somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক্যবাদ- জঙ্গিবাদ, বিজ্ঞানবাদ ও অধ্যাত্মবাদ

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমওয়ালা যখন ডাক দিয়ে আমাদের বলে যে তার কাছে মিষ্টি আম আছে তখন আমরা কি তার মুখের কথায় আশ্বস্ত হয়ে আম কিনি না যাচাই করার জন্য আম কেটে দিতে বলি? আমওয়ালা আত্মবিশ্বাসী হলে সে আমাদের তার আম কেটে খেতে দেয়। তারপর আমাদের জিহ্বা বলে দেয় আমটি মিষ্টি না অন্য কিছু। এভাবে শুধু আম নয় আরো অনেক কিছু আমরা সুস্পষ্ট প্রমাণ ব্যতীত মেনে নিতে পারি না। মেনে নিই (বা মেনে নিই না) শুধু ধর্মকে। কেন? শুধু ধর্মের বেলায় অন্ধবিশ্বাস কেন? বাকি ধর্মগুলোর ব্যাপারে আমি কিছু বলব না কিন্তু ’ইসলাম’ কোন অন্ধবিশ্বাসের ধর্ম নয়। যারা ’ইসলাম’কে অন্ধবিশ্বাসের ধর্ম বলে প্রচারণা চালান তারা কখনো জ্ঞানী তথা আলেম হতে পারেন না। অন্ধবিশ্বাসের সুবিধা অনেক যেহেতু প্রমাণ ছাড়াই যেকোন কিছু গেলানো যায়। ইসলামের সাজসজ্জা নিয়ে বা ইসলামের পোশাক পরে বা মিষ্টি মিষ্টি করে মানুষের মন যোগানো ধর্মীয় কথা-বার্তা বলে (যেমন দোযখের ভয় ও বেহেশতের লোভ) কেউ কোন প্রচারণা চালালেই হল, প্রমাণের কোন বালাই নেই, সবাই দেখা যায় পঙ্গপালের মত তার পেছনে ছুটতে থাকে। কেউ যদি ঝোলা ভর্তি ’পাথর’ এনে আপনাকে ’আম’ বলে গছাতে চায় আপনি কি পরখ না করেই ক্রয় করবেন? মোটেই না। সেই আপনাকে যখন একপক্ষ বলে ’ইসলাম মিথ্যা’, আপনি তাতেও সায় দিচ্ছেন আবার আরেক পক্ষ যখন বলে ’ইসলাম পুরোনো হয়ে গেছে এর সংস্কার দরকার’ কিংবা ’না দেখে বিশ্বাস করলেই ঈমানদার হওয়া যায়’, আপনি তাতেও সায় দিচ্ছেন! সমস্যা তো আসলে আপনাকে নিয়েই, কেন আপনি প্রমাণবিহীনে বিশ্বাস করবেন? আলী সিনা (‘alisina.org’, ‘faithfreedom.org’) নামক এক আন্তর্জাতিক নাস্তিক ও ইসলাম বিরোধী যার জন্ম ইরানে, পড়ালেখা ইতালিতে এবং বর্তমান আবাস কানাডায় (এবং আরো অন্যান্য নাস্তিকরাও) ৫০,০০০ মার্কিন ডলারের মূলা দেখিয়ে যখন বলে বেড়ায় ’ইসলাম মিথ্যা’ তখন এর সপক্ষে প্রমাণও থাকতে হবে নইলে তা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপের যোগ্য। ’ইসলাম সত্য’ এই বক্তব্যের সপক্ষে আমি যুক্তি-প্রমাণ সহকারে যখন আলী সিনার কাছে খোলা চিঠি দিলাম (তাকে ইমেইল করেছি, খোলা চিঠিটি আমার ওয়েবসাইট ‘armanarju.wordpress.com’ -এ আছে তবে ইংরেজিতে) তখন সে ’ইসলাম মিথ্যা’ এর সপক্ষে আমাকে আর কোন জবাব দিতে পারেনি। তাকে বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েও কোন প্রত্যুত্তর পাইনি। আমি অবাক হই যখন দেখি ইরান ও পাকিস্তানের বড় বড় ইসলামি চিন্তাবিদ তার সাথে বিতর্কে গিয়েও কোন সমাধানে পৌঁছতে পারেনি! ইসলামের সেবক খ্যাত আরেক অভিনেতা ড. জাকির নায়েক তার সাথে বিতর্কে বসতে রাজি হয়নি! অথচ সেই আলী সিনা আমার আট পৃষ্ঠার ছোট্ট পত্রটি এড়িয়ে গেলেন! এদেশীয় কিছু নাস্তিকদের ব্লগে (সচলায়তন, মুক্তমনা ইত্যাদি) ’অন্ধজনে দেহো আলো’য় উজ্জীবিত হয়ে তাদের অজ্ঞানতাগুলো ধরিয়ে দিতে যখন লিখলাম দেখি আমার লেখা