একটি জাতি সামাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন রক্ষা করতে ব্যর্থ হলেই সেখানে মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়, বিকৃত রুচির সৃষ্টি হয়। কারন পরিবার হল সর্বাপেক্ষা বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই মূল্যবোধের অভাব এবং বিকৃত রুচি হতেই সৃষ্টি সমকামিতা, শিশু কামিতা, পশু কামিতা কিংবা ধর্ষণের মত ঘৃণিত এবং অরুচিকর পাপাচারগুলো।
সফল মানুষদের সবচেয়ে খারাপগুন হল তাঁরা কখনো নিজেদের ব্যর্থতা (সফল হবার পরে) গুলো সামনে আসতে দেন না। যেমন গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা ব্রাকের ঋণ নিয়ে সর্বস্বান্ত পরিবার গুলো সংবাদ্ মাধ্যমে গুরুত্ব পাক তা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ডঃ ইউনুস সাহেব কিংবা স্যার ফজলে হাসান আবেদ সাহেব চাইবেন না। একই কারনে ইউ এস এ যে তাঁদের সামাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে কিংবা তাঁদের পারিবারিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা শূন্যের কোটাতে চলে গেছে যার ফলশ্রুতিতে উপরোক্ত বিকৃত রুচির একটির (সমকামিতা) প্রকোপ আশংকা জনক ভাবে বেড়ে গেছে তা অস্বীকার করার জন্য তাঁদের মনগড়া যুক্তির বদৌলতে এটিকে আইনগত বৈধতা দিয়েছে। জাপান উন্নত রাষ্ট্র হলেও তাঁদের পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধন কিন্তু এশিয়ার কালচারেই আছে যার ফলে সুইজারল্যান্ড এর পরেই এদের দেশে নারীদের নিরাপত্তা আছে কিংবা এই ধরণের বিকৃত রুচিকর ব্যাপার গুলো এখানে নেই বললেই চলে। অথচ ইউ এস এ এমন একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে সবচেয়ে বেশী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, যেখানে যে কেউ আপনাকে যেকোন সময় গুলি করে মেরে ফেলতে পারে। জাপান আমেরিকার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলেও আমি কোন জাপানিজ কে দেখি নি তাঁদের প্রোফাইল ছবি রংধনুর রঙে রাঙাতে। কিন্তু বাঙ্গালী ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত এই কাজ গুলা করে রংধনুর সৌন্দর্যটাই মাটি করে দিল।
মজার ব্যাপার হল ইউ এস এ তাঁদের সম্মান রক্ষা কিভাবে করবে এটা তাঁদের ব্যাপার হলেও এ নিয়ে আমাদের বাংলাদেশীদের বাড়াবাড়ি কোন পর্যায়ে যে পৌঁছেছে তা আল্লাহ্ জানেন। একদল তোঁ পারলে নিজের ঘরের মধ্যে এদের নিয়ে এসে দুধ কলা খাওয়াতে চাচ্ছেন আরেক দল সুদুর ইউ এস এ এর এই বিস্টা খাওয়ার গন্ধে বাংলাদেশে ঘরে বশে থাকতে পারছেন না। এই সকল না করে নিজের ঘরে যেন এই বিকৃত রুচিকর এবং ঘৃণিত পাপাচার গুলো ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন তা না হলে হয়ত ইউ এস এ এর মত আপনার দেশেও উপরের যেকোনো একটিকে বৈধতা দেয়া লাগতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ধর্ষণের কথা, পত্রিকার পাতা খুললে এমন কোন দিন নাই যেই দিন ১৪৭০০০ বর্গ কিলোমিটারে দুতিনটি ধর্ষণের ঘটনা পাওয়া যাবে না। আর পত্রিকাতে আসেনা এমন ধর্ষণ যে কত হচ্ছে তার তোঁ ইয়ত্তা নেই। পশ্চিমা আগ্রাসনে আমাদের নিজদের গর্ব করার যে বিষয় অর্থাৎ পারিবারিক বন্ধন তা অনেক ক্ষেত্রেই কমে যাচ্ছে। ওদের ১০০% যে নেয়া যাবে না তা আজো যদি না বুঝেন আর এই সকল ফালতু ব্যাপার নিয়া কাঁচালে মত্ত থাকেন তাহলে সেই দিন দূরে নাই যেদিন আপনার পুত্র বা কন্যার জন্য পাত্র না পাত্রি খুজবেন তা নিয়ে দ্বিধাতে পরে যাবেন অথবা আপনার কন্যা স্বাভাবিক ভাবে ধর্ষিত না হয়ে বড় হতে পারবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।
At last, USA save their dignity and cover their failure by approving such type of horrible marriage system. Let them enjoy their nasty and stink matters by themselves why we are screaming to save their dignity? Try to save your family and society by following original Bangladeshi culture not the culture of modern Bangladeshi.
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৪৭