”দুনিয়ার জীবন তোমাদের যেন প্রতারিত না করে” (সুরা লুক্বমান আয়াত ৩৩)।
আয়াতটি মহান আল্লাহর যিনি এ দুনিয়া সৃজন করেছেন। আবার তিনিই বলছেন এ দুনিয়ার জীবন থেকে সাবধান। আয়াতটি পাঠে বুঝা গেল যারা দুনিয়া চিনবে না কিংবা বুঝবে না তারা আখেরাতও বুঝবে না। একটি শিশু কিন্তু প্রথমে তার বাবাকে চিনে না যদিও পিতার মাধ্যমেই সে পৃথিবীতে আসে। সে আগে চিনে তার মাকে। মা হারা একটি শিশু নিতান্ত অসহায়। মায়ের মাধ্যমেই সে তার বাবার পরিচয় পায়। এ মহাকাশের তুলনায় আমরা মানবজাতিরা নিতান্ত শিশু। আমাদের বিশ্বাস (নাস্তিকরা বাদে আর নাস্তিকরা যে ভুয়া সেটা আমি আরেকটা লেখায় খোলাখুলি বিশ্লেষণ করেছিঃ Click This Link) এ মহাকাশের একজন স্রষ্টা আছেন। তিনি আকাশে থাকেন। আমাদের ’জ্ঞানীরা’ বিভিন্ন ভাবে স্রষ্টার প্রসঙ্গটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। কিন্তু এই তথাকথিত ’জ্ঞানীরা’ আজ পর্যন্ত মহান আল্লাহর বাস্তব পরিচয়টি আমাদের দিতে পারেননি। শুধু বলেন, আল্লাহ আছেন, তিনি এমন, তিনি তেমন।
ধরুন, আপনি প্রবাসে যাবেন জীবিকার সন্ধানে। দু’টো পথ খোলা-একটি অবৈধ আরেকটি বৈধ। অবৈধ পথে পাসপোর্ট-ভিসার কোন প্রয়োজন নেই। দালাল আপনাকে বিভিন্ন ভাবে পটিয়ে কোন রকমে জাহাজে তুলে অথৈ সাগরে ফেলে দিতে পারলেই দায়িত্ব শেষ। আপনি তো মহাখুশি। টাকা-পয়সা তেমন লাগেনি, পাসপোর্ট-ভিসার বালাই নেই, খুব সহজে প্রবাসে যেয়ে আরামসে টাকা কামাবেন। স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তখনই যখন লুকোচুরি খেলা শেষে প্রবাসে নেমে দেখেন দালালের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। আশা করি আর বলার প্রয়োজন নেই, কয়েক মাস আগের পত্রিকায় আমরা এ অবৈধ খেলার পরিণতি দেখেছি। দ্বিতীয় পথটি হল বৈধ পথ। অনেক কষ্ট করে, প্রবাসে কাজ করার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে, পাসপোর্ট-ভিসা যোগাড় করে তারপর যাত্রা। এ যাত্রা সম্মানের, কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না।
আজকালকার তথাকথিত ইসলামি চিন্তাবিদেরা, জাকির নায়েকেরা, তাবলীগ ওয়ালারা, বিভিন্ন নামের ইসলামি দলের লোকেরা, কট্টরপন্থীরা (তালেবান, বোকো না ফোকো হারাম, আইএসআইএস ইত্যাদি), বিভিন্ন দরবারে সাজ্জাদানশীন-গদিনশীন নামধারী পীরেরা ইসলামের দা’য়ী সেজে সহজ-সরল মানুষগুলোকে তুলে দিচ্ছে ’ছোওয়াব’ নামক জাহাজে এবং বুঝিয়ে দিচ্ছে কল্পিত বেহেশত-দোযখের কাহিনী। ইসলাম তবে এত সোজা (!), লোকজন এ ভেবে মহাখুশি। ছোওয়াবের পাহাড় জমিয়ে যখন তারা কবরে যায় তখন দেখে ঘটনা তো খারাপ।
”তারা (বিভ্রান্তকারীর অনুসারীরা) বলবে, তোমরাই স্বয়ং আমাদের জন্য এটি (জাহান্নাম) আগবাড়িয়েছ; সুতরাং কত নিকৃষ্ট এ আবাসস্থল” (সুরা সোয়াদ আয়াত ৬০)।
কিন্তু সূফিবাদ ছোওয়াবের তোয়াক্কাও করে না আবার বেহেশত-দোযখের লোভও দেখায় না। সূফিবাদ বলে, তুমি পৃথিবীতে থাকতেই দেখে যাও, চিনে যাও কে তোমার প্রভু, কী তাঁর পরিচয়।
”এর পর একে অবশ্যই প্রত্যয়ী চোখে (আইনুল একীন) দেখতে পেতে” (সুরা তাকাসুর আয়াত ৭)।