আর প্রকাশ হয় না। কারণ সত্য প্রকাশ হয়ে পড়বে যে! প্রমাণ কিংবা সত্যের কথা বললে সেটা হয়ে যায় ’ধর্মপ্রচার’! অন্ধকে ’আম’ বলে ’পাথর’ গছানো গেলেও চক্ষুষ্মানকে কিন্তু যায় না। নাস্তিক্যবাদের উৎপত্তি যেমন অজ্ঞানতা থেকে তেমনি জঙ্গিবাদেরও। এক পক্ষ জ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম কলমের দ্বারা মননশীলতার বিনাশে নেমেছে আরেক পক্ষ মানবতার অভিশাপ অস্ত্রের দ্বারা মানব সংহারে নেমেছে। উভয়েই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। উভয়েরই সংশোধন দরকার, ইসলামের নয়। ইসলাম কোন কল্পকাহিনী বর্ণনা করে না, ইসলাম যা শাশ্বত এবং বাস্তব তাই বলে, বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য থাক বা না থাক তাতে ইসলামের কিছুই যায় আসে না। বিজ্ঞান নিয়ত পরিবর্তনশীল আর ইসলাম চিরসত্য। বায়ু অদৃশ্য কিন্তু অনুভব করা যায় আবার ওজনও আছে যদিও বায়ু কেউ দেখেনি এমনকি বিজ্ঞানও, তাই বলে বায়ুকে কি অস্বীকার করা যায়? কোরআন বলছে, ’আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর বা জ্যোতি’ (কোরআন-২৪:৩৫)। চামড়া বা ত্বকের অনুভূতি শক্তি না থাকলে যেমন বায়ুর অস্তিত্ব বুঝা যাবে না তেমনি আত্মা বা হৃদয় বা ক্বলব (আরবি) এর অনুভূতি শক্তি না থাকলে আল্লাহ বা ইসলাম বা নবী-রাসুল কী তাও বুঝা যাবে না।
এবার আসা যাক বিজ্ঞানবাদে। ’ইসলাম ধর্ম’ বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে সেই কবে। আল্লাহর নবী হযরত সুলাইমান (আ.) সুবৃহৎ সিংহাসনে তাঁর সভাসদ, পরিবার-পরিজনদের নিয়ে যখন আকাশ বিহার করতেন তখন না ছিল বিজ্ঞানের উড়োজাহাজ না ছিল রকেট, হযরত মুসা (আ.) সমুদ্র পার হওয়ার জন্য নিজের লাঠি সমুদ্র বক্ষে নিক্ষেপ করার সাথে সাথে সাগরের পানি দু’পাশে সরে গিয়ে যখন সুড়ঙ্গ পথ হয়ে গেল তখন ছিল না বিজ্ঞানের টানেল পথ, হযরত নূহ (আ.) যখন মহাপ্লাবন মোকাবিলার জন্য বিরাটায়তনের নৌকো বানান তখন বিজ্ঞানের জাহাজ স্বপ্নেও ভাসেনি, হযরত ইব্রাহীম (আ.) পবিত্র কাবা শরীফ পুননির্মাণের সময় উঁচু দেয়াল ঠিক করার জন্য মাকামে ইব্রাহীম পাথরটিকে উপরে উঠতে বললে সেটি উপরে উঠত নিচে নামতে বললে নিচে নামত তখন কিন্তু বিজ্ঞানের লিফট বা এস্কেলেটর ছিল না, হযরত ঈসা (আ.) কে মহান আল্লাহ আকাশে উঠিয়ে নিলে তাঁকে হত্যা করতে আসা নরাধমের চেহারা আল্লাহর হুকুমে যখন ঈসা (আ.) এর সদৃশ হয়ে যায় তখন কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারি ছিল না, ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর (রা.) মদীনায় খুতবারত অবস্থায় হাজার মাইল দূরে তাঁর সেনাবাহিনীকে যখন দেখলেন বিপদাবস্থায় পড়তে যাচ্ছে তখন কিন্তু মহাকাশে কোন কৃত্রিম উপগ্রহ ছিল না এবং তিনি ঐ অবস্থায় সেনাপতিকে পাহাড়ের দিকে তাকানোর জন্য যখন অনুরোধ করলেন হাজার মাইল দূরত্ব থেকে তখন কোন মোবাইল ফোনও ছিল না, ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মি’রায শরীফের রাতে মুহূর্তের মধ্যে সাতাশ বৎসরের ভ্রমণ ব্যাখ্যা বিজ্ঞান আজো দিতে পারেনি (কাছের বুধ গ্রহে যেতে লেগেছে সাত বৎসর! আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে, তাহলে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তা-ই হচ্ছে এক আলোকবর্ষ। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের ছায়াপথ হলো 'ম্যাজিলানিক ক্লাউডস'। এটি আমাদের পৃথিবী থেকে ২ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। বিজ্ঞান এখনো সেখানে যেতে পারেনি), বিজ্ঞানের ইন্টারনেটের সীমা বড়জোর মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহ পর্যন্ত অথচ ইসলাম মানুষকে যে ক্বলব বা আত্মা দিয়েছে তা দিয়ে শুধু মহাকাশ নয় যাওয়া যায় অদৃশ্য জগতেও যে জগতের পরিচয় বিজ্ঞান এখনো পায়নি তবে মানতে বাধ্য হয়েছে ’অদৃশ্য শক্তি’ বলে একটি ব্যাপার আছে যা ’ডার্ক এনার্জি’ (Dark Energy) বা ’অদৃশ্য শক্তি’ এবং ’ডার্ক ম্যাটার’ (Dark Matter)’ বা ’অদৃশ্য পদার্থ’ থিওরি হিসেবে পরিচিত। সেই সূত্রবলে আমাদের বহুকালের চিরচেনা মহাবিশ্বকে আর ’মহাশূন্য’ বলা যাবে না। ’ডার্ক এনার্জি’ ও ’ডার্ক ম্যাটার’ থিওরিই বলছে আমাদের এ মহাবিশ্বের দৃশ্যমান শূন্য স্থানগুলো আসলে শূন্য নয়। সমগ্র মহাবিশ্বই অদৃশ্য শক্তিতে (ডার্ক এনার্জি) ভরপুর, যা থেকে অদৃশ্য পদার্থ (ডার্ক ম্যাটার) ও অবশেষে দৃশ্য পদার্থ (যা আমরা খালি চোখে এবং যন্ত্রের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করি) জন্মলাভ করছে। খালি চোখে কিংবা যন্ত্রের মাধ্যমে এগুলো (ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার) শনাক্ত করা যায় না। শুধু তাই নয় বিজ্ঞান বলছে এ মহাবিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশই অদৃশ্য শক্তি আর ২৫ শতাংশ অদৃশ্য পদার্থ এবং বাকি পাঁচ শতাংশ যাবতীয় দৃশ্যমান বস্তু। যাঁদের ক্বলব বা হৃদয়ের চোখ জাগ্রত তাঁরা কিন্তু ঠিকই দেখতে পান যে এ অদৃশ্য শক্তি আর পদার্থ গুলো আসলে মহান প্রভুর জ্যোতি বা আলো ব্যতীত আর কিছুই না। বিজ্ঞানও বলছে যে এ মহাজগতে বিরাজমান আলোক রশ্মির একশ ভাগের এক ভাগও আমরা দেখিনা বাকী নিরানব্বই ভাগ অদৃশ্য ও আমাদের অনুভবের বাইরে পড়ে আছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব বুঝতে যেমন একটি সচল সীম কার্ড প্রয়োজন তেমনি ’আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর বা জ্যোতি’ বুঝতে দরকার একটি সচল ক্বলব বা হৃদয়। আর এ ক্বলব সচল করতে আপনাকে যেতে হবে ইসলামের অধ্যাত্মবাদে। জীবনভর ’শরীয়ত’ মানতে পারেন কিন্তু নূর বা জ্যোতির মতো অদৃশ্য বিষয় গুলো বুঝতে আপনাকে যেতে হবে আরো গভীরে এবং একনিষ্ঠ সাধনায় যার অপর নাম এ ’অধ্যাত্মবাদ’। ’তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো’ (কোরআন-২:২০৮) আয়াতে এ ইঙ্গিতই দেয়া হয়েছে অর্থাৎ পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হলে ইসলামের অনেক মৌলিক বিষয় ও রহস্য আপনার অজানাই থেকে যাবে এবং আল্লাহর নির্দেশিত সরল পথের সন্ধান পাওয়া হবে সুদূরপরাহত। আর এ অধ্যাত্মবাদের দীক্ষা পেতে হলে আপনাকে খুঁজতে হবে এমন একজন পথপ্রদর্শক