের সফলতা কামনা করছি এবং ওরা নিতান্তই স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চা ওদের সাথে ওদের guardian এবং ওদের শিক্ষকদের এই আন্দোলনে ওদের নিরাপত্তার জন্য ওদের সাথে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন অনুভব করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