রবী ঠাকুর কি লিখেছেন, ৯ কোটী বাংগালী তা পড়তে পারেন না, এই ৯ কোটী নিজের নামও লিখতে পারেন না; বাকী ৮ কোটীর মাঝে যারা মাদ্রাসায় পড়েছেন, তারা রবী ঠাকুরের নাম নিতে পারেন না, এতে গুণাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে; এর পরে যারা আছেন, তাদের অনেকে পড়েছেন যে, রবী ঠাকুর ১টি কবিতা লিখেছেন, "আমাদের ছোট নদী" ( নামটা ভুলে গেছি, ছোট নদী,বা তিস্তা এ রকম কিছু হবে )।
যাক, উনি বাংলা ভাষার কবি, উনি নিজের লেখার গুণে নোবেল পেয়ে বাংলা ভষাকে বিশ্বে পরিচিত করেছেন; উনি জীবিকার জন্য লিখেননি; উনার পরিবার জমিদার ছিলেন, টাকা পয়সা ছিল; বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন, ইউরোপ আমেরিকা উনাকে চিনতেন, আইনষ্টাইনও উনাকে চিনতেন, এতে নোবেল পাওয়া সহজ হয়েছে।
উনি নিজও জমিদার ছিলেন, কোন প্রজার মেয়েকে নিয়ে জিং জিং করেননি। উনার সমস্যা হলো, উনি হিন্দু ছিলেন।বর্তমানে, হিন্দু ধর্মের কোন মানুষ ইসলাম পছন্দ করেন না; হিন্দু ধর্ম আনন্দের ধর্ম, ধর্ম পালনে কোন বাধাধরা নিয়ম নেই, ভালো লাগলে গণেশকে, বা শিবকে, অথবা কালীর উপাসনা করা হয়; প্রতিদিন উপাসনা করা যায়, বছরে একবার করলেও চলে; ফলে, রবী ঠাকুর নিশ্চয় ইসলাম, খ্রীশ্চিয়ানিজম, জুডাইজমের ফ্যান ছিলেন না; এটা নিশ্চয় উনার অপরাধ নয়; এবং কবিতা লিখাও অপরাধ নয়; ব্লগে আমাদের সবাই কবি; ব্লগে হিন্দু, খ্রীস্টান কবিও আছেন; সমস্যা হলো, বাংলায় লেখায় উহাদের টিকি ধরা সম্ভব নয়।
উনি নাকি ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিরোধীতা করেছিলেন; এগুলো শোনা কথা; ইংরেজেরা উনার কথায় চলতেন না; ইংরেজরা যখন পুর্ব বাংলায় ইউনিভার্সিটি করার অনুমতি দিয়েছিল, উহা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো ছিলো না। আমাদের চিটাগং ইউনিভার্সিটি কুমিল্লায় হওয়ার কথা ছিল, ফজলুল কাদের ছৌধুরী উহার বিরোধীতা করেছিল, এবং উহাকে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু ইউনিভার্সিটি হওয়া বন্ধ করতে পারেনি; কারণ, আইয়ুব খান পুর্ব পাকিস্তানের পুর্ব এলাকায় ১টি ইউনিভার্সিটি করার জন্য অনুমতি দিয়েছিল।
যাক, রবীন্দ্র বিরোধীতার লেভেল বাড়ছে, এটা খারাপ লক্ষণ জাতির জন্য; কিছু লোকজন আছে তারা বাংলায় কবিতা, গান, উপন্যাস, কাব্য, নাটক পছন্দ করে না; তারা নজরুল ইসলামকে পছন্দ করে না, তারা ব্লগারদেরও পছন্দ করে না।