somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সক্রেটিস - পর্ব ১২ (ধর্ম কী? অনেকের কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে।)

১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সক্রেটিস - পর্ব ১১ (কতিপয়তন্ত্র এবং আমরা কোথায় আছি?)
সক্রেটিস - পর্ব ১০ (সক্রেটিস এর মৃত্যুদন্ড) সক্রেটিস - পর্ব ৯ (সক্রেটিস এর বিরূদ্ধে অভিযোগ সমূহ)
সক্রেটিস - পর্ব ৮ (কিছু উক্তি)
শায়মা আপিকে কথা দিয়েছিলাম, আমি সক্রেটিস নিয়ে লিখবো। সেই কথা রাখতেই এই লেখা শুরু করা। সক্রেটিসের সবচেয়ে বড় গুণ (আমার মতে) ছিল, যে কোনো বিষয়ে যখন কথা বলা হতো তিনি বিষয়টিকে একটু মিলিয়ে দেখতেন। আমরা যেমন হিসাববিজ্ঞানে Contra বলি অনেকটা তেমনি। যেমনঃ

ভালোত্ব কি? গ্রীকদের কাছে যে কোনো কলা (Art) হচ্ছে এক ধরনের বাহ্যিক যোগ্যতা অর্জন, যে যোগ্যতা খুশিমতো ব্যবহার করা যায় অথবা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা যায়। ভালোত্ব যে Art নয়, সক্রেটিস এর যুক্তি দিয়েছেন এই ভাবে যে, ভালোত্ব যদি কলা হতো তাহলে সাধু ব্যক্তি সবচেয়ে বড় চোর হতো। যেমন ডাক্তার হতো সবচেয়ে সফল খুনী। কারণ যে কোনো কলা বা যোগ্যতা আসলে বিপরীতের যোগফল। যোগ্যতার ভালো ব্যবহার যেমন সম্ভব, মন্দ ব্যবহার তেমনি সম্ভব।

আসলে ভালোত্ব শুধু যোগ্যতা বা পারদর্শিতার ব্যাপার নয়, আরও কিছু। ভালোত্ব মুষ্টিযুদ্ধের পারদর্শিতার সঙ্গে তুলনীয় নয়। এই পারদর্শিতা অর্জন করে মুষ্টিযোদ্ধা তার প্রতিবেশীদের ঠ্যাঙানি দিতে শুরু করলে তার শিক্ষক বলতে পারেন যে তার কোনো দায় নেই। তিনি শিক্ষার্থীকে পারদর্শিতাটুকু শিখিয়ে দিয়েছেন মাত্র। ভালোত্বের শিক্ষক তা বলতে পারেন না। অতএব, ভালোত্বকে শুধুমাত্র কলা বা বাহ্যিক ভালো-মন্দ নিরপেক্ষ একটা যোগ্যতা বলা চলে না। ভালোত্ব, সক্রেটিসের মতে, আত্মার স্বভাবের অঙ্গীভূত এবং এই কারণে 'ভালো' মানুষের পক্ষে মন্দ করা বা অন্যের ক্ষতি করা সম্ভবই নয়।

এয়ুথুফ্রোন একজন বিশিষ্ট এবং জ্ঞানী ব্যাক্তি। তিনি দাবী করতেন দেব-দেবী এবং ধর্ম ব্যাপারে তার চেয়ে আর বেশি কেউ জানে না। তাদের একজন দাস একজন লোককে হত্যা করলে, এয়ুথুফ্রোনের বাবা সেই দাসকে বেঁধে রাখেন এবং থানায় খবর পাঠান একে কি করা যায় এই নিয়ে। এর মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দাসটি মারা যায়। এই অপরাধে এয়ুথুফ্রোন তার বাবার বিরূদ্ধে মামলা করেন। এই মামলা করে তিনি ধর্ম রক্ষা করেছেন বলে দাবী করেন। সক্রেটিস তার কাছে জানতে চান- ধর্ম কি? এর মানদন্ডই বা কি? কেননা ধর্মমাত্রেরই একটা স্বরূপ আছে।

এয়ুথুফ্রোন বলেন, যা যা দেবদেবীর পছন্দের তাই ধর্ম আর যা যা দেব-দেবীর অপছন্দের তাই অধর্ম। মজার বিষয় হলো এথেন্সে দেব-দেবীর সংখ্যা অগণিত। তাদের মধ্যেও মতের বিরোধ দেখা দেয়। তাদের প্রত্যেকের কোনো বিষয়ে একই মত পোষন করেন এমন নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে তাদের পছন্দ আর অপছন্দ ভিন্ন। এই পছন্দ-অপছন্দ ভিন্ন হওয়ায় কোন বস্তু বা ব্যক্তি বা কর্ম যেমন কারো কাছে পছন্দের তেমনি আমার অন্য দেব-দেবীর নিকট একই সাথে অপছন্দের।

