গ্রিক শব্দ ডেমোক্র্যাশিয়া থেকে ইংরেজি শব্দ ডেমোক্র্যাসি বা বাংলায় গনতন্ত্র। গনতন্ত্র অর্থাৎ জনগনের দ্বারা এবং জনগনের জন্য আইন বা শাসন।তবে শাসন শব্দটি কেমন যেনো গনতন্ত্রের চেতনার সাথে বেমানান-পরিচালনা শব্দটি বোধহয় শোভনীয়।
আমার আলোচনা বাকস্বধীনতা বা জনগনের অধিকার বা তা প্রাপ্তি,অপ্রাপ্তি নিয়ে নয় বরং তথাকথিত গনতন্ত্রে আমজনতার অংশগ্রহনের সুযোগ প্রসংগে। পার্লামেন্টে যারা জনপ্রতিনিধী হয়ে আসেন তারা কারা? তারা কি আসলেই এদেশের খেয়ে না খেয়ে থাকা মানুষের প্রতিনিধীত্ব করার যোগ্যতাসম্পন্ন? তাদের অধিকাংশের আর্থসামাজিক অবস্হা কি এদেশের অধিকাংশ আমজনতার দিনযাপনের সাথে সংগতিপূ্র্ন? কোন মিল আছে কি?একজনের খাবার ডাষ্টবিনে ফেলে দিতে হয়-অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষ তিনবেলার খাবার যোগাতে হিমসিম । প্রতিনিধী থাকেন সুরম্য অট্টালিকায় ,অধিকাংশ আমজনতার কূড়েঘরে হয়তোবা বৃষ্টির পানি ঠেকাতে প্রানান্তকর প্রয়াসে দিন কেটে যায়।
চীনা একটা প্রবাদ আছে-যাদের জন্য কাজ বা উন্নয়ন করবে,তাদের হুক্কায় তামুক খাও। অর্থাৎ তাদের সাথে মনেপ্রানে মিশে যাও। কিন্তু আমাদের প্রতিনিধী (?) মহাশয়েরা কি তা করবেন?
কোনদিকেই তো মিলছেনা। তবে তিনি জনপ্রতিনিধীত্ব কি করবেন? জনগনের ভাল মন্দ,আশা আকাংখা, সূখ দুঃখ তুলে ধরবেন কি ভাবে?
জোরজবরদস্তি করে বা চা সিগারেট খাইয়ে হয়তো এমপি হবেন তবে কোনদিনই জনপ্রতিনিধী হবেন না। জনগন হয়তো সূখটান দিয়ে সীলটা দিবেন,কিন্তু পাচ বছরের জন্য কি হারিয়ে এলেন তা বঝবেন না।
সুতরাং গনতন্ত্র গেল বলে গলা ফাটিয়ে লাভ কি? সেই একই কথা-আওয়ামী লিগ বা বিএনপি। সবার চরিত্রই একই।জনগনের নাম ভাংগিয়ে শুধু নিজের আরো অর্থ,আরো ক্ষমতা,অসংখ্য চাটুকার পরিবেষ্টিত So called নেতা....
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৯