শূন্য সময়ের ভাবনায় , নিজ মনে অনেক কল্পিত চরিত্র অঙ্কন করি ;অঙ্কন করি - সুন্দর নদীর পাশে বয়ে যাওয়া সুবজ মুছনায় আমার বাড়ি,বাড়িতে বাস করা নারীটি , শিশুটিকে যত্নে পালঙ্কে শুইয়ে রেখেছে ।নারীটির সাথে রোজ প্রেম হয়, দন্ধ হয়, আবার দু'জনায় মিলিয়ে যাই,যে জীবনে কোন অভিশাপ নেই , রমায়ন - মহাভারত নেই ।
একসময় মাথা ঝিমিয়ে আসে, আমি স্থির হই । কল্পনা বাদ দিয়ে চা বানিয়ে খাই, কিছুক্ষন নিরব থাকতেই কল্পনার চরিত্ররা এসে পড়ে , আসলেই আমি একা -থাকতে পারি না । আবার চরিত্র আকিঁ -একের পর এক , কোন সময় নায়ক হবো,গায়ক হবো, ক্রিকেট -প্লেয়ার হবো , সবস্ত লোভনীয় চরিত্ররা টিকে থাকে অনেকক্ষন ধরে ।
আবার প্রফুল্ল হয়ে উঠি , চেতনা ফিরে পাই । বাস্তবে চলে আছি । যেখানে আর -লোভ কাজ করে না , শুধু দুরের স্মৃতি ভাবি -জীবনে কখন প্রমে এসেছিল ? দু:খতা পেয়ে জীবন কখন খুব করে কেদেঁছিলাম । একটু সুখের আশায় কতদিন ছুটেছিলাম মাঠ-ঘাটে । কে কতদিন দুপুর বেলা গরমের ভেতর করুনা করে ভাত খাইয়েছিল ?
একজন সমাধানের মানুষ ছিল । যে রোজ বলতো , আমি তোমার প্রেমিকা । তুমি আমাকে দেখ এবং যত্ন করে স্পর্শ করে , নিঙরে খেয়ে যাও রোজ, তাতে শরীরের পাথর কমবে । কারণ আমি একমাই তোমার । আমিই তোমার পূনির্মার আলো । সব সংঘাত আমিই মুছে দিব, তুমি এভাবে কষ্ট পেয়ো না রোজ । আমিই হাসি শিখাবো তোমায়, ভালোবাসা দিয়ে ।
ও সুন্দর তিক্ততা,
তুমি আমাকে আর কত শান্তনা দিবে , মুক্তির জন্য ?
তুমি যেন বললে, প্রভাতে প্রতিদিন শাপলাফুল যদি এনে দিই ?
হুম, তাহলেই সমস্ত ক্ষতর মৃত্যু হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