সক্রেটিস ব্যাপারটি সামনে এনে এয়ুথুফ্রোন এর কাছে জানতে চান, তবে কি আমাদের আলোচনার অশুদ্ধি সংশোধন করে বলবো যে সকল খোদার আদরের জিনিস তাই ধর্ম, আর যা সকল খোদার অনাদরের সামগ্রী তা অধর্ম এবং যা কোনো কোনো খোদার আদরের আর কোনো কোনো খোদার অনাদরের বস্তু তা কোনটাই নয়, কিংবা দুটোই ধর্ম? ধর্ম আর অধর্মের পরিচয় এভাবে দেওয়াই কি আপনার ইচ্ছা?

এয়ুথুফ্রোন এমন জেরার মুখে পরতে হবে কখনো মনে হয় চিন্তাও করেন নাই। তবে সক্রেটিসের কথায় সায় দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না।

সক্রেটিস বললেন, কোন মাল 'দৃষ্ট' বলেই দেখা হয়না বরঞ্চ উলটো, মালটা দেখা হয় বলেই ওটাকে 'দৃষ্ট' বলে, কোন মাল 'নীত' বলেই তাকে নেয়া হয় না বরং যে মাল নেয়া হয় তাকেই 'নীত' বলে। একই ভাবে 'বাহিত' বলেই তাকে বওয়া হয় না, বরং বওয়া হয় বলেই কোন মালকে 'বাহিত' বলা হয়।

এই ব্যাপারে এয়ুথুফ্রোন সায় দেন।

সক্রেটিস জিজ্ঞাস করেন, তবে ধর্মের কাজ বলতে আমরা কি বুঝবো? কাজটা ধর্মের বলেই তার আদর হয়, কিন্তু কাজটার আদর হয় বলেই তা ধর্মের কাজ না, তাই না?
ঃ জ্বি, তাই।
ঃ তবে তো ধর্মের কাজ আর দেব-দেবীর আদুরে কাজও এক নয়। দুইটা দুই মাল।

আবার, জিনিসটা আদর হয় বলেই দেব-দেবীরাও তার আদর করেন, দেব-দেবীরা আদর করেন বলেই জিনিশটার আদর হয় না।
তবে ধর্ম কি জিনিস? ধর্ম মানে কি দেব-দেবীদের আদর পাওয়ার বা অন্য কোন গুণ থাকা জিনিশ? কোন গুণ সেটা বড় কথা নয়- তা নিয়ে তর্ক তুলবো না আমি-সেই গুণই কী ধর্ম? ধর্মের কাজ কী আর অধর্মের কাজ কী তা আমাকে আন্তরিকভাবে বলবেন কি?