ধনী হতে যেমন শর্টকাট কোন পন্থা নেই, অধিক পরিশ্রম লাগে তেমনি সূফিবাদেও কোন শর্টকাট রাস্তা নেই আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার জন্য। এখানে শরীয়ত তো লাগেই আরো লাগে সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ, ধ্যান সাধনায় ধৈর্য ধারণ, হালাল-হারাম বেছে তো চলতে হবেই এমনকি সন্দেহজনক বস্তু থেকেও দূরে থাকতে হবে। পাসপোর্ট কোন অলৌকিক জিনিস নয়, এটা দেখা যায়, ধরা যায়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পা রাখতে গেলে এটা লাগবেই। আপনি এ জগত থেকে একদিন চলে যাবেন আরেক জগতে (কবরে), পাসপোর্ট করেছেন? বলবেন, নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাত-ই আমার পাসপোর্ট। আমি প্রশ্ন রাখবো, এই যে এত এত ইবাদতের দোহাই দিচ্ছেন, কখনো কি একবারও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন এগুলো আসলেই আল্লাহর দরবারে মঞ্জুর হয়েছে কিনা? বলবেন, কবুল করার মালিক আল্লাহ, আমি কীভাবে বলতে পারি এগুলো কবুল হয়েছে কিনা। এখানেই আমার আপত্তি। আলোর আয়োজন থাকার পরও কেন আপনি এখনো অন্ধকারে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছেন? কেন অন্ধবিশ্বাসের চোরাবালিতে পা আটকিয়ে বিপদে পড়বেন? কেন ওয়াজওয়ালা, লেকচারওয়ালা, ফায়দাওয়ালা, দলওয়ালা, জিহাদওয়ালা, পীরওয়ালা, ওরশওয়ালাদের পেছনে ঘুরবেন? তবে কি এটাই আপনার তকদির বা নিয়তি? অনেকে বলে, অধ্যাত্মবাদ-সূফিবাদ এগুলো নবীর যুগে ছিলো না। তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন, মহানবী (সা.) তবে কেন প্রথম পনেরটি বছর হেরা গুহায় ধ্যান সাধনায় কাটিয়ে দিলেন? আগে শরীয়ত না ধ্যান? অবশ্যই ধ্যান আর ধ্যান মানেই অধ্যাত্মবাদ। ধ্যান সাধনার মাধ্যমে সাফ তথা পবিত্র হতে না পারলে আপনার দ্বারা কস্মিনকালেও শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত হবে না যতই নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাত করেন না কেন। ’সূফি’ শব্দটি এসেছে আরবী ’সাফা’ থেকে যার অর্থ বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতা।
”নিশ্চয়ই সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহ হতে” (সুরা বাক্বারা আয়াত ১৫৮)।
সাফা এবং মারওয়া নামটি যারা হজ্ব করতে গিয়েছেন তারা আশা করি আমার চেয়ে আরো ভালো জানবেন। কিন্তু কয়জন হাজ্বী এ দু’টি নামের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের খোঁজে দৌড়িয়েছেন তা আমরা জানি না। পাহাড় কখনো আল্লাহর পরিচয় দেবার মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে না। আরবি ভাষায় সাফা শব্দের অর্থটি হলো পবিত্রতা তথা শুদ্ধি এবং মারওয়া শব্দটির দ্বারা বোঝানো হয় মনুষ্যত্ব, নির্মলতা, মানবিক বীরত্ব। সাফা এবং মারওয়া দু’টি পাহাড়ের প্রতীক রূপের অভ্যন্তরে শুদ্ধি এবং মনুষ্যত্বের বিষয়টি লুকিয়ে আছে। শরীয়ত এবং মা’রেফতের কী অপূর্ব উপস্থাপন, যা কোনো মানবের পক্ষে করা মোটেই সম্ভবপর নয়। এখানে পাসপোর্ট বলতে আমি বুঝিয়েছি ঈমানের আলো যা ক্বলব বা অন্তুরে প্রবেশ করলে ক্বলব বা অন্তর অনুভূতিসম্পন্ন হয়ে উঠে। তখন নামাযে দাঁড়ালে বুঝতে পারবেন কাঁর উদ্দেশ্যে নামায পড়ছেন নইলে আজীবন নামায পড়বেন বটে তাতে শুধু জায়নামাযটাই ময়লা হবে এবং ফলাফল শূন্য। এ ঈমানের আলো আপনাকে কবরে যাবার আগেই কবরের খবর জানিয়ে দেবে।
”আধিক্য তোমাদের ধ্বংস করে, যতকাল তোমরা কবরের সাথে মিলিত থাক” (সুরা তাকাসুর আয়াত ১-২)।
এখানে কবর বলতে কি মাটির কবর বুঝানো হয়েছে না দেহের কবর? মানুষ মারা গেলে তার দেহটাই না শুধু মাটির কবরে যায় কিন্তু মানবদেহের ভেতরে থাকা রূহ, ক্বলব এবং নফস (আরো জানতে দেখুনঃ Click This Link) এঁরা কোথায় যায়? চিন্তা করেছি কখনো? কেউ জিজ্ঞেস করেছে কখনো? করবে কোত্থেকে, জানলে তো!
