somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরাকানে রোহিঙ্গা জাতি

০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘The discovery of history is always an exhausting project, part adventure, and part ordered because the past is surrounded in its own secret of time, place, belief, motivation and personality.’ Professor Robert. J. Samuelson.

রোহিঙ্গারা ভৌগোলিক ফাঁদে আটতে পড়া এক হতভাগ্য জাতি। বার্মার রাখাইন রাজ্যে তারা একাধারে বর্মী ও রাখাইনদের হত্যাজ্ঞের শিকার; এদের প্রতি বিশ্বের অনেকেরই রয়েছে গভীর সমবেদনা ; তা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আরাকানি মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধারে উপায় নেই যেন; বৃহৎ বার্মার তুলনায় এদের রক্তক্ষরণ এতই তুচ্ছ যে- বার্মার গনতন্ত্রের মানসকন্যার চোখ রোহিঙ্গা-রক্তপাত এড়িয়ে যায়! বিংশ শতকে এদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছে জাপানিরা, এদের গুমখুন করেছে বর্মি জাতীয়তাবাদীরা ... বর্তমানে বর্মি সেনাবাহিনীর সুতীক্ষ্ম বেয়োনেটের আতঙ্কে বাদামের খোসার মতো এদের সাম্পান ভাসে বঙ্গোপসাগরে ... নাফ নদী তে। এদের রক্তে আরাকানের মাটি সিক্ত হয়, এদের ঘৃনা করে অহিংস বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা, এদের ঘরে অনায়াসে আগুন দেয় বুদ্ধের পূজারী রাখাইনরা, এদের পোড়া মাংসের গন্ধ ভাসে আরাকানের বাতাসে ... ধানক্ষেতে পড়ে থাকে শিশুর লাশ! ধর্ষিতা নারীর লাশ! ... আরাকানের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতির ওপর নির্মম নিস্পেষন- নির্যাতন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অত্যন্ত শোকাবহ এক মর্মান্তিক অধ্যায় ...



দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র। পূর্বে মায়ানমার (বার্মা); এককালে মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলে ছিল রাখাইন অধ্যুষিত আরাকান রাজ্য; বর্তমানে রাখাইন স্টেট। যে রাজ্যটি বর্তমানে রোহিঙ্গাদের মৃত্যুফাঁদ ...

রোহিঙ্গারা মুসলিম বলেই এদের সঠিক জাতিগত পরিচয় পাওয়া মুশকিল। কেননা, আরাকানে কয়েকটি স্থান থেকে বহিরাগত মুসলিমরা গিয়েছিল । এদের মধ্যে ঠিক কারা রোহিঙ্গা সে বিষয়ে গবেষকদের মতভেদ রয়েছে। সে যাই হোক। মুসলমানরা প্রথম আরাকান গিয়েছিল খ্রিষ্টীয় অস্টম শতকে। যে কারণে সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ লিখেছেন:The history of Rohingya community in Burma goes back to 8th century as they claim to be original settlers of Rakhine (Arakan) province the country while tracing their ancestry to Arab traders. Click This Link
এন. এম .হাবিব উল্লাহ তাঁর ‘রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস’ বইতে লিখেছেন:‘কথিত আছে, আরাকানের চন্দ্র বংশের রাজা মহত ইং চন্দ্রের রাজত্ব কালে (৭৮৮-৮১০ খ্রিস্টাব্দ ) কয়েকটি বাণিজ্য বহর বামব্রী দ্বীপের তীরে এক সংঘর্ষে ভেঙে পড়ে। জাহাজের আরবীয় অরোহীরা তীরে এসে ভিড়লে পর রাজা তাদের উন্নততর আচরণে সন্তষ্ট হয়ে আরাকানে বাসতি স্থাপন করার অনুমতি দেন। আরবীয় মুসলমানগণ স্থানীয় রমণীদের বিয়ে করেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ’ (পৃষ্ঠা,১৭)



মধ্যযুগের আরব জাহাজ বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের ইতিহাসের ধারাই যেন আমূল বদলে দিয়েছে ।

