somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স কেন বেড়ে যায় । পকেটের ভেতর মোবাইল টা ঝিন ঝিন করছে । পড়ানোর সময় ভাইব্রেশান মুডে রেখেছিলাম । ওপাশ থেকে মিস্টি একটা কন্ঠ হ্যালো বলে উঠলো । খানিক তাজ্জব বলে গেলাম । পাক্কা বিশ দিন পর প্রত্তাশিত কল খানা এলো ।
আমি কিন্তু আপনাকে কল করি নাই । মুচকি হেঁসে বললাম ।
আপনি আমাকে ভালো এটেল মাটি এনে দিতে পারবেন ? ওপাশ থেকে আমার কথার কোন পাত্তাই দিলো না । নিজের মনে বলে যেতে লাগলো । আমার বেশ কিছু এটেল মাটি লাগবে ।
এটেল মাটি কি ? জীবনে এমন নাম শুনি নাই । ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম ।
আপনি না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ? খানিক অবাক হলো মনে হয় ।
জ্বী, তা পড়ি
তাহলে এটেল মাটি চেনেন না কেনো? আপনার সাব্জেক্ট কি ?
আই বি এ, বেশ ভাব নিয়ে বললাম ।
ধ্যাত, আপনি কোন কাজের না, কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারলেন না । আমি এখন এটেল মাটি কই পাই ?
নিজের সাবজেক্ট কে এখন আমার বিষের মতো মনে হলো , কিসের জন্য আই বি এর এর মতো ফালতু একটা সাবজেক্ট নিলাম ধ্যাততুরিকা ! কৃষি বিজ্ঞানেই সকল জীবন চক্র মিশে আছে এটাই মনে হতে লাগলো । কৃষি বিজ্ঞান নিলে দেশ ও জাতির কাজে লাগতাম । চিন্তা করবেন না , আমি এনে দেব এটেল মাটি । বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললাম । তো কি কাজে লাগবে এটা তো বললেন না ।
আমি টেপা পুতুল বানাবো, আমার খুব সখ , আপনি সত্যি পারবেন এটেল মাটি আনতে। আপনি তো চেনেন না , বেশ চিন্তিত লাগলো ।
অবশ্যই পারবো, পারতেই হবে । বিনা যুদ্ধে নাহী দেব সুতাগ্র মেদিনী ।
জ্বী না আমার মেদিনী লাগবে না , এটেল মাটি লাগবে ওটা হলে চলবে ।
কবে লাগবে বলুন।
আগে তো আনুন, তার পর দেখা যাবে ।

যথারীতি বিনা পুর্বাভাসে কল কেটে দিলো । এখন আর অস্বস্তি লাগে না । অভ্যেস হয়ে গেছে । আমার মাথায় এটেল মাটি ঘুরছে । ইন্টারনেট ঘেটে তন্য তন্য করে খুজেও কোথাও এটেল মাটির খোঁজ পেলাম না । বন্ধুদের সবাই কে জিজ্ঞাস আকরলাম সবাই মাথা চুলকে মাথা নাড়ে । এটেল মাটির কোন আইডিয়া পেলাম না, একজন বললো , এক কাজ কর সরওয়ার্দি উদ্যান থেকে মাটি নিয়ে চালিয়ে দিতে । বুদ্ধি টা খারাপ লাগে নাই । কিন্তু যে মেয়ে এটেল মাটির নাম আলাদা করে বলে দিয়েছে তার সামনে সরওয়ার্দি উদ্যানের মাটি নিয়ে গেলে যেটুকু আশা আছে তাও যাবে ।