”এবং মানুষদের মধ্য হতে কেউ কেউ আল্লাহর মধ্যে যুক্তি দেখায় জ্ঞান ছাড়াই এবং সঠিক পথের নির্দেশনা নেই এবং না (আছে) নূরময় কিতাব” (সুরা হজ্ব আয়াত ৮)।
যদিও আয়াতটি আকারে ছোট, কিন্তু এর অর্থ বড়ই কঠিন এবং বড়ই সাঙ্ঘাতিক যা সাধারণের পক্ষে তো বোঝার কথা বাদই দিলাম, বরং বড় বড় ইসলাম-গবেষকেরাও হিমসিম খেয়ে যাবে। তাই অধিকাংশ গবেষকেরা অনুমানে ঢিল ছুঁড়ে সব কিছুর সমাধান টেনে বসেন এবং তা একান্ত স্বাভাবিক, তাই দোষারোপ করছি না। প্রথমেই বলা হয়েছে, মানুষদের মধ্য হতে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আল্লাহর বিষয়ে তথা আল্লাহ বলতে কী বোঝায় না জেনেই তর্ক-বিতর্কের ঝড় তুলে রাশিরাশি সংশয় আর দ্বিধার মধ্যে ফেলে দেয়। এ জন্য আয়াতটিতে ’ইলাল্লাহি’ না বলে তথা আল্লাহ বিষয়ে না বলে ’ফিল্লাহি’ তথা আল্লাহর মধ্যে বলা হয়েছে। আল্লাহর মধ্যে ডুব দিতে না পারলে তথা ফানা হতে না পারলে আল্লাহ সম্বন্ধে যা কিছু বলবে তা হবে এলেম বা ঐশী জ্ঞান বহির্ভূত কথা অর্থাৎ জ্ঞান নেই অথচ জ্ঞানীদের মতো ঢং করে কথা বলা। তাই বলা হয়েছে, ’বিগাইরি ইলমিউ’ অর্থাৎ আল্লাহ বিষয়ে কোনো জ্ঞানই নাই অথচ জ্ঞানীর ভান করে এটাসেটা বলে। এ ঐশী জ্ঞানটি তথা এ এলেমটি কি বাহ্যিক এলেম তথা জ্ঞান, নাকি রহস্যপূর্ণ জ্ঞান? আমরা বুখারি শরিফ-এর একটি হাদিসে (বুখারি শরিফ, হাদীস ক্রম ১২০, ইলম অধ্যায়, ড. মুহাম্মদ মুহসীন খান অনূদিত, দারুসসালাম প্রকাশনা, সৌদি আরব) জলিল কদরের সাহাবা হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে জানতে পারি যে, জ্ঞান দুই প্রকার : একটি জাহেরি তথা প্রকাশ্য এলেম, অপরটি বাতেনি তথা অপ্রকাশ্য এলেম। এ বাতেনি এলেম যিনি বা যাঁরা অর্জন করতে পেরেছেন তারাই আল্লাহর বিষয়ে কিছু বলা, কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার উপযুক্ত। তাই অন্যত্র হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন যে, ”ঐশী জ্ঞান যেখানেই পাও, অর্জন করো। ফেকাহ শাস্ত্র অধ্যয়নকারীরা জাহেরি বা বাহ্যিক জ্ঞানের অধিকারী এবং তাদের যেসকল উক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে সেগুলো গ্রহণ তরো না। তারা ছাগলের পালের ন্যায় গুঁতোগুতি করে” (এহইয়াউ উলুমিদ্দীন, ১ম খণ্ড, ১ম অধ্যায়-ইমাম গাযযালী রহ.)। জাহেরি আলেমদের থেকে সাবধান থাকার উপদেশটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) দিয়ে গেছেন। এ ভিতরের এলেমটি তথা ঐশী জ্ঞানটি বড় কষ্ট করে, বড় সাধনা করে জেনে নিতে হয়। কারণ এই জ্ঞান গোপনীয়। তাই হজরত আবু হুরায়রা (রা.) এ কথাটিও বলেছেন যে, এ জ্ঞানের কথাটি প্রকাশ করামাত্র আমাকে তোমরা যা-তা অপমান করতেও কসুর করবে না। যেটাকে আরবি ভাষার বাগধারায় বলা হয়- কাটা যাবে আমার এই গলা (বুখারি শরিফ, হাদীস ক্রম ১২০)। সুতরাং এ রহস্যময় এলেম তথা ঐশী জ্ঞান যার জানা নাই তিনি কেমন করে সঠিক পথের নির্দেশনা দেবেন অথবা পাবেন? এলেম তথা জ্ঞানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ’হুদাউঁ’ তথা সঠিক পথটি জেনে নেওয়া। যদি সঠিক পথ এবং এলেম