এই আরবরাই রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষ কিনা সে বিষয়ে কে. এম মহিউদ্দীন দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি লিখেছেন, Opinions vary as to the ethnic origin of the Rohingyas. An assumption goes that they are the progeny of persons migrating from the Chittagong region and marrying Arakanese women. http://www.banglapedia.org/HT/R_0217.HTM
‘রোহিঙ্গা’ শব্দটির উৎপত্তি সর্ম্পকে এন. এম .হাবিব উল্লাহ লিখেছেন:‘জনশ্রুতি আছে, আরবীয় মুসলমানেরা ভাসতে ভাসতে কুলে ভিড়লে পর ‘রহম’ ‘রহম’ ধ্বনি দিয়ে স্থানীয় (আরাকানি) জনগণের সাহায্য কামনা করতে থাকে। বলা বাহুল্য, ‘রহম’ একটি আরবী শব্দ, যার অর্থ দয়া করা। কিন্তু, (আরাকানি) জনগন মনে করে এরা রহম জাতীয় লোক। রহম শব্দই বিকৃত হয়ে রোয়াং হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা মনে করে থাকেন।’ (রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস। পৃষ্ঠা; ১৭)



বার্মার মানচিত্রে আরাকানের অবস্থান।

রোহিঙ্গা ঐতিহাসিক খলিলুর রহমান উপরিউক্ত ঘটনাটির ঈষৎ ভিন্ন ভাষ্য লিখেছেন,The origin of the term "Rohingya" is disputed. Some Rohingya historians like Khalilur Rahman contend that the term Rohingya is derived from Arabic word 'Rahma' meaning 'mercy'.[10] They trace the term back to a shipwreck in the 8th century CE. According to them, after the Arab ship wrecked near Ramree Island, Arab traders were ordered to be executed by the Arakanese king. Then, they shouted in their language, 'Rahma'. Hence, these people were called 'Raham'. Gradually it changed from Raham to Rhohang and finally to Rohingyas. http://en.wikipedia.org/wiki/Rohingya_people
বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দ্বীপসমূহে মুসলমানেরা আলাদা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে অনেক গবেষকদের ধারণা। অনুমান করা হয় যে এই রাজ্যের শাসকের উপাধি ছিল ‘সুলতান’। ৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে আরাকানের চন্দ্রবংশীয় রাজা ষোলচন্দ্র ‘সুরতান’ অভিযানে বের হন। চন্দ্রবংশীয় রাজবংশের ঐতিহাসিক উপাখ্যান ‘রাদজাতুয়ে’ -এর বর্ণনা মতে, রাজা ষোলচন্দ্র ‘সুরতান’ অধিকার করে সেখানে একটি বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করেন এবং বিজয়স্তম্ভের গায় লিখে দেন -‘চেত্তাগৌং’। যার অর্থ যুদ্ধ করা সমিচীন ন। পরবর্তীতে চেত্তাগৌং শব্দটি বিকৃত হয়ে চট্টগ্রাম হয়েছে বলে ঐতিহাসিকদের ধারণা। সে যাই হোক। বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দ্বীপসমূহে মুসলমানদের যে প্রতিপত্তি ছিল সেটি বোঝা যায়। (দেখুন, এন. এম .হাবিব উল্লাহ; রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস। পৃষ্ঠা ১০)



বাংলার মানচিত্র। মধ্যযুগের বাংলা ও আরাকানের সম্পর্ক অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক।

১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে বিশেষ এক পরিস্থিতিতে আরাকানে মুসলমান আগমন শুরু হয়। আরাকানের রাখাইন রাজা নরমিখলা (Narameikhla) এক নারীকে অপহরণ করেন। এতে আরাকানি সামন্তরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল; (নরমিখলার সময়কাল ছিল ১৪০৩ থেকে ১৪৩৩ খ্রিস্টাব্দ।) আরাকানি সামন্তবর্গ ক্রদ্ধ হয়ে বার্মার রাজাকে লংগ্রেত আক্রমন করতে প্রলুব্দ করে। (রাজা নরমিখলার রাজধানী ছিল লংগ্রেত।) ত্রিশ হাজার সৈন্য নিয়ে বার্মারাজ মেং শো আই লংগ্রেত আক্রমন করার আগেই নরমিখলা তৎকালীন বাংলার রাজধানী পদ্মাপাড়ের গৌড় নগরীতে পালিয়ে এলেন; আশ্রয় নিলেন গৌড়ের প্রখ্যাত সুফিসাধক মোহাম্মদ জাকের নামে এক দরবেশের আস্তানায় । দরবেশের বদান্যতায় গৌড়ের রাজপ্রাসাদে নরমিখলা আতিথ্য লাভ করেন। গৌড়ের সুলতান ছিলেন জালালুদ্দিন শাহ। ইনি ১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দে নরমিখলার রাজ্য উদ্ধারের জন্য উদ্যেগ গ্রহন করেন। সুলতানের নির্দেশে সেনাপতি ওয়ালি খানের নেতৃত্বে বিশ হাজার গৌড়ীয় সৈন্য আরাকান অভিমুখে অগ্রসর হয়। তারপর মুসলিম সৈন্যরা বার্মীরাজ মেং শো আই কে লংগ্রেত থেকে বিতাড়িত করে।