তিন দিন ধরে টিউশানিতে যাচ্ছি না । দিন রাত এটেল মাটি খুজচ্ছি । বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়ভাই ফোন দিয়ে ঝাড়ি দিলো , ওতেও কাজ হলো না , মাথায় কেবল এটেল ঘুড়ছে । অনেক চিন্তা ভাবনা করে পরিচিত এক নার্সারিতে গেলাম । বেশ সমজদার ভাব সাব নিয়ে বলল্লাম আমাকে এক মণ এটেল মাটি দেন , নার্সারির ম্যানেজার ইউসুফ, মুখের দিকে হা করে চেয়ে রইলো। ভাইজান কি মাডির বিজনিস করবেন নাকি । কেন, কি দরকার তোমার। বেশ ভারিক্কি চালে বললাম, এক মণ মাডি দিয়া হরবেন ডা কি , মরছে কেউ , মরছে এ্যা !! মুখের উপর ঝুকে জিজ্ঞাসা করলো ইউসুফ । কাউরে মাডি দেতেও তো এক মণ লাগে না ।আর কি মাডি কইলেন, এডেল মাডি , ওডা আবার কি ? গাল চুলকে বললো ইউসুফ । কেনো তুমি এটেল মাটি চেনো না, বিরক্ত আর উৎকণ্ঠা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম । মাডির কিরা চিনি না, তয় এই মাডি যদি তাহে হেয়া ডাহার শহরে পাইবে না ।

ব্যার্থ হয়ে ফিরে এলাম । মেজাজ একদম তিতা হয়ে আছে । সেক্রেটরিয়েটের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম পেছন থেকে কে যেন ডাকলো, ওই শুভ্র ! শুভ্র , ভালো করে তাকিয়ে দেখি ফিরোজা খালা । মেজাজ আরো খারাপ হলো, ফিরোজা খালা আমার দূর সম্পর্কের খালা। অতিরিক্ত কথা বলা তার স্বভাব । এখন ধরে নিয়ে তার বাসায় বসিয়ে মিনিমাম এক ঘন্টা বকর বকর করবে ।
এই শুভ্র, শুনে যা। ভদ্রমহিলা গাড়ি থেকে নিজেই নেমে এলেন । কি রে তুই শুনতে পাস না ।
জ্বি খালা বলেন, মাথা নিচু করে বললাম ।
আজকাল কই থাকিস, বাসায় যাস না, উনি এমন ভাবে বললেন আমি যেনো রোজ ওনার বাসায় যাই , দুই তিন দিন হোল যাচ্ছি না এতে ওনার চিন্তা হচ্ছে । আসলে এটা ওনার কথা পারার স্টাইল । এর পরেই শুরু করবেন বিভিন্ন বিষিয়ে গালগপ্প । খালা আমার একটূ কাজ আছে, এটেল মাটি খুজতে যাবো , এক টা বড় অর্ডার পেয়েছি , মাটি সাপ্লায়ের কাজ, এক মণ মাটি সাপ্লায় দিলে এক কোটি টাকা দেবে বলেই হাটা দিলাম, খালা খপ করে পেছন থেকে কলার টেনে ধরলেন । আমার সাথে ভাওতাবাজী হ্যা !! জানিস না আমি মানুষ চড়িয়ে খাই। খালার মানুষ বিদেশ পাঠানোর ব্যবসা আছে । গন্ডা গন্ড লোক ধরে টপা টপ বিদেশ পাঠিয়ে দেন নিমিষের মধ্যে । এক বার তো আমাকে প্রায় কুয়েত পাঠিয়ে দিয়েছিলো । আমি পালিয়ে বেচেছি ।
সত্যি খালা,আমার এটেল মাটি লাগবে, সেই খোঁজেই ঘুড়ছি ।
খালা খানিক চিন্তিত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেলন । তার পর তার ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলেন । চাপা স্বরে বেশ ধমাকাতে লাগলেন । তারপর হাঁসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন , আগামী কাল পেয়ে যাবি এটেল মাটি । চল এইবার বাসায় চল । তোড় খালু কে যে বাড়ি থেকে লাত্থি দিয়ে বের করে দিয়েছি তা জানিস?
জ্বী না, জানি না, মাথা নাড়লাম ।
ওই তো, ওটাই তোকে শোনাবো , কেন লাত্থি দিয়ে বের করে দিছি ।
খালা আমার টিউশানি আছে , আমি যাই ।
টিউশানি রে মার গুলি, কতো টাকা লাগবে তোর বল আমি দেব , শাহানা আপা আমার যে উপকার করেছিলো তার সামনে টাকার হিমালয় পর্বত ও তুচ্ছ । শাহানা আমার মায়ের নাম । আমার জন্মের সময় তিনি মারা যান । তাকে দেখা সৌভাগ্য আমার হয় নাই কিন্তু লোক মুখে শুনেছি , তিনি অসম্ভব সুন্দুরী ছিলেন । আব্বা নাকি তার সাথে লুকিয়ে প্রেম করতে গিয়ে অনেক বার এলাকার মানুষের হাতে ধরা খেয়ে আচ্ছা মত মাইর খেয়েছেন । শেষে আম্মাই নাকি বলেছে এত্ত মাইর খেও যখন লজ্জা হচ্ছে না তাহলে বিয়ে টা করেই ফেলি । বাবা নাকি হাতে চাঁদ পেয়ে হাউ মাউ করে কেঁদেছিলো । পালিয়ে বিয়ের খবর এলাকায় পৌছে যেতেই এলাকার সব বড় বড় মস্তান আব্বা কে মারার জন্য ছুরি বল্লম নিয়ে দিন রাত তাকে খুজতো ।

