অথচ কুসংস্কার যখন লেখকের পুঁজি তখন এদেশ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে সেটাই এখন ভাবনার বিষয়। সায়েনস ফিকশন নিয়ে যারা লেখেন তাদের কথা আলাদা। তারা বিজ্ঞানের একটা সূত্র ধরে এগোন বা অগ্রিম সূত্র ভাবেন এই যা। তারা কিন্তু কুসংস্কারপন্থী নন। কিন্তু রহস্যগল্পের আড়ালে সমাজের কুসংস্কারকে বিশ্বাসী করা দেয়া বা তরুণ সমাজকে মোহগ্রমস্ত করা কতোটুকু শোভন? শিশুদের মনে সব লেখা বা নাটকের কী প্রভাব পড়ছে চিন্তা করুন একবার। হ্যারী পটার লিখে তার লেখক বিলিওনার হচ্ছেন কিন্তু তার পাঠক-দর্শক শিশুরা সত্য থেকে কতো দূরে আছে তা কী লেখকরা চিন্তা করেন!? পাঠকগণ আমাদের লেখকদের দুই-একটা নমুনা দেখুন তাহলে-
বিনা যন্ত্রপাতি বা টুলস ছাড়া মেশিন ফইর করা বা ঠিক করা..
চোখ দিয়ে আগুন জ্বালানো....
ভূত-ভবিষ্যত বলে দেয়া...
কারো মগজের ভিতর ঢুকে তার ভাবনা বোঝা...
মৃত মানুষের পুনরুত্থান....
কবরস্থানে কিশোরকে পরীতে পাওয়া...
বৃক্ষমানব, জলমানব হওয়া...
আরও কতো কী! লিখলে লিস্ট অনেক বড়ো হয়ে যাবে।
সবশেষে বলতে চাই, আমি আসলেই অভাব বোধ করছি সেই চিরঞ্জীব লেখার যা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে, দূর করে কুসংস্কার-
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের- পদ্মা নদীর মাঝি
সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর- লাল সালু
জহির রায়হানের- হাজার বছর ধরে
শহীদুল্লাহ কায়সারের- সংশপ্তক
সেলিনা হোসেনের- হাঙর নদী গ্রেনেড
রিজিয়া রহমানের- শিলায় শিলায় আগুন
মাহমুদুল হকের- জীবন আমার বোন
এবং
সর্বোপরি হুমায়ূন আহমেদের-নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার বা আগুনের পরশমণির মতো লেখা।
আমার চাওয়ার ফিরিস্তি দিলাম। আপনাদের চাওয়া কী পাঠক? একটু জানাবেন...
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