রমাঃ কি চুপ করে কেন ?
-মাথা জিমিয়ে আসছে ।
রমাঃ ঠিক মত ঘুমাও না তাই ।
-প্রচন্ড গরম পড়েছে গো ,
রমাঃ হুম অনেক গরম ।
-হুম ।
রমাঃ শুবে চল,
-এখনি?
রমাঃ কয়টা বাজঁলো , সে খেয়াল আছে ।
-থাকগে ,কালতো অফডে , দিনে বেশি করে ঘুমিয়ে নিব ।
রমাঃ আচ্ছা শুনলাম হাইকোডের ভাস্কর্য্য নাকি সড়িয়ে নিচ্ছে , সত্যিই কি করুন তাই না ।
-করুন কেন?
রমাঃ ওটাতো ন্যায়ের প্রতিক ছিল ।
-আমার কি মনে হচ্ছে জানো ?
রমাঃ কি ?
-ভালোই হয়েছে ।
রমাঃকেন ?
-ঐ ভাস্কর্য সড়ালেই মানুষ তার অধীকার ফিরে পাবে , দেশে কোথাও দূর্নীতি হবে না , চুরি হবে না , পুলিশ কোনদিন ঘু খাবে না , কোন মধ্যবিত্ত ছেলেকে সারাদিন পথে পথে ঘুরে জব খুজঁতে হবে না-সহজেই হয়ে যাবে , প্রশ্নপত্রর ফাসঁ হবে না , শিশু হত্যাকারীরও বিচার হবে , দেশে জঙ্গিপনা তৈরী হবে না , অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার ক্ষমতা থাকবে না ।
রমাঃ তুমি কি ভেবেছো ভাস্কর্য সড়ালেই সমস্ত অপরাধ ধুয়ে যাবে ?
-যাবে না ?
রমাঃ না ।
-কেন?
রমাঃ you know about good practice , it's must be importent in our life .
- আমি গুড parctice করতে চাই ।
রমাঃ সেটা সমস্ত মানুষকে ভালোবেসে ।
-কে বলেছে তোমায় ?
রমাঃ তো ।
-এই দেশের প্রেক্ষিতে যেমন ।
রমাঃ বুঝেছি মজা নিচ্ছ !
-মজা না,
রমাঃ আজকাল অন্ধরা বেশি চোখে দেখে এবং এই দেশে তারাই সফল ।
-তবুও তো সফল ।
রমাঃ থাক ভাই ওভাবে সফল হওয়ার দরকার নেই ।
-আমাকে ভাই বললে কেন ?
রমাঃ তুমি আমার সব হও ।
-কি কি হই ।
রমাঃ মা হও, বাবা হও ,ভাই হও ,বোন হও,সতীন হও আর অতিরিক্ত যেটা ঝগড়াটে স্বামী হও ।
-ঝগড়া ভালো লাগে তোমার ?
রমাঃ মাঝে মাঝে মন্ধ লাগে না ,
-তুমি কিন্তু মাঝে মাঝে যুক্তিবোঝ না , অযথাই চিৎকার করো ।
রমাঃ আর নিজের মত অন্যর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়াটা ?
-চাপাইনি কোনদিন,
রমাঃ মিথ্যা বলো না ।
-সত্যযুগ শেষ !
রমাঃ তো ?
-এখন কলিযুগ,
রমাঃ এই যুগে কি হয় ?
-খুব বেশি অবিচার হয় ।
রমাঃকেমন ?
-শুতে চল, পর বুঝাচ্ছি ।