না খালা আমাকে যেতে হবে, পরে খালুর গল্প শুনবো । কিন্তু কে শোনে কার কথা, বিশাল দেহী ফিরোজা খালা আমাকে অনেক টা চ্যাং দোলা করে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিলেন । দিন দুপুরে ডাকাতি যাকে বলে। ইচ্ছা হোলো গলা ফাটিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করি । লাভ নাই বাছাধন মার্কা চেহাড়া করে খালা আমার দিকে চেয়ে রইলেন । গাড়ির এক কোনায় বিন ব্যাগের মতো পরে রইলাম । জোড়া ভুরু ওয়ালা ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম আসলেই কোন আশা নাই । যেমন মালিক তেমন তার কর্মচারী । ফিরোজা খালার পুর্বপুরুষ শুনেছি ডাকাত ছিলো ।

বাড়ির সামনে এসে, সেই একি কায়দায় আমাকে চ্যাং দোলা করে নিয়ে এসে ড্রয়িং রুমে ছুড়ে ফেললেন । সোফার এক কোনে দেখলাম খালু শুধু লুঙ্গি পরে বসে আছে । কাচুমাচু মুখে আমার দিকে খানিক চেয়ে বললেন, শুভ্র এলি , মাথা নাড়লাম, জ্বি খালু এলাম । না এলেই ভালো করতি রে । এই জাহান্নামে কোন মানুষ থাকে? চুপ একদম চুপ , ওপাশ থেকে খালার আড়াইশ ঘোড়া শক্তির মোটরের মতো কন্ঠ বেজে উঠলো সেই সাথে গোব্দা সাইজের এক পাটি স্যান্ডেল উড়ে এসে খালুর টাক মাথায় চটাস করে পরলো । দেখ শুভ্র দেখ, আমাকে এই মহিলা মেরে ফেলবে, তুই আমাকে নিয়ে পালিয়ে যা শুভ্র , খালু আমার হাত ধরে ঝুলে পরলো । কি বিপদ ! একে খালার চ্যাংদোলা খেয়ে পেটের ভেতর সব গুবলেট পাকিয়ে বমি বমি পাচ্ছে তার উপরে ব্যার্থ প্রেমিকের মতো খালুর নাকি কান্না । সুজুগ বুঝে দরজা খোলা দেখে সুড়ুত করে পালিয়ে এলাম । পেছন থেকে শুনছি খালা চিৎকার করে ডাকছে , শুভ্র ভালো হবে না বলছি, ফিরে আয় , কেবল তোর মায়ের প্রতি ঋণী নতুবা তোকেও পিটিয়ে হাড্ডি ছাতু করে ফেলতাম । অন্যপাশ থেকে খালু চেচাচ্ছে, ও শুভ্র বাপ আমার আমায় ফেলে যাস নে। সিনেমার শুটিং চলে আর কি । পালিয়ে বাঁচলাম ।