বার্মার মানচিত্রে ম্রাউক- উ। প্রত্নপ্রস্তর যুগে ওই অঞ্চলে রাকসা গোত্রের মানুষ প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল-পুরাতাত্ত্বিকদের এই অভিমত। ওই ‘রাকসা’ শব্দটিই কালক্রমে বদলে গিয়ে হল: ‘রাকখা’। ‘রাকখা’ শব্দ থেকেই পরবর্তীতে রাখাইন শব্দটি উদ্ভূত। রাখাইন শব্দটি সংস্কৃতভাষায় ‘রক্ষাপুর’ বা রাক্ষসপুর। খ্রিস্টপূর্ব সময়ে আরাকানে ধানবতী (ধান্য বা ধান দ্বারা আর্শীবাদ পুষ্ঠ) নামে রাখাইনদের একটি রাজ্য গড়ে উঠেছিল, যে রাজ্যটির আয়তন ছিল ২১,৬৯৪ বর্গমাইল।


রাখাইন রাজা নরমিখলা গৌড়ে চব্বিশ বছর ছিলেন। এ সময়ে তিনি মুসলিম সভ্যতা সংস্কৃতির সংর্স্পশে এসেছিলেন। বৌদ্ধ নাম নরমিখলা বদলে নিজের নাম রাখলেন মোহাম্মদ সোলায়মান। অ লংগ্রেত ফিরে এসে ম্রাউক- উ নামে এক স্বাধীন রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ সোলায়মান । এ বংশের রাজধানী ছিল লেব্রো নদীর তীরে ম্রোহং (Mrohaung) । এখানে গৌড়ের সেনাপতি সিন্ধী খানের মসজিদের ধ্বংশাবশেষ এখনও দেখা যায়। কুড়ি হাজার গৌড়ীয় সৈন্য -যাদের অধিকাংশই তুর্কি কিংবা পাঠান -তারা ম্রাউক- উ বংশের অধীনে চাকরি গ্রহন করে এবং তারা ম্রোহং নগরে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করে।
এই নগরের সঙ্গেই রোহিঙ্গারা সর্ম্পকিত বলে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন। M . A Chowdhury লিখেছেন: Among the Muslim populations in Myanmar, the term 'Mrohaung' (Old Arakanese Kingdom) was corrupted to Rohang. And thus inhabitants of the region are called Rohingya. http://en.wikipedia.org/wiki/Rohingya_people এবং এখানেই বলে রাখি যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে 'ম্রোহং’ শব্দটি উচ্চারণ হত ‘রোহাং’ কিংবা ‘রোঁয়াই’। রোয়াং চট্টগ্রামের মানুষের কাছে একটি অতি পরিচিত শব্দ। এককালে চট্টগ্রামের মানুষ রোয়াং যেতো অর্থ উপার্জনের জন্য। এ নিয়ে চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক ছড়া হল:

‘ভোয়াং ভোয়াং ভোয়াং
তর বাপ গিয়ে রোয়াং
রোয়াং -অর টিয়া বরুনা পান।
তর মারে কইছদে না কাঁদে পান।


বাংলাপিডিয়ায় সাদাত উল্লাহ খান লিখেছেন: ‘সাধারণত অতীতে তাদের (রোহিঙ্গাদের) আরাকানে অভিবাসন সংঘটিত হতো কৃষি মৌসুমে, আরাকানে কৃষি শ্রমিকদে ঘাটতির সময়ে।’ http://www.banglapedia.org/HT/A_0285.HTM
মধ্যযুগের বাংলাসাহিত্যে আরাকান কে যে রোসাঙ্গ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তা ঐ ম্রাউক- উ রাজবংশের রাজধানী ‘ম্রোহং’ শব্দ থেকে উদ্ভূত! তার মানে, রোসাঙ্গ হল ম্রোহং নগর।



