somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৃতীয় শক্তির জাগরণ:: এসো সবাই মিলে দেশ গড়ি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কৃতজ্ঞতা জানাই সামহোয়য়্যার ব্লগকে যার কারণে এই মুক্ত স্বাধিন প্লাটফরমে নিজেদের চিন্তা চেতনাকে শেয়ার করতে পারছি। এটা একটি ওয়েব সাইট। যেখানে সবাই যার যার মনের কথা, বা মনের আকাংক্ষা প্রকাশ করতে পারছে। এ যেনো এক মুক্ত স্বাধীন মঞ্চ। ইন্টারনেটের যুগ এসেছে। কোন দেশ ইন্টারনেট আবিস্কার করেছে তা বড় কথা নয় বরং অনেক মানুষের সমন্বয়ে আজ এই ইন্টারনেট ভুবন রাঙিয়েছে। এটা কোনো দেশের একক কৃতিত্ব বললে ভুল হবে। আপনাকে বুঝতে হবে এই ইন্টারনেট মানুষ আবিষ্কার করেছে। সব কৃতিত্ব মানুষের। মানুষ মানুষকে পণ্য করছে আমরা গানে শুনেছি কিন্তি বুঝতে পারি নি কিভাবে, তাই না? এখন বোঝার সময় এসেছে। মানুষ নিজের প্রয়োজনে চাকু আবিস্কার করেছে। সেই চাকু দিয়ে মানুষ মানুষকে ধ্বংস করছে। এখান কথা হল ইন্টারনেট একটি মাধ্যম যা আজও অনেকটা স্বাধীন মিডিয়া। কিন্তু বাস্তব মিডিয়ার কুফল আজ আপনাদের চোখের সামনে। শুধু মাত্র কিছু ব্যাক্তি ক্ষমতার নাম করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। ওরা বুঝছে না যে আমরা ঐ কুশিলবদের চিনে ফেলেছি। এ সেই টিপ সহি দেবার যুগ না। যে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে সামান্য একটি বুড়ো আঙ্গুলের কালি লাগিয়ে সব কিছু লিখে নিয়ে আমাদের উপর সাশনের নামে অত্যাচার করবে। সাধারণ মানুষ আজ অনেক বেশী বলিয়ান তারা বুঝতে শিখেছে। সমস্ত প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়া ওদের দখলে। ওরা যা দেখাচ্ছে আমরা শুনছি, ওরা যা বোঝাচ্ছে আমরা বুঝছি, ওরা যা জানাচ্ছে আমরা জানছি। এ কেমন কথ আমাদের ভাগ্য লেখবার ওরা কারা? আমাদের ভাগ্য স্রোষ্টা লিখে রেখেছেন। যিনি সত্য কথা বলেন তার মৃত্যু আছে কিন্তু সত্যের কখনও মৃত্য নেই। সত্য সত্যই। জ্ঞাণীর মৃত্যু আছে কিন্তু জ্ঞানকে কে মারবে বন্ধু? ওরে জ্ঞান যে স্রোষ্টার সৃষ্টি, ওরে সত্য যে স্রষ্টার সৃষ্টি, মানব সৃষ্ট কোনো ধ্যান জ্ঞান দিয়ে একে মাপা যাবে না। আজ প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে কিন্তু মন থেকে শান্তি উঠে গেছে। শান্তি থাকতো যদি আমাদের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট নিত। আমাদের বঞ্চিত করে ওরা ঠিকই ভালো আছে। নিজেকে দুর্বল ভাবছো কেনো বন্ধু? তোমার হাতেই তো তোমার পথ খোলা আছে। আজ হৃদয়ের সকল বাঁধ ভেঙ্গে দাও। তুমি যদি একজন চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান হও তাহলে তুমি যে চ্যানেলে চাকুরী কর সেই চ্যানেলের মালিকের কথা না শুনে নিজের চোখের সামনের সত্যকে জনগনের সামনে নিয়ে আসো। মানুষ তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে। তুমি যদি পত্রিকার সম্পাদক হও ভেঙ্গে ফেল সেই মালিক নামের জানোয়ারের কাচ দিয়ে ঘেরা দেয়াল। তুমি যদি সেনাবাহিনির প্রধান হও তোমার অবস্থানে তুমি ঠিক থাকো। দেখবে এই দেশ ঠিক হয়ে গেছে। বন্ধুগণ মিডিয়া আজ রাজনৈতিক নেতা নামের ঐ তথাকথিত সুবিধা মানুষের হাতে বন্দি। তাকে মুক্ত করা তোমার আমার সকলের দায়িত্ব। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রেস ক্লাব ঘেরাও করে ফেলো আমাদের মনের কথা প্রিন্ট হলে সেই পেপার সবার মাঝে বিলিয়ে দিও। দেশের একজন পেপারওয়ালা হকারেরও অনেক দায়িত্ব। দেশের সার্বিক সত্য অবস্থা না এলে সেই সংবাদপত্র বন্ধ করে দাও। তুমি মানুষের দারে যে সত্য পৌছে দাও। কিন্তু দেখো আমাদের টাকায় ওরা বড় বড় বিলাশবহুল গাড়ীতে চলে। যে চিরসত্য তোমার হৃদয়ে আছে তাকে সবার সামনে মেলে ধর। তোমার হাতে গিটার থাকলে তাতে সত্যের সুর বাজাও। আঘাত না করলে ঐ গিটার বাজবে বন্ধু। তাই এই পুরোনো সিস্টেম ভেঙ্গে দাও। তোমার মনের সত্যিটাকে সবার মাঝে প্রকাশ করো দেখবে জনগন তোমাকে ঠিকই মেনে নিবে। তোমাদের কথা বলতে গিয়ে আমার যদি মৃত্যুও হয় তাতে অন্তত সত্যের মৃত্যু হবে না। আমার উপর গোয়েন্দা গিরি বাড়ছে। আমি তোমাদের জাগাতে এসেছি বন্ধু। আগে এই গুলো বলার সুযোগ পাই নি। আজ সকল বাঁধ ভেঙে গেছে। আমি একসময় টেকটিউনস নামের ট্যাকনিক্যাল ব্লগ সাইটে লিখে সামান্য পরিচিত হতে চেয়েছি। কতটা পেরেছি তোমরাই ভালো জানো। আমাকে তোমরা হাজার গালি দাও তবু্ও তোমাদের গান গেয়ে যাবো আমি। আমার লেখনী তোমাদের মনে আঘাত দিলে আমায় ক্ষমা করে দিও। বিশ্বাস করো আমি তোমাদের নেতা হতে আসি নি, আমি তোমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি। এজন্যই আমার আদম্য পথ চলা। তোমার পাশে একটি প্রিন্টার থাকলে তাতে আমার লেখাটি প্রিন্ট করে সাধারণ মানুষকে পড়তে দাও। তোমার কারণে যদি ১টি মানুষও সচেতন হতে পারে তাহলে পুরো জাতিই সচেতন হবে। ঐ এয়ারপোর্টে আগুন দিয়ে দাও। ঐ এয়ারপোর্ট জনগণের সম্পদের নামে ওরা দখল করে রেখেছে। আর আমাদের কৃষক, শিক্ষক, সাধারন পুলিশ, আর্মি দের তরুন ছেলে সন্তান দিয়ে এগুলোকে পাহারা দিচ্ছে। আসো আমরা সবাই মিলে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করি। আমাদের অধীকার আমরা আদায় করে নি। ঐ আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখো কবি নজরুল, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দ, সূর্যসেন, শের এ বাংলা, সরওয়ারর্দী, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বঙ্গবন্ধু, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান, জাহানারা ইমাম, কর্নেল তাহের, সিরাজ শিকদার প্রমূখ নেতার আত্মা আজ আকাশের তারা হয়ে তোমাকে আদেশ করছে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে। এয়ারপোর্ট যদি জনগনের সম্পদ হতো তবে আমাদের সবার অধীকার থাকতো ঐ প্লেনে চরার। নেতা নেত্রীরা কার টাকায় প্লেনে চলছে যিনি জমি বিক্রি করে তার সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে টাকাও গেছে ছেলেও বখাটে হয়ে গেছে। ঐ বাপের দায়িত্ব কে নেবে বন্ধু? এ যে অনেক দিনে পাপ। আমার মনের কথা লেখার মাঝে তোমাদের কাছে তুলে দিলাম। তোমরাই