তথা ঐশী জ্ঞানটি না থাকে তা হলে কিতাব বললে কাগজের উপর কতগুলো কালির অক্ষর দিয়ে সাজানো লেখাগুলোকেই কিতাব মনে করবে। কাগজ-কালিতে ছাপানো অক্ষরগুলো নূরানী কিতাবের ছায়ামাত্র, কিন্তু নূরানী কিতাব নয়। বাঘ-সিংহের চার রঙে ছাপানো ছবি দুটো দেখলে মনে হবে হুবহু বাঘ আর সিংহ, কিন্তু আসলেই কি কাগজে ছাপানো বাঘ আর সিংহ দুটি আসল সিংহ-বাঘ? আসল বাঘ আর সিংহ যদি কেউ স্বচক্ষে দেখতে চায় তাহলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে গিয়ে দেখে আসতে হবে। সেই নির্দিষ্ট স্থানের নামকে বলা হয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা ছাড়া যে রকম জীবন্ত বাঘ ও সিংহ দেখা যায় না, সে রকম আল্লাহর বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা এবং সঠিক পথের সন্ধান পাওয়ার পর যাঁরা পবিত্রতা অর্জন করতে পেরেছে (ওযু করার নাম পবিত্রতা নয়, ওটা বাহ্যিক পবিত্রতা আর আমার বিষয় হল ক্বলব বা অন্তরের পবিত্রতা) তাঁদের কাছেই এ নূরানী কিতাবের পরিচয় মেলে (দ্রষ্টব্য: সুরা ওয়াক্বিয়া আয়াত ৭৯) যা সংরক্ষিত আছে লওহে মাহফুযে (দ্রষ্টব্য: সুরা বুরুজ আয়াত ২২)। সুতরাং লওহে মাহফুযের সাথে যাদের সংযোগ নেই তারা কোরআন ব্যাখ্যা দেবে বটে কিন্তু সে ব্যাখ্যা ভরপুর থাকবে হ-য-ব-র-লে। যাঁরা নূরানী কিতাবের পরিচয় পেয়েছেন তাঁরাই আল্লাহর আবদাল, বেলায়েতপ্রাপ্ত আওলিয়া এবং আল্লাহর নির্বাচিত নবী এবং রসূল। এঁরা কাগজে ছাপানো কিতাব পড়িয়ে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেন না, বরং বাস্তব শিক্ষার মাধ্যমে, তথা মোরাকাবা-মোশাহেদার ধ্যানসাধনার মাধ্যমে বছরের পর বছর ধ্যানসাধনা করার পরই সঠিক পথের পরিচয় এবং নূরানী কিতাবের পরিচয়টি পাওয়া যায়। অন্যথায় কতগুলো কথা শেখা ছাড়া এবং তর্ক-বিতর্কের গুঁতোগুতিতে জড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। এখানে আর একটু লক্ষ্য করে দেখুন, বলা হয়েছে ’কিতাবিম্ মুনিরি’ তথা নূরময় কিতাব, কিন্তু বলা হয় নি নূরময় কোরআন। নূরানী কোরআন এবং নূরানী কিতাবের মধ্যে অতি সূক্ষ্ম একটি পার্থক্য রয়ে গেছে। পার্থক্যটি আর বলছি না। লওহে মাহফুযের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন দেখবেন সব পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। নইলে উপরে বর্ণিত নায়েকদের (তথাকথিত ইসলামি চিন্তাবিদেরা, জাকির নায়েকেরা, তাবলীগ ওয়ালারা, বিভিন্ন নামের ইসলামি দলের লোকেরা, কট্টরপন্থীরা, বিভিন্ন দরবারে সাজ্জাদানশীন-গদিনশীন নামধারী পীরেরা) মতো আপনিও পড়ে থাকবেন জনপ্রিয়তার অন্ধ কূপমণ্ডূকে। যারা অর্থের বিনিময়ে মানুষের মাঝে দ্বীন প্রচারে নামে তারা আর যাই হোক কখনো সত্যের ঝাণ্ডাবাহক নয়। এরা আসলে ইসলাম ধর্ম হতে ছিন্ন যদিও আমরা বিভিন্ন নামে (যেমন: শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী ইত্যাদি) এদের ধর্মে রেখে আনন্দ পাই এবং অনর্থক গুঁতোগুতিতে জড়িয়ে থাকি। মহান আল্লাহর কাছে এদের হেদায়েত কামনা করছি।
১ম পর্বঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