রাখাইন বৌদ্ধ অধূষ্যিত ম্রাউক- উ এর রাজধানী ম্রোহং (Mrohaung) নগরের একটি বৌদ্ধবিহারের অভ্যন্তরের দৃশ্য । রাখাইনদের পবিত্র পান্ডুলিপিতে লিখিত আছে, অরর্হৎ বুদ্ধ স্বয়ং রাখাইনদের প্রাচীন ধানবতী রাজ্যে পদধূলি দিয়াছিলেন। তৎকালে ধানবতী রাজ্যের রাজা ছিলেন সানদা থুরিয়া। ইনি তথাগতকে তাঁহা একটি চিত্রকল্প অঙ্কিত করতে অনুরোধ করেন । মহাচিত্র প্রক্ষেপ করবার পর মহামনি বুদ্ধ এতে নিঃশ্বাস ফেললেন। তা অবিকল আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে গেল।

১৪৩০ থেকে ১৫৩০ ... এই একশ বছর রাখাইন রাজা নরমিখলা প্রতিষ্ঠিত ম্র্রাউক- উ বংশের মোটা এগারো জন শাসক ম্রোহং / রোসাঙ্গ রাজত্ব করে। এই শাসকরা গৌড়কে কর প্রদান করতেন। গৌড়ে যে রকম মুদ্রা ছিল সেরকমই মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন। যে মুদ্রার এক পিঠে ফারসি ভাষায় কলেমা এবং অপর পিঠে রাজার মুসলিম নাম এবং সিংহাসনে আরোহনকাল খোদাই করা ছিল। বাংলা সাহিত্যে রোসাঙ্গ শাসকদের অবদান অপরিসীম। মূলত সুলতানি আমলে চর্চা বাংলার রাজধানী গৌড়ের ইলিয়াসশাহী রাজবংশ বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি গৌড়ের পতনের পর আরাকানের রোসাঙ্গ রাজসভাই হয়ে উঠেছিল বাংলা সাহিত্য চর্চার প্রাণকেন্দ্র। আরাকানের মুসলিম কবিরা আরাকান নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দৌলত কাজী লিখেছিলেন

কর্ণফুলী নদী পূর্বে আছে এক পুরী
রোসাঙ্গ নগরী নাম স্বর্গ অবতরী।
(সতী ময়না)

আলাওল (১৬০৭-১৬৮০) ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর জন্ম ১৬০৭ সালে ফরিদপুর জেলার ফতেয়াবাদ পরগনার জালালপুর গ্রামে। অল্প বয়েসে একবার বাবার সঙ্গে নৌকা করে যাচ্ছিলেন ... পর্তুগিজ জলদস্যুরা তাকে অপহরণ করে আরাকানে নিয়ে আসে। প্রথম জীবনে আলাওল দেহরক্ষীর কাজ করেন। পরে কাব্য প্রতিভার বিকাশ হয়।
সে যাই হোক রোসাঙ্গ শাসকদের রাজত্বকালে অনেক তুর্কি ও পাঠান যোদ্ধারা ভাগ্যের অন্বেষণে আরাকানে আগমন করেন ও বসতি স্থাপন করেন।



ম্রোহং নগরের ভোরের দৃশ্য। যে ম্রোহং এখন রোহিঙ্গা জাতির মৃত্যুকূপ ...

অত্যন্ত হাস্যকর এই যে, ম্রাউক- উ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় গৌড়ীয় মুসলিমদের অবদানে কথা আরাকানি বৌদ্ধ ঐতিহাসিকেরা বেমালুম চেপে গিয়েছেন ! এ বিষয়ে Zul Nurain লিখেছেন:Mrauk-U dynasty was founded by King Narameik Hla in 1430 AD with the benevolent military help of Bengal Muslim King. The Hey day of Arakan history began from then. But most Rakhine historians are reluctant to discuss this Muslim involvement openly and precisely. They prefer to mention the help of “Mon” who were opponent of Myanmar then. The fact is “Mon” struggle for about 20 years to get control of Arakan against “Ava” (Myanmar King) was a failure. Exiled Arakan King Narameik Hla got the help of Bengal King. The King’s first retinue headed by General Walikhan consisting of ten thousand force (see: J. Lieder, Ascendance of Mrauk-U dynasty, 2004) expelled the occupying Burmese army and got control of Arakan, but betrayed his trust. (Rohingya History: Myth and Reality).
উইকিপিডিয়া তেও ম্রাউক- উ সাম্রাজ্য প্রসঙ্গে মুসলিমদের নামগন্ধও নেই। দেখুন: http://en.wikipedia.org/wiki/Mrauk_U