পারো এই অদৃশ্য শিকল ভাঙতে। আজ তোমার টাকা দিয়ে নেতা নেত্রিরা নিত্য নাটক রচনা করছে আর সেই নাটকের একটি কমিডি টাইপের ক্যারেক্টারের টেনিস বলের মতো বাড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তোমরা তোমাদের মূল্যবান সময় ও দেয়া মিডিয়ার পিছনে নষ্ট করছো। এসো সবাই এক হই। আজ সবাই নেতা। এই দেশ তোমার আমার সবার। ফুটবলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে থাকার কথা? কিন্তু ঐ নোংড়া পলিটিক্সের জালে ফুটবল ধ্বস এক কংকালে পরিনত হয়ে ছোট দেশের সাথেও আমরা হারছি। এ কেমন কথা? আর চুপ চাপ বসে থেকো না বন্ধু এ দেশ তোমার দেশ। এই দেশ আসলে গরিব না। আমাদের গরিব করে রখা হয়েছে। এসো সবাই মিলে সংগবদ্ধ আন্দোলন শুরু করি। কোন দল তা বড় কথা নয়। দলের চেয়ে আমার মা বড় আমার মা, বাবা, বোনের জীবনে নিরাপত্তা থাকবে না আর ওরা আমাদের সম্পদে স্বর্গসম বাড়ীতে থাকবে। পাঠ্য পুস্তকে নজরুলের যৌবনের গান প্রবন্ধটি সংক্ষেপিত আকারে পরানো হয় না কোনো? কোথায় সেই সত্যি কারের প্রবন্ধ? টিভি চ্যানেল ও মিডিয়া কর্মিদের আন্তরিক ভাবে বলছি আপনারা সত্য প্রকাশ করুন। আপনারা বুঝতে শিখুন কে বুদ্ধিজিবী আর কে দালাল। কোথায় সেই চেতনা। আমাদের জানতে না দিলে জানবো কিভাবে। তোমার ভিতরের মানুষটাকে আজ জাগিয়ে তোলো বন্ধু। দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে কেনো বৃটিশ আইন বলবৎ থাকবে? বাংলাদেশের ছেলেরা কি বৃটেনে গিয়ে আদালত চালাবে? বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশে ব্যারিষ্টারি থাকবে। ঐ ব্যারিষ্টার নামের বিদেশী দোসরদের আগে বিচার করুন। তাই তো সলিল চৌধুরী গেয়েছিলেন “বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা।” ক্ষুদিরামের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ক্ষুদিরাম শুধুমাত্র কোনো ইংরেজের গায়ে আক্রমন করেনী। ক্ষুদিরাম চেয়েছিলেন পুরো একটি জাতিকে ভালোভাবে বাচানোর জন্য জীবন একটি বিশেষ শ্রেণীকে সমাজ থেকে তুলে দিতে। আজও সেই শ্রেণী তোমার আমার রক্ত চুষে খাচ্ছে বন্ধু!!! ওরা ধরা ছোয়ার এতো বাইরে চলে গেছে যে দেখা করতেও এপার্টমেন্ট লাগে। হায়রে অভাগা জাতি। আজ জাগার সময় এসেছে জাগো।
তৃতীয় শক্তির জাগরণ:: এসো সবাই মিলে দেশ গড়ি।

আজ জেগে ওঠার সময় এসেছে :: আপনার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই অসম্ভব :: মুক্ত করুন জাতিকে!!!

তৃতীয় শক্তি আর কেউ নয়:: আপনি আমি সবাই:: আসুন জাতির এই দুঃ সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

অনেক দিনের ক্ষোভ আজ শক্তিতে রুপান্তরিত করার সময় এসেছি। এসো এই মানুষরূপী যোকদের থেকে দেশকে বাঁচাই!!!

দেখো সাধারণ মানুষ আজ অসাধারণ ভাবে জেগে উঠেছে!!!

তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি হে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা। তোমাকে অভিবাদন জানাতে জাতি প্রস্তুত!!! তরুন প্রজন্মকে আহব্বান!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×