somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তৃতীয় শক্তি আর কেউ নয়:: আপনি আমি সবাই:: আসুন জাতির এই দুঃ সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ধরে তৃতীয় শক্তি নামে একটি শক্তির জাগরনের কথা মিডিয়ায় বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারিত হয়ে আসছে। সেই তৃতীয় শক্তি আসলে কে? সেনাবাহিনী? সেনাবাহিনী জনগনের টাকায় বেতন নিচ্ছে। সকল সেনাবাহিনীর মালিক দেশের সকল জনগন। আজ আমরা যাকে তাকে তৃতীয় শক্তি ভেবে ভুল করছি। ধরুন আপনি কোনো দল করেন না। এবং এটি বেশ জোড়েশোড়েই উচ্চারণ করেন। কিন্তু কথাটি যদি এভাবে হয়, “আমি কোন দলকেই পছন্দ করি না”। হ্যাঁ সত্যি সত্যি পছন্দ করেন কয়জন? মনের সত্যিকে মুখে বলতে কি দোষ? আমরা যে একটি বৃহত শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি হয়েছি কিসের জন্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবশ্যই ইতিহাসের স্বাক্ষি। তিনিই প্রথম বাংলার নিরিহ মানুষকে জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান আর্মিতে কাজ করা বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর সেনা যারা এই বাংলায় আছেন তারা জন সাধারণের পক্ষে কাজ করবেন। আর এই যে জনগণকে মেজর জিয়া রেডিও সেন্টার দখল করে ঘোষনা দিয়েছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কথা সেই জনগনকে তৈরী করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সহ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, সরওয়ার্দী প্রমুখ নেতারা। তাহলে আজকের যে খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা তারা কে? কোথা থেকে এলেন? একজন হলেন এক প্রভাবশালী প্রতিভাধর ত্যাগী বীর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর অন্যজন হলেন এক বিশাল বড় নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে। যিনি তার আপন ২ ভাইয়ের বিয়ের সময়ে বিদেশে ছিলেন। এখন আমার প্রশ্ন নেতার স্ত্রী কি নেতা হয়? নেতার মেয়ে কি নেতা হয়? তাহলে এরা কারা? এরা হলেন বিশ্ববাজার দখলকারী ব্যাক্তির বাংলাদেশী বাজার থেকে মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর সরাসরি দালাল। সরকারী আর বিরোধী দল নয় তারা সবাই রাজনীতির নাম করে, গণতন্ত্রের নাম করে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। তাদের সোর্স অব ইনকাম কি? কি এমন কাজ করেন তারা যে এমন বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন? জিয়াউর রহমান কিংবা শেখ মুজিবের আদর্শ বলতে কোনো কথা নেই। আসল কথা মানবতা। সবার আগে মানবতা। সকল ধর্মেই তওহিদ অর্থাৎ একাত্ববাদে বিশ্বাস করা সবার আগে কর্তব্য। যুগের সাথে আদর্শের পরিবর্তন ঘটে। শুধুমাত্র স্রষ্টা প্রকৃতি ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ নেই। আর প্রকৃতিই সত্যিকারের সচ্ছল। প্রকৃতির কোনো প্রাণী যেমন হাতি, ঘোরা, বাঘ, সিংহ এমনকি একটি সাপকেও স্রষ্টা তার রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন নি। কিন্তু মানুষ যখন স্রষ্টাকে ভুলে নিজের ভাগ্য নিজে নির্ধারণ করতে চায় তখন সমাজের অধঃপতন ঘটে। যেমন করে আগে ঘটেছিলো। যে সময় স্যার সৈয়দ আহমেদ, সৈয়দ আমির আলী, মীর মোশাররফ হোসেনের মতো নেতাদের কথায় এই মাটি কাঁপতো। তৎকালীন সমাজের অনেকগুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন তারা। তাদের কথা মানুষ মনে রাখে নি। কিন্তু ঠিক সেই সময় লালন ফকির নামের এক মুসাফির নিজ উদ্যোগে গান লিখেছিলেন যা আজ সবার সম্পদ রূপে পরিগনিত হচ্ছে। কারণ নেতারা ছিলেন সার্থ অন্বেষী। কুচক্রি। দুষ্ট ও মোনাফেক কিন্তু লালন নিজে একটি আদর্শের জন্ম দেন। ঠিক সেইভাবে বর্তমান সময়ও আমাদের অনেক মেধা পচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। সবাই সবার স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত। বন্ধু এই ভার্চুয়াল জগত থেকে কিছুক্ষণের জন্য বেড় হয়ে আসল জগতে পা রাখুন দেখবেন আমরা ঐ স্বার্থ অন্বেষীদের ঠিকই উচিৎ শিক্ষা দিতে পারবো।

আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিত্তশালী ধনী দেশের বড় মার্কেট আমাদের বাংলাদেশ। আজ সমাজ অধপতনে যাবে কেনো? আমরা কি পণ্য উৎপাদন করতে পরি না। একটি নতুন আইডিয়া গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। তার প্রমাণ বিশ্বনেতাদের জীবনী। আপনার আমার মতো তরুন বয়সে বিশ্বের অনেক নেতাই সাধারণ ছিলেন পরবর্তিতে তারা তাদের নিজ নিজ আসন পাকা পোক্ত করেছেন। আজ বড় দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলার বিশাল এক জনগোষ্টি শিক্ষিত যুব সমাজ যারা সংসারের সম্পদের বদলে আপদ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এদেরকে বেড় করে নিয়ে আসতে হবে। এদেরকে চাকুরী দেয়া বাষ্ট্রের কাজ বা ব্যাবসার পথ দেখানো সরকারের কাজ। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে অনেক সমাজ সংস্কারক এসেছেন আমরা তাদের মূল্যায়ন করিনি। তাদের আদর্শ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি সমকাল নজরুল কিংবা বিবেকান্দকে মেনে নিতে পারে নি। কিন্তু মহাকাল তাদের স্মরণ করছে। কিন্তু তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন হয় নি। সত্য যে একবারে প্রতিষ্ঠিত হবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু সত্যের জয় হবেই। যদি এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে উপহার দিতাম। যেখানে কিছু কিছু ব্যপার উপস্থাপন করা যায়ঃ এগুলোকে দাবি বললেও ভুল হবে না।
১। বাংলাদেশে ব্যবসা করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল অপারেটর, তামাক জাত দ্রব্য, কিংবা ভোগ্য পন্য বিক্রেতা বিদেশী কোম্পানী বাংলাদেশকে তাদের লাভের ৮০% দিয়ে দিবে যা দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে।
২। লীজ বা ঠিকাদারির নামে কোনো প্রকার রাজনৈতিক চাদাবাজি চলবে না। সবাই হবে একটি সরকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে। তরুন মেধাবীরা এই সমাজে ঠাই পাবে। দালান, কোঠা, ব্রিজ হবে সব মজবুত ও স্থায়ী।
৩। দেশে কেউ বাড়িওয়ালা কেউ ভাড়াটিয়া। দুটি পক্ষ ভাড়াটিয়া বলে কোনো কথা থাকবে না। ৪০ বছরের সহজ কিস্তিতে সবাই কমপক্ষে একটি ফ্লাটের মালিক হবে। ৪০ বছর হিসেব করে প্রতি বছর থেকে প্রতি মাস হিসাব করে সহজ কিস্তিতে বাড়ীওয়ালার টাকা পরিশোধ হবে। তাতে করে সমাজের শ্রেণী বিভাদ কমবে। সেই সাথে আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
৪। সরকারী তত্তাবধায়নে বিদেশী আউটসোর্সিং এর কাজ আসবে। তারা তরুনদের টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দিবে।
৫। সবাই রেশন সুবিধা পাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরকার একটি ব্যবস্থা করে দিবে। তা শুধু সামরিক বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী নয় আমার দেশের সাধারণ মানুষ সবাইকে রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
৬। সরকারী দায়িত্বে সবার চাকুরীর বিধান করতে হবে। সবার রিটার্ডমেন্ট এর ব্যবস্থা সরকার করবে। বেকাররা বেকার ভাতা পাবে। বয়স্করা বয়স্ক ভাতা পাবে। বিয়ের খরচ দিবে সরকার। সরকার চিকিৎসা ভাতা দেবে। দেশে বিনিয়োগ কারী সব ব্যবসায়ী থেকে একটি যুক্তিযুক্ত ট্যাক্স নির্ধরণ করলে সেই খাত থেকে এই খরচ মিটানো সম্ভব হবে।
৭। বুড়িগঙ্গা নদীকে দঃ করিয়ার সিওলের আদলে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে বুড়িগঙ্গাও বাচে মানুষও বাঁচে।
৮। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকার সাথে দক্ষিন অঞ্চলের সংযোগ নয় বরং দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার করার জন্য পদ্মা সেতু হবেই।
৯। সকল বেসরকারী হাইস্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে সরকারি করতে হবে।

আসুন বন্ধু সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি। সবাই আমার লেখাটি সবার মাঝে বিতরন করে দিন। যাতে করে সবাই একসাথে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। মৃত্যুর পরওয়া করলে হবে না। আপনার মনের ভিতরে যে শিখা অনির্বান জ্বলছে, আপনার হৃয়য়ে যে স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে তাতে ফুল দিন। ঐ সব ইট পাথরের স্মৃতি সৌধ ও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে আর শহিদদের আত্মায় কষ্ট দিবেন না। আন্দোলন চলবেই। সবাই মিলে এক হলে আমাদের কেউ রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মেধা আছে। মেধাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন।
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার, বরিশাল।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×