ষোড়শ শতকের পর্তুগিজদের জাহাজ।আরাকানে বাঙালি মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির এক কারণ পর্তুগিজ জলদস্যুরা!

সপ্তদশ শতকের প্রারম্ভে বাংলা মুগলদের অধীনে চলে গেলে গৌড়ের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। তবে এতে রোসাঙ্গরাজ শঙ্কিত হয়ে । রোসাঙ্গের শক্তি বৃদ্ধি জন্য ম্রোহং-এর রোসাঙ্গরাজ অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠল। গৌড়ের অনেক সমরবিশারদ সেনাপতি আরাকানে গিয়ে রোসাঙ্গরাজের অধীনে সমবেত হয়। এভাবে আরাকানে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে রোসাঙ্গ রাজ জেবুকশাহ গৌড়ের বশ্যতা ছিন্ন করেন। ওই সময়ে বঙ্গোপসাগরে পর্তুগিজ জলদস্যুরা আবির্ভূত হয়। জেবুকশাহ মুগলদের প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে পর্তুগিজদের প্রশিক্ষক নিয়োগ করে আরাকানি মগদের দিয়ে একটি বিশাল নৌবহর গড়ে তোলেন। পরবর্তীকালে, ১৯৪৮ সালে উ নু-র শাসনামলে ৯০ ভাগ মগদের সমন্বয়ে গঠিত বার্মা টেরিটোরিয়াল ফোর্স (বিটিএফ ) ... এরা সন্দেহজনক নাগরিক অজুহাতে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ অভিযান চালায়। : http://www.banglapedia.org/HT/R_0217.HTM
মগদস্যুরা মেঘনা নদীর মোহনা দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করে নারীপুরুষ নির্বিশেষে মানুষদের অপহরণ করে দাস হিসেবে আরাকানে নিয়ে যেত। রোসাঙ্গরাজ এদের নিয়ে আরাকানের দুর্গম বনভূমি পরিস্কার করাত । এভাবে আরাকানে বিপুল সংখ্যায় বাঙালি মুসলমান বৃদ্ধি পায়।



ম্রোহং শহরে দুই বৌদ্ধশিশু। এরা কি জানে যে এই নগরে এককালে এক হতভাগ্য মুগল যুবরাজ কে হত্যা করা হয়েছিল?

১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ। আওরঙ্গজেবের হাতে পরাজিত হয়ে মুগল যুবরাজ শাহ সুজা কয়েক শ অনুগামী নিয়ে আরাকানে পালিয়ে যান। সে সময় রোসাঙ্গের রাজা ছিলে চন্দ্র সু ধর্মা । ইনি শাহ সুজাকে সপরিবারে হত্যা করেন। শাহ সুজার অনুচরেরা স্থায়ীভাবে ম্রোহং নগরে থেকে যায়। (পরে এদেরই কামাঞ্চি বলা হয়) শাহ সুজার অনুচরদের জন্য ভারতবর্ষ নিরাপদ ছিল না। ভারতীয় মুসলমানেরা সুজার মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত বোধ করে। তারা প্রতিশোধ গ্রহন করতে ভারতবর্ষ থেকে দলে দলে মুসলমানরা আরাকানে যায়। এভাবে মুসলিমসহ নানাজাতির মানুষের কেন্দ্রভূমি হয়ে ওঠে ম্রোহং বা রোসাঙ্গ। এই দিকে উল্লেখ করে আলাওল লিখেছেন:

নানাদেশি নানা লোক
শুনিয়া রোসাঙ্গের ভোগ
আইসন্ত নৃপ ছায়াতলে।
আরবী মিশরী সামী
তুর্কি হাবসী ও রুমী
খোরাসানী উজবেগী সকল।
লাহোরী মুলতানী সিন্ধী
কাশ্মীরী দক্ষিণী হিন্দি
কামরূপী আর বঙ্গদেশী।
বহু শেখ, সৈয়দজাদা
মোগল, পাঠান যুদ্ধা
রাজপুত হিন্দু নানাজাতি।
(পদ্মাবতী। )



আরাকানি মুসলিম।

তখন লিখেছি যে, রোহিঙ্গারা মুসলিম বলেই এদের জাতিসত্ত্বার সঠিক পরিচয় পাওয়া মুশকিল। কেননা, আরাকানে কয়েকটি স্থান থেকে বহিরাগত মুসলিমরা গিয়েছিল । গবেষকরা আরাকানি মুসলিমদের চার ভাগে ভাগ করেছেন। (১) তামবুকিয়া; (২) তুর্কপাঠান ;(৩) কামাঞ্চি ;এবং (৪) রোহিঙ্গা ।
তামবুকিয়াদের ইতিহাসের সূচনা অস্টম শতক। এদের পূর্বপুরুষ রাজা মহা তায়িং চন্দ্রের (৭৮৮-৮১০ খ্রিস্টাব্দ ) রাজত্বকালে যে আরব জাহাজ ডুবেগিয়েছিল সেই জাহাজে ছিল। আরাকান মুসলিম কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট জহিরুদ্দিন আহমেদ এবং সেক্রেটারি নাজির আহমেদ । এঁদের মতে that shipwreck Muslims are currently called 'Thambu Kya' Muslims, and currently reside along the Arakan sea shore. If the term Rohingya was indeed derived from that group of Muslims, "Thambu Kyas" would have been the first group to be known as Rohingyas.
তুর্ক-পাঠানরা আরাকানের রাজধানী ম্রোহং এর শহরতলিতে নিবাস গড়ে তোলে। রাখাইন রাজা নরমখিলা এদেরই সাহায্যে রাজক্ষমতা পুর্নদখল করেন।
কামাঞ্চি হল মুগল যুবরাজ শাহ সুজার অনুচরদের বংশধর। এবং রোহিঙ্গাদের সম্বন্ধে বাংলাপিডিয়ায় সাদাত উল্লাহ খান লিখেছেন: ।
The Rohingyas are descendants of Muslims who hailed from chittagong. Now they are mainly concentrated in northern Arakan. Their migration in the past usually happened during the agricultural season when Arakan faced the problem of the shortage of agricultural labourers. http://www.banglapedia.org/HT/A_0285.HTM
জটিলার এখানেই শেষ নয়। আরাকান মুসলিম কনফারেন্সের প্রেসিডেন্ট জহিরুদ্দিন আহমেদ এবং সেক্রেটারি নাজির আহমেদ এর মতে, Rohingyas were descendants of inhabitants of Ruha in Afghanistan!



ব্রিটিশ-বার্মায় সৈন্যদের তত্ত্বাবধানের শ্রমিকরা ...

ব্রিটিশ আমলে কৃষিকাজের জন্য পূর্ববাংলা থেকে বাঙালিরা প্রায় জনমানবশূন্য আরাকানের উর্বর উপত্যকায় যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার প্রশাসনকে আরাকান অবধি বিস্তৃত করেছিল। কাজেই, যে কারণে সীমান্তরেখা মুছে গিয়েছিল।In the early 19th century, thousands of Bengalis from the Chittagong region settled in Arakan seeking work.[28] In addition, thousands of Rakhine people from Arakan also settled in Bengal. http://en.wikipedia.org/wiki/Rohingya_people
১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারিতে বার্মার মুসলিম সংখ্যা ৫৮,২৫৫। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে তা বেড়ে হয় ১৭৮,৬৪৭। ধানের মাঠে বাঙালি মুসলমানের শস্তা শ্রমই ছিল এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ। চট্টগ্রাম থেকেই আরাকান অভিমূখি এই মাইগ্রেশন বেশি ছিল। To be sure, Indian immigration to Burma was a nationwide phenomenon, not just restricted to Arakan.
ঐতিহাসিক Thant Myint-U লিখেছেন: "At the beginning of the 20th century, Indians were arriving in Burma at the rate of no less than a quarter million per year. The numbers rose steadily until the peak year of 1927, immigration reached 480,000 people, with Rangoon exceeding New York City as the greatest immigration port in the world. This was out of a total population of only 13 million; it was equivalent to the United Kingdom today taking 2 million people a year."
রোহিঙ্গা কারা? এই প্রশ্নের উত্তরে এ. এম চৌধুরীরর ভাষায় বলা যায়: Among the Muslim populations in Myanmar, the term 'Mrohaung' (Old Arakanese Kingdom) was corrupted to Rohang. And thus inhabitants of the region are called Rohingya. তবে ওই ম্রাউক-ম্রোহং যুগে মুসলমানদের জনসংখ্যা ছিল কম। পরবর্তীতে আরাকানে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণও আমরা জানলাম।