এয়ুথুফ্রোন বললেনঃ কিন্তু সক্রেটিস, আমার মনের ভেতরের কথাটি কিছুতেই আপনার মগজে ঢোকাতে পারছি না। কারণ যে ব্যক্তব্যই পেশ করি না কেন সবই ঘুরপাক খাচ্ছে, যে জায়গায় দাঁড়াতে বলছি সে জায়গায় স্থির থাকছে না।
সক্রেটিস এয়ুথুফ্রোনকে আরো একটু সাহায্য করলেন। বললেন, আচ্ছা যে সকল কাজ ধর্মের কাজ বলছেন তার সবই ন্যায়সঙ্গত কিনা?
এয়ুথুফ্রোনঃ আমার তো তাই মনে হয়।
ঃ যা কিছু ন্যায়সঙ্গত সবই ধর্মের কাজ তা হলে? নাকি ধর্মের কাজমত্রেই ন্যায়সঙ্গত অথচ ন্যায়সঙ্গত কাজমাত্রেই ধর্মের কাজ নয়, মানে কোন কোনটা ধর্মের আর কোন কোনটা ধর্মের নয়?
ঃ আপনার কথা বুঝে উঠতে পারছি না সক্রেটিস।
ঃ বলছিলাম, যেখানে ধর্ম সেখানেই ন্যায় কথাটা, নাকি যেখানেই ন্যায় সেখানেই ধর্ম- কোন কথাটা সবসময় সত্য? যেখানেই ন্যায় সেখানেই ধর্ম থাকে না, কারণ ধর্ম ন্যায়ের একাংশ মাত্র। আপনি কি এই কথা স্বীকার করবেন না অন্য কিছু বলবেন?
ঃ আমিও একই কথা বলবো।
ঃ ধর্ম কর্ম যদি ন্যায়ের একাংশ হয়, তবে কোন অংশ মনে হচ্ছে তাও আমাদের স্থির করতে হবে।
ঃ ন্যায়ের যে অংশ দেব-দেবীর এবাদতে নিবেদিত, সে অংশকেই আস্তিক ও ধার্মিক বলা হয় বলেই মনে হচ্ছে। আর যেটুকু মানুষের বন্দেগিতে নিবেদিত সেটুকু দিয়েই ন্যায়ের বাকি অংশ গঠিত।
ঃ এবাদত-বন্দেগি বলতে আপনি ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন আমি ঠিক বুঝিতে পারি নাই, কারণ আর দশজিনিশের এবাদতবন্দেগি বলতে যা বোঝায় আপনি নিশ্চয়ই সেই এবাদতবন্দেগির কথাই বলছেন না। যেমন ঘোড়ার বন্দেগি বলতে যাকে তাকে সাজে না, সাজে শুদ্ধ সহিসকে। আপনি সেই রকম বন্দেগির কথা বলছেন না তো?
ঃ হ্যাঁ, এই রকম বন্দেগির কথাই বলছি।
ঃ ঘোড়া পালন মানে ঘোড়ার বন্দেগি, শিকারবৃত্তি মানে কুকুরের বন্দেগি, গবাদি পশুপালন মানে গবাদি পশুবন্দেগি, ধর্ম আর আস্তিকতার অর্থ দেব-দেবীর বন্দেগি।
ঃ হ্যাঁ, এই আমার কহতব্য।
ঃ তবে, প্রতি পদেই বন্দেগির বা সেবার ফল একই দাড়াচ্ছে। সব বন্দেগির মতলব একটাই- মাবুদের মঙ্গল বা উপকার সাধন। তবে দেব-দেবীর এবাদত করে আপনি নিশ্চয়ই তাদের উপকার করছেন, তাই না?
ঃ না, একমত নই।
ঃ আমিও মনে করি না এবাদত বলতে আপনি সবক্ষেত্রে এক কথা বোঝাচ্ছেন। তবে দেব-দেবীর কোন জাতীয় এবাদতের নাম ধর্ম?
ঃ মনিবের যে জাতীয় এবাদত গোলামরা করে সেই জাতীয় এবাদত।
ঃ ডাক্তারের বন্দেগি করলে সে বন্দেগি কোন উদ্দেশ্য অর্জনে সাহায্য কররে, স্বাস্থ্যের উন্নতিই তো এই বন্দেগির উদ্দেশ্য, তাই না? আবার জাহাজগরের বন্দেগি করলে কী হয়?
ঃ এই বন্দেগিতে জাহাজ তৈরির সাহায্য হয়।
ঃ ছুতারের বন্দেগি করলে বাড়ি তৈরিতে সাহায্য হয়। তবে আপনিই তো বলেন দেব-দেবীর বিষয়ে আপনার সমান জ্ঞান রাখেন এমন দুই নম্বর মানুষ এই ধরাধামেই নেই। তবে একটু বলবেন কি গোলাম খাটিয়ে দেব-দেবীর কি উদ্দেশ্যটা পূরণ করে থাকেন?
ঃ অনেক চমৎকার চমৎকার উদ্দেশ্য পূরণ হয়।
ঃ সেনাপতিরা যুদ্ধ জয়লাভ করেন, চাষীরাও মাটির বুক থেকে ফসল ফলান, তবে, দেব-দেবীরা কি লক্ষ্য অর্জন করেন?