যাঁর সাথে সম্পর্ক আছে মহান আল্লাহর এবং যিনি জানেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। ’এবং সত্যবাদীদের সাথে থেকো’ (কোরআন-৯:১১৯) আয়াতে তাই-ই বলা হচ্ছে। সত্যবাদী তাঁরাই যাঁদের কাছে সত্য তথা আল্লাহ আছেন। সুতরাং এখানে যে মিথ্যাবাদীও থাকবে তার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও আয়াতটি বহন করে। মিথ্যাবাদী তারাই যাদের বাহ্যিক বেশভূষা সত্যবাদীর কিন্তু ভেতরে ধান্ধাবাজি। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখুন এ কাতারে অনেক নামী-দামী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক ব্যক্তিত্বকেও পাবেন, আরো পাবেন একশ্রেণীর সাধুবাবাদের। গাঁজা টেনে মাজারে পড়ে থাকা, হাতে-পায়ে-গলায় চুড়ি বা শিকল বাঁধা, লম্বা চুল-দাড়ি রাখা কিংবা আলখাল্লা পরিধান, জিকিরের নামে নারী-পুরুষের একত্রে নাচানাচি, শরীয়তের আইন-কানুন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো ইত্যাদির নাম অধ্যাত্মবাদ নয়। গাধার মতো পুস্তকের বোঝা বহন করে আয়াতের পর আয়াত আওড়িয়ে মানুষদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করা, সূফীদের পোষাক পরে তোতাপাখির মতো নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাতের বুলি কপচানো, দু’চারটা বই পড়ে কিংবা কারো কাছে ইসলামের কথা শুনে সেসব প্রচারের জন্য মসজিদে মসজিদে ঘোরার নাম ইসলাম প্রচার নয়। ইসলাম প্রচার করার আগে নিজের ভেতর দেখতে হবে ইসলাম আছে কিনা, ইসলাম ধর্ম যে নূর বা আলো সেটা নিজের ভেতর আত্মস্থ করে তবেই না প্রচার নইলে আলী সিনার মতো সামান্য একজন নাস্তিকের কাছেও আপনি ধরা খেয়ে যাবেন।
মানুষ হিসেবে নিজেকে চিনতে হলে, আসলে আমরা কোথায় আছি বা কোথায় যাবো বুঝতে হলে কিংবা ’আল্লাহ জগতসমূহের প্রতিপালক’ (কোরআন-১:১) আয়াতে জগতসমূহে যেতে হলে বা জগতসমূহের প্রতিপালককে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে অধ্যাত্মবাদে। এ অধ্যাত্মবাদের অপর নাম হল আত্মজ্ঞান। আর আত্মজ্ঞানের মূল হল ঈমান। শুধু কলেমা তাইয়েবা পাঠ করার নাম ঈমান নয়। ঈমান মানে শক্তি বা অদৃশ্য শক্তি। এ অদৃশ্য শক্তি আল্লাহ প্রদত্ত। আপনার ঈমান থাকলে কেউ আপনাকে আর ভয় দেখাতে পারবে না, পারবে না বিভ্রান্ত করতে, পারবে না অবৈধ পথে চালিত করতে। আর ঈমান যদি না থাকে আপনি ভয়ও পাবেন, নানা জনের নানা কথায় বিভ্রান্তও হবেন এবং সবচেয়ে বড় যে আশংকা আপনি একদিন অবৈধ পথেও চালিত হয়ে যাবেন রাশি রাশি নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত আপনার আমলনামায় থাকার পরও। তখন এ আয়াতটি আপনার জন্যই প্রযোজ্য হয়ে যাবে যেখানে মহান আল্লাহ বলছেন, ’যদি তাদের জন্য আসমানের কোন দরজাও খুলে ধরি এবং তারা তাতে দিনভর আরোহণও করে তবুও (ঈমানের পরশ না পাওয়াতে) তারা বলবে- আমাদের চক্ষু বিভ্রান্ত হয়েছে মোহাচ্ছন্নতায়। বরং আমরা সকলে যাদুগ্রস্ত হয়েছি’ (কোরআন-১৫:১৪-১৫)।
প্রকাশিতঃ
মাসিক দ্বীন দুনিয়া
জুলাই ২০১৫ ঈদ সংখ্যা
বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×