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বার্মা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় ব্রিটিশ-বার্মায় জাপানি সৈন্য অনুপ্রবেশ করলে ব্রিটিশরা বার্মা ত্যাগ করে। এই শূন্যতায় রোহিঙ্গা-রাখাইন দাঙ্গা বাঁধে। ওই সময়ে বার্মিজ জাতীয়তাবাদীরাও ব্রিটিশদের ওপর আক্রমন করত। রোহিঙ্গারা ইংরেজদের সর্থন করায় জাপানবিরোধী ছিল। সংঘাত এড়াতে ২২০০০ রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে আসে। জাপানি ফোর্স গনহত্যা আরম্ভ করলে আর ৪০,০০০ চট্টগ্রামে পালিয়ে এসেছিল। আসে।http://en.wikipedia.org/wiki/Rohingya_massacre



অতীতের মতোই বর্তমানেও রোহিঙ্গা-রক্তপাত বার্মার গনতন্ত্রের মানসকন্যার চোখ এড়িয়ে যায়।

১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হলে বর্মী সরকার শ্রেফ বলে দেয় যে রোহিঙ্গারা হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে সম্প্রতি আসা একটি উপজাতি(!) এবং এদের স্থানীয় আদিবাসী গণ্য করে বর্মি শাসনতন্ত্র অনুযায়ী বার্মার নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। ১৯৪৮ সালে উ নু-র শাসনামলে ৯০ ভাগ মগদের সমন্বয়ে গঠিত বার্মা টেরিটোরিয়াল ফোর্স (বিটিএফ ) এরা সন্দেহজনক নাগরিক অজুহাতে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ অভিযান চালায়। রোহিঙ্গারা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুললে বার্মা সরকার কিছু অধিকার দেয়। বার্মার একটি জাতি হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করে। http://www.banglapedia.org/HT/R_0217.HTM




একজন অহিংস বৌদ্ধভিক্ষু! ধর্মীয় কিংবা জাতিগত বিদ্বেষ কি মহামতি বুদ্ধের শিক্ষা?

১৯৬২ সালে পুনরায় রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমন শুরু হয। জেনারেল নে-উইন সামরিক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে বার্মাকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষনা করেন। এরপর আরাকানকে বৌদ্ধশাসিত অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দেওয় হয়। জেনারেল নে-উইন ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উশকে দেন। ফলে মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দাঙ্গা প্রকট হয়ে ওঠে। ১৯৭৮ সালে জেনারেল নে-উইন আরাকানে জাতিগত আন্দোলন দমনের জন্য নির্মম পদক্ষেপ গ্রহন করেন। ওই বছরই নাগামিন ড্রাগন অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেন। ওই সময়ে হাজার হাজার র প্রাণ হারায়। প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। http://www.banglapedia.org/HT/R_0217.HTM



ছবি। ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্র:

http://www.mediafire.com/view/?prh9l9xb4g6jezl
http://www.mediafire.com/view/?88qa83j36r6cr4j
Click This Link
http://www.banglapedia.org/HT/A_0285.HTM
http://www.banglapedia.org/HT/S_0251.HTM
http://www.banglapedia.org/HT/R_0217.HTM
Click This Link
Click This Link
Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
২৮টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো - ছবি ব্লগ

লিখেছেন শোভন শামস, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

"পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো", কিংবা "পোস্টকার্ড রো" বা "সেভেন সিস্টারস" নামে পরিচিত, বাড়িগুলো। এটা সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ার, স্টেইনার স্ট্রিটে অবস্থিত রঙিন ভিক্টোরিয়ান বাড়ির একটি সারি। বহু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×