ভোর বেলায় কে যেনো দরজায় জোড়ে জোড়ে নাড়া দিচ্ছে । গতোকাল খালু খালার কান্ডে মেজাজ ছিলো খারাপ। তার উপরে সারা রাত ভালো ঘুম হয় নাই । এমন সময় ভোর বেলায় কে এলো । একবার ভাবি দোড়জা খুলব না, ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিরক্ত হয়ে চলে যাবে , দরজা ধাক্কানোর মাত্রা সহ্য সিমার বাহিরে চোলে গেলো । কষ্টে শিষ্টে চোখ ডলতে ডলতে উঠে দাড়ালাম । দরজা খুলেই দেখি সামনে খালার ম্যানেজার দাঁড়িয়ে । খালা কি আমাকে ধরে নিতে পাঠিয়ে দিলো নাকি । রুমের জানালায় শিক নাই , দৌড়ে যদি পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে লাফ দিয়ে পরি এই বুড়া ম্যানেজার কিছুতেই আমায় ধরতে পারবে না । দৌড়াবো বলে পেছন দিকে ঘুড়ে দাড়িয়েছি অমনি ম্যানেজার খপ করে আমার হাত চেপে ধরলেন, ভাইসাব, কই যান, আমার সাথে নিচে এসে আপনার সম্পদ বুঝে নিয়ে আমাকে বাঁচান ।

কিসের সম্পদ, আমার কোন সম্পদ নাই , ছাড়ানোর জন্য হাত মোচড়াতে মোচড়াতে বললাম ।

আছে জনাব, অঢেল সম্পদ আছে, আল্লার দোহাই লাগে আপনি আমার জীবন বাঁচান আপনার সম্পদ বুঝে নিয়ে । কোন বিপদে যে পরি কে জানে, আমি মাটিতে হাত পা ছড়িয়ে বসে পরলাম । আমি যাবো না মরে গেলেও যাবো না । ম্যানেজার আমাকে টেনে সিঁড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেলো । সিঁড়িতে জমদুত খালার ড্রাইভার দাঁড়িয়ে । সে মোটামুটি আমাকে কাঁধে তুলে নিচে নামিয়ে আনলো । আধো আলো আধো অন্ধকারে বিশাল একটা দশ চাকার ট্রাকের সামনে আমাকে দাড় করিয়ে দিলো । হা করে চেয়ে আছি ।
ভাইসাব , এই যে আপনার মাটি , এঁটেল মাটি। অনেক যন্ত্রনা করে এই মাটি খুজে পেয়েছি । আপনি দয়া করে গ্রহন করে আমাকে উদ্ধার করেন ।

ফোন টা টিং টিং করে বেজে উঠলো । ওপাশ থেকে খালা বিশ্ব জয়ের একটা হাঁসি দিয়ে বললো । দেখ শুভ্র তোর খালার ক্ষমতা দেখ । এক ট্রাক এঁটেল মাটি তোর জন্য এনে দিলাম । এখন যা যাকে দেয়ার তাকে দিয়ে সুন্দর মতো টাকা নিয়ে ব্যংকে জমা করে দে। ওই ম্যানেজার টা সব করে দেবে । তুই কোন চিন্তা করবি না ।

আমার মনে হলো এখনি আমার পালিয়ে যাওয়া উচিৎ কিন্তু জোড়া ভুরূ ড্রাইভারের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া সহজ হবে না ।


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×