ঃ আসলে এ বিষয়ে কাঁটায় কাঁটায় জ্ঞান লাভ খুবই কঠিন কাজ। তবু বলছি, মানুষ যদি দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে মন্ত্র-তন্ত্র পড়ে বা দেব-দেবীর নামে কিছু দানখয়রাত করার সময় যেভাবে বললে তাঁরা সন্তুষ্টি লাভ করা যায় সেভাবে কিছু বলতে বা করতে জানে তবে সে কথায় বা কাজেই ধর্ম হয়। এতে নিজের ঘরের যেমন সুখ-শান্তি রক্ষা পায় রাষ্ট্রজোড়া শান্তিও তেমনই বজায় থাকে। এর সন্তোষজনক কাজের উল্টোকাজই অধর্মের।
ঃ তবে ধর্ম বলতে বোঝাচ্ছে শুদ্ধ দানখয়রাত আর শুদ্ধ তন্ত্র-মন্ত্র জানা?
ঃ জ্বি, মানে এই।
ঃ দান-খয়রাত মানে দেবদেবীকে কিছু উপহার দেয়া আর এবাদত বন্দেগি মানে দেব-দেবীর কাছে কিছু চাওয়া। তাই না?
ঃ নির্ঘাৎ তাই, সক্রেটিস।
ঃ তবে, ধর্ম মানে তা হলে দেব-দেবীতে আর মানুষে এক জাতীয় ব্যবসাবুদ্ধি।
ঃ আপনি যদি কথাটা এই জাতীয় ভাষায় বলতেই পছন্দ করেন বলতে পারেন।
ঃ যা সত্য নয়, তা আমি কোনো মতেই পছন্দ করিনা। কিন্তু বলেন দেখি আমাদের দেয়া উপহার পেয়ে দেব-দেবীর কি লাভ? ওঁরা আমাদের কি দেন তা আমরা সকলেই জাই। আমাদের হেন কল্যান নেই যা ওঁদের দান নয়। কিন্তু আমদের দান দিয়ে ওঁদের কোন কল্যানটা হয়? দেব-দেবীদের উপহার দেবার মতো আমাদ্র কাছে এমন কী জিনিশ আছে, এয়ুথুফ্রোন?
ঃ ইজ্জত-সম্মান, শ্রদ্ধাভক্তি আর এইমাত্র যে কথা বললাম সেই কৃতজ্ঞতা-শোকরিয়া ছাড়া সে আর কী হতে পারে বলে মনে করেন?
ঃ তা হলে ধর্মের কাজ মানে যা খোদার ভালো লাগে, তাই। কিন্তু তাতে খোদার কোনো উপকার নাই, বা তা খোদার প্রিয়ো না।
ঃ আমার মনে হয় দুনিয়ার সকল কাজের মধ্যে ধর্মকাজই খোদার প্রিয়তম কাজ।
ঃ কিন্তু ধর্ম কাজ মানে যা খোদার প্রিয়, একথাই আরেকবার বলা হলো।
ঃ অতি নিঃসন্দেহে।
ঃ কিন্তু আমরা তো আগেই সম্মত হয়েছিলাম, ধর্মের কাজ আর খোদার আদুরে কাজ ঠিক এক কাজ নয়, একটা আরেকটা থেকে আলাদা। নাকি মনে নেই?
ঃ মনে আছে।
ঃ তবে, আপনি একই মুখে দুই কথা বলছেন। হয় আমরা যে আগে একমত হয়েছিলাম, তা ভুল ছিল, নয় তো আগে আমাদের ভুল না হয়ে থাকলে -এখন ভুল চিন্তা করছি আমরা।
ঃ ঘটনা মনে হচ্ছে তা-ই।
ঃ ধর্ম আর অধর্ম বিষয়ে সাফ সাফ জ্ঞান আপনার যদি না থাকতো আপনি নিশ্চয়ই একজন কামলার স্বার্থে আপনার বাবার নামে খুনের মামলা রুজু করতেন না। ভাই, এয়ুথুফ্রোন, আমাকে বলেন ধর্ম আর অধর্ম কী জিনিশ? আপনি জানেন। আমার কাছে লুকাবেন না।।
ঃ সে আর একদিন হবে নে, সক্রেটিস। একটু তাড়া আছে আমার, আর সময়ও হয়ে গেছে এখন, আমাকে যেতে হয়।
ঃ এ কী, দোস্ত আমার! চলে গিয়ে আমার আশার গুড়ে বালি দেবেন! বড় আশা করেছিলাম ধর্ম আর অধর্মের স্বভাব কী আপনার কাছে শিখব।

হাঃ হাঃ হাঃ কি বুঝলেন? এতো বড় আর কোনো পোষ্ট দেয়া হয়নি। আপনারা যারা কষ্ট করে পড়লেন তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। অসীম ধৈর্য্য আপনাদের। ভালো থাকুন।

সক্রেটিস- পর্ব ১
সক্রেটিস- পর্ব ২
সক্রেটিস - পর্ব ৩
সক্রেটিস - পর্ব ৪ (এটাকে প্রেম পর্বও বলা যায়)
সক্রেটিস - পর্ব ৫
সক্রেটিস - পর্ব ৬
সক্রেটিস - পর্ব ৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×